শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ইসরোর ডাকে সাড়া দিল না চন্দ্রযান-৩। চাঁদের মাটিতে কাজ শেষে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো পরিকল্পনা ছিল, চাঁদে আবার সূর্য উঠলে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করা হবে। শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইসরোর বিজ্ঞানীরা সেই চেষ্টাও করেছিলেন। যদিও তারা সাড়া দেয়নি।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিক্রম বা প্রজ্ঞানের কাছ থেকে কোনও সিগন্যালই পৃথিবীতে এসে পৌঁছয়নি। ইসরো এও জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সাড়া না পেলেও বিজ্ঞানীরা হাল ছাড়তে নারাজ। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে ইসরো তাদের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এখনও তাদের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। তবে বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা জারি থাকবে।’’

আরও পড়ুন:

পরিযায়ী মন, পর্ব-৭: ভিস্তা ডোমে তিস্তার দেশে

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৮: আমি শুনি গো শুনি তোমারে…

ইসরো প্রজ্ঞানকে গত ২ সেপ্টেম্বর ঘুম পাড়িয়েছিল। পাশাপাশি গত ৪ সেপ্টেম্বর বিক্রমকেও নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল ইসরো। প্রজ্ঞান এবং বিক্রম চাঁদের আকাশে ওঠা সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন টানা দিনের আলো থাকার পরে আবার টানা ১৪ দিন রাত হয় চাঁদে। তাই চাঁদের আকাশে সূর্য থাকতে থাকতেই বিক্রম আর প্রজ্ঞান যাতে নিজেদের কাজ শেষ করতে পারে, এমনই পরিকল্পনা করেছিল ইসরো। কারণ বিজ্ঞানীদের মনে করেছিলেন চাঁদে রাত নামলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিকল হয়ে যেতে পারে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশ। তাহলে কি বিজ্ঞানীদের সেই আশঙ্কাই শেষমেশ সত্যি হতে চলেছে?
আরও পড়ুন:

অপরিচ্ছন্ন দাড়ি, এক ঝাঁক রুক্ষ চুল, ক্ষত-বিক্ষত মুখ, ‘বাঘা যতীন’-এর নতুন রূপে চমক দেবের

রিভিউ: জুটির প্রত্যাবর্তন, মনের জটিলতা নিয়ে সহজ প্রেমের গল্প কিয়ারা-কার্তিকের ‘সত্যপ্রেম কি কথা’

আর যদি কোনও ভাবেই বিক্রম বা প্রজ্ঞানকে সক্রিয় না করা যায়, তবে তারা চাঁদের মাটিতেই স্থায়ীভাবে থেকে যাবে। কারণ তাদের আর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ল্যান্ডার এবং রোভারের মাধ্যমে ইসরোর হাতে যে সব তথ্য এসে পৌঁছেছে, তা আগামী দিনে মহাকাশ এবং চন্দ্র অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

Skip to content