বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ছবি: ইসরো।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩ এখন চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছে। এখনও তাকে আরও বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করতে হবে পৃথিবীর উপগ্রহের কাছে পৌঁছতে। এই মুহূর্তে চাঁদের পথে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ এর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ রাশিয়া ‘লুনা ২৫’ মহাকাশযান। ‘লুনা ২৫’-ও তীব্র গতিতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর দিকে এগিয়ে চলেছে। বহু মানুষের প্রশ্ন, ভারত না রাশিয়া—কে আগে চাঁদের মাটি ছোঁবে?
ইসরোর রুট ম্যাপ অনুযায়ী, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের অধীনে চন্দ্রযান-৩ পাঁচ বার কক্ষপথে পরিবর্তন করবে। পরিকল্পনা মতো, ইতিমধ্যেই সে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রান্ত করে ফেলেছে। আর বাকি তিনটি ধাপ পেরলেই চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি থেকে ১০০ কিমি দূরে পৌঁছে যাবে। আগামীকাল সোমবারই চন্দ্রযান-৩ তৃতীয় বার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে।

ইসরো জানিয়ে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে তৃতীয় বার কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে চন্দ্রযান-৩। ইসরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে চন্দ্রযান-৩ পাঁচটি কক্ষপথই অতিক্রম করে ফেলবে। এই মুহূর্তে চাঁদ থেকে ১৪৩৭ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে রয়েছে চন্দ্রযান-৩। সোমবার তৃতীয় বার কক্ষপথ পরিবর্তন করলে আরও কিছুটা দূরত্ব কমবে মহাকাশযানটির।
আরও পড়ুন:

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-২: কাজের আশায়, তারকা অশোককুমারের গাড়িতে নয়, লোকাল ট্রেনে-বাসে ঘুরে বেড়াতেন কিশোর

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯: সুন্দরবনের লুপ্ত নদী আদিগঙ্গা

এ দিকে, এখনও চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয়নি রাশিয়ার ‘লুনা-২৫’ মহাকাশযান। ‘লুনা-২৫’ এই মুহূর্তে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে রুশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ‘লুনা-২৫’ খুব শীঘ্রই তার গতি বাড়িয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে বেরিয়ে যাবে। তার পর ধীরে ধীরে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের অধীন প্রবেশ করে ‘লুনা-২৫’ দক্ষিণ মেরুর দিকে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:

ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৫: রাজবাড়ি এবং অভিনব বিবাহপর্ব

মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-১: ভিতরকুঠি টেরাকোটা শিবমন্দির এক অনন্যসাধারণ কোচ স্থাপত্যশৈলীর উদাহরণ

গত শুক্রবার উৎক্ষেপিত হয়েছে রাশিয়ার ‘লুনা-২৫’। এই মহাকাশযানটি মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা। এ দিকে ইসরোর চন্দ্রযান-৩-এর সময় লাগছে ৪১ দিন। সময়ের এই পার্থক্যের মূলে রয়েছে ভারত ও রাশিয়া দু’ দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত তারতম্য। রাশিয়া যে পথে তাদের মহাকাশযান ‘লুনা-২৫’ কে পাঠাচ্ছে, সেটি অনেক সংক্ষিপ্ত। তবে পথ সংক্ষিপ্ত হলেও জ্বালানি খরচও অনেক বেশি হচ্ছে। অন্য দিকে, ইসরো জ্বালানির খরচ বাঁচাতে ‘পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল’কে কাজে লাগিয়ে ‘চন্দ্রযান-৩’ পাঠিয়েছে। তাই ‘লুনা-২৫’ এর থেকে ‘চন্দ্রযান-৩’ এর যাত্রাপথ দীর্ঘ।

এ দিকে, রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের মহাকাশযান ‘লুনা-২৫’ ভারতের ‘চন্দ্রযান-৩’-এর গতিপথে বাধা সৃষ্টি করবে না। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও রাশিয়ার ‘লুনা-২৫’ এর সাফল্য কামনা করেছে।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content