মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


রবীন্দ্রনাথ।

রোদন-ভরা শ্রাবণ, শ্রাবণের বাইশে। সেদিনই ঘটেছিল মহাকবির মহাপ্রয়াণ। হৃদয়বান বাঙালি ওই দিন কেঁদেছিল। চোখের জলে বিদায় জানিয়েছিল প্রিয় কবিকে। এত বছর পরও বাইশ এলে গোপন বিষাদ মনের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের মন খারাপ হয়। শুধু বাইশে শ্রাবণেই মনে হয় তিনি নেই। সারা বছর প্রতিদিনে প্রতি মুহূর্তে তিনি সঙ্গে থাকেন। তাঁর উপস্থিতি টের পাই। অনেকের স্মৃতিচর্চায়, বিশেষত নির্মলকুমারী মহলানবিশ, রাণী চন্দ ও প্রতিমা দেবীর স্মৃতিগ্রন্থে আছে কবির বিদায়বেলার মর্মস্পর্শী বর্ণনা। নির্মলকুমারী লিখেছেন, ‘বেলা তিনটের সময় একদল অচেনা লোক ঘরের মধ্যে ঢুকে নিমেষে আমাদের সামনে থেকে সেই বরবেশে সজ্জিত দেহ তুলে নিয়ে চলে গেল। যেখানে বসেছিলাম সেইখানেই স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। শুধু কানে আসতে লাগলো — জয় বিশ্বকবির জয়, জয় রবীন্দ্রনাথের জয়, বন্দেমাতারম্।’

কবির পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী ‘নির্বাণ’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। বেদনাবিধুর, মন কেমন করা বই। পড়তে পড়তে আজও অশ্রুসিক্ত হতে হয়। কবির বিদায়বেলার, একেবারে শেষ মুহূর্তের যে বর্ণনা রয়েছে, সে বর্ণনায় নিষ্ঠুরতা আর বাস্তবতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। কঠিন সত্য, যা সে মুহূর্তে ঘটেছিল, তার বর্ণনা আমাদের ছুঁয়ে যায়। প্রতিমা দেবীর লেখায় আছে, ‘এদিকে বৃহৎ সমুদ্রের কলরব শুনছি বাইরে। জানলা দরজার উপর পড়ছে ভীষণ করাঘাত, যেন মনে হচ্ছে সমুদ্রের তরঙ্গ-আঘাতে সমস্ত বাড়িটা ভেঙে পড়বে। ভূমিকম্পের কাঁপন উঠছে চারিদিকে। কে যেন এসে বললে এইবার ওঁকে নিয়ে যাচ্ছে, শোকযাত্রা যাত্রা শুরু হবে।’
রাণী চন্দের লেখাতেও আছে হৃদয়বিদারক বর্ণনা। তাঁর লেখা থেকেই জানা যায়, নন্দলাল বসু নিজের হাতে নকশা এঁকে দক্ষ কারিগর দিয়ে বানিয়েছিলেন পালঙ্ক। কবিকে সাজানো হয়েছিল ‘রাজবেশে’। দুপুর তিনটে নাগাদ শুরু হয়েছিল শোকযাত্রা। জনপ্লাবন যেন ধেয়ে এসেছিল জোড়াসাঁকোয়। সকলের থেকে দূরে, নিভৃতে বসে অবনীন্দ্রনাথ এঁকেছিলেন কবির অন্তিমযাত্রার ছবি। ছবির তলায় লিখে দিয়েছিলেন ‘সমুখে শান্তি পারাবার।’ রাণীর মনে হয়েছিল, ‘জনস্রোতের ওপর দিয়ে যেন একখানি ফুলের নৌকো হু হু করে নিমেষে দৃষ্টির বাইরে চলে গেল।’

সেদিন কে যেন বলেছিল, ‘কাঁদো, বাঙালি কাঁদো।’ শুধু বাঙালির কাছে নয়, সব ভারতীয়ের কাছেই দিনটি বড়ো বিষাদের, গভীর বেদনার। কবি আমাদের বাইশে শ্রাবণ কাঁদিয়েছিলেন। ব্যথিত হৃদয়ে আমরা তাঁকে বিদায় জানিয়েছিলাম। তাঁর জীবনে বাইশে শ্রাবণ এসেছিল হৃদয়বিদারক যন্ত্রণা নিয়ে। দুঃখবহ বাইশে শ্রাবণের স্মৃতি তিনি কী আর ধুয়েমুছে ফেলতে পেরেছিলেন! নিশ্চয়ই মনের কোণে গোপনে রয়ে গিয়েছিল।

নগেন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথের দৌহিত্র নীতীন্দ্রনাথ, কবির আদরের ‘নীতু’ অকালে অসময়ে মাত্র একুশ বছর বয়সে ওই বাইশে শ্রাবণই মারা গিয়েছিলেন। নীতুর কথা লিখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘খুব ভালোবাসতুম’। নীতীন্দ্রনাথ কবির কনিষ্ঠা কন্যা মীরার সন্তান। মীরার সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল স্বপ্নদর্শী যুবক নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁদের দাম্পত্যজীবন অবশ্য সুখের ছিল না। পরস্পরের মধ্যে বনিবনা না থাকলেও নীতুর জীবনে কোন ছাপ পড়েনি। বাবা-মায়ের স্নেহ তো ছিলই, রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবন ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলেছিলেন। জন্মলগ্ন থেকেই তাঁকে ঘিরে কবির কত দুশ্চিন্তা! অন্নপ্রাশনের সময় তিনি ছিলেন আমেরিকায়। বিদেশে নানা ব্যস্ততার মধ্যেও আদরের নীতুর জন্য কাতর হয়েছেন কবি। দূর-দেশ থেকে কন্যার উদ্দেশে লিখেছেন,’ওকে দেখবার জন্য আমার মনটা উতলা হয়ে উঠছে।’ নীতুকে কীভাবে ভালো রাখা যায়, তা নিয়ে ও দেশে বসেও কবি ভেবেছেন। হোমিওপ্যাথির চর্চা করতেন তিনি। ওই বিলেত থেকে নীতুকে ‘Sulphur 200’ খাওয়ানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন।

মীরা দেবী শান্তিনিকেতনে থাকতে সচ্ছন্দ বোধ করতেন বেশি। সেখানেই তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। এর ফলে রবীন্দ্রনাথ নীতুকে চোখে চোখে রাখতে পেরেছিলেন। নিজের মতো করে দৌহিত্রকে বড়ো করে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। সেকারণে নীতুর ব্রহ্মচর্যাশ্রমে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন। আশ্রমিক-পরিবেশে নীতীন্দ্রনাথ মনের আনন্দে বেড়ে উঠছিলেন। ভালো গান গাইতেন, অভিনয় করতেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কখনো একই আসরে গানও গেয়েছেন। কৈশোরেই তাঁর নাট্যপ্রতিভার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। ‘শারদোৎসব’-এ তাঁর অভিনয় খুবই প্রশংসিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৯: গাধা পিটিয়ে ঘোড়া

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১: একটু শুরুর কথা হলে ক্ষতি কী…

নীতুর পিতা নগেন্দ্রনাথ প্রবাসে চাকরি করতেন। তিনি চাইতেন তাঁর কর্মস্থলে পুত্র-কন্যারা থাকুন। তা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ঘোরতর আপত্তি ছিল। বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ছুটিছাটয় নীতুকে যদি পিতার কর্মস্থল হায়দ্রাবাদ-পুনায় যেতে হয়,তাহলে তো সমূহ বিপদ। পড়াশোনার খুব ক্ষতি হবে। এ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জামাতা নগেন্দ্রনাথের মতবিরোধ তৈরি হয়। নগেন্দ্রনাথ নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকায় সমস্যা দিনে দিনে তীব্র হয়ে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন কলকাতায় থাকুন জামাতা। নগেন্দ্রনাথ কলকাতায় থাকলে আর এসব কথা উঠবে না। সব সমস্যার সহজেই সমাধান হবে। রবীন্দ্রনাথই উদ্যোগী হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন।পাঁচশো টাকা মাসমাইনে, সেই সঙ্গে বালিগঞ্জে থাকার কোয়ার্টার। উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে অনুরোধ করে খুবই মিটেছে, তা নয়। শান্তিনিকেতন তেমন দূরে না হওয়া সত্ত্বেও নগেন্দ্রনাথ দাবি করেছেন, তাঁর পক্ষে নিয়মিত ওখানে যাওয়া কষ্টকর। তাই কবির কাছে পুত্রকন্যাকে,বিশেষ করে নীতুকে নিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:

পাখি সব করে রব, পর্ব-১: সবুজ সুন্দরী মুনিয়া

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮: সুন্দরবনের নিশ্চিহ্ন প্রাণী

মীরার সঙ্গে নগেন্দ্রনাথের সম্পর্কের এই দূরত্ব থেকেই যে এই টানাপোড়েন, তা বুঝতে রবীন্দ্রনাথের অসুবিধা হয়নি। তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। দাম্পত্য দূরত্ব সন্তানের মনে প্রভাব বিস্তার করবে ভেবে কবি আতঙ্কিত হয়েছেন। মুশকিলআসানের পথ খুঁজেছেন। নীতীন্দ্রনাথকে বিলেতে রেখে পড়াশোনা করানোর কথা ভেবেছেন । ও দেশে পড়াশোনার খরচ কম নয়। খরচের কথা ভেবে নগেন্দ্রনাথ পিছিয়ে যেতে পারেন। তাই রবীন্দ্রনাথ দৌহিত্রের বিলেতবাসের খরচ নিজে‌ বহন করতে চেয়েছেন। কবি নগেন্দ্রনাথকে লিখেছেন,’ মীরা তোমার কাছ থেকে দূরে থাকলে তোমার সম্বন্ধে লোকনিন্দার আশঙ্কা আছে বলে তুমি কল্পনা করচ। মীরা নিজের সম্বন্ধে লোকনিন্দাকে গ্ৰাহ্য করে না তোমাকে লিখেচে শুনে আমি খুশি হলুম।… নীতু ও বুড়ির ভালোরকম পড়াশোনার জন্য মীরার সঙ্গে ওদের আমি ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেব ঠিক করেচি। …তুমি সবাইকে বলতে পারবে, পড়াশোনা করবার জন্যে ওরা বিলেতে।… ওদের বিলেতে পাঠাতে অনেক খরচ হবে জানি কিন্তু সেও আমি আনন্দে স্বীকার করব।’

মীরা।

নীতীন্দ্রনাথকে নিয়ে নগেন্দ্রনাথ ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। তাঁর ও দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা আগেই ছিল, তা বাস্তবায়িত হয় ওই সময়। তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায়, নীতীন্দ্রনাথের যাবতীয় খরচ কথামতো বহন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

ইংল্যান্ডে নীতীন্দ্রনাথের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর তাঁকে পাঠানো হয় মুম্বাই। উদ্দেশ্য ছিল হাতে কলমে মুদ্রণ ও প্রকাশনা-সংক্রান্ত বিদ্যা-লাভ। মুম্বাইয়ে নীতীন্দ্রনাথ পড়াশোনা করুক,চাননি রবীন্দ্রনাথ।ছিল ঘোরতর আপত্তি। জার্মান বন্ধুদের সহযোগিতায় জার্মানিতেই নীতীন্দ্রনাথের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন কবি । কৌতুক করে দৌহিত্রকে বলেছিলেন, ‘আমার খাতিরে ওরা তোকে খুব যত্ন করেই শেখাবে।’
আরও পড়ুন:

ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৪: রাজ পরিবারের সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক ও ব্রাহ্মবাদ

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১০: আমাদের কোনও শাখা নেই

রবীন্দ্রনাথ ভেবেছিলেন মুদ্রণবিদ্যায় ও প্রকাশনায় দক্ষতা অর্জন করে এদেশে ফেরার পর বিশ্বভারতীর প্রকাশনা বিভাগে নীতীন্দ্রনাথকে কাজে লাগাবেন। না, রবীন্দ্রনাথের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। জার্মানিতে আকস্মিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নীতীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ দ্রুত তাঁর মাকে জার্মানিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। আশ্রমিক ক্ষিতিমোহন সেনের ভ্রাতুষ্পুত্র ধীরেন্দ্রমোহন তখন ও দেশে শিক্ষা সম্মেলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনিই মীরাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন জার্মানিতে।

নীতু তখন মৃত্যুশয্যায়। মাতা মীরা শুধু নন,রবীন্দ্রনাথের বন্ধু অ্যানড্রুজও জার্মানিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনিও ছিলেন নীতুর শয্যাপার্শ্বে। চিকিৎসা চলে। সে চিকিৎসা খুব কার্যকরী ভূমিকা নেয়নি। যক্ষ্মা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যক্ষার সঙ্গে ব্রঙ্কাইটিস। ‘বুকের ভেতর ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। করার আর তেমন কিছু নেই’— এমনই অভিমত দিয়েছিলেন চিকিৎসা হয়ে গেছে ক-দিন পরই, একুশ বছরের নীতীন্দ্রনাথ ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। দিনটি ছিল ৭ আগস্ট, বাংলার বাইশে শ্রাবণ।

নীতীন্দ্রনাথ।

ও দেশে মৃতদেহ দাহ করার ব্যবস্থা না থাকায় নীতীন্দ্রনাথকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। আদরের নীতুর চলে যাওয়ার ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ এসে পৌঁছোয় রবীন্দ্রনাথের কাছে। সেই চরম দুঃখের দিনেও কবি কবিতা লিখেছেন। কবিতাই হয়ে ওঠে শোকবিধ্বস্ত কবির আশ্রয়। তাঁর ‘পুনশ্চ’ বইটি নীতুকে উৎসর্গ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

বাইশে শ্রাবণের শোকযন্ত্রণা, নীতীন্দ্রনাথের মৃত্যু ,রবীন্দ্রনাথকে বেদনাদীর্ণ করেছিল। নীতুর চলে যাওয়া পরের দিন কন্যাকে সান্ত্বনা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, চিঠি লিখতে বসে কবির মনে পড়ে গেছে পঁচিশ বছর আগের একটি ঘটনা। কনিষ্ঠ সন্তান শমীন্দ্রনাথ যেদিন মারা যান, সেদিনের কথা। শমীন্দ্রনাথের অকালমৃত্যুর সঙ্গে নীতীন্দ্রনাথের অকালমৃত্যু মিলেমিশে কবির মনে একাকার হয়ে গিয়েছিল। মীরাকে সান্ত্বনা দিয়ে কবি লিখেছিলেন, ‘শমী যে রাত্রে গেল তার পরের রাত্রে রেলে আসতে আসতে দেখলুম জ্যোৎস্নায় আকাশ ভেসে যাচ্ছে, কোথাও কিছু কম পড়চে তার লক্ষণ নেই। মন বললে কম পড়েনি— সমস্তর মধ্যে সবই রয়ে গেছে,…। …যা ঘটেচে তাকে যেন সহজে স্বীকার করি, যা কিছু রয়ে গেল তাকেও যেন সম্পূর্ণ সহজ মনে স্বীকার করতে ত্রুটি না ঘটে।’

নীতীন্দ্রনাথের মৃত্যু কবিকে বেদনায় দীর্ণ করেছিল, যন্ত্রণায় দগ্ধ। বাইশে শ্রাবণ শুধু আমাদের নয়, কবিরও দুঃখের দিন ছিল। নীতুর মৃত্যুর পরও বছর নয়েক রবীন্দ্রনাথ বেঁচেছিলেন। বাইশে শ্রাবণ এলেই মনের কোণে লালন করা যন্ত্রণা আবার জেগে উঠত। যন্ত্রণাদগ্ধ হতেন কবি।

শ্রাবণ মাস কবির কাছে খুব সুখের ছিল না। পরিবারের আরও দু-একজন এই শ্রাবণেই প্রয়াত হয়েছিলেন। রবীন্দ্রগান কণ্ঠে ধারণ করে যিনি জীবন কাটিয়েছিলেন, সেই দিনেন্দ্রনাথও এই শ্রাবণেই প্রয়াত হয়েছিলেন। শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের কাছে আনন্দের ছিল না,ছিল দুঃখের,ছিল বিষাদের।
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content