সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে নাসার বহু প্রতীক্ষিত ‘আর্টেমিস ১’ মিশনের । অবশেষে চাঁদে পাড়ি দিল যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হল আজ বুধবার।
৫০ বছর পরে ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর বড়সড় পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে বুধবার যাত্রীবিহীন মহাকাশযান পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দিল। নাসার এই ‘মিশন’ সম্পন্ন হবে তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে থাকা ‘আর্টেমিস ১’ আসলে একটি যাত্রিবিহীন অভিযান। ‘আর্টেমিস ১’-এর মূল কাজ হল চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য উপযুক্ত ‘ল্যান্ডিং সাইট’ খোঁজা। দ্বিতীয় ধাপেও এই পরীক্ষা চলবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ সফল হলে পরবর্তী অভিযানে মানুষ চাঁদে পাড়ি দেবে।
৫০ বছর পরে ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর বড়সড় পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে বুধবার যাত্রীবিহীন মহাকাশযান পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দিল। নাসার এই ‘মিশন’ সম্পন্ন হবে তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে থাকা ‘আর্টেমিস ১’ আসলে একটি যাত্রিবিহীন অভিযান। ‘আর্টেমিস ১’-এর মূল কাজ হল চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য উপযুক্ত ‘ল্যান্ডিং সাইট’ খোঁজা। দ্বিতীয় ধাপেও এই পরীক্ষা চলবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ সফল হলে পরবর্তী অভিযানে মানুষ চাঁদে পাড়ি দেবে।
আগে ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণের কথা ছিল গত ২৯ অগস্ট। উৎক্ষেপণের জন্য কাউন্ট ডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে রকেটের তরল হাইড্রোজেনের লাইনে ছিদ্র দেখা যায়। তড়িঘড়ি কাউন্ট ডাউন বন্ধ করে ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণকে মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয়। অনেক চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সে দিন অভিযান বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
LIVE NOW: Teams are preparing to launch the @NASA_Orion spacecraft to the Moon aboard the @NASA_SLS rocket. Watch coverage of the rocket fueling process for the #Artemis I mission.
Follow @NASAGroundSys for updates. https://t.co/FO7d5p9xeH
— NASA (@NASA) November 15, 2022
আরও পড়ুন:
ট্রেনেই মিলবে পছন্দের খাবার, ডায়াবিটিস যাত্রীদের খাবার, ‘বেবি ফুড’, আর কী কী থাকছে রেলের নতুন মেনু কার্ডে?
জেলায় জেলায় দোরগোড়ায় হাজির শীত, ঝকঝকে আকাশ, নামছে পারদ, কলকাতায় কবে থেকে ঠান্ডা?
এর পর গত ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণের পরবর্তী দিন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সে বারও তরল হাইড্রোজেনের ট্যাঙ্কে ছিদ্র ধরা পড়ে। শেষ পর্যন্ত এই অভিযানও বাতিল করতে হয়। এর পর বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ওরিয়ন মহাকাশযানের কথা ভাবা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত নাসার বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটের উপরেই ভরসা রাখছেন। ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত রকেটের নীচে ৪টি বড় ইঞ্জিনে রয়েছে। সেই চারটি ইঞ্জিনে ৩০ লক্ষ লিটার প্রচণ্ড ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন রাখা হয়েছে। এই তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পুড়ে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে যান।
আরও পড়ুন:
অকালেই চুল পেকে যাচ্ছে? সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
সাধের রান্নাঘর নিয়ে প্রায়ই বিব্রত? টেনশন ফ্রি থাকতে রইল কিছু টোটকা
উল্লেখ্য, ‘অ্যাপোলো-১১’ মিশনে করে ১৯৬৯ সালে নাসার মহাকাশচারী নিল আর্মস্ট্রং ও এডুইন অলড্রিন প্রথম চাঁদে পা রেখেছিলেন। এর পরে ‘অ্যাপোলো-১৭’ যানের সাহায্যে নাসার মহাকাশচারী জেন সারনান ১৯৭২ সালে চাঁদে নেমেছিল।