বৃহস্পতি গায়ে বিদ্যুৎচমক।
বৃহস্পতি সৌরজগতের সবথেকে বড় গ্রহ। আর এই গ্রহকে নিয়ে কৌতূহলেরও শেষ নেই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। বৃহস্পতিতে নজরদারী চালাতে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জুনো নামে একটি মহাকাশযানটি পাঠিয়েছিল। সূর্য থেকে ৮৮,৮৫০ মাইল দূরে থাকা বৃহস্পতির বজ্রপাতের সেই ছবি জুনোর ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে বলে নাসা জানিয়েছে।
সম্প্রতি নাসা জুনোর ক্যামেরায় তোলা একটি পুরনো প্রকাশ করেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতির গ্রহপৃষ্ঠের উপরের দিকে একটি সবুজ আলোর বিন্দু। সেটাই নাকি বৃহস্পতি গায়ে বিদ্যুৎচমক। এমনই দাবি করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। জুনো ছবিটি তুলেছিল ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী কেভিন এম গিল ২০২২ সালে পুরনো তথ্য বিশ্লেষণ করছিলেন। তখনই তাঁর নজরে আসে এই ছবিটি। সম্প্রতি নাসা সেই ছবিটি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩: গায়ে আমার পুলক লাগে
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবীতে যে ভাবে বজ্রপাত হয়ে থাকে, সেই নিয়মে বৃহস্পতিতে হয় না। সেখানে আলাদা নিয়ম। পৃথিবীতে জলবিন্দু জমে মেঘের সৃষ্টি হয়ে, আর তার থেকেই বজ্রপাত হয়। পৃথিবীতে সাধারণত নিরক্ষীয় অঞ্চলে বেশি বজ্রপাত হয়। কিন্তু ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতিতে বজ্রপাত হয়ে মেরু এলাকায়। সেখানে অ্যামোনিয়া ও জল মিলে সৃষ্টি হয় মেঘ। আর সেই মেঘ থেকে থেকেই বজ্রপাত হয়ে থাকে। তাই পৃথিবীর থেকে বৃহস্পতিতে বজ্রপাত আলাদা নিয়ম।
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৬: ‘ও হানসিনি, মেরি হানসিনি কাঁহা উড় চলি’—কিশোর-পঞ্চম ম্যাজিক চলছেই
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬০: গ্রাম বাংলায় আমুর কার্প মাছের বীজ উৎপাদন করে ভালো রোজগার করা সম্ভব
নাসা জানিয়েছে, ছবিটি তোলার সময় জুনোর অবস্থান ছিল বৃহস্পতির মেঘের স্তর থেকে ১৯,৯০০ মাইল দূরে। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ছবি মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা গঠিত বৃহস্পতির আবহাওয়া ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণায় নতুন দিশা দেখাবে। নাসার মহাকাশযান জুনো সেই ২০১৬ সাল থেকে বৃহস্পতির চারপাশে ঘুরছে।