ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
বাংলার ফুটবলে নক্ষত্রপতন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা বেজে ৫৪ মিনিটে ৭১ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বাংলার প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত।
১৯৫১ সালের ৩০ আগস্ট সুরজিৎ সেনগুপ্ত হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। খিদিরপুর ফুটবল ক্লাবে ওঁর ফুটবলের হাতেখড়ি হয়। এর পর তিনি একে একে খেলেছেন কলকাতার তিন বড় ক্লাবে। সুরজিৎ মোহনবাগানে খেলোয়াড় হিসেবে সই করেছিলেন ১৯৭২ সালে৷ দুই বছর খেলেন তিনি ওই ক্লাবে। ১৯৭৪-৭৯—এই ছ-বছর তিনি ইস্টবেঙ্গলে খেলেন; ১৯৭৮ সালে তিনি এই ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি যোগদান করেন মহমেডানে। সে বছর একঝাঁক ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল থেকে মহমেডানে চলে আসে৷ এর পরের তিন বছর তিনি আবার খেলেন মোহনবাগানে। দেশের হয়ে তিনি খেলেছেন ১৯৭৩-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত৷ সন্তোষ ট্রফিতে তিনি বাংলার অধিনায়ক হন ১৯৭৬ সালে।
অসাধারণ পায়ের কাজ ছিল সুরজিতের৷ ফুটবলকে দিয়ে তিনি কথা বলাতে পারতেন৷ দুর্দাম্ত ফ্রিকিক করতেন৷ কর্নার কিকে কখনও সরাসরি বল জালে জড়িয়ে দিতেন৷ ময়দান তাঁকে ফুটবলের ‘জাদু’ বলত৷ সহ-খেলোয়াড়দের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতেন৷ পাশে পেয়েছিলেন সুধীর কর্মকার, সুভাষ ভৌমিক, প্রশাম্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সরকারের মতো সব দিকপাল ফুটবলারকে৷ এই রকম প্রতিভাবান ফুটবল-শিল্পী ময়দান আর পেয়েছে কি না সন্দেহ আছে৷
ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হন। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল যথেষ্ট কম, ছিল তীব্র শ্বাসকষ্ট ও কাশি। তার অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু অক্সিজেন মাত্রা কম ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে ওঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন হয়ে পড়ে। ওঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল কৃত্রিম পদ্ধতিতে এমন অবস্থায় ওঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাইপ্যাপ সাপোর্টে আইসিইউ-তেও রাখা হয়েছিল। ডাক্তারদের সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি আমাদের ছেড়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন৷ তাঁর মৃত্যুতে ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হল৷
১৯৫১ সালের ৩০ আগস্ট সুরজিৎ সেনগুপ্ত হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। খিদিরপুর ফুটবল ক্লাবে ওঁর ফুটবলের হাতেখড়ি হয়। এর পর তিনি একে একে খেলেছেন কলকাতার তিন বড় ক্লাবে। সুরজিৎ মোহনবাগানে খেলোয়াড় হিসেবে সই করেছিলেন ১৯৭২ সালে৷ দুই বছর খেলেন তিনি ওই ক্লাবে। ১৯৭৪-৭৯—এই ছ-বছর তিনি ইস্টবেঙ্গলে খেলেন; ১৯৭৮ সালে তিনি এই ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি যোগদান করেন মহমেডানে। সে বছর একঝাঁক ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল থেকে মহমেডানে চলে আসে৷ এর পরের তিন বছর তিনি আবার খেলেন মোহনবাগানে। দেশের হয়ে তিনি খেলেছেন ১৯৭৩-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত৷ সন্তোষ ট্রফিতে তিনি বাংলার অধিনায়ক হন ১৯৭৬ সালে।
অসাধারণ পায়ের কাজ ছিল সুরজিতের৷ ফুটবলকে দিয়ে তিনি কথা বলাতে পারতেন৷ দুর্দাম্ত ফ্রিকিক করতেন৷ কর্নার কিকে কখনও সরাসরি বল জালে জড়িয়ে দিতেন৷ ময়দান তাঁকে ফুটবলের ‘জাদু’ বলত৷ সহ-খেলোয়াড়দের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতেন৷ পাশে পেয়েছিলেন সুধীর কর্মকার, সুভাষ ভৌমিক, প্রশাম্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সরকারের মতো সব দিকপাল ফুটবলারকে৷ এই রকম প্রতিভাবান ফুটবল-শিল্পী ময়দান আর পেয়েছে কি না সন্দেহ আছে৷
ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি হন। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল যথেষ্ট কম, ছিল তীব্র শ্বাসকষ্ট ও কাশি। তার অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু অক্সিজেন মাত্রা কম ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে ওঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন হয়ে পড়ে। ওঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল কৃত্রিম পদ্ধতিতে এমন অবস্থায় ওঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাইপ্যাপ সাপোর্টে আইসিইউ-তেও রাখা হয়েছিল। ডাক্তারদের সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি আমাদের ছেড়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন৷ তাঁর মৃত্যুতে ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হল৷