ছবি প্রতীকী
সাধারণত কী কী কারণে এমন হয়?
সাধারণত মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত চুল হয় না। কিন্তু কারও যদি হয় সেক্ষেত্রে প্রথমে পরীক্ষা করে দেখতে হবে তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা আছে কি না। আজকাল পিসিওডি-র সমস্যায় বহু মহিলা ভোগেন। পিসিওডি অর্থাৎ যেকে সিস্ট বলা হয়। এই পিসিওডি-র সমস্যা থাকেও অবাঞ্ছিত চুল হতে পারে। তবে পিসিওডি না থাকলেও কারও কারও এই সমস্যা হয়। এছাড়াও ওভারিতে বা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে বা টিউমার থাকলে এই সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও আরও অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। অনেক সময় অবাঞ্ছিত চুল কেন হয় তার সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
তাই কারও অবাঞ্ছিত চুলের সমস্যা থাকলে প্রথমেই পরীক্ষা করে দেখা হয় তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কি না। এক্ষেত্রে কোনও রোগ ধরা পড়লে তার চিকিৎসা করতে হবে। আবার যদি দেখা যায় পরীক্ষায় কোনও রোগই ধরা পড়ছে না, তাহলে আমরা কিছু ক্রিমের সাহায্যে বাড়তি চুলের বৃদ্ধি কমাতে চেষ্টা করি। এছাড়াও লেজার ট্রিটমেন্ট করা যায়। লেজার ট্রিটমেন্ট করলে চুলের রুটকে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এক বার করলে হবে না, বেশ কয়েক বার লেজার করতে হয়। অবাঞ্ছিত চুলের সমস্যায় এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে লেজার ট্রিটমেন্টই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি।
তাহলে সমাধান?
মেয়েদের মুখে বা শরীরের অন্য জায়গায় যদি অবাঞ্ছিত চুল গজায় তাহলে সেটাকে লুকিয়ে রাখার জন্য অন্য কোথাও না গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা দরকার। এক্ষেত্রে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তিনিই আপনাকে এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেবেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখবেন, কেন এমন হচ্ছে এবং সেই মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করবেন। দরকার হলে অন্য চিকিৎসকের কাছে পাঠাবেন। আর চুল যদি তুলতেই হয়, তাহলে সেটা তাঁরাই লেজার দিয়ে করবেন। যদি তিনি না করেন, তাহলে যে চিকিৎসক এই কাজ করেন তাঁদের সন্ধানও তিনি দিয়ে দেবেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, চিকিৎসক নন, এমন কোনও জায়গা থেকে লেজার মেশিনের সাহায্যে অবাঞ্ছিত চুল তুলবেন না। কারণ লেজার মেশিনের সঠিক ব্যবহার না জানলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যোগাযোগ: ৯৮৩১৫৮৫০৮০, ৯৮৩০৩৮২৪৯৮