জ্ঞানদানন্দিনী দেবী।
চোখ জুড়োনো ঠিকরে পড়া তাঁর রূপ। এক সময় ঠাকুরবাড়িতে দুর্গাপুজো হতো, হতো জগদ্ধাত্রী পুজো। জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি করা হতো তাঁর মুখের আদলে। কে সেই পরমাসুন্দরী, তিনি দিগম্বরী, প্রিন্স দ্বারকানাথের পত্নী। দিগম্বরীর বিবাহ হয়েছিল প্রায় শৈশবে। তখন বছর ছয়েক বয়েস তাঁর। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে একই ছবির পুনরাবৃত্তি। সারদাসুন্দরীর বয়েস বিবাহকালে ছয়ও ছাড়ায়নি। হঠাৎ বিবাহ, কেউই তৈরি ছিলেন না। এই বিবাহকে ঘিরে হুলুস্থুল, দিতে হয় বড় খেসারত। সারদাসুন্দরীর পুত্রবধূ জ্ঞানদানন্দিনী মুখে মুখে স্মৃতিকথা বলে গিয়েছিলেন, তা লিখে রেখেছিলেন কন্যা ইন্দিরা। সেই স্মৃতিকথা থেকে জানা যায়, সারদাসুন্দরীর মা গঙ্গাস্নানে গিয়েছিলেন। তাঁর দেওরের কানে গিয়েছিল ঠাকুরবাড়িতে সুন্দরী মেয়ে খোঁজাখুঁজি চলেছে, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্রের জন্য। সুবর্ণ সুযোগ। এ সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায় ! দেওর না বলেই কন্যাটিকে নিয়ে কলকাতার অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন। গিয়েছিলেন দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে বালিকার বিবাহ-ব্যবস্থা করবেন, এই আশায়।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫০: লুকোনো বই পড়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ বাক্সের চাবি চুরি করেছিলেন
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৬: নাগদেবী কাহন ও দ্বিমুখী লড়াই
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৬: যে কোনও ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করাই ঈশ্বর লাভের উপায়
বাড়ি ফিরে সব জানতে পারার পর সারদাসুন্দরীর মা যেভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, মাতৃহৃদয়ের হাহাকার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়েছিল, তা মর্মস্পর্শী। সে বিবরণ উল্লিখিত স্মৃতিকথায় দিয়েছেন জ্ঞানদানন্দিনী। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাড়ি এসে মেয়েকে তাঁর দেওর না বলেকয়ে নিয়ে গিয়েছেন শুনে তিনি উঠোনের এক গাছতলায় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে লাগলেন। তারপরে সেখানে পড়ে কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয়ে মারা গেলেন।’
জ্ঞানদানন্দিনীর বক্তব্য কতখানি অতিরঞ্জিত, তা জানার উপায় নেই। এই তথ্যটিকে সামনে রেখে অবশ্য আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, সারদাসুন্দরীর ছ’ বছর বয়েসে বিবাহ হয়েছিল। জ্ঞানদানন্দিনীর বিবাহ হয় সারদাসুন্দরীর দ্বিতীয় পুত্র সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে। বিবাহকালে জ্ঞানদানন্দিনীর বয়েস ছিল সাত। শ্বশুরবাড়িতে এসে জ্ঞানদানন্দিনীর দুধে-দাঁত পড়তে আরম্ভ করেছিল। শ্বশুরালয়ে ইঁদুরের গর্ত খুঁজেছেন। সেই গর্তে নিজের দাঁত বিসর্জন দিয়ে গর্তবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘পড়া দাঁত তুমি নাও। তোমার দাঁত আমায় দাও।’
জ্ঞানদানন্দিনীর বক্তব্য কতখানি অতিরঞ্জিত, তা জানার উপায় নেই। এই তথ্যটিকে সামনে রেখে অবশ্য আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, সারদাসুন্দরীর ছ’ বছর বয়েসে বিবাহ হয়েছিল। জ্ঞানদানন্দিনীর বিবাহ হয় সারদাসুন্দরীর দ্বিতীয় পুত্র সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে। বিবাহকালে জ্ঞানদানন্দিনীর বয়েস ছিল সাত। শ্বশুরবাড়িতে এসে জ্ঞানদানন্দিনীর দুধে-দাঁত পড়তে আরম্ভ করেছিল। শ্বশুরালয়ে ইঁদুরের গর্ত খুঁজেছেন। সেই গর্তে নিজের দাঁত বিসর্জন দিয়ে গর্তবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘পড়া দাঁত তুমি নাও। তোমার দাঁত আমায় দাও।’
বিস্ময়কর হলেও সত্যি, খেলনা নিয়ে ঠাকুরবাড়ি থেকে মেয়ে খুঁজতে পাঠানো হত। শিশু-বালিকা খেলনা পেলে আর কী চায়! ওতেই বুঝি বশ হত তারা। বলা যায়, এ ছিল বশীকরণের মোক্ষম উপায়। জ্ঞানদানন্দিনী জানিয়েছেন, ‘কলকাতার ঠাকুরবাড়ি থেকে তখন যশোরে মেয়ে খুঁজতে পাঠাত। কারণ যশোরের মেয়েরা নাকি সুন্দরী হত। যে সব দাসীরা মনিবের পছন্দ ঠিক বুঝতে পারে, তাদের খেলনা দিয়ে তাঁরা মেয়ে দেখতে পাঠাতেন।’ জ্ঞানদানন্দিনীদের বাড়িতে ওই রকমই এক দাসী গিয়েছিল। হ্যাঁ, মন ভোলাতে সঙ্গে খেলনাও নিয়ে গিয়েছিল সে।
সারদাসুন্দরী জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথের বধূমাতা সর্বসুন্দরীর আগমন তুলনামূলকভাবে একটু বেশি বয়েসে। নিতান্ত বালিকা নন তখন তিনি, কিশোরী বলা যায় তাঁকে। বয়েস এগারো।
সারদাসুন্দরী জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথের বধূমাতা সর্বসুন্দরীর আগমন তুলনামূলকভাবে একটু বেশি বয়েসে। নিতান্ত বালিকা নন তখন তিনি, কিশোরী বলা যায় তাঁকে। বয়েস এগারো।
সর্বসুন্দরী দেবী।
রবীন্দ্রনাথের সেজদা হেমেন্দ্রনাথের আট কন্যা। প্রতিভাসুন্দরী সর্বজ্যেষ্ঠ। বিবাহ হয় সেকালের বিচারে যথেষ্ট বেশি বয়েসে। প্রতিভার বয়স তখন একুশ। বিবাহের ঘটকালি করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। যাঁর সঙ্গে বিবাহ হয়, তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের বন্ধু। আশুতোষ চৌধুরীর সঙ্গে কবির পরিচয় হয়েছিল বিলেতগামী জাহাজে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ক্রমেই বন্ধুত্ব। শেষে ভ্রাতুষ্পুত্রীর সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব। হেমেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় কন্যা প্রজ্ঞাসুন্দরীর সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল অসমীয়া লেখক লক্ষ্মীকান্ত বেজবড়ুয়ার। তখন তাঁর বয়েস বছর কুড়ি। হেমেন্দ্রনাথের চতুর্থ কন্যা মনীষার সঙ্গে এক ডাক্তারের বিবাহ হয়। পাত্রের নাম দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বিবাহকালে মনীষার বয়েস হয়েছিল বছর একুশ।
আরও পড়ুন:
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৩৪: শুধু কি পিতৃবিয়োগব্যথা লাভ ভরতের, না কি আরও দুঃখ অপেক্ষমাণ…
জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-৪: কাশীর পথে-ঘাটে
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৬: প্রকৃতি নিয়ে পর্যটন
হেমেন্দ্রনাথ যা পেরেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি। অপরিণত বয়সে কন্যাদের বিবাহ দিয়েছিলেন। মাধুরীলতার চোদ্দোতে পড়ার আগেই বিবাহের আয়োজন করেছিলেন। রেণুকার বিবাহ হয়েছিল মাধুরীলতার বিবাহের এক মাস তিরিশ দিন পর। রেণুকা তখন সবে দশ পেরিয়েছেন। কনিষ্ঠ কন্যা মীরারও বিবাহ হয় অপরিণত বয়সে। তখনও তাঁর বয়েস এগারো হয়নি। রবীন্দ্রনাথের বিবাহকালে মৃণালিনীর সঙ্গে কবির বয়সের ব্যবধান খুব কম ছিল না। রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন বাইশ বছর সাত মাস। মৃণালিনীর ন-বছর ন-মাস। সত্যেন্দ্রনাথ ও জ্ঞানদানন্দিনীর কন্যা ইন্দিরার বিয়ে হয়েছিল ছাব্বিশ বছর বয়সে, প্রমথ চৌধুরী সঙ্গে। প্রমথ চৌধুরীর অবশ্য মনে গোপন ইচ্ছে ছিল বিবাহ করবেন আর কাউকে নন, সরলা দেবীকে। সরলা দেবী বিবাহে রাজি হননি। সুপরামর্শ দিয়ে প্রমথ চৌধুরীকে যা বলেছিলেন, তা আছে ‘আত্মস্মৃতি’তে, ‘সরলা দেবী চৌধুরানী একদিন আমাকে বলেন যে, আপনি ইন্দিরা দেবীকে বিবাহের প্রস্তাব করিলে তিনি রাজি হইবেন। আমি সেই কথা শুনিয়া বিবাহের প্রস্তাব করি।’
প্রমথ চৌধুরী।
সরলার বিবাহ হয় তেত্রিশ বছর বয়সে, পঞ্জাবের রামভজ দত্ত চৌধুরীর সঙ্গে। এ বিবাহের আগে কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। পরস্পরের প্রণয় বিবাহ পর্যন্ত পৌঁছয়নি। প্রভাতকুমার তখনও চাকরিজীবনে প্রতিষ্ঠা পাননি। কেরানিগিরির চাকরি করতেন, তাই কারও কারও ঘোরতর আপত্তি ছিল। ঠাকুরবাড়ির কন্যার সঙ্গে নিতান্তই কেরানির বিবাহ হতে পারে না, তাঁরা বেশ কঠোরভাবেই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যতিক্রম কিছু থাকলেও অল্প বয়েসে বিয়েশাদিই ছিল ঠাকুরবাড়ির চেনা ছবি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমনই হয়েছে।
ইন্দিরা দেবী।
বধূরা কেউ এসেছে শৈশবে, কেউ বা বালিকা-বয়সে। কিশোরী-বয়েসে বধূ হয়ে আসার দৃষ্টান্ত নিন্তাতই কম। কাদম্বরী এসেছিলেন ন’ বছর বয়সে। মহর্ষি-কন্যা সৌদামিনী দেবীরও বিবাহ হয় ন’ বছর বয়েসে। সৌদামিনীর স্বামী সারদাপ্রসাদ ছিলেন মহর্ষিদেবের আস্থাভাজন। তাঁকে তিনি দিয়েছিলেন ঠাকুর এস্টেটের ম্যানেজারের দায়িত্ব। রবীন্দ্রনাথের বিবাহ-রাত্রে আকস্মিক সারদাপ্রসাদের মৃত্যু হয়। ভগ্নিপতির মৃত্যু-সংবাদ শিলাইদহ থেকে জোড়াসাঁকোয় এসে পৌঁছেছে পরের দিন। সমস্ত আনন্দ-অনুষ্ঠান ম্লান হয়ে যায়, বিষণ্ণতার সুর শোনা যায়।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৬: কানে খোল, তেল দেন?
হেলদি ডায়েট: মাইগ্রেনের মুক্তি সঠিক ডায়েটেই, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলি
খাই খাই: দিদিমার হাতের লোভনীয় গোকুল পিঠে খুব মনে পড়ে? এ বার নিজেই বানিয়ে ফেলুন, রইল রেসিপি
ঠাকুরবাড়িতে বিয়েশাদি, তা পুত্রের হোক বা কন্যার, কোনওটাই সহজ কাজ ছিল না। পাত্রী খুঁজতে কতবারই না যশোরে যেতে হয়েছে! পিরালি-ব্রাহ্মণ ছাড়া পাত্রী নির্বাচন যে প্রায় অসম্ভব ছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যশোরে পিরালি ব্রাহ্মণ বোধহয় সহজলভ্য ছিল। তাই মেয়ে খুঁজতে বারবার যশোরেই যেতে হয়েছে। দ্বারকানাথের পত্নী দিগম্বর এসেছিলেন যশোর থেকে। মহর্ষি-পত্নী সারদাসুন্দরীও যশোর-কন্যা। রবীন্দ্রপত্নী মৃণালিনী থাকতেন যশোরের ফুলতুলিতে। কবির অগ্রজ ও ভ্রাতারা যশোর-কন্যাই বিবাহ করেছেন। ব্যতিক্রম শুধু হেমেন্দ্রনাথ ও বীরেন্দ্রনাথ।
মিলাডা ও মোহনলাল। সঙ্গে পুত্র-কন্যা।
অনেক সময় সমগোত্রীয় ও সমমর্যদাসম্পন্ন পরিবার থেকে বধূ আনা হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আনা হয়েছে পিছিয়ে থাকা পরিবার থেকে। ঠাকুরবাড়িরই কোনও নিম্নপদস্থ কর্মচারীর কন্যার সঙ্গে সাড়ম্বরে হয়েছে বিবাহের আয়োজন। ঠাকুরবাড়িতে কন্যাদানে, বিবাহে অনেকেই রাজি হতেন না। ঘরজামাই আর ক’জন হতে চায়! ঘরজামাই রাখাই ছিল ঠাকুরবাড়ির প্রথা। তেমন পাত্র জোগাড় করা সহজ কাজ ছিল না। পাত্ররাও সুযোগের সদ্ব্যবহার করত। প্রায়শই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পাত্ররা বিলেত পাঠানোর শর্ত আরোপ করত। অনুরোধ নয়, ইনিয়েবিনিয়ে বুঝিয়ে দিত, বিলেতে পাঠানোর শর্তেই বিবাহ সম্ভব। রবীন্দ্রনাথও শর্ত মেনে নিয়েছিলেন। শর্ত মেনেই তিন জামাইকে বিলেত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। ঠাকুরবাড়িতে সারদাপ্রসাদ থেকে শুরু করে অবনীন্দ্র-জামাতা মণিলাল কে না ঘরজামাই ছিলেন! সেটাই ছিল ওই পরিবারে স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন:
অকালেই বার্ধক্যের ছাপ? তারুণ্য ধরে রাখতে এই চারটি নিয়ম মেনে চলুন
শিশুদের ঝুলে থাকলে উচ্চতা বাড়ে? এই ধারণা কি আদৌ ঠিক?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৩: মোর সাধের বাসরে ঘটল ‘গৃহ প্রবেশ’
সব প্রথা যে বরাবর বজায় থেকেছে, তা নয়। ঠাকুরবাড়িতে বিলেত থেকেও বধূ এসেছেন। চেকোস্লোভাকিয়ার মিলাডার সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল অবনীন্দ্র-দৌহিত্র মোহনলালের। প্রথমে বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্ব ক্রমে পরিণত হয় প্রেমে। প্রেমের টানে চেক- কন্যা চলে এসেছিলেন ভারতে। জাপান থেকেও ঠাকুরবাড়িতে বধূ এসেছেন। প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুরের পুত্র সন্দীপের পত্নী ছিলেন জাপানি-কন্যা, এইকো। অবনীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় পুত্র তরুণেন্দ্রনাথ উচ্চশিক্ষার্থের ইংল্যান্ডে গিয়ে মেম-বধূ এনেছিলেন। আইরিন তাঁর নাম। মেমবধূ ঠাকুরবাড়িতে আরও এসেছেন। প্রাদেশিক বিবাহ হয়েছে বেশ কয়েকটি। বলা বাহুল্য, এসব বিবাহে ঠাকুরবাড়ির চিরাচরিত নিয়মকানুন মানা হয়নি। বিবাহকে ঘিরে দীর্ঘকাল ধরে লালিত প্রথা কখনও কখনও বিঘ্নিত হয়েছে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মের কাঠিন্য তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে।
ছবি সৌজন্যে: লেখক
ছবি সৌজন্যে: লেখক
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।