'খোল দ্বার খোল...'
বাতাসে বারুদের গন্ধ। দীর্ঘসূত্রী অ-সুখ আর অসূয়া-কালনাগিনীর বিষশ্বাসে বিশ্ব টলোমলো। এর মধ্যেই তিথির পরে তিথির নাটে এসে উপস্থিত বসন্তপূর্ণিমার চাঁদের তরণীখানি,
মন বলে চলো যাই শান্তিনিকেতন—
তবে আজকের যে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব তার স্রষ্টা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নন। কবির কনিষ্ঠ পুত্র ছোট্ট শমীন্দ্রনাথই সেই বসন্ত উৎসবের স্রষ্টা।
বসন্তের শ্রীপঞ্চমীর দিন শমী সৃষ্টি করলেন প্রকৃতিবন্দনার এই অভাবনীয় উৎসব। কবি তখন বাইরে। শমী তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে পালন করলেন এই উৎসব, শান্তিনিকেতনে।
শমী ওই দিন গেয়েছিলেন, ‘এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে…’
মন বলে চলো যাই শান্তিনিকেতন—
তবে আজকের যে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব তার স্রষ্টা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নন। কবির কনিষ্ঠ পুত্র ছোট্ট শমীন্দ্রনাথই সেই বসন্ত উৎসবের স্রষ্টা।
বসন্তের শ্রীপঞ্চমীর দিন শমী সৃষ্টি করলেন প্রকৃতিবন্দনার এই অভাবনীয় উৎসব। কবি তখন বাইরে। শমী তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে পালন করলেন এই উৎসব, শান্তিনিকেতনে।
শমী ওই দিন গেয়েছিলেন, ‘এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে…’
শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব...
১৪ মার্চ, ১৯৪৯ সালে শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর আঁকা ছবি।
তারপর তো নিতান্ত অকালে নিভল সে প্রবলপ্রাণের দেউটি, সেই বেদনাবহ কথাটিও জানি সবাই। সঙ্গে এও জানি, ওই অরুণিম উৎসবের আলোকশিখাটি অনির্বাণ আজও—’হারায়নি তা হারায়নি বৈতরণী পারায়নি!’
পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ এই উৎসবের নাম দিলেন
‘বসন্ত উৎসব’—মর্মের রঙে, কর্মের রঙে, সবার রঙে রং মিশানোর উৎসব!
পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ এই উৎসবের নাম দিলেন
‘বসন্ত উৎসব’—মর্মের রঙে, কর্মের রঙে, সবার রঙে রং মিশানোর উৎসব!
দশক-শতক অতিক্রম করে আজ সে উৎসবের রং ছড়াল এমনকী যতসব ‘মরা গাছের ডালে ডালে’ও। রবিঠাকুরের আপনদেশের এই ঋতু উৎসবে যোগ দিতে দেশবিদেশের কত মন যে ছুটে আসে!
ভুল বললাম বুঝি? কথাটা ‘আসত’ হবে? কেননা বিশ্ববিধ্বংসী অতিমারির কোপে এই তিনবছর আর তো সে উৎসবের আয়োজন আর হয় না আশ্রমের উদার আকাশের নীচে…
নাঃ, আবারও ভুল হল।
উৎসব তো ‘আয়োজনে’ নয়, সে যে উৎসুক আনন্দিতপ্রাণের মনে মনে!
তাই তো সুদূর বেঙ্গালুরুর আপন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততম দিনের শেষে শান্তিনিকেতনের কন্যা শিল্পী ঋতজা চৌধুরীর কণ্ঠে বেজে ওঠে পলাশ-শিমুলের পার্বণীগীতি রবীন্দ্রনাথের গানে আর সেই গানের ছবিটি চোখের সীমায় মিলিয়ে দেন শান্তিনিকেতনেরই শিল্পী-অধ্যাপক সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, তাঁর সারস্বত তুলির টানে!
অমনিই বনের বীণায় বীণায় জাগে বসন্তপঞ্চমীর ছন্দ, পাঠভবনের একদা আদরের দুলালী কৈরবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৃত্যবিভঙ্গে নীল দিগন্তে লাগে ফুলের আগুন ব্রতী মুখোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত-সংগতে।
ভুল বললাম বুঝি? কথাটা ‘আসত’ হবে? কেননা বিশ্ববিধ্বংসী অতিমারির কোপে এই তিনবছর আর তো সে উৎসবের আয়োজন আর হয় না আশ্রমের উদার আকাশের নীচে…
নাঃ, আবারও ভুল হল।
উৎসব তো ‘আয়োজনে’ নয়, সে যে উৎসুক আনন্দিতপ্রাণের মনে মনে!
তাই তো সুদূর বেঙ্গালুরুর আপন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততম দিনের শেষে শান্তিনিকেতনের কন্যা শিল্পী ঋতজা চৌধুরীর কণ্ঠে বেজে ওঠে পলাশ-শিমুলের পার্বণীগীতি রবীন্দ্রনাথের গানে আর সেই গানের ছবিটি চোখের সীমায় মিলিয়ে দেন শান্তিনিকেতনেরই শিল্পী-অধ্যাপক সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, তাঁর সারস্বত তুলির টানে!
অমনিই বনের বীণায় বীণায় জাগে বসন্তপঞ্চমীর ছন্দ, পাঠভবনের একদা আদরের দুলালী কৈরবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৃত্যবিভঙ্গে নীল দিগন্তে লাগে ফুলের আগুন ব্রতী মুখোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত-সংগতে।
এই সোনালি-রূপালি-সবুজে, সুনীলে সবার দিঠি এড়িয়ে বুঝি চরণ বাড়ায় সেই এগারো বছরের চিরবালক, পিতা রবীন্দ্রনাথ যাঁর মধ্যে দেখেছিলেন নিজের অনাগত অপূরণীয় ভবিষ্যৎ!
যুদ্ধ-শোক-হিংসা-দম্ভ-অতিমারির অভিশাপ দুইহাতে ঠেলে মানুষীমন নিবিড়তর উচ্চারণ আঁকড়ে বাঁচে—’পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন/ মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীর কাছে!’
চলচ্ছবি: অধ্যাপক সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপিকা ইপ্সা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পী ঋতজা চৌধুরী, ব্রতী মুখোপাধ্যায় ও কৈরবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।
যুদ্ধ-শোক-হিংসা-দম্ভ-অতিমারির অভিশাপ দুইহাতে ঠেলে মানুষীমন নিবিড়তর উচ্চারণ আঁকড়ে বাঁচে—’পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন/ মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীর কাছে!’
চলচ্ছবি: অধ্যাপক সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপিকা ইপ্সা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পী ঋতজা চৌধুরী, ব্রতী মুখোপাধ্যায় ও কৈরবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।