বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


নীরজ।

বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয় ভারতের। জ্যাভলিনে রেকর্ড গড়লেন ২৪ বছরের নীরজ চোপড়া। এটাই ছিল তাঁর প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ৮৮.১৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে রুপো জয় করেন তিনি। উল্লেখ্য, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৩ সালে অঞ্জু ববি জর্জের পর ভারতের ঝুলিতে এল দ্বিতীয় পদক।
গত বছর টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। যদিও এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শেষটা ভালো হলেও শুরুটা ভালো ছিল না নীরজের। প্রথমেই গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটারস ছোড়েন ৯০.২১ মিটার। ফলে নীরজের লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয় সুযোগে নীরজ ছোড়েন ৮২.৩৯ মিটার। তৃতীয় সুযোগে দূরত্ব বাড়িয়ে ৮৬.৩৭ মিটার। তখনও পদক জয় থেকে পিছিয়ে নীরজ। গোটা দেশের রক্তচাপ বেড়ে গেলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নীরজ। চতুর্থ থ্রোয়ে ৮৮.১৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুঁড়ে কেল্লাফতে করেন তিনি।
ফাইনালে পিটারসের পরেই নাম আসে নীরজের। ৯০.৫৪ মিটার জ্যাভলিন ছুঁড়ে সোনা জেতেন প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডারসন পিটার্স। ৮৮.১৩ মিটার দূরে জ্যাভলিনে ছুড়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে রুপো পেলেন নীরজ। ৮৮.০৯ মিটার ছুড়ে তৃতীয় স্থানে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ইয়াকুব ভাদলেজ। তিনি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রূপো জয়ী। ভারতের রোহিত যাদবও জ্যাভলিনের ফাইনালে উঠেছিলেন। ৭৮.৭২ মিটার, ৭৮.০৫ মিটার ও ৭৭.৯৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুঁড়ে দশম স্থানে শেষ করেন তিনি।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের পুরুষদের জ্যাভলিন ইভেন্টে পদক জিতে ভারতীয়র মুখে হাসি ফুটিয়েছেন নীরজ চোপড়া। অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নে তাঁর দুর্দান্ত জয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের বুকে তেরঙ্গা লাগিয়ে ভারতের মুখ আরও একবার উজ্জ্বল করলেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে খুবই আনন্দিত নীরজ। তিনি জানিয়েছেন, দেশের জন্য রুপোর পদক জিততে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমার পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন, সাই এবং সরকারকে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হতো না। আগামী বছর আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে। এমন সহযোগিতা পেলে আরও এগিয়ে যেতে পারবো। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয়ের পর নীরজের লক্ষ্য এখন কমনওয়েলথ গেমস। নীরজের এই সাফল্যে আনন্দের জোয়ার তাঁর পানিপথের বাড়িতে। আনন্দে গানের তালে নাচতে দেখা গিয়েছে তাঁর পরিবারের মহিলাদের একইসঙ্গে চলল মিষ্টি বিতরণও।
এত আনন্দের মাঝেও কমনওয়েলথ গেমসে তাঁর খেলা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ চোটের জন্য তিনি অনেকটা অনিশ্চিত আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে। ফাইনালের পর তিনি জানিয়েছেন, তাঁর জ্যাভলিন ছুড়তে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। দৌড়নোর সময় যন্ত্রণা হয়েছে। নীরজের কথায়, ‘সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা যাবে চোট কতটা গুরুতর। আশা করছি কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিতে পারব।’ তিনি এও জানান, চোট নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চান না। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই কমনওয়েলথে খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

Skip to content