
ছবি: প্রতীকী।
তীব্র গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশালাকৃতির একটি গ্রহাণু। সেটি মঙ্গলবারই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে বলে সতর্ক করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ওই গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘অ্যাসটেরয়েড ২০২৩জেকে১’। এর গতিবেগ গতি ঘণ্টায় ৩১ হাজার ২২৭ কিলোমিটার। এতটা বেগে সে ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি বিমানের মতো বেশ বড়সড়। এবড়োখেবড়ো পাথরখণ্ডটি চওড়ায় প্রায় ৯১ থেকে ২০৩ ফুট। তবে ঘণ্টায় ৩১ হাজার ২২৭ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে এলেও নীল গ্রহে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবারই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে। সে সময় পৃথিবী ও গ্রহাণুটির দূরত্ব হবে ৬৫ লক্ষ কিলোমিটার। আমাদের অনেকটা দূর মনে হলেও, মহাকাশের বিচারে ৬৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব খুবই কম। সে কারণেই ‘অ্যাসটেরয়েড ২০২৩জেকে১’ গ্রহাণুকে ‘পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু’র বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:

প্যাচপেচে গরমে রোদে বেরোলেই কি ত্বকে র্যাশ বেরোচ্ছে? কাজে লাগতে পারেন আইস থেরাপিকে

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৬: যুগে যুগে যা ‘সবার উপরে’
মহাকাশে গ্রহাণুদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে টেলিস্কোপ এবং নানা ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি বসিয়ে রেখেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে শুধু গ্রহাণু নয়, যে কোনও মহাজাগতিক বস্তুর গতিবিধিই নাসার বিজ্ঞানীরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন:

একশো কোচ নিয়ে আল্পসে ছুটল বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ট্রেন! পেরল ৪৮ রেল ব্রিজ ও ২৮টি টানেল

আপনি কি ডায়াবেটিসে ভুগছেন? নিয়মিত শরীরচর্চায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস
পৃথিবীর চারপাশে হরেক গ্রহাণুর গতিবিধি অবশ্যই এই নতুন নয়। প্রায়শই শোনা যায়, নানা আকারের গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। যদিও সেগুলি পৃথিবীর একদম কাছাকাছি চলে আসার সম্ভাবনা থাকে না। তবু নাসা তীক্ষ্ণ নজর রাখে ওই সব গ্রহাণুর উপর।