শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


পাকিস্তান: ১৫৯/৮ (শান-৫২*, ইফতিকার-৫১, হার্দিক-৩০/৩, অর্শদীপ-৩২/৩)
ভারত: ১৬০/৬ (কোহলি-৮২* হার্দিক-৪০, রউফ-৩৬/২)
৪ উইকেটে জয়ী ভারত


৬.১ ওভারে ৩১ রানে চার উইকেট! পাক পেসারদের দাপটে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন একে একে রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, সূর্যকুমার যাদব এবং অক্ষর প্যাটেল। সামনে তখন রানের পাহাড়। এহেন পরিস্থিতিতে যে কোনও দলেরই মাথা ঠান্ডা রাখা ভীষণ চ্যালেঞ্জের। এরক অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রেখে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পাণ্ড্য কঠিন লড়াইটা এগিয়ে নিয়ে গেলেন। আর তাতেই এল সাফল্য।
গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপে তৈরি হয়েছিল লজ্জার ইতিহাস। অধিনায়ক কোহলির প্রথমবার বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাকিস্তানের কাছে পরাস্ত হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। আবার ২৩ অক্টোবর, ২০২২ মেলবোর্নে অধিনায়কের দায়িত্বে না থাকলেও ব্যাট হাতে দলকে জয় উপহার দিলেন সেই কোহলিই। ৫৩ বলে অপরাজিত ৮২ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে পাকিস্তানের কাছে হারের বদলা নিলেন। তাঁর ইনিংস ৬টি চার ও চারটি ছক্কা দিয়ে সাজানো। তাঁকে যথাযোগ্য সঙ্গত করেছিলেন হার্দিক। ৪০ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। ফ্রি হিট, ওয়াইড, আউট, ওভার বাউন্ডারির মতো রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে তৃপ্তির জয় নিশ্চিত হয়।
আরও পড়ুন:

এগিয়ে আসছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রং’, কোথায় ও কখন আছড়ে পড়বে? সময় ও স্থান জানিয়ে দিল হাওয়া দফতর

খুদে কি রাতে সহজে ঘুমাতেই চায় না? তাহলে ওর পাতে রাখুন এই সব খাবার

মেলবোর্নের মেঘলা আকাশে সুবিধা পাবেন পেসাররা, সে কথা মাথায় রেখেই টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম থেকেই দারুণভাবে টার্ন করছিল ভুবনেশ্বর, অর্শদীপদের বল। তাঁদের সুইং অ্যাটাকেই মুখ থুবড়ে পড়তে হইয় পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে। পাক অধিনায়ক বাবর আজম খাতা খুলতে পারেননি। তাঁকে এলবিডব্লিউ করে প্যাভিলিয়নে ফেরান অর্শদীপ। শুধু তাই নয়, রিজওয়ানের (৪) উইকেটটিও তিনি তুলে নেন। ২ রানে আসিফ আলিকেও আউট করেন অর্শদীপ।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও মন জয় করেন হার্দিক পাণ্ড্য। ভারতীয় অলরাউন্ডারও তিনটি উইকেট নেন। শামি ও ভুবিও একটি করে উইকেট পান। ভারতীয় ক্রিকেটারদের দাপটে শান মাসুদ ও ইফতিকারের হাফ সেঞ্চুরি কাজে লাগেনি। বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই বাজিমাত রোহিতের।

Skip to content