প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে প্রিন্স দ্বারকানাথ যেভাবে অর্থব্যয় করেছিলেন, তা অতুলনীয়। সেকালের প্রেক্ষাপটে অভাবনীয়ও বটে। রবীন্দ্রনাথের সেজদা হেমেন্দ্রনাথ রীতিমতো মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়েছেন। শেষ পর্যায়ে পৌঁছেও পরীক্ষাটুকু তাঁর অবশ্য দেওয়া হয়নি। রবীন্দ্রনাথ প্রথাগত ডাক্তারি না পড়েও চিকিৎসা করতেন। তাঁর হাতযশও ছিল। কবির দেওয়া ওষুধে কাজ হয়েছে, এমন লোকজনের সংখ্যা খুব কম নয়। তিনি ঘরের লোকজনের যেমন চিকিৎসা করেছেন, তেমনই করেছেন বাইরের লোকজনের। স্ত্রী মৃণালিনী বা কন্যা রেণুকাকে সুস্থ করে তোলার আকুলতা ছিল, সেই আকুলতা থেকে তৎপরতা, শেষ চেষ্টা করে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।
হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পরিচিতজনের অনেকেরই রবীন্দ্রনাথ চিকিৎসা করেছেন, তা একান্তই ভালো-লাগা থেকে। ঘরের চিকিৎসা, বাইরের চিকিৎসা, এমনকি নিজের চিকিৎসাও করেছেন রবীন্দ্রনাথ। একবার ‘নার্ভাস ব্রেকডাউন’ হয়েছিল তাঁর। সে কথা পুত্র রথীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন, ‘দিনরাত্রি মরবার কথা এবং মরবার ইচ্ছা আমাকে তাড়না করেছে।’
এই অসুস্থতা থেকে কবির মানসিকতার, দৈনন্দিন আচার-আচরণের অনেক পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। তিনি নিজেও তা জানতেন। পুত্রকে লেখা ওই চিঠিতেই লিখেছিলেন, ‘তুই বৌমাকে বলিস তিনি যেন আমাকে তাঁর একটি অসুস্থ শিশুর মতো দেখেন এবং মনে জানেন আমি এই অবস্থায় যা কিছু করেছি তার জন্য আমি দায়ী নই।’
এই সময় রবীন্দ্রনাথ ‘মেটেরিয়া মেডিকা’ খুঁটিয়ে পড়েছিলেন। রোগের লক্ষণ মিলিয়ে নিজের চিকিৎসা তিনি নিজেই করেছিলেন। হোমিওপ্যাথিতে তাঁর ছিল প্রবল আস্থা। ব্যস্ততার ফাঁকফোকরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বইপত্রও পড়তেন। চেনা-জানা কেউ সমস্যায় পড়লে, অসুস্থ হয়ে পড়লে কবি তাঁর অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতেন। কী ওযুধে রোগ সারবে, সে বিষয়ে সুপরামর্শ দিতেন। রথীন্দ্রনাথকে আরেক চিঠিতে তাঁর পিতৃদেব লিখেছিলেন, ‘মুকুলকে Merc.Sol 200 একডোজ দিলেই তার রক্তপড়া সেরে যায়… কোনও ইনজেকশনের দরকার হয় না।’ ‘মুকুল’ আর কেউ নন, রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত স্নেহভাজন শিল্পী মুকুলচন্দ্র দে।
এই অসুস্থতা থেকে কবির মানসিকতার, দৈনন্দিন আচার-আচরণের অনেক পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। তিনি নিজেও তা জানতেন। পুত্রকে লেখা ওই চিঠিতেই লিখেছিলেন, ‘তুই বৌমাকে বলিস তিনি যেন আমাকে তাঁর একটি অসুস্থ শিশুর মতো দেখেন এবং মনে জানেন আমি এই অবস্থায় যা কিছু করেছি তার জন্য আমি দায়ী নই।’
এই সময় রবীন্দ্রনাথ ‘মেটেরিয়া মেডিকা’ খুঁটিয়ে পড়েছিলেন। রোগের লক্ষণ মিলিয়ে নিজের চিকিৎসা তিনি নিজেই করেছিলেন। হোমিওপ্যাথিতে তাঁর ছিল প্রবল আস্থা। ব্যস্ততার ফাঁকফোকরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বইপত্রও পড়তেন। চেনা-জানা কেউ সমস্যায় পড়লে, অসুস্থ হয়ে পড়লে কবি তাঁর অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতেন। কী ওযুধে রোগ সারবে, সে বিষয়ে সুপরামর্শ দিতেন। রথীন্দ্রনাথকে আরেক চিঠিতে তাঁর পিতৃদেব লিখেছিলেন, ‘মুকুলকে Merc.Sol 200 একডোজ দিলেই তার রক্তপড়া সেরে যায়… কোনও ইনজেকশনের দরকার হয় না।’ ‘মুকুল’ আর কেউ নন, রবীন্দ্রনাথের অত্যন্ত স্নেহভাজন শিল্পী মুকুলচন্দ্র দে।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৪: কবির দরজা সাধারণজনের জন্য সারাক্ষণই খোলা থাকত
মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৪৭: রামকথা শ্রবণ— তীর্থে বাসের পুণ্যলাভ করলেন পাণ্ডবেরা
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২৮: অযোধ্যাবাসীরাও কি সঙ্গী বনযাত্রায়?
তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের জাপানযাত্রাকালে মুকুলচন্দ্র সঙ্গী হয়েছিলেন। উল্লিখিত চিঠিটি যখন লেখা হয়, তখন তিনি বয়সে নিতান্তই তরুণ। তাঁর রক্তপাতের সংবাদে কবি এতই বিচলিত হয়েছিলেন যে, তৎক্ষণাৎ মুশকিল আসানের বিকল্প সহজতর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এমনটি রবীন্দ্রনাথ প্রায়শই করতেন। পরের বিপন্নতা, বিশেষত অসহায় গরীব মানুষের বিপন্নতা তাঁকে কাতর করত। রিক্ত মানুষের অসহায়তা চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে ভাবতে, পড়াশোনা করতে বাধ্য করেছিল তাঁকে। কবি নিজেই জানিয়েছেন, ‘সাঁওতালপাড়ার মা এসে আমার দরজায় কেঁদে পড়ল তার ছেলেকে ওষুধ দিতে হবে।… বই খুলে বসতে হল— বড়াই করতে চাইনে, পসার বাড়াবার ইচ্ছে মোটেই নেই— সে রোগী আজও বেঁচে আছে, …কোনও চিকিৎসার উপায় নেই, তারা যখন কেঁদে এসে পায়ে ধরে পড়ে, তাদের তাড়া করে ফিরিয়ে দিতে পারি এত বড়ো নিষ্ঠুর শক্তি আমার নেই…।’
রবীন্দ্রনাথ এই স্বীকারোক্তি করেছিলেন পশুপতি ভট্টাচার্যের ‘ভারতীয় ব্যাধি ও আধুনিক চিকিৎসা’ গ্রন্থের ভূমিকায়। এই স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের ডাক্তারি করার, চিকিৎসা বিদ্যায় তাঁর আগ্রহের নেপথ্যকাহিনি জানা যায়। প্রথাগত চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাঠ না থাকলেও তিনি হোমিওপ্যাথি-বায়োকেমিকে বারবার সাফল্য পেয়েছেন। রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠেছে। নিজের চেষ্টায় ‘স্বশিক্ষিত ডাক্তার’ হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাই তাঁর মনে হয়েছে,’ আমি যদি ইচ্ছে করতুম তাহলে ভালো ডাক্তার হতে পারতুম। ডাক্তারের একটা ডাক্তারী ইন্সটিংক্ট থাকা চাই। শুধু জানা নয়, এক্সপেরিয়েন্স নয়, ইন্সটিংক্ট। আমার মনে হতো আমার সেটা আছে। কারও অসুখ করেছে শুনলে যতক্ষণ না তার একটা ব্যবস্থা হয়, আমি তো নিশ্চিন্ত হতে পারি না।’
আরও পড়ুন:
ইংলিশ টিংলিশ: সহজে শিখে নাও Adjective-এর Degree Change কাকে বলে
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৩৫: আমাদের পাতে মাছের বৈচিত্র্য থাকুক, আবার মৎস্যজীবিরাও রুই, কাতলার সঙ্গে এদের চাষের আওতায় আনুন
একই হেয়ার স্টাইলে একঘেয়েমি? ফ্যাশনে চুলের বাহার আনতে জেনে নিন কোনটা আপনার?
মৈত্রেয়ী দেবীর কাছে রবীন্দ্রনাথ এ সব বলেছিলেন। ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ বইতে মৈত্রেয়ী সে কথা লিখে রেখেছিলেন।
আন্দাজে ওষুধ দেওয়া নয়, লক্ষণ মিলিয়ে সঠিক ওষুধটি দেওয়ার উপরে নির্ভর করে সাফল্য। খ্যাতির শিখরে অবস্থান, রবীন্দ্রনাথের ব্যস্ততা তখন তুঙ্গে। সেই ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সময় দিতেন, প্রয়োজনীয় বইপত্র পড়তেন। মৈত্রেয়ী দেবীকে বলেছিলেন, ‘এক সময় সত্যিই অনেক বড় বড় অসুখ সারিয়েছি। হোমিওপ্যাথি নিয়ে কম সময় দিইনি, ভালো ভালো হোমিওপ্যাথির বই ছিল আমার। তন্ন তন্ন করে পড়েছি।’
আন্দাজে ওষুধ দেওয়া নয়, লক্ষণ মিলিয়ে সঠিক ওষুধটি দেওয়ার উপরে নির্ভর করে সাফল্য। খ্যাতির শিখরে অবস্থান, রবীন্দ্রনাথের ব্যস্ততা তখন তুঙ্গে। সেই ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সময় দিতেন, প্রয়োজনীয় বইপত্র পড়তেন। মৈত্রেয়ী দেবীকে বলেছিলেন, ‘এক সময় সত্যিই অনেক বড় বড় অসুখ সারিয়েছি। হোমিওপ্যাথি নিয়ে কম সময় দিইনি, ভালো ভালো হোমিওপ্যাথির বই ছিল আমার। তন্ন তন্ন করে পড়েছি।’
আরও পড়ুন:
ছোটদের যত্নে: শিশু পেটের ব্যথায় ভুগছে? তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি মেনে চলুন
ত্বকের পরিচর্যায়: ফর্সা হওয়ার দৌড়ে না গিয়ে স্বাভাবিক রং নিয়েই সুন্দর ও সুরক্ষিত থাকুন, জানুন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
হেলদি ডায়েট: হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন? কী ভাবে নেবেন যত্ন? হাড় মজবুত রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় এই সব বদল আনুন
রবীন্দ্রনাথের চিকিৎসাবিদ্যাচর্চার শুরু হয়েছিল যৌবনে। পরিণত-বয়সেও সে চর্চা কমেনি। শাহজাদপুরে এক ইন্সপেক্টরকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাইয়ে ভাঙা গলা সুরেলা করার চেষ্টা করেছিলেন। সে সংবাদ জানিয়েছিলেন পত্নী মৃণালিনী দেবীকেও। কবির যাঁরা কাছাকাছি ছিলেন, তাঁদের স্মৃতিকথায় রবীন্দ্রনাথের ডাক্তারি নিয়ে নানা মন্তব্য রয়েছে। প্রমথনাথ বিশীর স্মৃতিচর্চা থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ আশ্রমের কেউ অসুস্থ হয়েছে জানতে পারলে উপযাচক হয়ে ওষুধ পাঠিয়ে দিতেন। ডাক্তারিতে তাঁর এই আগ্রহের কথা বলতে গিয়ে প্রমথনাথ মন্তব্য করেছেন, ‘অন্যত্র রোগী চিকিৎসক খুঁজিয়া বেড়ায়, এখানে চিকিৎসক রোগী খুঁজিয়া বেড়াইতেন।’ রবীন্দ্রনাথের আপ্তসহায়ক নন্দগোপাল সেনগুপ্তের লেখা থেকে জানা যায়, সব সময় হোমিওপ্যাথিক-বায়োকেমিক ওষুধের বাক্স সঙ্গে রাখতেন কবি। প্রয়োজন মতো একে খাওয়াতেন, ওকে খাওয়াতেন। কেউ তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে এলে তিনি কতখানি খুশি হতেন, তা নন্দগোপাল বলে বোঝাতে পারেননি। জানিয়েছেন নিজের অক্ষমতার কথা। চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠে একটি কথা প্রায়ই শোনা যেত, ‘আমি শুধু কবি নই, কবিরাজও।’
কবি-রাজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পরিবারের চিকিৎসা, প্রজাদের চিকিৎসা, আশ্রমিকদের চিকিৎসা— কর্মব্যস্ত জীবনে রবীন্দ্রনাথের কাছে চিকিৎসাবিদ্যাচর্চা কখনও বোঝা ওঠেনি। আনন্দের সঙ্গেই তিনি চিকিৎসা করতেন। কত রোগী যে তাঁর হাতে ভালো হয়েছে, রোগমুক্ত হয়েছে; তার হিসেব নেই। পরিমল গোস্বামীর লেখায় আছে, ‘খুব কঠিন এবং দুরারোগ্য অনেক অসুখ তিনি তাঁর চিকিৎসায় সারিয়েছিলেন।’
রবীন্দ্রনাথ অসুখবিসুখকে কখনও ভয় পাননি। বসন্ত, টাইফয়েডে, কলেরার কখনও টিকা নেননি। সেবার বোলপুরের আশপাশে খুব জলবসন্ত হয়েছিল। বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন আর কত দূর, ধেয়ে এলে সামাল দেওয়া শক্ত হবে। তাই আশ্রমের সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথকে কেউ রাজি করাতে পারেননি। রবীন্দ্রনাথের পৌত্রী নন্দিনী দেবীর লেখায় আছে, ইনজেকশন নিতে কতখানি ভয় পেতেন তাঁর ‘দাদামশায়’।
রবীন্দ্রনাথ অসুখবিসুখকে কখনও ভয় পাননি। বসন্ত, টাইফয়েডে, কলেরার কখনও টিকা নেননি। সেবার বোলপুরের আশপাশে খুব জলবসন্ত হয়েছিল। বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন আর কত দূর, ধেয়ে এলে সামাল দেওয়া শক্ত হবে। তাই আশ্রমের সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথকে কেউ রাজি করাতে পারেননি। রবীন্দ্রনাথের পৌত্রী নন্দিনী দেবীর লেখায় আছে, ইনজেকশন নিতে কতখানি ভয় পেতেন তাঁর ‘দাদামশায়’।
আরও পড়ুন:
ডায়েট ফটাফট: না খেয়ে নয়, বরং খেয়েই কমান ওজন! কী কী খেলে মেদ ঝরবে? দেখুন ভিডিয়ো
গল্প: পিছুটানে
পর্ব-৪৯: বসুন্ধরা এবং…
চিকিৎসক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ভীষণ দায়িত্বপরায়ণ ছিলেন, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে নানা স্মৃতিচর্চায়। রানী চন্দকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন কবি। রানী তাঁকে নিয়ে একাধিক বই লিখেছিলেন। একটি বইয়ের নাম ‘আলাপচারী রবীন্দ্রনাথ’। সে বই থেকে জানা যায়, পুত্র অভিজিৎ তখন নিতান্তই ছোট। মাঝরাতে হঠাই একদিন কান্না জুড়ে দেয়। রানী একাই ছিলেন, সঙ্গে শিশুসন্তান। খুব অসহায় বোধ করতে থাকেন তিনি। ছিলেন আশ্রমের যে বাড়িতে, তার পাশের বাড়িতেই থাকতেন রবীন্দ্রনাথ। ঘুম ভেঙে যাবে কবির, এই ভেবে রানী সবার আগে ওইদিকের জানলাটি বন্ধ করে দেন। জানলা বন্ধ করে ছ’মাসের অভিজিৎকে কোলে নিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করতে থাকেন। একটু পরে কানে আসে কে যেন দরজার কাছে ডাকছেন। দরজা খুলতে বিস্ময়ের আর শেষ থাকে না। সামনে স্বয়ং গুরুদেব দাঁড়িয়ে। হাতে বায়োকেমিক ওষুধ। রানীকে উদ্দেশ করে বলেন,’ বোধহয় ওর পেটে ব্যথা হচ্ছে কোনো কারণে। কান্নার সুরে সেরকমই মনে হয়েছে। এই ওষুধটা খাইয়ে দে দেখিনি।’
রবীন্দ্রনাথ ও মৈত্রেয়ী দেবী।
পশুপতি ভট্টাচার্য, যাঁর চিকিৎসা-সংক্রান্ত বইয়ের রবীন্দ্রনাথ ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন, তাঁর স্মৃতিচর্চার আছে, ‘একদিন দেখলাম, আশ্রমের একটি ছেলের ইরিসেপেলাস হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ তাকে ওষুধ দিচ্ছেন। ব্যাপারটা নিতান্ত সামান্য হয়নি, কিন্তু কয়েকদিন বাদে দেখলাম ছেলেটি সেরেই গেল। আশ্রমের লোকেরা বলল যে উনি চমৎকার ওষুধ দিতে পারেন, তাতেই তাদের অনেক রোগ সেরে যায়, অন্য ডাক্তার দেখাবার প্রায় দরকার হয় না।’
রবীন্দ্রনাথ ডাক্তারও ছিলেন, কত রোগী তাঁর ওষুধে সুস্থ হয়ে উঠেছে, সেসব ঠিকঠাক লেখা হয়নি। রবীন্দ্রনাথের সাফল্যের শেষ নেই। এ সাফল্য একটু আড়ালেই রয়ে গিয়েছে।
ছবি সৌজন্যে: লেখক
রবীন্দ্রনাথ ডাক্তারও ছিলেন, কত রোগী তাঁর ওষুধে সুস্থ হয়ে উঠেছে, সেসব ঠিকঠাক লেখা হয়নি। রবীন্দ্রনাথের সাফল্যের শেষ নেই। এ সাফল্য একটু আড়ালেই রয়ে গিয়েছে।
ছবি সৌজন্যে: লেখক
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।