শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


ঝুলন গোস্বামী।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন বাংলার পেসার ঝুলন গোস্বামী। অবশেষে ২০ বছরের কেরিয়ার থামল ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এর। বিশ্বকাপ না পাওয়ার দুঃখ নিয়েই বিদায় নিতে হল তাঁকে।
ঝুলনের ১০ বছর বয়সে রঙিন জার্সিতে সচিন তেন্ডুলকরদের বিশ্বকাপ খেলতে দেখেছিলেন। তখন থেকেই তাঁর ক্রিকেটের প্রতি প্রেম। ১৫ বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। নদিয়ার চাকদহতে সেই সময় ক্রিকেট কোচিং দেওয়ার মতো কেউ ছিলেন না। তাই কলকাতায় এসে অনুশীলন শুরু করেন তিনি। পরে সুযোগও পেয়ে যান বাংলার দলে। ১৯ বছর বয়সে ভারতের হয়ে প্রথম খেলেন তিনি। ২০০২ থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু তাঁর যাত্রা।
এ বার মেয়েদের বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর অনেকেই ভেবেছিলেন ঝুলন অবসর নেবেন। কিন্তু তিনি অবসর নেননি। ম্যাচ না থাকলে একা একা অনুশীলন করে যেতেন। নিজের ফিটনেস নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে তিনি। দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছে থেকেই এই কঠিন শৃঙ্খলা মেনে চলা। ঝুলনের কথায়, “দেশের হয়ে খেলার খিদে তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়।”
আরও পড়ুন:

আর হাতে মাত্র ছয়দিন, পুজোয় মধ্যমণি হতে সাজের এই বিষয়গুলি মেনে চলতেন তো?

নাট্যকথা: বেলঘরিয়া থিয়েটার অ্যাকাডেমির কৈলাসে চা পান

ঝুলনের ঝুলিতে এক দিনের ক্রিকেটে রয়েছে ২৫২টি উইকেট। টেস্টে রয়েছে ৪৪টি উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিয়েছেন ৫৬টি উইকেট। বাংলার দলে তিনি মেন্টরের দায়িত্ব নিয়েছেন। ঝুলন গোস্বামী, বাংলার ক্রিকেটে যিনি ছোটদের কাছে ‘দিদি’ নামেই পরিচিত। অনেক মেয়ের কাছে তিনি ক্রিকেটার হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা ও স্বপ্ন। মেয়েরাও যে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারেন, তা শিখিয়েছেন ঝুলনই। সেরা সময়ের ঝুলনের বোলিং বিপদে ফেলত অনেক ছেলেদেরকেও।
কিছু দিন আগে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে লোকেশ রাহুলকে বোলিং করতে দেখা যায় ঝুলনকে। হ্যামলিনের বাঁশি থাকে ঝুলনের হাতে। সেই সুরে সাড়া দেন উঠতি ক্রিকেটাররা। তাঁদের তৈরি করার দায়িত্ব যে এখন ঝুলনের কাঁধেই। অবসরের আগেই নতুন দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট নিয়েই থাকছেন ঝুলন। শুধু বদল একটাই ভারতীয় দলের জার্সিটা আর তাঁর কখনই পরা হবে না।

Skip to content