রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

আজকের আলোচনার বিষয় হল, দাদ। এই রোগটি এখন প্রায় ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। দাদ যেহেতু ছোঁয়াচে তাই পরিবারের একজনের এই রোগ হলে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে এখন অনেক রোগী আসেন এই সমস্যা নিয়ে। ক্রমশ এই সমস্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, রোগীদের বেশিরভাগই ওষুধের দোকান থেকে মলম কিনে নিজেরাই এর চিকিৎসা করে থাকেন। ওষুধের দোকান থেকে যে মলম পাওয়া যায় সেগুলি আসলে এক প্রকারের ‘খিচুড়ি’ মলমই বলা যেতে পারে। মানে তার মধ্যে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড প্রভৃতি নানা উপাদান থাকে।

এই ধরনের মলমে স্টেরয়েড জাতীয় উপাদান থাকার ফলে আপাতভাবে ‘দাদ’ তাৎক্ষনিক ভাবে সেরে গেলেও তা যে আমাদের ত্বকের ভয়ানক ক্ষতি করে দিচ্ছে সেটা আমরা টেরই পাই না। তাই পরে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছলে আমরা যখন এই রোগ সারাতে ওষুধ দিয়ে থাকি সেগুলি তখন আর তেমন কাজ করে না। তাই দাদ হলে সরাসরি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জরুরি।
আমরা আরেকটি ভুল সাধারণত করে থাকি। হয়তো আগে আপনার এই রোগ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আপনি কোনও একজন ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আবার যখন আপনার এই রোগ হল, তখন আপনি সেই পুরানো প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খেতে বা সেই পুরনো মলম লাগাতে শুরু করলেন। কারণ অনেকেরই ধারণা থাকে যে, মলম আর কতোই বা ক্ষতি করতে পারে? তাঁরা মনে করেন এই মলম লাগিয়েই তো আমার আগের রোগ সেরে গিয়েছিল। তাই এবারও এই ওষুধ বা মলম দিয়ে সমস্যা মিটে যাবে।
এই ভুল আপনারা কখনওই করবেন না। এই যে ফাঙ্গাল ইনফেকশন ঘরে ঘরে বেড়ে যাচ্ছে তার অন্যতম কারণ এটাই। কারণ, এই ইনফেকশন শরীরে ঢুকে গিয়ে শরীরের নানা ক্ষতি করে থাকে। ত্বক ফেটে যায়। অনেক সময় রক্ত মিশে গিয়ে থাকে। তাই ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে নিজে চিকিৎসা না করে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিতে হবে।

যোগাযোগ: ৯৮৩১৫৮৫০৮০, ৯৮৩০৩৮২৪৯৮

Skip to content