বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


আগামী মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে নাসা। পৃথিবী তিন বছর পর ফের এই বিরল মহাজাগতিক মুহূর্তের সাক্ষী হবে। যেখানে সূর্য, চাঁদ আর পৃথিবী সমান্তরাল রেখায় আসবে। সূর্যের আলোকে আড়াল করে পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের মাঝেখানে চলে আসবে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পৃথিবীর ছায়া ‘আম্ব্রা’ পুরোপুরি চাঁদকে ঢেকে দেবে। আর সে সময়ই চাঁদে গ্রহণ লাগবে। মঙ্গলবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এই বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। যদিও ভারতে থেকে এই দৃশ্য দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
নাসা জানিয়েছে, এবার যাঁরা এই চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবেন না, তাঁদের দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে। মঙ্গলবার চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়ে যখন তা পূর্ণ অবস্থায় পৌঁছবে, সে সময় চাঁদ উঠবে না ভারতের আকাশে। ভারতে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন চন্দ্রোদয় হবে তখন চাঁদের গ্রহণ ছেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন:

ভারত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করবে! উদ্বিগ্ন চিন গুপ্তচর জাহাজ ভাসাল ভারত মহাসাগরে

অ্যালঝাইমার্সের যত্ন বেশ চ্যালেঞ্জের, সঠিক পরিচর্যায় ধৈর্যশীল, সহনশীল, সংবেদনশীল এবং কৌশলী হতে হবে

মঙ্গলবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে আন্তর্জাতিক সময় (জিএমটি) সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে। ৮৫ মিনিট ধরে চলবে। চন্দ্রগ্রহণ ছেড়ে যাবে ১০টা ৪২ মিনিটে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে। বিকেল পৌনে ৪টে থেকে পূর্ণচন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। একেবারে পূর্ণ রূপে পৌঁছবে সাড়ে চারটের সময়। আবার ছেড়ে যাবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। তাই চন্দ্রগ্রহণ যখন ছেড়ে যাবে, তখন ভারতের আকাশে আর চাঁদ দেখা যাবে না।
অন্যদিকে, প্রতিবেশী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। একেবারে পূর্ণ রূপে পৌঁছবে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে। আর ছেড়ে যাবে সন্ধে ৭টা ৫৬ মিনিটে। মোট ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট স্থায়ী হবে।

আরও পড়ুন:

ভোরে শিরশিরে ঠান্ডার আমেজ, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আরও পারদপতন, কলকাতায় কবে থেকে শীত?

গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!

যে সব জায়গা থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, সেখানকার আকাশে লাল রঙের চাঁদ দেখা যাবে। লাল রঙের কারণ নিয়ে নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর ছায়াই চাঁদের ওই অদ্ভুত রঙ তৈরি করবে। যে কারণে সকালে নীল আকাশ দেখা যায় আর সূর্যাস্তের সময় আকাশের রং হয় লাল, সেই একই কারণে চাঁদের রংও লাল দেখাবে। পৃথিবীর আবহাওয়া মণ্ডলে থাকা ধুলিকণায় প্রতিফলিত হয়েই ওই রঙ আমাদের চোখে পড়বে।

Skip to content