ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
এবার ধীরে ধিরে গরম চলে গিয়ে শীতকাল আসতে চলেছে। আর শীতকাল আসা মানেই ঠান্ডা পড়বে। আর ঠান্ডা মানেই ময়েশ্চারাইজার বা তেল। এখন প্রধান জিজ্ঞাস্য বিষয় হল— কোন তেল মাখবেন, কোন তেল মাখবেন না। কোন দামি ক্রিমটা ভালো?
মনে রাখবেন, আমাদের ত্বকে কিছু গ্ল্যান্ড আছে যেগুলি থেকে আপনা-আপনিই তেল তৈরি হয়, যা ত্বকের বাইরে একটা আস্তরণ তৈরি করে। ঘাম এবং তেল কিন্তু এক জিনিস নয়। ঘাম মানেই জল। তেল আলাদা জিনিস। মানুষের মুখে, মাথায় তেল বেশি থাকে। তবে শরীরের উপরের অংশে তেল বেশি থাকলেও কোমরের নিচের অংশে অর্থাৎ পায়ে অনেকাংশে কম পরিমাণে থাকে। যত আমাদের বয়স বাড়তে থাকে, ততই শরীরের শুষ্কতাও বাড়তে থাকে। ফলে ছোটবেলায় শীতকালে যতটা না তেলের প্রয়োজন পড়ে, বয়সকালে তার থেকে অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে। গালে যেহেতু ব্রণও হয়, তাই আমরা সাধারণত গালে ক্রিম বা তেল মাখতে বারণ করি। কিন্তু অনেকেরই গালের ত্বক ড্রাই হওয়ার দরুন ক্রিম মাখতেই হয়।
মনে রাখবেন, আমাদের ত্বকে কিছু গ্ল্যান্ড আছে যেগুলি থেকে আপনা-আপনিই তেল তৈরি হয়, যা ত্বকের বাইরে একটা আস্তরণ তৈরি করে। ঘাম এবং তেল কিন্তু এক জিনিস নয়। ঘাম মানেই জল। তেল আলাদা জিনিস। মানুষের মুখে, মাথায় তেল বেশি থাকে। তবে শরীরের উপরের অংশে তেল বেশি থাকলেও কোমরের নিচের অংশে অর্থাৎ পায়ে অনেকাংশে কম পরিমাণে থাকে। যত আমাদের বয়স বাড়তে থাকে, ততই শরীরের শুষ্কতাও বাড়তে থাকে। ফলে ছোটবেলায় শীতকালে যতটা না তেলের প্রয়োজন পড়ে, বয়সকালে তার থেকে অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে। গালে যেহেতু ব্রণও হয়, তাই আমরা সাধারণত গালে ক্রিম বা তেল মাখতে বারণ করি। কিন্তু অনেকেরই গালের ত্বক ড্রাই হওয়ার দরুন ক্রিম মাখতেই হয়।
কোন ক্রিম মাখবেন? যেটা আপনার শরীরের মতো, সেটাই মাখা উচিত। কিন্তু মুশকিলের ব্যাপার হল, শরীরের মতো ক্রিম সচরাচর পাওয়া যায় না। তাই আপনার শরীরের কাছাকাছি যে তেল সেটাই মাখা উচিত, যা অত্যন্ত দামি। যেটা সকলের পক্ষে কেনা সম্ভব হয় না। তাই পূর্ব ভারতে বেশিরভাগ মানুষ সর্ষের তেল আর দক্ষিণ ভারতের লোকেরা নারকেল তেল মাখেন।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, কোন তেলটি বেশি ভালো? আজকাল আমরা দেখি সরষের তেল মাখলে সমস্যা বেশি হয়। তাই নারকেল তেল মাখাই ভালো। ইউরোপের অনেক জায়গায় অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। তাছাড়া সানফ্লাওয়ার তেলও অনেকে মাখেন।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, কোন তেলটি বেশি ভালো? আজকাল আমরা দেখি সরষের তেল মাখলে সমস্যা বেশি হয়। তাই নারকেল তেল মাখাই ভালো। ইউরোপের অনেক জায়গায় অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। তাছাড়া সানফ্লাওয়ার তেলও অনেকে মাখেন।
আরও পড়ুন:
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১২: ওই স্মৃতি ভুলতে কি আর পারি…
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৩: সুন্দরবনে কুমিরের দেবতা কালু রায়
গালে যে মশ্চারাইসার ক্রিম মাখবেন তা গায়ে মাখবেন না। সাধারণত গালে হালকা ক্রিম মাখা হয়। সারা শরীরে গালের তুলনায় মোটা ক্রিম মাখা হয়। সাধারণত পেট্রোলিয়াম জেল গায়ে মাখা ভালো। এছাড়া ত্বকে জল ধরে রাখতে গেলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হয়। ত্বকে তেলের আস্তরণ বজায় রাখতে গেলে ক্রিম বা গ্লিসারিন মাখতে পারেন।
মুখে মাখার জন্য একটু দামি মশ্চারাইজার ক্রিম মাখবেন। রোজ শরীরে মোটা ক্রিম মাখলে শরীরের লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ঘাম বেরোতে পারে না। সে ক্ষেত্রে শরীরে খুব মোটা ক্রিম না মাখাই ভালো।
মুখে মাখার জন্য একটু দামি মশ্চারাইজার ক্রিম মাখবেন। রোজ শরীরে মোটা ক্রিম মাখলে শরীরের লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ঘাম বেরোতে পারে না। সে ক্ষেত্রে শরীরে খুব মোটা ক্রিম না মাখাই ভালো।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫২: সব ঘরই ‘তাসের ঘর’
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব ৪৭: শীতকালে দই খেতে নেই?
শীতকালে যাঁদের ত্বক ড্রাই তাঁরা সুতির পোশাক পড়ে তার ওপর উলের পোশাক পড়বেন। কারণ, যাঁদের ত্বক শুকনো তাদের ঘাম বেরোনোটা খুব দরকার। খুব বেশি রোদে যাবেন না তাতে গা চুলকাতে পারে। তাই তেল মেখে রোদে বেরোবেন।
তাছাড়া সব সময় ভালো ত্বক পাওয়ার জন্য আমাদেরকে স্বাস্থ্যকর খাবার, সবুজ শাক-সবজি, তরতাজা ফল এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত।
তাছাড়া সব সময় ভালো ত্বক পাওয়ার জন্য আমাদেরকে স্বাস্থ্যকর খাবার, সবুজ শাক-সবজি, তরতাজা ফল এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত।
* ডাঃ নীলেন্দু শর্মা, ত্বক বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।