শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

বড় খবর। আরও একবার নজির গড়তে চলেছে ভারত। মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরি করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। রাশিয়া, আমেরিকা এবং চিনের পর বিশ্বে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হতে চলেছে ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ। তিনি জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যেই স্পেস স্টেশনটিকে মহাকাশে পাঠানো হবে। শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতিপর্ব। ওই স্পেস স্টেশনে কী ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা সে সব নিয়ে জোর কদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
 

ভারতের স্পেস স্টেশনের নাম কী?

ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনে কী ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। স্পেস স্টেশনটি নিম্ন কক্ষপথে থাকবে। এর নাম রাখা হবে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’।
 

কতজন থাকতে পারবেন?

দুই থেকে চার জন নভশ্চর থাকতে পারবেন এই স্পেস স্টেশনের ভিতরে।
 

কত উচ্চতায় থাকবে

তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণণ নায়ার জানান, ইসরোর রকেট ‘বাহুবলী’ এবং লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ (এলভিএম ৩)-এর মাধ্যমে স্পেস স্টেশনের বিভিন্নজিনিসপত্র মহাকাশে পাঠানো হবে। ভারতের স্পেস স্টেশন ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় যে কক্ষপথ রয়েছে সেখানে থাকবে। মহাকাশে স্পেস স্টেশনে ‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’ এবং ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’ সংক্রান্ত গবেষণা চলবে। চাঁদ বসবাসযোগ্য কি না, তা নিয়েও গবেষণা চলবে স্পেস স্টেশনে।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১: রাজমালা ও ইতিহাসের আলোকে ত্রিপুরা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪১: চোখ ঠিক রাখতে মাছের মুড়ো?

 

ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন ওজন কত?

‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ ওজন ২০ হাজার কিলোগ্রাম থেকে চার লক্ষ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এই স্পেস স্টেশনের জন্য ইসরো একটি উন্নত মানের ডকিং পোর্টও তৈরি করবে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য ডকিং পোর্টও তৈরি করা হবে। স্পেস স্টেশনটিতে চারটি মডিউল এবং অন্তত চার জোড়া সোলার প্যানেল থাকতে পারে।

 

অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড

স্পেস স্টেশনের এমন উন্নতমানের প্রযুক্তি থাকবে যা অক্সিজেন প্রস্তুতের পাশাপাশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনেও সক্ষম হবে। আবার ন্যূনতম আপেক্ষিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৩: ইন্দিরা দেবী—ঠাকুরবাড়ির আলো!

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৫: মা সারদার ভ্রাতৃবিয়োগ

 

গগনযান ও ভারতীয় চারজন নভশ্চর

ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরো। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গগনযান’। ২০২৪ সালেই ‘গগনযান’ মহাকাশচারীদের নিয়ে মহাকাশে উড়ে যেতে পারে। এখন ‘গগনযান’ এর ইঞ্জিন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে চার জন নভশ্চরের নাম ঘোষণা করেন। চার জন নভশ্চরই ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) আধিকারিক। ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) ওই চারজন আধিকারিক হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫২: রামচন্দ্রের বনবাসগমনের সিদ্ধান্তে নৈতিকতার জয়? নাকি পিতার প্রতি আনুগত্যের জয় ঘোষণা?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮২: রবীন্দ্রনাথ সাহেব-শিক্ষকদের কাছেও পড়েছেন

 

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ

বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে ওই চারজন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে মানববিহীন গগনযান পাঠায় ইসরো। গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে মহাকাশে ‘ব্যোমমিত্রা’ নামে একটি রোবটকে পাঠাবে ইসরো। দ্বিতীয় ধাপের ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ওই অভিযান সফল হলে ২০২৪-’২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করা হবে।


Skip to content