এসএসসি, টেটের পর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। এবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। আব্দুল হামিদ নামে এক পরীক্ষার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) বাতিল করার অভিযোগে। ওই পরীক্ষার্থী অভিযোগ, উত্তরপত্রে তাঁর বদলে অন্য কেউ ‘কলম চালিয়েছেন’। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগকারীর উত্তরপত্র পরীক্ষা করে দেখার জন্য শুক্রবার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) ডিরেক্টর এবং ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও ‘ভুল’ থাকায় ওই উত্তরপত্র বাতিল করা হয়েছে দাবি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের। তবে পরীক্ষার্থীর দাবি, তিনি ঠিক উত্তর দিয়েছেন। আব্দুল হামিদ বাতিল উত্তরপত্র সম্পর্কে জানতে তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করছিলেন। সেই আবেদনের উত্তরে তিনি জানতে পারেন, অন্য কলমের কালি রয়েছে উত্তরপত্রে। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগকারী যে কালো কলমে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তিনি সেটি জমা দিয়েছেন আদালতে।
মামলাকারী আব্দুল হামিদের জানান, ‘‘আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেকের সঙ্গে এ রকম দুর্নীতি হয়েছে।’’ মামলাকারী আব্দুল হামিদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘বঞ্চিত করা হয়েছে আব্দুল হামিদকে। তবে শুধু হামিদের সঙ্গে নয়, অনেকের সঙ্গেই এরকম হয়েছে।’’
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি উত্তরপত্রটি পরীক্ষা করে দেখবে। উত্তরপত্রে যে দু’ রকম কালি রয়েছে তাও খতিয়ে করা হবে। হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে পরীক্ষার খাতা ও কলম শুক্রবার, ২৫ অগস্টের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিএফএসএল-কে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি এখন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’