সোমবার ৭ অক্টোবর, ২০২৪
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪: সুন্দরবনের লবণ-বৃত্তান্ত

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪: সুন্দরবনের লবণ-বৃত্তান্ত

আমাদের গ্রামের বাড়ির বাস্তুজমিতে দুটো পুকুর ছিল। একটা পুকুর বাড়ির লাগোয়া, আর একটা বাড়ির পেছনে প্রায় ৫০ ফুট দূরে। বাড়ি লাগোয়া পুকুরের উত্তর দিকে জাল ফেললে জালে পোড়া মাটির বাসনের প্রচুর ভাঙা টুকরো উঠত। তাতে জাল প্রায়শই ছিঁড়ে যেত। আমরা পুকুরে স্নান করতে বা মাছ ধরতে নামলে...
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩: সুন্দরবনে মানুষের আদি বসতি

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩: সুন্দরবনে মানুষের আদি বসতি

মাকাল ঠাকুর। জন্মাবধি দেখছি আমার গ্রামের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উত্তর-পূর্বে একটা বেশ বড় পাড়া আছে যা ‘বাগদি পাড়া’ বা ‘দোলুই পাড়া’ নামে পরিচিত। চেহারায় ও স্বভাবে ওরা আমাদের, অর্থাৎ ভিন জেলা থেকে এসে সুন্দরবনবাসী হওয়া মানুষের থেকে স্বতন্ত্র।...
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২: চলমান সুন্দরবন

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২: চলমান সুন্দরবন

আমার বাড়ির সামনে প্রবাহিত প্রাচীন নদী আজ একটা নালা। জন্মাবধি দেখেছি আমাদের গ্রামের বাড়ির পুকুরের তলায় প্রকাণ্ড গাছের গুঁড়ি। আমরা আঞ্চলিক ভাষায় বলতাম ‘মুড়া’। আমাদের পুকুর ছিল দুটো। যেটি অপেক্ষাকৃত ছোটো তার একেবারে মাঝখানে প্রায় ৭/৮ ফুট গভীরে ছিল সেই ‘মুড়া’। বাবা বলত,...
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে

দুই থেকে চার মিটার উঁচু জোয়ারের জল ছাপিয়ে যায় নদীর দু’পাশের প্লাবনভূমি। ১৯৭৮ সালের কথা। তখন আমার বয়স ন’বছর। বাড়ির সামনে খালের ঠিক ওপারে বড় রাস্তার পাশে পানীয় জলের একটা নলকূপ বসানো শুরু হল। সবাই খুশি, কারণ এতদিন আমাদের পানীয় জল আনতে হত প্রায় এক কিলোমিটার দূরের নলকূপ...

Skip to content