ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
আমরা প্রায় সকলেই টিকা বা ভ্যাকসিন সম্পর্কে অবহিত। একটি শিশুর জন্মের পর থেকেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমরা সেই বিষয়ে খুবই সচেতন থাকি বা অবহিত থাকি। কিন্তু পূর্ণবয়স্ক মানুষদের জন্যও যে বিভিন্ন টিকা আছে সে বিষয়ে আমরা বেশিরভাগ মানুষই জ্ঞাত নই। বিশেষ করে প্রবীণদের জন্য যে আলাদা টিকা আছে সেটা আমরা জানি কতজন?
টিকা আসলে আমাদের শরীরে যে রোগ জীবাণু প্রবেশ করে বিশেষ করে ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে অগ্রিম অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে। ফলে কোনও কারণে সেই নির্দিষ্ট জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনাক্রমতা গড়ে তোলে। বিভিন্ন ধরনের টিকা রয়েছে যাদের কাজের ধরনও আলাদা।
করোনা আসার পর করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা প্রায় সকলেই সচেতন। প্রবীণদের অনেকেরই ইতিমধ্যে কোভিশিল্ডের প্রিকশনারি বা বুস্টার ডোজও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের ৩৯ সপ্তাহের পর এই প্রিকশনারি বা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। যদি এর মধ্যে কারওর করোনা হয়ে থাকে তাহলে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। অনেকের দ্বিধা রয়েছে এই টিকা নিয়ে আদৌ কোনও লাভ হবে কি না? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা উচিত যে, যে কোনও ভ্যাকসিনই (ব্যতিক্রমী কিছু বাদ দিলে) ৭০% থেকে ৮০% কার্যকরী। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও তাই ২০%-৩০% ক্ষেত্রে জীবাণু কর্তৃক সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই ৭০% থেকে ৮০% প্রতিরোধই বা কম কীসে?
অনেকেই করোনার দুটি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হবার কথা উল্লেখ করবেন জানি। আমরা কিন্তু কখনওই বলিনি যে টিকা নিলেই করোনা আর হবে না। বরং আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা যা বিভিন্ন গবেষণাতেও প্রকাশ পেয়েছে তাতে একটা সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ বলাই যায়৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যাঁদের করোনা হয়েছে তাঁদের সামান্য উপসর্গের মাধ্যমেই রোগ সেরে গেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা, আইসিসিইউ-তে ভর্তির সংখ্যা, মৃত্যুহার অনেক কম তুলনামূলকভাবে যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের থেকে। তাই সমস্ত সন্দেহকে দূরে সরিয়ে রেখে নির্দ্বিধায় এই টিকা নিয়ে নিন। কিছু ক্ষেত্রে যেমন কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টিকা গ্রহণ করলে ভালো হয়। আর একটি কথা, করোনা টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পর যেকোনও আলাদা টিকা নিতে পারবেন।
টিকা আসলে আমাদের শরীরে যে রোগ জীবাণু প্রবেশ করে বিশেষ করে ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে অগ্রিম অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে। ফলে কোনও কারণে সেই নির্দিষ্ট জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনাক্রমতা গড়ে তোলে। বিভিন্ন ধরনের টিকা রয়েছে যাদের কাজের ধরনও আলাদা।
করোনা আসার পর করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা প্রায় সকলেই সচেতন। প্রবীণদের অনেকেরই ইতিমধ্যে কোভিশিল্ডের প্রিকশনারি বা বুস্টার ডোজও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের ৩৯ সপ্তাহের পর এই প্রিকশনারি বা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। যদি এর মধ্যে কারওর করোনা হয়ে থাকে তাহলে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। অনেকের দ্বিধা রয়েছে এই টিকা নিয়ে আদৌ কোনও লাভ হবে কি না? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা উচিত যে, যে কোনও ভ্যাকসিনই (ব্যতিক্রমী কিছু বাদ দিলে) ৭০% থেকে ৮০% কার্যকরী। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও তাই ২০%-৩০% ক্ষেত্রে জীবাণু কর্তৃক সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই ৭০% থেকে ৮০% প্রতিরোধই বা কম কীসে?
অনেকেই করোনার দুটি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হবার কথা উল্লেখ করবেন জানি। আমরা কিন্তু কখনওই বলিনি যে টিকা নিলেই করোনা আর হবে না। বরং আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা যা বিভিন্ন গবেষণাতেও প্রকাশ পেয়েছে তাতে একটা সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ বলাই যায়৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যাঁদের করোনা হয়েছে তাঁদের সামান্য উপসর্গের মাধ্যমেই রোগ সেরে গেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা, আইসিসিইউ-তে ভর্তির সংখ্যা, মৃত্যুহার অনেক কম তুলনামূলকভাবে যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের থেকে। তাই সমস্ত সন্দেহকে দূরে সরিয়ে রেখে নির্দ্বিধায় এই টিকা নিয়ে নিন। কিছু ক্ষেত্রে যেমন কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টিকা গ্রহণ করলে ভালো হয়। আর একটি কথা, করোনা টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পর যেকোনও আলাদা টিকা নিতে পারবেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন শিশুদের মতো বয়স্কদেরও টিকার ভীষণ গুরুত্ব রয়েছে। বয়স্কদের সাধারণত দুটি ভ্যাকসিন খুব জরুরি। একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন। ৬৫ বছর বা বেশিদের জন্য বছরে ১ বার ১৪ (IIV) বা আরআইভি (RIV) দিতে হবে। এর মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করা যায়। বয়স্কদের এই সাধারণ সমস্যা থেকেই কিন্তু জটিল সমস্যার আকার ধারণ করতে পারে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ হল নিউমোক্কাল ভ্যাকসিন। এটি দু’ধরনের পিসিভি (PCV) ১৩ এবং পিসিভি (PCV) ২৩। এই ভ্যাকসিন মারণব্যাধি নিউমোনিয়া থেকে প্রতিরোধ গড়তে সাহায্য করে। এছাড়াও হেপাটাইটিস-এ এবং বি, মেনিনগোকক্কাল, জস্টার ভাইরাস ভ্যাকসিন, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ইত্যাদি নেওয়া যায়। যদিও চিকিৎসকরাই এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। তথ্য বলছে প্রবীণদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর সারা পৃথিবীব্যাপী মূল কারণ কিন্তু এই নিউমোনিয়া। তাই সকলকে এই বিষয়ে সচেতন হতেই হবে।
আগামী পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করব এই টিকাগুলো সম্পর্কে।
লেখক: কর্ণধার ‘বাঁচবো’, সহ সম্পাদক জেরিয়াট্রিক সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ শাখা৷ উপদেষ্টা, প্রোটেক্ট দ্যা ওয়ারিয়ার্স। যোগাযোগ : ‘বাঁচবো’, ফোন : ৯৯০৩৩৮৮৫৫৬
আগামী পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করব এই টিকাগুলো সম্পর্কে।
লেখক: কর্ণধার ‘বাঁচবো’, সহ সম্পাদক জেরিয়াট্রিক সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ শাখা৷ উপদেষ্টা, প্রোটেক্ট দ্যা ওয়ারিয়ার্স। যোগাযোগ : ‘বাঁচবো’, ফোন : ৯৯০৩৩৮৮৫৫৬