শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


খুব জ্ঞানী-গুণী কঠিন কঠিন সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ফেলা উচ্চপদে অধিষ্ঠিত সার্থক মানুষও সহজ স্পষ্ট সত্যির সামনে কিরকম কুঁকড়ে যায়। আর পাঁচটা ঝকঝকে এক্সিকিউটিভ-এর মতো আদিত্য ভাবতে শুরু করেছে মা কী বলতে পারে আর তার উত্তরে আদিত্যর রিএকশনস কী হওয়া উচিত? ২৪ ঘণ্টা এখন আর তাকে রিসার্চ নিয়ে ভাবতে হয় না। মূলত ম্যান-ম্যানেজমেন্ট করতে হয়। আর প্রতিক্ষেত্রেই আদিত্যর মতো এক্সিকিউটিভরা সময় কেনে। প্রতিপক্ষকে নিজের বিচারে মাপার চেষ্টা করে। এটাই যখন তার অভ্যেস, তখন মায়ের বেলাতেও তাই করল।

তোমার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না মা, কি বলতে চাইছো স্পষ্ট করে বল—
—আমি তোদের এখনও কিছু বলিনি, কথা না শুনেই বলে দিলি ভালো করে প্রশ্ন না দেখেই হড়বড় করে উত্তরলেখার ছোটবেলার বদস্বভাব তোর এখনও যায়নি।

অফিসে শেখা ম্যানেজমেন্ট টেকনিক মা’র কাছে ভরাডুবি হল। আসলে যিনি পৃথিবীর আলো-হাওয়া-জল শেখান তাঁকে শেখাতে যাবার চালাকি যে কাজে লাগে না এটা অনেকেই ভুলে যান। যিনি আজীবন স্পষ্টবক্তা তাঁর কাছে স্পষ্ট কথা শুনতে চাওয়াও খুব বড়ো বোকামি। অফিসে বাহবা-পাওয়া গুছিয়ে কথাবলার অস্ত্র কাজে এল না। গোঁফকাটার কাঁচি দিয়ে যেমন কাপড় কাটা যায় না, তেমনি উল্টোটা করলে নাককাটা যায় বৌ-এর সামনে আদিত্যের সেটাই হল। আদি একটু মিইয়ে গেল। পুরোনো সাদাকালো যুগের বৌমা হলে এই পরিস্থিতিতে মুখে তালা দিয়ে রাখত ইস্টম্যান কালার-এর সমকালীন পুত্রবধূরাও চুপ করে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করত। কিন্তু আনন্দী হল ডিজিটাল যুগের ফাইভ-জি মহিলা। সব বিষয়ে কথা বলতে না পারলে এই ধরনের অতিআধুনিকারা একটা হীনমন্যতায় ভোগে। তাই সংসারের যাবৎ পরিস্থিতিতে ব্যাডমিন্টন পার্টনারের মিস করা শাটল সে শাশুড়ির কোর্টে ফিরিয়ে দিল।
না না, মা আসলে আদি কিন্তু কথাটা।
—আনন্দী তোমার হাতে একবছর আগে পৌঁছনোর আগে আদিকে আমি গত তিরিশ বছর ধরে তৈরি করেছি। একা। আদি! আনন্দী তো আমায় এই এক বছর দেখছে। কিন্তু তুই তো আমায় এত বছর ধরে চিনিস। আমি যে স্পষ্ট কথা বলি লুকোছাপা করি না সেটা তোর চেয়ে ভাল কেউ জানে না। মনোহরপুকুরের বাড়ি ছেড়ে আসার দিন তোর মোটে দুবছর বয়েস তখন তোর মনে প্রশ্ন জাগেনি। কিন্তু পরে যখন তোর পাঁচ বছর মতো বয়েস মা-বাবার বারণ সত্ত্বেও আমি তোকে বলেছিলাম- তোমার বাবা আমার সঙ্গে তোমার সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন তিনি পাপকাজ করেছেন। তাই আমরা তাঁকে ত্যাগ করেছি। তোর যখন ক্লাস টেন তখন আমি তোর কাছে সে পাপকাজ পরিস্কার করেছিলাম। বলেছিলাম যে বিয়ের পর অন্য কোন মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখাটা ঘোরতর পাপ, অন্যায়। আর একাধিক মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হল ব্যভিচার।
—মা আজ এসব কথার মানে কী? কেন?
—আদি, আচ্ছা বেশ। খারাপ লাগছে বুঝতে পারছি। কিন্তু আনন্দী নিশ্চয়ই সবটা।
—হ্যাঁ, জানে আমি কিছু লুকোইনি। সত্যি লুকোতে নেই তুমিই শিখিয়েছিলে।
—হ্যাঁ, সত্যি লুকোতে নেই আর প্রাণ থাকতে মিথ্যে সন্দেহ বা অপবাদ সহ্য করতে নেই।
লাবণ্যর দৃঢ়তায় আদির সঙ্গে সঙ্গে আনন্দীও যেন চুপসে যায়।
—তোমরা কথাটা বিশ্বাস করবে কিনা জানি না। তবে তোমাদের বিশ্বাস অবিশ্বাসে আমার কিছু যায় আসে না। আমার নিঃসঙ্গ জীবনে একটা পরিবর্তন এসেছে। আমার এক বহু পুরনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু এতদিন বাদে ফিরে এসেছে।
আদিত্য এ বার বেশ অবাক।
—বন্ধু? তোমার বন্ধু? কে? আমি চিনি না?
—না চিনিস না। তোর জন্মের পর আর যোগাযোগ ছিল না।
—কী নাম? এখানকার সকলকেই জানি। মোটামুটি চিনি।
—চিরঞ্জীবকে তুই চিনিস না, চিরঞ্জীব আমার ক্লাসমেট রানুর জেঠতুতো দাদা।
আধুনিক আনন্দী আবার মনে করলো এক্ষেত্রে তার কথা বলাটা খুব দরকারি।
—রাণু তোমার বন্ধু তার দাদা মানে তো তোমার চেয়ে বড়? তাই না।
—হ্যাঁ। তোমার আদির থেকে আমার আর চিরঞ্জীবের বয়সের তফাৎটা একটু বেশি ছিল।
আমরা অনেকেই স্পষ্টবাদী বলে দাবি করি। কিন্তু সঠিক স্পষ্ট কথা শুনলে আচমকা কানমাথা ভোঁ ভোঁ করে ওঠে। আনন্দীর ঠিক সেরকমই হল। আদির মুখে কোন কথা নেই আদি মুখ নামিয়ে নিয়েছ।
—আদি, তুই তো জানিস আমি স্পষ্ট কথা স্পষ্টভাবে বলতে ভালোবাসি। তবে যে কথাটা জানাবার জন্য আমি এতটা কিন্তু কিন্তু করছিলাম, সেটা হল চিরঞ্জীব মারা গিয়েছে।
হাওয়ার মধ্যে দপ করে আগুন জ্বলে উঠলেও আদি বা আনন্দী বোধহয় এতটা চমকাত না। আদি খানিকটা বোকার মত প্রশ্ন করে ফেলে
—তার মানে? তুমি যে বললে তোমার পুরোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু এতদিন বাদে আবার ফিরে এসেছে।
—এসেছে তো। চিরঞ্জীব ফিরে এসেছে।
আনন্দী যেন গুরুগম্ভীর একটু বোঝানোর দায়িত্ব নেয়। আধুনিক কেতাদুরস্ত কথায় যাকে কাউন্সেলিং বলে।
—মা তুমি কি বলছো সেটা বুঝে বলছ?
—হ্যাঁ, আসলে বিয়ের পর তুমি চার কি পাঁচবার মাত্র বোলপুরে আসার সময় পেয়েছো। তাই তুমি জানো না আমি না-বুঝে খুব একটা কথা বলি না। আদি এত ব্যস্ত তাই তাই তোমাদের গল্প তোমাদের সংসারের ভবিষ্যৎ ভাবনা এসব শেষ করে নিশ্চয়ই মায়ের গল্প করার সময় আদি পায়নি।
আরও পড়ুন:

এক বাক্স চিঠি/২

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩৭: মনচলি ও মনচলি…কিশোর-আশার কণ্ঠ আর অমিতাভর নাচ, মনে আছে?

আদির কাছে হঠাৎ মনে হল নিজের ক্যারিয়ার নিজের সংসার শহরের বন্ধুবান্ধব এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতে সে তার মাকে হয়তো একটু অবহেলাই করেছে। আর তার মা তো আর পাঁচজনের মায়ের মত নয়। তার মা-ই তার বাবা, মা-ই তার মা। মা-ই তার বন্ধু। মা তার সবকিছু। তবে ছিল। একটা পরিপূর্ণ সার্থকজীবন পাবার আগে মা তার সবকিছু ছিল। আজ নেই। বিবেকের সামনেই একমাত্র আব্রুহীন ভাবে দাঁড়ানো যায়। সে আব্রু পোশাক নয়, সে আব্রু হল মুখোশ-ভণিতা-আড়াল। সেই আব্রুহীন আদি মেনে নিল তার দেওয়া একাকীত্ব বোধহয় মাকে এরকম অদ্ভুত একটা মানসিক পরিস্থিতির মুখোমুখি পৌঁছে দিয়েছে।
জন্মের সময় মায়ের থেকে নাড়ি কেটে সন্তানকে আলাদা করে দেওয়া হয়। কিন্তু মা আর সন্তানের মধ্যে নাড়ির সেই ব্লুটুথ কানেকশনটা থেকে যায়। তাই বোধহয় সন্তান না পারলেও মা সন্তানের মুখ-চোখ, মুখে বলা না-বলা শব্দ নৈঃশব্দ্য পড়তে পারেন বুঝতে পারেন।
—আদি তোর কি মনে হচ্ছে এটা আমার মানসিক বৈকল্য একা একা এখানে থাকি তাই এমন সব পাগলামো মাথার মধ্যে ঢুকেছে। না না। তুই তো জানিস একা থাকা আমার বহু বছরের অভ্যেস। বরং একা থাকলেই আমি ভাল থাকি।
আদি মা’র সামনে গিয়ে বলে—
—আচ্ছা তোমার এই রিসেন্ট জ্বর হবার পর থেকেই এমন মনে হচ্ছে?
—এর সঙ্গে আমার জ্বর হওয়া ভারী ওষুধ খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এসব আমাদের সোনার মনগড়া ভাবনা
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২২: সুন্দরবনে গোয়াল পুজো আর ‘ধা রে মশা ধা’

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৫: কানে তালায় কানের ড্রপ?

লাবণ্য সব জানাল। সে যদি কমবয়সে এখনকার মতো সাহসী হত, তাহলে জীবনটা অন্যরকম হতে পারত। ভীতু ছিল নানান সংকোচ ছিল। তাই বিয়েটা একজন দুশ্চরিত্রের মানুষের সঙ্গে সম্বন্ধ করে হয়েছিল। চিরঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্কে কোন কলঙ্কের দাগ লাগেনি। নির্ভেজাল নিষ্কলুষ ভালোবাসা। চিরঞ্জীব নিয়মিত লম্বা লম্বা চিঠি লিখত। লাবণ্য তার হয়তো এক বা দুই লাইনের উত্তর পাঠিয়েছে বা হয়তো সব চিঠি নিয়মিত উত্তর পাঠায়নি। চিরঞ্জীব সব চিঠি যত্ন করে একটা কাশ্মীরি কাজ করা কাঠের বাক্সে রাখা ছিল ওদের বোলপুরের বাড়িতে। এতদিন বাদে পুরনো সম্পর্ক চুকেবুকে যেতে ছেড়ে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে সেই কাঠের চিঠি বোঝাই বাক্স লাবণ্যর হাতে পড়লো। আবার তার জীবনে ফিরে এলো চিরঞ্জীব। তারপরই হঠাৎ রাণুর কাছ থেকে খবর এল চিরঞ্জীব নেই।
প্রথম দু-তিন দিন সে প্রথাগতভাবে প্লানচেট করেছিল কোনও লাভ হয়নি। তার সেই বাক্স বোঝাই চিঠি আর চিরঞ্জীবের স্মৃতি চিরঞ্জীবকে ফিরিয়ে আনল লাবণ্যর কাছে। চিঠি বোঝাই বাক্সটা লাবণ্য দেখিয়েছিল ছেলে আর বৌমাকে।

সেদিন রাতে মা বলেছিল আদিকে তার ঘরে থাকতে চিরঞ্জীবের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবে বলে- আধুনিকা আপাতসংস্কারহীনা আনন্দী নিজের সংস্কার আর আতঙ্ক লুকিয়ে আদিকে আগলে রেখেছিল।

অদ্ভুতভাবে চিরঞ্জীব সেদিন আসেনি। লাবণ্য অনেক চেষ্টা করেও চিরঞ্জীবের অস্তিত্ব খুঁজে পেল না গোটা রাত ঘুমোতে পারলো না লাবণ্য। ভোররাতে উঠে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুম এল। চিরঞ্জীবীর আসার পর ঘুমের ব্যাঘাত হত না যাবার সময় চিরঞ্জীব বলে যেত। এ বার ঘুমোও বন্যা, বিশ্রাম করো।

এ দিকে সারারাত্তির নিজেদের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কনফারেন্স কল করে মায়ের পুরোনো চেনা মানুষের আত্মা দেখার ব্যাপারটা আলোচনা করল আদি আর আনন্দী। সঙ্গত কারণেই আত্মার প্রকৃত পরিচয় গোপন থাকলো। চেনাশোনা সূত্রে এক নামকরা প্যারাসাইকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ হল খুবই ব্যস্ত ডাক্তার। তিনি আবার অকাল্ট সাইন্স নিয়ে বিদেশে রিসার্চ করেছেন। মা চট করে কলকাতা যেতে চাইবেন না। একটা ইনফ্লুয়েন্সিয়্যাল যোগসূত্রে তড়িঘড়ি তাঁর অ্যাপয়নমেন্ট পাওয়া গেল। তারপর থেকে সপ্তাহখানেক তিনি দেশের বাইরে থাকবেন। তাই পরের দিনই বিস্তর খরচ করে গাড়ি দিয়ে তাঁকে কলকাতা থেকে বোলপুরে আনার ব্যবস্থা হল। অফিসের বড় কর্তারা-সকলেই আদিকে পরামর্শ দিলেন সমস্যা মিটিয়ে জয়েন করতে।
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২২: এদিক ওদিক বেড়ায় তবু ভুলের পাড়া বেড়ায় না

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১৩: উইলসন-এ-কথা

ডাক্তার অলকেন্দু চৌধুরী মাকে দেখার আগে বাড়িতে ঘুরে দেখলেন। মার কাছে তিনি স্পেশালিস্ট ডাক্তার হিসেবে পরিচিত হলেন। মাকে একবার চেকআপ করিয়ে নেওয়ার জন্য আদি কলকাতা থেকে ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছে -লাবণ্য প্রথমে এমনটাই ভেবেছিল কিন্তু ডাক্তার চৌধুরী যখন তাকে পুরনো জীবন বন্ধুবান্ধব এইসব বিষয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন তখন লাবণ্যর কাছে পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে গেল। আর জীবনে এই প্রথম ছেলের ওপর ভীষণ অভিমান হল লাবণ্যর। যদি মনে হয়েছিল যে মায়ের মানসিক চিকিৎসা করার দরকার আছে তাহলে আদি মাকে সেটা সরাসরি স্পষ্টভাবে জানালো না কেন। লাবণ্য সব প্রশ্ন এড়িয়ে গেল। তার সঙ্গে যখন আড়াল আবডাল শুরু হয়েছে তখন তিনি সে ভাবেই চলবেন।

ডাক্তার চৌধুরী জানালেন পেশেন্ট খুবই ইন্টালিজেন্ট। পুরনো কথা কিছুই প্রায় বলছেন না। তবে চিন্তা করবেন না। উনি সুস্থ হয়ে যাবেন। হাতে আজ সময় কম কালই বেরিয়ে যাব। আমি ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দিচ্ছি চালু করে দিন। তবে একটা দুটো ওষুধ হয়তো বোলপুরে পাবেন না কলকাতা থেকে আনাতে হবে। কেমন থাকে আমায় হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে জানাবেন। ফিরে এসে আমি কয়েকটা সিটিং নেব।

ডাক্তার চৌধুরীর অ্যাপার্টমেন্টের দরকার পড়েনি। ওষুধও আনাতে হয়নি। তবে ঘুমের ওষুধগুলো সব শেষ হয়ে গিয়েছে। লাবণ্য ঘুমের মধ্যেই চিরদিনের মতো চিরঞ্জীবের কাছে ফিরে গিয়েছে। অফিসের বড়কর্তারা সমস্যা মিটিয়ে জয়েন করার জন্য ছুটি দিয়েছিলেন। এত তাড়াতাড়ি সমস্যা মিটে যাবে সেটা আদিও ভাবতে পারেনি। মৃতের সঙ্গে পার্থিব ও কোন কিছুই পাঠাতে নেই এই বিধান না মেনে আদি, চিঠি-বোঝাই সেই কাশ্মীরি কাজ করা কাঠের বাক্স মায়ের বুকের উপর রেখে তারপর চিতার কাঠ সাজাতে বলল। একটামাত্র চিঠি আদির কাছে ছিল। আদি আর আনন্দীকে লেখা ছোট্ট চিঠি।

—‘সাহস করে অজানায় পাড়ি দিলুম। পুলিশকে বোলো অকারণ ব্যস্ত না হতে। এই সিদ্ধান্ত সচেতন এবং সজ্ঞানে নেওয়া। তোমরা ভালো থেকো সুখে থেকো। সোনার বিয়ের দায়িত্বটা আমার রেখে যাওয়া টাকায় পালন করো।’
মা।
সমাপ্ত
* এক বাক্স চিঠি (a-box-of-letters) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content