মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ বড় হয়েছেন শহরে। বড়লোক বাড়ির বড়লোকি অবশ্য তাঁর মধ্যে কখনো ছিল না। অত্যন্ত সাদামাঠাভাবে তাঁর বেড়ে ওঠা। প্রিন্স দ্বারকানাথের নাতি তিনি। সে বৈভাবের বহিঃপ্রকাশ তাঁর দৈনন্দিন জীবনযাপনে কখনও লক্ষ্য করা যায়নি। শহরেই তাঁর বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া। রবীন্দ্রনাথ গ্রাম চিনেছেন, গ্রামীণ জীবনকে জেনেছেন অনেক পরে। ধুলোমাটি মাখা মানুষের জীবনযন্ত্রণা প্রথম অনুভব করেছিলেন জমিদারি কাজে শিলাইদহে গিয়ে।

শহর থেকে অনেক দূরে এই শিলাইদহের জীবন বড়োই নিরাভরণ, সে জীবনকে রবীন্দ্রনাথ ভালোবেসে ফেলেছিলেন। ভালোবেসেছিলেন গ্রামের সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত মানুষজনকে। জমিদারি কর্মে শিলাইদহে না গেলে, তাদের কাছাকাছি না পৌঁছলে কবির অনেক কিছুই অজানা রয়ে যেত। মরমি, স্পর্শময় বহু ছোটগল্পই হয়ত তাঁর লেখা হত না। তিনি নিজেও বারবার স্বীকার করেছেন, রচিত গল্পের অনেকখানিই অভিজ্ঞতার্জিত। সে অভিজ্ঞতা হয়েছিল শিলাইদহে।
শিলাইদহ বাসকালে কবি দুঃস্থ প্রজাদের কণ্ঠে শুনেছেন তাদের অভাব-অভিযোগ, অসহায়তার কথা। জেনেছেন কতখানি কষ্টে তাদের দিনযাপন, সীমাহীন দুঃখ দুর্গতি ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। রবীন্দ্রনাথ তাই চেয়েছিলেন গ্রামীণ জীবনধারার উন্নতি। বৈজ্ঞানিক-পদ্ধতিতে চাষাবাদ বাড়াতে, চাষাবাদ বাড়লে গ্রামীণ মানুষের জীবনে সচ্ছলতা আসবে, কালো মুখে আলো ফুটবে। কৃষিতে আধুনিকতা আনতে, পল্লি উন্নয়ন ঘটাতে পুত্র রথীন্দ্রনাথকে আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন কবি। আমেরিকা থেকে কৃষিবিদ্যার পাঠ নিয়ে এদেশে এসে পল্লি উন্নয়ন ঘটাবেন, এমনই আশা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। শুধু পুত্রকে নয়, কবির জামাতা, কন্যা মীরার স্বামী নগেন্দ্রনাথও কৃষিবিদ্যার পাঠ নিতে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। বলাবাহুল্য কবি শুধু পুত্রের নয়, জামাতারও কৃষিবিদ্যা-পাঠের আর্থিক দায়ভার নিয়েছিলেন। তাদের এই আমেরিকা যাত্রায় সঙ্গী হয়েছিলেন কবির বন্ধুপুত্র সন্তোষচন্দ্র মজুমদারও। সন্তোষচন্দ্রের নামে পরবর্তীকালে শ্রীনিকেতনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘সন্তোষ পাঠশালা’।

রথীন্দ্রনাথ।

হয়তো স্থায়ী সাফল্য আসেনি, কিন্তু চেষ্টার অন্ত ছিল না। রবীন্দ্রনাথ পুত্রকে প্রবলভাবে প্রাণিত করেছিলেন। নিজেও সেই কর্মযজ্ঞে সক্রিয়ভাবে শামিল হয়েছিলেন। কৃষিবিদ্যার যে পাঠ নিয়ে রথীন্দ্রনাথ দেশে ফিরেছিলেন, সেই বৈজ্ঞানিক পাঠের প্রয়োগক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল শিলাইদহ। ‘পিতৃস্মৃতি’ বইতে আছে সে বিবরণ। রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘শিলাইদহে আমার নতুন জীবন শুরু হল—আমি যেন ইংলন্ড-আমেরিকার পল্লী অঞ্চলের একজন সম্পন্ন কিষাণ। অনেকখানি জায়গা জুড়ে ক্ষেত তৈরি হল। আমেরিকা থেকে আমদানি হয়ে এলো ভুট্টার বীজ ও গৃহপালিত পশুর জাব খাবার মতো নানাবিধ ঘাসের বীজ। এ দেশের উপযোগী করে নানারকম লাঙল, ফলা ও কৃষির অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরি করা হল। এমনকি, মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করার জন্য ছোটোখাটো একটি গবেষণাগারের পত্তন হল।’
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬০: রাতদুপুরে বিপন্নকে বাঁচাতে হাটখোলার পাট আড়তের টাকা এসেছিল জোড়াসাঁকোয়

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫৩: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে সফলভাবে মাছচাষ করছে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ু

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৮: রামচন্দ্রের কৈশোর, ব্রহ্মর্ষি বিশ্বামিত্র: এক অনন্য উত্তরণ

গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-১: জলের তলায় তার শরীরের কোনও অস্তিত্ব নেই!

এই পর্বের রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে একেবারেই অচেনা। আমরা দেখি উন্নতপ্রথায় কবিকে আলু চাষ করতে বা মাদ্রাজি সরু ধান চাষ করতে, সেই চাষ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেও তাঁর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুর্বর জমিতে খেসারি ডালের চাষ করেছিলেন, খেসারি চাষের পরামর্শ দিয়েছিলেন ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার।

রবীন্দ্রনাথ প্রথমে জোর দিয়েছিলেন আলু চাষে। শিলাইদহে কুঠিবাড়ি অঞ্চলে শুরু হয় সে চাষ। আলু চাষের জমির পরিমাণ খুব কম ছিল না। পঞ্চাশ বিঘের মতো। প্রথম জীবনে নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ছিলেন কবির বন্ধুস্থানীয়। পরে অবশ্য সেই বন্ধুত্বে চির ধরে। সম্পর্ক অতীব তিক্ত হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথকে বিদ্রুপ করে দ্বিজেন্দ্রলাল ‘আনন্দ বিদায়’ নামে একটি নাটকও লিখেছিলেন। কৃষিবিদ্যা নিয়ে শিক্ষালাভের জন্য দ্বিজেন্দ্রলাল বিলেতে গিয়েছিলেন। এ বিষয়টি তাঁর অধিগত ছিল। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের কৃষিকর্মের পরামর্শদাতা। তাঁর পরামর্শ মতো মাটি তৈরির পর নৈনিতাল আলু চাষের ব্যবস্থা হয়েছিল। ভালো চাষের জন্য ভালো বীজের প্রয়োজন। দ্বিজেন্দ্রলালই উৎকৃষ্ট আলুবীজ সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন।

নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।

আলু চাষে অবশ্য রবীন্দ্রনাথ যে সাফল্য পেয়েছিলেন, তা নয়। ‘চামরু’ নামে এক রাজবংশী চাষি মাত্র পাঁচ কাঠা জমিতে যে আলু ফলিয়েছিল, তার থেকে অনেক কম আলু ফলেছিল রবীন্দ্রনাথের জমিতে। আলু চাষে সফল না হলেও কবি দমে যাননি। চাষাবাদের কাজ সমান গতিতে চলেছে। দ্বিজেন্দ্রলাল মাঝে মাঝে আসতেন পরিদর্শনে, পর্যবেক্ষণে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যেতেন। একবার শিলাইদহে এসেছিলেন স্ত্রী সুরবালাকে সঙ্গে নিয়েও।

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জগদীশচন্দ্রের যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল, তা আমাদের অজানা নয়। তিনি বহুবার শিলাইদহে গিয়েছেন। কচ্ছপের ডিম ছিল তাঁর ভারি পছন্দের। রথীন্দ্রনাথ খুঁজেপেতে উদ্ধার করে আনতেন। বিজ্ঞানী-বন্ধুকে রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছিলেন, ‘আমার চাষাবাদের কাজ মন্দ চলিতেছে না। আমেরিকান ভুট্টার বীজ আনাইয়াছিলাম—তাহার গাছগুলা দ্রুতবেগে বাড়িয়া উঠিতেছে। মাদ্রাজী সরু ধান রোপন করিয়াছি, তাহাতেও কোনো অংশে নিরাশ হইবার কারণ দেখিতেছি না।’
আরও পড়ুন:

স্বাদে-আহ্লাদে: স্বাস্থ্যকর উপায়ে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন মুচমুচে আলুর চিপস

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৭: কোরবা হয়ে সাতরেঙ্গা

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৯: ‘মেরা কুছ সামান…’ গানে সুর দেওয়ার প্রস্তাবে গুলজারকে পত্রপাঠ বিদায় জানান পঞ্চম

আলুতে সাফল্য না এলেও ভুট্টাতে সাফল্য এসেছে। মাদ্রাজি ধানে সাফল্য এসেছে। এসব সাফল্য নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথকে প্রাণিত করেছিল। তিনি তৎপর হয়েছিলেন রেশমচাষে। রেশমচাষে কবিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন অক্ষয়কুমার মৈত্র। শিলাইদহে কবির পুত্র-কন্যাদের পড়াতেন এক সাহেব শিক্ষক। তাঁর নাম লরেন্স। সেই লরেন্সেরও তৎপরতা ছিল রেশমচাষে। কবিকে তিনিই উৎসাহিত করেছিলেন। অনেক অর্থ ও পরিশ্রম ব্যয় হলেও সাফল্য আসেনি। প্রথমদিকে পুত্র ও জামাতা রবীন্দ্রনাথের পাশে ছিলেন না। একাই তিনি কৃষি-কাজে তৎপর হয়েছিলেন। পরে রথীন্দ্রনাথ স্বদেশে ফেরার পর তিনিও এ কাজে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। পিতৃদেবের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শিলাইদহ-কুঠিবাড়ি সংলগ্ন অঞ্চলে একটি আদর্শ কৃষিখামারও গড়ে তুলেছিলেন তিনি। কৃষিখামারটি ছিল চিন্তায় চেতনায় বিজ্ঞানমনস্কতায় অন্যরকম। কবির এই কর্মযজ্ঞে রথীন্দ্রনাথ কতখানি সক্রিয় হয়েছিলেন, তা স্মৃতির খাতা থেকে কবিপুত্র ‘পিতৃস্মৃতি’র পাতায় তুলে রেখেছেন। জানা যায়, আমেরিকা থেকে চাষাবাদের যন্ত্রপাতি এসেছিল। নিয়ম মেনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রাসায়নিক ল্যাবরেটরি তৈরি করা হয়েছিল। সেকেলে পদ্ধতিতে চাষাবাদে অভ্যস্ত চাষিরা আধুনিক পদ্ধতি ধীরে ধীরে গ্রহণ করতেও শুরু করছিল। রথীন্দ্রনাথ লক্ষ্য করেছিলেন ‘চাষিদের মধ্যে ক্রমশ উৎসাহ’ দেখা যাচ্ছে।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।

এই উৎসাহে সাফল্যের পথ নির্মিত হয়েছে। রবীন্দ্রজামাতা নগেন্দ্রনাথও বিলেত থেকে ফিরে এসে কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছেন। নগেন্দ্রনাথের সঙ্গে কবিকন্যার মীরার দাম্পত্যসম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। তবু রবীন্দ্রনাথ তাঁকে স্নেহ করতেন। তাঁর বইয়ের ভূমিকাও লিখে দিয়েছেন। তাঁকে আরও বেশি কৃষিমুখী করার জন্য এক চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘মনে রেখো, জমিদারের টাকা চাষির টাকা এবং এই চাষিরাই তোমাদের শিক্ষার ব্যয়ভার নিজেরা আধপেটা খেয়ে এবং না খেয়ে বহন করছে। এদের ঋণ সম্পূর্ণ শোধ করবার দায় তোমাদের ওপর রইল— নিজেদের সাংসারিক উন্নতির চেয়েও এইটাই তোমাদের প্রথম কর্তব্য হবে।’
আরও পড়ুন:

পর্ব-২৫: আঁধার ভূবনে আবার কে তুমি জ্বেলেছ ‘সাঁঝের প্রদীপ’ খানি

উৎসবের উষ্ণতায় শারুল-শিমুল

হাঁসফাঁস গরমে মুখে রুচি নেই, কোন কোন টক জাতীয় খাবারে স্বাদ ফিরে পাবেন?

এসব কথা কতখানি নগেন্দ্রনাথের অন্তরে পৌঁছেছিল, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। প্রথমে যে তৎপরতা তিনি দেখিয়েছিলেন, অচিরেই তা ফিকে হয়ে যায়। রথীন্দ্রনাথও এই কাজে খানিক উৎসাহ হারিয়েছিলেন। পিতাকে ঘিরে তাঁর দায়দায়িত্বও কম ছিল না। অনেক কিছুই তাঁকে সামলাতে হত।

নিত্যনতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন। যেভাবেই হোক কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতি আনতে হবে, চাষির মুখে হাসি ফোটাতে হবে। কত আয়োজন, কত তৎপরতা। ব্যবস্থা হয়েছে সার তৈরিরও। রবীন্দ্রনাথ জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে, সেই মাছ মাটিতে পুঁতে রাখার ব্যবস্থাও করেছিলেন। মাছ পচে-গলে একসময় সারে পরিণত হত। একফসলি জমি পতিসরে চাষাবাদ করার জন্য রথীন্দ্রনাথ কম পরিশ্রম করেননি। ক্ষেতের আলে নানা রকম ফলের গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কলা-খেজুর-আনারস এসব গাছে আলপথ ভরে উঠেছিল।

পদ্মার ধারে প্রজাদের মাঝে জমিদার রবীন্দ্রনাথ।

আধুনিক পদ্ধতিতে দ্রুত চাষ করার তাগিদে রথীন্দ্রনাথ ট্রাক্টর নিয়েও মাঠে নেমেছেন। চাষিদের আর্থিক দুর্গতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পতিসরে কৃষিব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করতেও প্রয়াসী হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে ধারদেনাও করতে হয়েছিল। নোবেল প্রাইজের টাকাও তিনি এই ব্যাঙ্কেই শান্তিনিকেতনের বিদ্যালয়ের নামে ডিপোজিট করে রেখেছিলেন। চাষিরা সহজে ঋণ পাবে, মনের আনন্দে চাষ করবে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হওয়ার ফলে অধিক ফলন হবে। দরিদ্র চাষিদের মুখে হাসি ফুটবে, তারা অর্থের মুখ দেখবে, এমন ভেবেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। যেমন সবাই থাকে, তেমনভাবে সাহিত্য রচনাতেই তিনি নিমগ্ন থাকতে পারতেন। তা তিনি করেননি, এখানেই রবীন্দ্রনাথের স্বাতন্ত্র্য, তাঁর অনন্যতা। বাস্তবের মাটিতে ছিল তাঁর পা। মানুষের প্রতি ছিল অফুরান ভালোবাসা। তাই এভাবে পল্লির উন্নয়নে, কৃষির অগ্ৰগতিতে মনোনিবেশ করতে পেরেছিলেন। শুধু শিলাইদহ-পতিসরকে ঘিরে নয়, শ্রীনিকেতনকে ঘিরেও এমনতরো স্বপ্ন দেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।

Skip to content