শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ঋতুপর্ণ ঘোষ

সম্পাদকীয়র পাতায় পাতায় আত্মকথনে মগ্ন হয়েছেন ঋতুপর্ণ কখনও অত্যন্ত সচেতনে আবার কখনও অসচেতনে। প্রান্তিক একাকী এক মানুষের নিঃসঙ্গতার উদযাপন ধরা পড়েছে তাঁর দিনলিপির পাতায়, সাহিত্যগুণে যা কোনও অংশে কম নয়। আর ধরা পড়েছে তাঁর মা-বাবার কথা, তাঁর রবীন্দ্রনাথের কথা। ‘টেক ওয়ান’ হোক বা ‘ফার্স্ট পার্সন’—আমরা শিখেছি সম্পাদকীয় কত মায়াময় হতে পারে, শিখেছি, কত স্বল্প পরিসরে কত গভীর কথা বলা যেতে পারে, ঠিক তাঁর ছবির সংলাপের মতন।

তাঁর সম্পাদকীয়গুলি পড়তে পড়তে কেবলই মনে হয়েছে যেন তাঁর আত্মজীবনী পড়ছি। ফলে, তাঁর লেখা পড়তে পড়তে অবধারিতভাবে মনে তাঁর কণ্ঠই বেজে উঠেছে—
“রবীন্দ্রনাথ তো বটেই, ভাষাশিক্ষার গুরু হিসেবে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার বা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি বা রাজশেখর বসু আমার কাছে যেমন, ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-ও সেরকমই একটা নাম। কারণ আমাদের বাংলা ভাষা যে অনেক তৎসম শব্দ নিয়ে তৈরি হয়েছে, আর তার আশ্চর্য অনুরণন যে আমাদের এক বিরাট সম্পদ, আর যে সুমহান ঐতিহ্য ও প্রবহমানতার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা এগিয়ে এসেছে তার স্বাক্ষর ওই শব্দগুলোর ঝঙ্কারের পরতে পরতে রয়েছে— এসবের সঙ্গে হাতে ধরে সাক্ষাৎ পরিচয় করে দিয়েছে যে অনুষ্ঠান, তার নাম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’।”

আত্মজীবনী বলছি বটে, কিন্তু তাঁর লেখা পড়তে পড়তে একাধিকবার মনে হয়েছে, এ তো আমাদেরও মনের কথা! আবার কখনও কখনও মনে হয়েছে যেন কবিতা পড়ছি। ভালোবাসার সংজ্ঞা খুঁজতে খুঁজতে ‘টেক ওয়ান’-এর পাতায় ঋতুপর্ণ লিখে ফেলেছেন—
“… প্রেম মানে কী? কোনও আলাদা ভঙ্গি, কোনও অপলক আকুলতা, কোনও বিশেষ চাহনি, কোনও একটা গানের কলি, নাকি অপার্থিব কোনও আলো যাতে মিশে আছে সমস্ত না বলা কথা। নাকি সমস্তটাই আমাদের কল্পনা…”

সম্পাদকীয়র মোড়কে ঋতুপর্ণ আত্মকথনে মগ্ন হয়েছেন বারবার, পড়তে পড়তে মনে হয়েছে সে কথন যেন ‘সৌরনীলের মুহূর্তলিপি’—
“…একা মানুষদের প্রতি সহানুভূতি, অনুকম্পা সবই থাকে, তার সঙ্গে অনেক সময় থাকে এক অদ্ভুত নিষিদ্ধ কৌতূহল। এটা আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি।

ঋতুপর্ণ নারীসুলভ, অতএব প্রথাগত যৌন নির্বাচনের, বৈবাহিকতার বাইরে—ঋতুপর্ণর পুরুষবন্ধু ক’জন এবং সাম্প্রতিকতম ঘনিষ্ঠ পুরুষসঙ্গীটি কে? এই জল্পনা-কল্পনার নিরন্তরতা আমি সোজাসুজি না হলেও টের তো পাই এবং জানি আমার কোনও অসতর্ক স্বীকারোক্তির জন্য কতজন উন্মুখ হয়ে আছে।

এই ‘ফার্স্ট পার্সন’-এর পাতাটা আমার সত্যি কথা লেখার পাতা, আমার জীবনধারণের সমস্ত সত্যি বিশ্বাসকে মেলে ধরার পাতা—
…যে জীবন হয়তো বা আমাকে একাকিত্বের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিতে পারত আমাদের সমাজে তার কোনও স্থান নেই। আমার স্বভাবপ্রণোদিত অস্বাভাবিকতা নিয়ে আমি বাস করেছি আমার একাকিত্বের বন্দিজীবনে—আর আমার সামনে ছিল সমাজের এক বিরাট কারাগার। যেখানে ঐতিহাসিকভাবে যে কোনও নতুন প্রথাকেই প্রবেশ করতে হয়েছে দণ্ডিত বিদ্রোহীর মতো, অনেক হিংসা এবং রক্তপাতের মূল্যে।

প্রথার বাইরে বাস করার এই অবধারিত ট্রাজেডি আমাকে বারবার ভেঙেছে, দুমড়েছে, ছিঁড়েছে, কুটেছে—এমন করে রক্তাক্ত করেছে যে মনে হয়েছে, এর চেয়ে মৃত্যুও বোধহয় অনেক বেশি কাম্য।

একদিক দিয়ে আমি পরম ভাগ্যবান, আমার একজন চিরপ্রণয়ী আমাকে কখনও ত্যাগ করে যাননি। আমার রবীন্দ্রনাথ। নিগূঢ়তম অন্ধকারের মধ্যে ডুবে যেতে যেতেও বইয়ের তাকে হাত রাখলেই বারবার পেয়েছি তাঁর প্রণয়ের উত্তাপ।”

মৃত্যুকে মেনে নিতে তিনি শিখেছেন রবীন্দ্রনাথের থেকে, লিখেছেন—“সেই যে কবি শিখিয়ে গেলেন ‘জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে’ আর অমনি বার-বার মনের মধ্যে গুনগুন করতে-করতে আমরাও (আমি অন্তত) ভেবে নিলাম, জীবন এবং মরণ একটাই রাস্তা, আর ‘সীমানা ছাড়ায়ে’ মানে একই সঙ্গে দু’টোর সীমানা, অতএব সীমানাটা একটাই। ছোটবেলায় ‘নাচে জন্ম, নাচে মৃত্যু’ শুনতে-শুনতে মনে হয়েছে এ-দু’টোও বোধহয় হাসি-কান্নার মতো মিলে-মিশে আছে।”

তাঁর লেখা পড়তে পড়তে অবধারিতভাবে রবীন্দ্রনাথকে মনে পড়েছে। মনে পড়েছে, কাছের মানুষদের হারাতে হারাতে কীভাবে তিনি নিজেকে নিমজ্জিত করেছেন সৃষ্টির সাগরে। ঋতুপর্ণর ক্ষেত্রেও অন্যথা ঘটেনি। নইলে তিনি কীভাবে লিখেছেন এমন কথা?— “আমি যে জ্বলন্ত চুল্লিতে ঢোকানোর সময়, ট্রেনের জানলার সামনে দাঁড়িয়ে মানুষ যেভাবে পরিজনকে বিদায় দেয়, তেমন করেই বলেছিলুম—সাবধানে যেও। মা অনেকদিন অপেক্ষা করছে।… সকালের আলো পর্দার ফাঁক দিয়ে চুঁইয়ে পড়েছে বিছানায়।

কেবল মনে হল, ট্রেনে তো তুলে দিলাম, এখন কোন স্টেশনে পৌঁছল, চা খেয়েছে কি না, ট্রেন লেট কি না— কিচ্ছুটি তো জানা হল না।”

ঋতুপর্ণর লেখায় সিনেমার গল্প আসবে না, তা তো হয় না! সামান্য ঘটনা, তবু কত অসাধারণ তার উপস্থাপনা!—
“… আগের শো ভেঙে গিয়েছে, পরের শো’য়ের দর্শকেরা ভেতরে ঢুকে গিয়েছেন। এবার বাড়ি যাব। হঠাৎ সেই ঝালমুড়িওয়ালা একঠোঙা ঝালমুড়ি হাতে এগিয়ে এলেন, এগিয়ে দিলেন আমার দিকে। আমি স্বাভাবিকভাবেই পয়সা খুঁজছি, প্রায় ফিসফিসে গলায় বললেন—না, না, পয়সা দেবেন না। এটা আমি খাওয়াচ্ছি আপনাকে। আমি তো হতবাক। তাঁর হাতে তখনও ধরা ঝালমুড়ি ঠোঙা। চোখে সকাতর অনুভূতি।
—এতদিন পর আবার মোটরগাড়ি করে লোকে বাংলা বই দেখতে আসছে। আপনি এটা খান। তারপর ‘দহন’ও রিলিজ করেছিল বিজলীতে। চলেওছিল বেশ। ততদিনে ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতা ভদ্রলোকের সঙ্গে বেশ ভাব হয়ে গিয়েছে। ফ্রিতে ঝালমুড়ি খেতে আর সংকোচ হত না।”

বোধ নির্মাণের নেপথ্যে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কথাও অবধারিতভাবে উঠে এসেছে ঋতুপর্ণর কথনে—“তারপর স্কুল ছেড়ে কলেজ, ইউনিভার্সিটি। ‘মাস্টারমশাই’-এর সঙ্গে আর দেখাশোনা রইল না। কেমন আছেন, কোথায় আছেন—জানি না। কেবল যখন চিত্রনাট্যে কোনও অমোঘ জায়গায়, বা যে কোনও লেখার কোনও একটা বাঁকে এসে আটকে যাই—চোখ তুলে দেখতে পাই ফুটপাথ ঘেঁষে নিবিষ্ট হয়ে পড়তে-পড়তে হেঁটে চলেছেন এক পাঞ্জাবি-পাজামা পরা মানুষ। আর কলমটা যেন কী করে আবার নিজে-নিজেই চলতে শুরু করে।”

‘ফার্স্ট পার্সন’-এ তারিখ লেখায় ঋতুপর্ণ বিশ্বাসী ছিলেন না। কারণ, তিনি মনে করতেন, অধিকাংশ সময়েই তাঁর সম্পাদকীয় এতটাই কালনিরপেক্ষ যে কেবল লেখার নীচে একটা তারিখ লিখে দেওয়া অত্যন্ত অর্থহীন। নীচের লেখাটি তার উৎকৃষ্টতম উদাহরণ— “…মাইকেল জ্যাকসন তাঁর নৃত্য প্রদর্শনে যেভাবে ধীরে ধীরে স্বেচ্ছায় মিশিয়ে দিচ্ছিলেন নারী এবং পুরুষের একটা রহস্যময় সম্মিলন—‘পুরুষ’ এবং ‘নারী’ নির্বিশেষে সেটা সমান আদরে গ্রহণ করেছিলেন বিশ্বজুড়ে। …মাইকেল জ্যাকসন ধীরে ধীরে গায়ের রং, মাথার চুল, মুখের গড়ন, শরীরের ভঙ্গিমা—সব বদলেছেন—ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যায় যে এই পরিবর্তন এক কৃষ্ণবর্ণ সাধারণ কিশোরের গণ্ডি ছাড়িয়ে চোখ ঝলসানো এক সুন্দরী হওয়ার যাত্রাপথে।…‘পুরুষ’ এবং ‘নারী’ এই দু’টি বিপরীত শব্দের মাঝখানে এক অসীম প্রান্তর, যেখানে বসবাস করে অর্ধনারীশ্বরতার নানা প্রতিভূ।

মাইকেল জ্যাকসন হয়তো বা একজন রূপান্তরকামী মানুষ যিনি কেবল কৃষ্ণ থেকে গৌর নন, পুরুষ থেকে নারীর দিকে চলবার পথের কোনও একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে থমকে দাঁড়িয়ে…নিজের অজান্তেই হয়তো বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বর্ণ বা লিঙ্গ, যা আমরা আজন্ম ঈশ্বরপ্রদত্ত বলেই জানি, তা-ও কেবল নিজের ইচ্ছায় অনেকটাই পরিবর্তনযোগ্য। আমরা পরিবর্তনপন্থী, নইলে অপ্রগতিশীল। তাহলে নিজের জীবনটাকে নিজের ইচ্ছা এবং আনন্দ অনুসারে পরিবর্তন করার অধিকার কি আমাদের মৌলিক অধিকার নয়?” কালনিরপেক্ষ তো বটেই, কালোত্তীর্ণও যে সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাঁর ছবিতে আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি নারী চরিত্রের অপূর্ব সব চরিত্রায়ন। নারীজীবন তিনি যেভাবে অনুধাবন করেছেন, সেভাবে আর কেউ করেননি। তাঁদের পক্ষ নিয়ে তাঁর লেখনীতে তিনি বারবার সোচ্চার হয়েছেন। যেমন, ‘টেক ওয়ান’-এর পাতায় তিনি লিখেছেন—“…কাগজে পড়লাম লক্ষ্মী পণ্ডিতের কথা। এই মেয়েটি বিজয়িনীদের একজন। কেবলমাত্র বাসস্থানের অভাবে নাকি কোনও এক মডেল পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে এক ফ্ল্যাটে ছিল, কিংবা হয়তো স্বাধীন সহবাসের ইচ্ছায়। সমাজ তার ইচ্ছাকে সম্মান করেনি, তাই বিবাহিতার ভান করতে হয়েছিল তাকে। আজ সেই ভান-ই তার অন্তরায়। দেখলাম লক্ষ্মী ফিরিয়ে দিয়েছে তার শিরোপা। একরাত্রির সম্মান তাকে যে এক মাসের বন্ধুদের থেকে আলাদা করে দিয়েছিল, হয়তো সেই ‘হেরো’ মেয়েদের দল-ই তাকে পাঠাচ্ছে সমবেদনার বার্তা।

নারীবাদী গোষ্ঠীরা, যারা সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করে, বা প্রতিবাদ করে—তারা নিশ্চয়ই খবরটা পড়েছে। সত্যিই যদি লক্ষ্মীকে কেবল বাসস্থানের অভাবে বিবাহের ছলনার আশ্রয় নিতে হয়—তাহলে কি তারা প্রতিবাদ করবে?

সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতা পুরুষের সৃষ্টি, বেশ! অতএব তাদের কাছে নিন্দনীয়। কিন্তু একটি যুবতীর স্বাধীন সহবাসের ইচ্ছাকে সম্মান দেওয়ার দায়িত্ব কার? সে ক্ষেত্রে কি নারীবাদীরা গিয়ে বোঝাবে সেই বাড়িওয়ালাকে, কিংবা মুখোমুখি হবে প্রতিবাদী প্রতিবেশীদের? আর সত্যিই যদি লক্ষ্মী বিবাহিতা হয়—কী ক্ষতি হল তাতে? ভারতবর্ষের মেয়ে বিশ্বসুন্দরীর শিরোপা নিয়ে এলে, তাকে নিয়ে কী হইচই হয়—আমরা তা দেখেছি।

তাহলে যে মেয়েটি তার পছন্দের পুরুষের সঙ্গে থাকতে চায়—সে হঠাৎ এমন ব্রাত্য হবে কেন?
এমন তো হতেই পারত যে, এরই মধ্যে কোনও মেয়ে বাগদত্তা, অন্তরে বিবাহিতা। কেবল সামাজিক চিরকুটটুকুই সই হওয়া বাকি! তাহলে?”
‘লেখক’ তকমায় তাঁর তীব্র আপত্তি ছিল। বলতেন, ‘আমি আবার লেখক নাকি!’ কিন্তু, মনোজ্ঞ পাঠক জানেন, জীবনের কথা তিনি যেভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন, লেখক ছাড়া অন্য আর কিছু তাঁকে বলাই যায় না। তিনি আজীবন সাহিত্য সাধনার মধ্যেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ফলে, লেখার বিষয় নির্বাচন থেকে শুরু করে লেখার আঙ্গিক, শব্দ চয়ন প্রতিনিয়ত আমাদের বিস্মিত করেছে। ‘ফার্স্ট পার্সন’-এ তিনি লিখেছেন, “বুঝতে পারছি ক্রমশ আমার ‘ফার্স্ট পার্সন’গুলো ঘ্যানঘ্যানে হয়ে উঠছে দিন দিন। রোববার সকালে উঠেই এত বিষাদ ভালো লাগার কথা নয়। কিন্তু কী করব বলুন,…আমার সব আনন্দ-দুঃখ আপনাদের সঙ্গেই ভাগ করে নিয়েছি।” তাঁর আনন্দ আর দুঃখের সঙ্গী হতে হতে রোববারগুলো যে কত রঙিন হয়ে উঠেছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর রচনার সাগরে ডুব দিয়ে তাঁকে সবসময় অদ্ভুত আপন মনে হয়েছে।

‘টেক ওয়ান’ বা ‘ফার্স্ট পার্সন’ পড়তে পড়তে মনে হয়েছে যেন তাঁর মুহূর্তলিপি পড়ছি, ‘সৌরনীলের মুহূর্তলিপি’, যার পাতায় পাতায় রয়েছে তাঁর নিজের সঙ্গে নিজের, তাঁর সঙ্গে সিনেমার, তাঁর সঙ্গে সাহিত্যের, তাঁর সঙ্গে সংগীতের কত আঙ্গিকের কত কথোপকথন। তবে, সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে, ঋতুপর্ণর রচনা পড়তে পড়তে অনেক সময়েই মনে হয়েছে যেন গীতবিতান পড়ছি। নিছক বিষয়ের বৈচিত্র্যের কারণে নয় বা ব্যাপ্তির কারণেও নয়, তাঁর রচনাকে বরাবর একলা মানুষের একান্ত অবলম্বন মনে হয়েছে। মনে হয়েছে যেন, তার ছায়ায় বসলেই দেখা দিয়েছে অদৃশ্য এক বন্ধুর হাত, আর সে হাত এক নিমেষে সমস্ত গ্লানি মুছিয়ে দিয়ে, মন আলোকিত করে তুলেছে।

Skip to content