চাঁদের মাটি ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান।
তিন দিন হল চাঁদে সূর্য উঠেছে। এখনও কিন্তু ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙানো যায়নি। চন্দ্রযান-৩-এর এই দুই যন্ত্র থেকে কোনও সঙ্কেত পায়নি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরো প্রজ্ঞানকে গত ২ সেপ্টেম্বর ঘুম পাড়িয়েছিল। আর গত ৪ সেপ্টেম্বর নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল বিক্রমকে। প্রজ্ঞান এবং বিক্রম চাঁদের আকাশে ওঠা সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন টানা দিনের আলো থাকার পরে আবার টানা ১৪ দিন রাত হয় চাঁদে। তাই চাঁদের আকাশে সূর্য থাকতে থাকতেই বিক্রম আর প্রজ্ঞান যাতে নিজেদের কাজ শেষ করতে পারে, এমনই পরিকল্পনা করেছিল ইসরো। কারণ বিজ্ঞানীদের মনে করেছিলেন চাঁদে রাত নামলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিকল হয়ে যেতে পারে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশ। তাহলে কি বিজ্ঞানীদের সেই আশঙ্কাই শেষমেশ সত্যি হতে চলেছে?
ইসরো প্রজ্ঞানকে গত ২ সেপ্টেম্বর ঘুম পাড়িয়েছিল। আর গত ৪ সেপ্টেম্বর নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল বিক্রমকে। প্রজ্ঞান এবং বিক্রম চাঁদের আকাশে ওঠা সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন টানা দিনের আলো থাকার পরে আবার টানা ১৪ দিন রাত হয় চাঁদে। তাই চাঁদের আকাশে সূর্য থাকতে থাকতেই বিক্রম আর প্রজ্ঞান যাতে নিজেদের কাজ শেষ করতে পারে, এমনই পরিকল্পনা করেছিল ইসরো। কারণ বিজ্ঞানীদের মনে করেছিলেন চাঁদে রাত নামলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিকল হয়ে যেতে পারে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশ। তাহলে কি বিজ্ঞানীদের সেই আশঙ্কাই শেষমেশ সত্যি হতে চলেছে?
তবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এখনই হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন। এ প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চাঁদের আকাশে যত ক্ষণ সূর্যের আলো থাকবে, তত ক্ষণ যেকোনও সময় বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা আছে। সে কারণে ইসরো পৃথিবীর হিসাবে আগামী ১৪ দিন, অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস অপেক্ষা করবে।
আরও পড়ুন:
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৫: সুন্দরবনের বিসূচিকা রোগের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ওলাবিবি
১০ দিন ধরে অভিনেত্রী শয্যাশায়ী, হঠাৎ কী হল জিনাত আমনের?
সোমনাথ এও জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সাড়া পাওয়া যায়নি ঠিকই। কিন্তু একেবারেই সাড়া পাওয়া যাবেই না, এমনটাও বলতে পারছি না। ইসরো চাঁদের পুরো একটা দিন অপেক্ষা করর। কারণ, এই সময় সূর্যের আলো চাঁদের মাটিতে অনবরত পড়তে থাকবে। সে কারণে সেখানকার পারদও বাড়বে। এমনও হয়তো হল যে, একেবারে শেষ দিনে অর্থাৎ ১৪তম দিনে বিক্রম, প্রজ্ঞান থেকে সাড়া মিলল।’’
আরও পড়ুন:
পরিযায়ী মন, পর্ব-৭: ভিস্তা ডোমে তিস্তার দেশে
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২৯: তুনে ও রঙ্গিলে ক্যায়সা জাদু কিয়া… লতার সেই সুরেলা কণ্ঠ ও পঞ্চমের জাদু
বিক্রম এবং প্রজ্ঞানকে চালু করা গেলে ইসরো আবার বিভিন্ন ধরনের অনুসন্ধান শুরু করতে পারবে। তবে ইসরো যে যে কাজের জন্য চন্দ্রযান-৩ কে চাঁদের মাটিতে পাঠিয়েছিল সে সব কাজ সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। ভারতই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে মহাকাশযান পাঠাতে পেরেছে। তবে বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযানের ‘ঘুম’ ভাঙ্গানোর চেষ্টায় করলেও সেই সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ বলছে বিজ্ঞানীদের একাংশ। আর যদি কোনও ভাবেই বিক্রম বা প্রজ্ঞানকে সক্রিয় না করা যায়, তবে তারা চাঁদের মাটিতেই স্থায়ীভাবে থেকে যাবে। কারণ তাদের আর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ল্যান্ডার এবং রোভারের মাধ্যমে ইসরোর হাতে যে সব তথ্য এসে পৌঁছেছে, তা আগামী দিনে মহাকাশ এবং চন্দ্র অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।