শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি: ইসরো।

এতদিন পৃথিবীর কক্ষপথে থাকার পর এ বার সেই চেনা জানা গণ্ডি ছেড়ে বাইরে বেরনোর পালা। সোমবারই পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথের দিকে রওনা হবে চন্দ্রযান ৩। স্বাভাবিক ভাবেই চন্দ্রযানকে নিয়ে ইসরোর চিন্তা বেড়েছে। পৃথিবী ছেড়ে বাইরে বেরনোর জটিল প্রক্রিয়া ভালোয় ভালোয় মিটবে তো?
চাঁদেরই আর এক নাম সোম। ঘটনাচক্রে আজ ৩১ অগস্ট, সোমবারেই পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে চন্দ্রযান ৩। এক্ষেত্রে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন কিছুটা গুলতির মতো কাজ করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গুলতি ছোঁড়ার মতো তীব্র গতিতে চন্দ্রযান ৩-কে চাঁদের কক্ষপথের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হবে। তার পর কী হবে, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। কারণ, একমাত্র নির্ভুল লক্ষ্যভেদেই মুশকিল আসান হবে।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭: সুন্দরবনের লুপ্ত রাষ্ট্র গঙ্গারিডি

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৯: গাধা পিটিয়ে ঘোড়া

ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকনের কাজ হল সঠিক সময়ে চন্দ্রযান ৩-এর প্রপালশন চালু করে তার গতিকে তীব্র করা। এর ফলে চন্দ্রযান ৩ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে উড়ে যাবে চাঁদের আকর্ষণের দিকে। খুবই জটিল প্রক্রিয়া। অনেক হিসেব নিকেশ করে বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেন, পৃথিবীর কক্ষপথের ঠিক কোন জায়গায় থেকে চন্দ্রযান ৩-এর ওই প্রপালশন চালু করলে তবেই হিসেব মিলবে। কারণ, সামান্য হিসাবের ভুলে চাঁদের আকর্ষণের পরিবর্তে মহাশূন্যের দিকেও চলে যেতে পারে চন্দ্রযান।
আরও পড়ুন:

হাত বাড়ালেই বনৌষধি, টেম্পেল ট্রি চাঁপার এই গুণগুলি সম্পর্কে জানতেন?

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬৬: ঈল মাছের এই রহস্য নিশ্চয়ই একদিন উদঘাটন হবে

ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে ঘুরে তার আয়তন যথাসম্ভব বাড়িয়ে নিয়েছে। গত ২৫ জুলাই পঞ্চম বারের জন্য এই কক্ষপথের আকার বৃদ্ধি করেছে। এই মুহূর্তে চন্দ্রযান ৩ পৃথিবীর আকর্ষণ ক্ষেত্রের মধ্যে থাকলেও সেখান থেকে সে সহজে বেরনোর মতো অবস্থাতে পৌঁছে গিয়েছে। আজ সোমবার সঠিক সময়ে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের ক্ষেত্র ছেড়ে বেরনোর অপেক্ষা চন্দ্রযান ৩-এর।

Skip to content