বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


সাত্ত্বিক সনাতনী ব্রাহ্মণ নরোত্তমের পক্ষে ছোটছেলে পুরুষোত্তমের আর্মিতে যাওয়ার ব্যাপারটা মেনে নেওয়া খুবই শক্ত ছিল। হ্যাঁ দাদাদের মতো পুজোপাঠ না করে কলেজে পড়েছে। ঠিক আছে, একটা দশটা-পাঁচটার চাকরি করতো। তা না করে মৈথিলী ব্রাহ্মণ বংশের ছেলে স্টেনগান হাতে বর্ডার সামলাবে? পাকিস্তানি ফৌজ আর সন্ত্রাসবাদীদের দিকে গুলি চালাবে? তাদের প্রাণ নেবে? এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নরোত্তম! পথ দেখালেন নরোত্তমের স্ত্রী, পুরুষোত্তমের মা সুলোচনা। সুলোচনা জানালেন, দেশের থেকে জীবন জীবিকা ভাষা আমরা সবকিছু নিয়েছি বদলে কিন্তু দেশকে কোনওদিন কিছুই ফেরত দিইনি। আমার পুরুষোত্তম দেশরক্ষার কাজে যোগ দিলে আমাদের গোটা পরিবার অন্তত কিছুটা ঋণমুক্ত হবে।

নরোত্তম রাজি হলেন কিন্তু ছেলেকে পইপই করে বললেন ফৌজে গিয়ে পুরুষোত্তম যেন তার পারিবারিক আচার-বিচার ঐতিহ্য ভুলে না যায়। তাঁরা মৈথিলী ব্রাহ্মণ। তাঁর বাড়িতে নিত্য মহাদেবের আরাধনা হয়। সে যেন ফৌজে গিয়ে এসব মনে রাখে। পুরুষোত্তম বাবার পা ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করল। কিন্তু নরোত্তম শান্তি পাচ্ছেন না। মিলিটারী ব্যারাকের নানাকথা কানে আসে। সুলোচনার সঙ্গে পরামর্শ করে চাকরীতে জয়েন করার আগে পুরুষোত্তমের বিয়ের ঠিক করলেন। পাত্রী পদ্মা সুশ্রী বুদ্ধিমতী, জানাশোনা ঘর। ক্লাস ইলেভেন পাশ করেছে। এ মেয়ে তাঁর ছেলে তাঁর সংসার সবকিছু সামলাতে পারবে।
পাত্রীর মা মারা গিয়েছেন। বাবা আছেন। তারকেশ্বরের রেলস্টেশনে কাজ করেন। কেবিনম্যান।
তখন অটোম্যাটিক সিগ্ন্যালিং ছিল না। দুটো স্টেশনের মধ্যে আপ-ডাউন ট্রেনের আলাদা রেলওয়ে ট্র্যাক ছিল না । আপ বা ডাউন ট্রেন একটা ট্র্যাক ধরে যাতায়াত করতো। যাতে কেবিন ম্যানের কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাতে আপ-ডাউন ট্রেন একই লাইনে এসে মুখোমুখি ধাক্কা না লাগে তার জন্যে নেইলবল সিগন্যালিং সিস্টেম ফলো করা হতো। ব্রিটিশ আমলের রেলওয়ে এঞ্জিনীয়ার নেইল সাহেবের আবিষ্কার তাই নাম নেইলবল মেশিন। এই মেশিন থাকতো স্টেশন মাস্টারের ঘরে। টারমিনাল স্টেশন হলে একটা আর ট্রেনরুটের ইন্টারমিডিয়েট বা মাঝরাস্তার স্টেশনে আপ ও ডাউন ট্রেনের জন্যে আলাদা আলাদা দুটো নেইলবল মেশিন থাকতো। মেশিনের লক খুললে আগের আসা ট্রেনের মেটালবল ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতো।

মেটাল বলে ফুটো থাকতো, প্রত্যেক বলের বিশেষ নং থাকতো। একটা লোহার রিঙের ভেতরে গোল একটা সকেটে বলটা আটকে যেত। ওই বল লাগানো লোহার রিং রেলকর্মী মারফৎ ট্রেনের ড্রাইভারের কাছে পৌঁছতো। ড্রাইভার অবিকল সেরকম একটা বল লাগানো রিং রেলকর্মী মারফৎ ফেরৎ পাঠাত স্টেশনমাস্টারের কাছে। ড্রাইভারের পাঠানো সেই মেটালবলের নম্বর লিখে রেখে ওপরের স্লট দিয়ে মেশিনের ভেতরে পাঠিয়ে মেশিন লক দেওয়া হত। এরপর বলের নং তখনকার হাতল ঘোরানো রেলওয়ে টেলিফোনে পরের স্টেশনে আর রেলওয়ে কেবিনম্যানকে জানিয়ে দেওয়া হত। টুং করে শব্দ। হাতল ঘোরালে বল বেরিয়ে আসে সেই বল আর সবুজ পতাকা নিয়ে লোক ছোটে ট্রেনের ড্রাইভার কেবিনে। এই মজার কান্ড পুরুষোত্তম বা তার দাদারা ছোটবেলায় হাঁ করে দেখতো, যখন হাওড়া হয়ে দ্বারভাঙ্গা যাওয়া হোত বাবা মায়ের সঙ্গে।

সেই পুরুষোত্তমের পাত্রী এই তারকেশ্বরেই এত সহজে পাওয়া যাবে এটা কেউ ভাবতে পারেনি। পুরুষোত্তমও কৈশোর বা যুবকবয়সে কখনও এ মেয়েকে দেখেছে এমন মনে করতে পারছে না। বিয়ে মিটল। বছর ঘুরলো সুখবর নিয়ে। এ পরিবারকে প্রথম কন্যাসন্তান উপহার দিল পদ্মা। পুরুষোত্তমের দুই দাদারই দুই ছেলে। এ পরিবারে মেয়ের অভাব ছিল। আর নরোত্তম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন প্রতিটি কন্যাসন্তান দেবীদূর্গার অংশ। তিনি নাতনীর নাম রাখলেন সতী। মাস ছয়েকের মধ্যে এলো পারিবারিক ধাক্কা। হার্ট অ্যাটাকে সুলোচনা চলে গেল। পদ্মা সদ্য বিপত্নীক শ্বশুর মশায়ের সব দ্বায়িত্ব নিল। বাকি দাদা-বৌদিরা এতে নিশ্চিন্তই হল।
আরও পড়ুন:

শারদীয়ার গল্প-১: পুরুষোত্তম/১

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৮: সুন্দরবনে বিচিত্র অবয়বের দেবতা জ্বরাসুর

সতী যখন বছর দুই তখন পদ্মার কোলে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান এলো। নরোত্তম আবার যেন জীবনের ছন্দ খুঁজে পেলেন। তার নাম রাখলেন সাবিত্রী। পদ্মা খুব যত্ন করে মেয়েদের বড় করে তুলল। পুরুষোত্তম ছুটিতে এলে মেয়েদের আদর দিয়ে মাথায় তুলতো। ছুটি শেষ হলে ফুলের মতো মেয়েদের ছেড়ে যেতে পুরুষোত্তমের চোখ ফেটে যেন জল আসতো। বাবা কাছে থাকেনা তাই ঠাকুর্দা নরোত্তম নাতনিদের আগলে রাখতেন। কিন্তু বিধিবাম এত সুখ সইল না। কালের নিয়মে নরোত্তম চোখ বুঝলেন। তখন তো মোবাইলের যুগ নয়। দিন পনেরো ছাড়া ছাড়া ডিউটিতে থাকা পুরুষোত্তম পাড়ার চেনা এসটিডি বুথে ফোন করত। তবে সবসময়ই তার বেস অফিসের ফোন নং পদ্মার কাছে দেওয়া থাকতো হঠাৎ জরুরি কোনকিছুর জন্যে। কিন্তু পদ্মার এখনও সেখানে ফোন করার দরকার পড়েনি। এবার পড়ল।
ফোনে খবরটা পেয়ে শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গিয়েছিল পুরুষোত্তমের। মা মোটাসোটা মানুষ। শ্যুগার প্রেশার হার্টের ব্যামো মায়ের অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু বাবা সুঠাম। যোগব্যায়াম করা ছিপছিপে সুস্থ সবল চেহারা। বাবার হঠাৎ কিছু হতে পারে এটা যেন পুরুষোত্তম মানতেই পারেনা।

বাবা ক্রিয়াকর্ম শেষ হতেই আর একটা সমস্যা দেখা দিল। বাংলায় আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে বড়সড় বদল এল। বামজমানায় স্কুল-কলেজ-বাজার সর্বত্র সমিতি তৈরি হল। নাস্তিক হলেও মন্দিরের জন্মসূত্রে চলে আসা পুরোহিত প্রথার ওপরেও সমিতির সাম্যবাদের থাবা বসল। মন্দিরের সব পুরোহিতদের মধ্যে রোটেশন প্রথা মানে পালা চালু হল। দুই দাদা ঠিক করলো তারা আর তারকেশ্বরে থাকবে না। তাদের দুজনেরই কলকাতা সহরের বাঁধা যজমান আছে। তাঁদের বাড়ীতে প্রতিষ্ঠিত কুলদেবতা রয়েছেন। তাঁরা এরআগেও দাদাদের বলেছিলেন কুলদেবতার নিত্যপূজার জন্যে। তখন এরাই অরাজি ছিল।

এখন এসব পালা করে পুজো পড়লে আর ছেলেপুলে নিয়ে সংসার করা চলবে না। দ্বারভাঙ্গায় যা যৌথ সম্পত্তি ছিল তাও তারা জ্ঞাতিদের মধ্যে বেচে দেওয়াই উপযুক্ত মনে করল। কারণ দ্বারভাঙ্গায় ছেলেপুলের কোন ভবিষ্যৎ নেই। বিহার থেকে কাজের খোঁজে কত কত লোক কলকাতায় রোজগারের আশায় ছুটে আসছে। দিল্লি বম্বেতেও পাড়ি জমাচ্ছে অনেকে। কিন্তু কাছেপিঠে কলকাতাই বড় শহর। আর এই বাংলাতেই বড় হয়েছে ওরা। এই তারকেশ্বরের পুরোহিত হিসেবে কাজ করতে করতে কলকাতায় জানাশোনা নামী-অনামী পয়সাওলা ক্ষমতাবান অনেকলোকের সঙ্গে জানাচেনা হয়েছে। কলকাতায় পড়াশোনা করে বড় হলে নিশ্চয়ই ধরেকরে দুমুঠো খাবার জোগাড় করার মতো চাকরি তাদের ছেলেপুলে জুটিয়ে ফেলবে।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪২: অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই গন্ডগোল?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫০: স্বপ্নের ‘যাত্রা হলো শুরু’

পুরুষোত্তমের ছুটিতো গোনাগাঁথা তাই যা কিছুর ভাবার করার তা এখুনি করতে হবে। সত্যি সত্যি দ্বারভাঙ্গায় গিয়ে পদ্মা একা মেয়েদের নিয়ে থাকতে পারবে না। সেক্ষেত্রে দাদারা যা বলছে সেটাই মনে হয় ঠিক। আর তারা কেউই দ্বারভাঙ্গায় জন্মায়নি। হ্যাঁ, দেশে গেছে একদুবার। কিন্তু ওদের জন্মভূমি এই বাংলা। মেয়েদের নিয়ে পদ্মা বার্ণপুরে চলে যেতে চাইল। বার্ণপুরেই পদ্মাদের আদিবাস। পদ্মার বাবা গত হয়েছেন। সেখানে ওর কাকা এখনও থাকেন।পদ্মার চিন্তা তার মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে। বার্ণপুরে পদ্মার কাকা এক গার্লস স্কুলে ক্যাশক্লার্ক। ভর্তি নিয়ে ঝঞ্ঝাট হবে না।

পুরুষোত্তমের অনেক স্মৃতি এই তারকেশ্বর ঘিরে। কিন্তু এখন সে ছুটি পেলে তার পরিবারের কাছে আসবে। তার কাছে বার্নপুর বা তারকেশ্বরের কোন তফাৎ তো নেই। যা থেকে যাবে। তা হল স্মৃতি। সন্টু…টইটই করে সাইকেল নিয়ে ঘোরা দামোদরের পাড়ে দেখা সূর্যাস্ত। তবে হ্যাঁ বার্নপুর বা তারকেশ্বরের মধ্যে একটাই মিল। দামোদর নদী। তবে হুগলি জেলায় নদী অনেক, এক দামোদর। তার ওপারে আরও পশ্চিমে মুণ্ডেশ্বরী। মুণ্ডেশ্বরী পেরিয়ে আরও খানিক পশ্চিমে আরামবাগের কোল ঘেঁষে দ্বারকেশ্বর।

কাকা-কাকিমার মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়েদের নিয়ে পদ্মার উঠতে অসুবিধে হল না। কিন্তু পদ্মার সংসারবুদ্ধি অনেক বেশি। সে পুরুষোত্তমকে জানাল কাকার বাড়ীর পাশেই একটা খালি জমি আছে- পুরুষোত্তম দেরী না করে যেন সে জমি কেনার ব্যবস্থা করে। ওখানেই ঘর বানিয়ে থাকবে তারা। কাকা-কাকিমা খুবই ভালো কিন্তু তাদের মেয়েজামাই নাতিনাতনিরা এলে তাদের থাকার অসুবিধে হতে পারে। পদ্মা তা চায় না।

পুরুষোত্তম দেরি করেনি। সুন্দর ছোট্ট বাড়ি করেছে তারা। পুরুষোত্তম টাকা পাঠিয়েছে কিন্তু খাটাখাটনি যোগাড়যন্ত্র সবই পদ্মা করেছে।
আরও পড়ুন:

রকম-রকম, হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-২০: অক্টোবর মাসের ষোলো, কী হল! কী হল?

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১০: রাজ ও স্প্যানিশ

ঝড়ের গতিতে সময় কেটে গেল। পুরুষোত্তম নিয়মমতো ফৌজের চাকরির বাইশটা বছর পার করে অবসর নিল। বার্নপুরে এসে গুছিয়ে বসতেই না বসতেই “এক্স-সার্ভিস ক্যাটাগরিতে” ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি বা ইস্কোতে সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি পেয়ে গেল পুরুষোত্তম। সতী তখন বারো ক্লাসে আর সাবিত্রী ক্লাস টেন। এবার সত্যি একটু নিশ্চিন্ত লাগছে। এখন একটাই প্রার্থনা। মেয়েরা পড়াশোনা করে বড় হোক। ভাল পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হোক তাদের। তারা সুখী হোক। এছাড়া মা-বাবা আর কী-ই বা চাইতে পারে?

কিন্তু মানুষের সব আশা বোধহয়…

সেদিন দুপুর থেকেই সাংঘাতিক ঝড়বৃষ্টি। পুরুষোত্তম টাওয়ার ফাইভে সেকেন্ড শিফটের সিকিউরিটি ডিউটি করছে। সন্ধ্যের মুখে হঠাৎ সিকিউরিটি কেবিনের ফোন ঝনঝন করে বেজে উঠলো। শব্দটা কেমন যেন! সিকিউরিটি কেবিনে ইনচার্জ ডাকছেন। এখন কেন? পদ্মার কাকা এসেছেন। বুকটা যেন ছ্যাঁৎ করে উঠল! বাড়ীতে কার আবার কী হলো! ঠিক এভাবেই বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিল পুরুষোত্তম। কিন্তু ফৌজে শেখানো হতো অহেতুক দুশ্চিন্তায় মানুষ বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়, সহজ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। তাই বিপদের সময় প্রথমকাজ মাথাটা যত সম্ভব ঠান্ডা রাখা। টাওয়ার ফাইভ থেকে ইনচার্জ-এর কেবিন বেশ অনেকটা রাস্তা, এসব ভাবতে ভাবতেই পুরুষোত্তম কেবিনের সামনে পৌঁছে গেল। রেনকোট থেকে বৃষ্টির জল ঝরে যাবার জন্যে একটু দাঁড়াল। বৃষ্টির ফোঁটা যেন মোটা রেনকোটের চাদর ফুঁড়ে শরীরটাও ভিজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সামনে তাকাতেই মাথাটা যেন টলে গেল। পদ্মা! পদ্মা কেন এসেছে তার কাকার সঙ্গে? ফৌজের সমস্ত শিক্ষা মাথায় উঠল- পুরুষোত্তম দরজাটা ধরে ফেলে নিজেকে সামলায়।

—পদ্মা তুমি এখানে কেন? কী হয়েছে ? কী হয়েছে আমায় বল।

সতী আর সাবিত্রী দু’ জনে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরেনি!! কিন্তু রোজকার মতো স্কুল তিনটের সময় ছুটি হয়ে গিয়েছে। হাঁটাপথে স্কুল থেকে ওদের বাড়ি ঠিক দশ মিনিট।

ভারতীয় ফৌজের সাহসী জওয়ান, সন্ত্রাসবাদী জঙ্গিদের নিখুঁত নিশানায় নিকেশ করা লড়াকু জওয়ান- পাকিস্তানী ফৌজকে নাস্তানাবুদ করা সাহসী জওয়ান পুরুষোত্তমের সমস্ত বুদ্ধিবিবেচনা বিচারশক্তি লোপ পেল মেয়েদের অজানা বিপদের কথা ভেবে এক অসহায় সাধারণ পিতার মতই পুরুষোত্তম দরজাটা ধরে বসে পড়ল। পদ্মার ফ্যাকাশে মুখটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। কাকা বললেন ওঠো ! চলো তাদের খুঁজতে হবে তো। —চলবে।
* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content