ছবি: প্রতীকী।
ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে এল১ থেকে এল৫ এই পাঁচটি পয়েন্ট আছে। সব পয়েন্টই ত্রিমাত্রিক। একমাত্র এল১ পয়েন্টকেই কেন বেছে নিয়েছে ইসরো? বিজ্ঞানীদের কথায়, এল১ পয়েন্ট থেকে মহাজাগতীয় বস্তু নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাকাশে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট এমন জায়গায় অবস্থান করে যেখানে দু’টি বড় বস্তুর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আকারে ছোট অন্য বস্তুর সাহায্যে কেন্দ্রাভিমুখী বলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়।
আদিত্য-এল-১ অভিযানের জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ৩৭৮.৫৩ কোটি টাকা। চাঁদের মতো সূর্যের পৃষ্ঠে যেহেতু নামা সম্ভব নয়, তাই উচ্চ প্রযুক্তির ‘আদিত্য-এল১’ মহাকাশযানকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানো হবে। মহাকাশযান ওই নির্দিষ্ট স্থান (পয়েন্ট) অবধি গিয়ে ঘুরতে থাকবে। ওই পয়েন্টকে ‘ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্ট ১’ বলা হয়। এখানে সূর্য এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে না। এই ‘ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্ট ১’-এ ‘আদিত্য-এল১’-কে পৌঁছে দিলে সেটি আজীবন সেখানে থেকে যাবে। ইসরো সেটাই করতে চাইছে।
উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন আদিত্য-এল১ পৃথিবীর চারিদিকে পাক খেতে থাকবে। এই ক’দিন সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার জন্য মোট পাঁচটি ধাপে গতিবেগ লাভ করবে আদিত্য। এর পর টানা ১১০ দিন ধরে সূর্যের অভিমুখে যাত্রা করবে আদিত্য এল১। তার পরে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে।
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক চাই? জাদুর মতো কাজ করবে সরষে তেল
রণবীরের প্রাক্তনের সংখ্যা খুব কম নয়, তবে স্ত্রী আলিয়া শুধু বন্ধুত্ব রেখেছেন দীপিকা-ক্যাটরিনার সঙ্গেই, কেন?
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৬: আজগুবি ‘নয়’, আজগুবি নয়, সত্যিকারের কথা!
চলো যাই ঘুরে আসি: মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তিশগড় নয়, আমাদের এই বাংলাতেই রয়েছেন ডোকরা শিল্পীরা
আদিত্য-এল১ মিশনের লক্ষ্য কী?
চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদের মাটি ছুঁতে ৪০ দিন সময় লাগলেও, সূর্যের ‘ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্ট ১’-এ পৌঁছতে অনেক বেশি সময় লাগবে। সূর্য এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শূন্য ওই জায়গায় পৌঁছতে ‘আদিত্য-এল১’ এর সময় লাগবে ১২০ দিন অর্থাৎ চার মাস । ‘চন্দ্রযান-৩’-কে পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছতে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথে পাড়ি দিতে হয়েছে। সেখানে ‘ল্যাগরেঞ্জিয়ান পয়েন্ট ১’-এ পৌঁছতে ‘আদিত্য-এল১’কে পাড়ি দিতে হবে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। তাই এত দিন সময় লাগবে। এই প্রথম ইসরো এত দূরে কোনও মহাকাশযানকে পাঠাবে।