চাঁদের মাটিতে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ছবি: ইসরো।
চাঁদের মাটিতে ঘুমিয়ে থাকা ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আগামীকাল শুক্রবারই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যদিও সাফল্য আসবেই এমনটা নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। কারণ, চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতি অর্থাৎ ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে ফের সক্রিয় করে তোলার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য উঠলেও সেখানে এখনও ভোর। বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ওপর সূর্যের অল্প আলো এসে পড়েছে। কিন্তু তাতে চন্দ্রযানের যন্ত্রপাতির ব্যাটারি আদৌ চার্জ হচ্ছে কি না, তা পরিষ্কার নয়। আগামীকাল শুক্রবার ইসরোর বিজ্ঞানীরা বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করবেন। সূর্যের আলোয় বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের গায়ে থাকা সোলার প্যানেল সক্রিয় হয়ে ওঠার কথা। যদি চার্জ সম্পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে বিক্রম বা প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৮: চল্লিশ পার হলেই নিরামিষ?
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৬: অ্যালেন, দেখলেন, খেলেন
তবে চন্দ্রযান-৩-কে সক্রিয় করে তোলার বিষয়ে ইসরো খুব একটা আশাবাদী নয়। তাদের কথায়, তারা শুধু বিক্রম বা প্রজ্ঞান একবার জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। চন্দ্রযান-৩-কে যে উদ্দেশ্যে চাঁদের মাটিতে নামানো হয়েছিল, তা সফল হয়েছে। তবে যদি কোনও কারণে ল্যান্ডার এবং রোভারটিকে দ্বিতীয় বার জাগিয়ে তোলা সম্ভব হয় তাহলে বিজ্ঞানীদের হাতে আরও কিছু তথ্য আসতে পারে।
আরও পড়ুন:
বলিপাড়ার প্রথম সারির নায়িকা ক্যাটরিনা, এ বার তাঁকে বিয়ের ঠেলা বুঝছেন ভিকি!
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৮: আমি শুনি গো শুনি তোমারে…
ইসরো ল্যান্ডার বিক্রমকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠালেও তার রিসিভারকে সক্রিয় রেখেছিল। চাঁদে রাত শেষে ভোর হলে যাতে আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, সেই রাস্তা খুলে রেখেছিল ইসরো। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সূর্য। কারণ সূর্যের আলোতেই চন্দ্রাভিযানের সব যন্ত্রপাতি কাজ করছে। ইসরোর বক্তব্য, চাঁদের তাপমাত্রা আরও বাড়লে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞানীরা বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাবেন। যদিও সেই যোগাযোগ আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার ভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ, চাঁদে রাত নামলে তাপমাত্রা অনেক সময় হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি নীচেও পৌঁছে যায়। সেই হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা বিক্রম, প্রজ্ঞান সহ্য করতে পেরেছে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। এত ঠান্ডায় চন্দ্রাভিযানের সব যন্ত্রপাতির স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আর যদি কোনও ভাবেই বিক্রম বা প্রজ্ঞানকে সক্রিয় না করা যায়, তবে তারা চাঁদের মাটিতেই স্থায়ীভাবে থেকে যাবে। কারণ তাদের আর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ল্যান্ডার এবং রোভারের মাধ্যমে ইসরোর হাতে যে সব তথ্য এসে পৌঁছেছে, তা আগামী দিনে মহাকাশ এবং চন্দ্র অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
আর যদি কোনও ভাবেই বিক্রম বা প্রজ্ঞানকে সক্রিয় না করা যায়, তবে তারা চাঁদের মাটিতেই স্থায়ীভাবে থেকে যাবে। কারণ তাদের আর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ল্যান্ডার এবং রোভারের মাধ্যমে ইসরোর হাতে যে সব তথ্য এসে পৌঁছেছে, তা আগামী দিনে মহাকাশ এবং চন্দ্র অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।