মা সারদা।
রাঢ় বাংলা বাঁকুড়া জেলার দক্ষিণ-পূর্বে হুগলির প্রান্ত ঘেঁষা বিষ্ণুপুর মহকুমার একটি প্রত্যন্ত ছোট্টগ্রাম জয়রামবাটি। রাঢ় অঞ্চলের রুক্ষতা এই গ্রামকে ছুঁতে পারেনি। প্রকৃতি এখানে বড়ই মনোরম। এর উত্তরদিক দিয়ে বয়ে চলেছে স্বচ্ছসলিল আমোদর নদ। হুগলি প্রান্তের লাল কাঁকুরে মাটিতে তাই সরসতা আছে। এখানে পথের পাশে বট, অশ্বত্থ, আম খেজুর গাছের ছায়াঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ। বাতাসে ভাসে বকুলের গন্ধ, গুলঞ্চ হাওয়ায় দোলে। পুকুর আর দীঘিতে সাঁতার কাটে হাঁসেরা, তাদের মাঝে ফুটে আছে পদ্ম-শালুকেরা। এখানে গ্রাম বাংলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের চালাঘরের সারি তাকে ছবির মতো সাজিয়ে তুলেছে।
এই ছবির মতো গ্রামে দুটি মাত্র ব্রাহ্মণ পরিবার। মা সারদার পিতৃকুল ও তাঁদেরই দৌহিত্রকুলের বাঁড়ুজ্জেরা। এছাড়া গ্রামটিতে আছে কয়ঘর মণ্ডল, বিশ্বাস, ঘোষ, ময়রা, কর্মকার, নাপিত ও বাগদি পরিবার। সবাই মিলে সুখে দুখে আত্মীয়ের মতো থাকে এই গ্রামে। জয়রামবাটিতে দারিদ্র্য থাকলেও পল্লীবাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকত।
পিতা রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন রামভক্ত নৈষ্ঠিক ব্রাহ্মণ। গ্রামের জাগ্রতদেবী সিংহবাহিনীর মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন তিনি। তাঁদের কিছু নিষ্কর জমি ছিল। সেখানে যা ধান হত, তাতে গরীবের সংসারে আয় দিত না। তাই পৌরোহিত্য ছাড়াও তাঁকে নিজের ক্ষেতে তুলোর চাষ করতে হয়। দরিদ্র রামচন্দ্রের উদার মন আর নিষ্ঠার জন্য গ্রামের সকলের শ্রদ্ধেয় ছিলেন। মানুষের দুঃখে তাঁর প্রাণ কাঁদত। মা সারদা পিতার এই ঔদার্য জন্মসূত্রেই পেয়েছিলেন। আপাত দরিদ্র এই জয়রামবাটিতে 8 পৌষ, ইংরাজি ২২ ডিসেম্বর, ১২৬০ বঙ্গাব্দের কৃষ্ণাসপ্তমী তিথিতে বৃহস্পতিবারে মা শ্যামাসুন্দরীদেবীর কোল আলো করে জন্ম নিলেন তাঁদের প্রথম সন্তান, আদরের সারু।
এই ছবির মতো গ্রামে দুটি মাত্র ব্রাহ্মণ পরিবার। মা সারদার পিতৃকুল ও তাঁদেরই দৌহিত্রকুলের বাঁড়ুজ্জেরা। এছাড়া গ্রামটিতে আছে কয়ঘর মণ্ডল, বিশ্বাস, ঘোষ, ময়রা, কর্মকার, নাপিত ও বাগদি পরিবার। সবাই মিলে সুখে দুখে আত্মীয়ের মতো থাকে এই গ্রামে। জয়রামবাটিতে দারিদ্র্য থাকলেও পল্লীবাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকত।
পিতা রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন রামভক্ত নৈষ্ঠিক ব্রাহ্মণ। গ্রামের জাগ্রতদেবী সিংহবাহিনীর মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন তিনি। তাঁদের কিছু নিষ্কর জমি ছিল। সেখানে যা ধান হত, তাতে গরীবের সংসারে আয় দিত না। তাই পৌরোহিত্য ছাড়াও তাঁকে নিজের ক্ষেতে তুলোর চাষ করতে হয়। দরিদ্র রামচন্দ্রের উদার মন আর নিষ্ঠার জন্য গ্রামের সকলের শ্রদ্ধেয় ছিলেন। মানুষের দুঃখে তাঁর প্রাণ কাঁদত। মা সারদা পিতার এই ঔদার্য জন্মসূত্রেই পেয়েছিলেন। আপাত দরিদ্র এই জয়রামবাটিতে 8 পৌষ, ইংরাজি ২২ ডিসেম্বর, ১২৬০ বঙ্গাব্দের কৃষ্ণাসপ্তমী তিথিতে বৃহস্পতিবারে মা শ্যামাসুন্দরীদেবীর কোল আলো করে জন্ম নিলেন তাঁদের প্রথম সন্তান, আদরের সারু।
বাবা রামচন্দ্র ও মা শ্যামাসুন্দরীর অভাবের সংসারে সারদার জন্ম, মায়ের আদরের সারু। সারদার জন্মের পূর্বেই শ্যামাসুন্দরীদেবীর অলৌকিক অনুভূতি হয়। শিহড়ে তাঁর পিত্রালয়ে বেলগাছে তিনি দেবীদর্শন করেছিলেন, তিনি শুনেছিলেন দেবীর সেই বাণী, ‘আমি তোর ঘরে আসছি’। গর্ভসঞ্চার কালেও তাঁর দিব্য অনুভূতি হয়, যেন কোনও দেবী তাঁর মধ্যে প্রবেশ করেছে। তাই বাবা-মায়ের বিশেষ যত্ন ছিল প্রথম কন্যার প্রতি। কৃষিনির্ভর গরীব পরিবারে আর-পাঁচটা গ্রাম্য মেয়ের মতোই বেড়ে উঠেছে সারদা। মা-বাবা তাঁকে দেবীজ্ঞানে পুজো করেননি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ করেছিলেন।
জমিতে মুনিষ রাখার অবস্থা না থাকায় শ্যামাসুন্দরীদেবীকে চাষের কাজে স্বামীকে সাহায্য করতে হত। ছোট্ট সারদাকে ক্ষেতে শুইয়ে রেখেই তিনি জমি থেকে তুলো তুলে তা দিয়ে পৈতে তৈরি করে ও তুলো বিক্রয় করে সংসার চালাতেন। সারদা একটু বড় হতেই তাঁকে সংসারের অনেকটা দায়িত্ব পালন করতে হত। শ্যামাসুন্দরীদেবীর পর পর পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। তাঁদের আরও একটি মেয়ে হয়। মা সারদার আদরের একমাত্র ছোট বোন।
সারদার মা নিজ সন্তানদের দেখাশোনা ও সংসারের সব কাজ একা সামাল দিতে পারতেন না। তাই ছোটবেলা থেকেই শুধু সংসারের দায় নয়, ভাইদেরও কোলে পিঠে করে বড় করে তুলেছেন তিনি। ভবিষ্যতে জগতের মা হয়ে ওঠার বীজ এখানেই নিহিত হয়ে রয়েছে। আমোদর নদে স্নান সেরে ভাইদের স্নান করাতে নিয়ে যেতেন। ছোট ছোট হাতে মুড়ি মেখে নদীর ধারে বসে ভাইদের খাইয়ে সকলকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতেন।
জমিতে মুনিষ রাখার অবস্থা না থাকায় শ্যামাসুন্দরীদেবীকে চাষের কাজে স্বামীকে সাহায্য করতে হত। ছোট্ট সারদাকে ক্ষেতে শুইয়ে রেখেই তিনি জমি থেকে তুলো তুলে তা দিয়ে পৈতে তৈরি করে ও তুলো বিক্রয় করে সংসার চালাতেন। সারদা একটু বড় হতেই তাঁকে সংসারের অনেকটা দায়িত্ব পালন করতে হত। শ্যামাসুন্দরীদেবীর পর পর পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। তাঁদের আরও একটি মেয়ে হয়। মা সারদার আদরের একমাত্র ছোট বোন।
সারদার মা নিজ সন্তানদের দেখাশোনা ও সংসারের সব কাজ একা সামাল দিতে পারতেন না। তাই ছোটবেলা থেকেই শুধু সংসারের দায় নয়, ভাইদেরও কোলে পিঠে করে বড় করে তুলেছেন তিনি। ভবিষ্যতে জগতের মা হয়ে ওঠার বীজ এখানেই নিহিত হয়ে রয়েছে। আমোদর নদে স্নান সেরে ভাইদের স্নান করাতে নিয়ে যেতেন। ছোট ছোট হাতে মুড়ি মেখে নদীর ধারে বসে ভাইদের খাইয়ে সকলকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতেন।
আরও পড়ুন:
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-২৭: গুরু ছাড়া কে নেবে শিষ্যের ভার!
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১৮: দেবাসুরের সমুদ্রমন্থন, শুভাশুভের দ্বন্দ্ব — জয় কার? একটি অনন্ত জিজ্ঞাসা
দশভুজা, মাই নেম ইজ গওহর জান—ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে অঘোষিত বিপ্লব এনেছিলেন এই শিল্পী
আমোদরের গলা-জলে নেমে বাড়ির গোয়ালের গরুর জন্য দলঘাস কেটে নিয়ে আসতেন। পরবর্তীকালেও আমরা মায়ের জীবসেবা লক্ষ্য করে থাকি। ঠাকুরও মায়ের বিষয়ে বলতেন যে, মা সংসারে সেবা দিতে এসেছেন। যাবতীয় কাজে নিজের মাকে সাহায্য করতেন, ঘুঁটে দেওয়া, ধানসিদ্ধ, মাটিরঘর নিকনো, বাসন ধোওয়া সব গৃহকর্ম মা নিজহাতে করতেন। তাই নয়, ক্ষেতে গিয়ে মুনিষদের মুড়ি দিয়ে আসতেন। এই জন্যই মায়ের ভাই মন্তব্য করেছেন, “সংসারের বেশি কাজই তো দিদি করেছেন।” নিজের মা-বাবার প্রতিও মা সারদার অসীম ভক্তি ছিল।
তিনি নিজের বাবা সম্পর্কে বলতেন, “আমার বাবা তামাক খেতে ভালোবাসতেন।” এমন অমায়িক ছিলেন যে, কেউ বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে তাকে ডেকে বসাতেন আর তামাক খেতে দিতেন। শ্যামাসুন্দরীদেবীর বিষয়ে মা বলেছেন, “আমার মা ছিলেন যেন লক্ষ্মী। তিনি সংসারের সব কিছু গুছিয়ে রাখতেন। সংসারটি যেন তাঁর গায়ের রক্ত।”
তিনি নিজের বাবা সম্পর্কে বলতেন, “আমার বাবা তামাক খেতে ভালোবাসতেন।” এমন অমায়িক ছিলেন যে, কেউ বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে তাকে ডেকে বসাতেন আর তামাক খেতে দিতেন। শ্যামাসুন্দরীদেবীর বিষয়ে মা বলেছেন, “আমার মা ছিলেন যেন লক্ষ্মী। তিনি সংসারের সব কিছু গুছিয়ে রাখতেন। সংসারটি যেন তাঁর গায়ের রক্ত।”
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪১: কান্না হাসির দোল দোলানো ‘একটি রাত’
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৮: মনে পড়ে পঞ্চমের কণ্ঠে শোলে ছবির সেই বিখ্যাত ‘মেহবুবা মেহবুবা…’ গানটি?
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-২১: আবার কালাদেও?
একবার গ্রামে ভীষণ দুর্ভিক্ষ লাগলে অনেক মানুষ খেতে না পেয়ে রামচন্দ্রের বাড়ি এসেছিলেন। তিনি নিজে দরিদ্র হলেও মানুষের দুঃখে তাঁর মন বিচলিত হয়ে উঠত। তাঁদের গত বছরের ধানের মরাই ঝরিয়ে কলাইয়ের ডাল দিয়ে খিচুড়ি রাঁধিয়ে রাখতেন। বাড়িতে বলা ছিল যে, আসবে, সেই খাবে। খিচুড়ি ফুরিয়ে গেলে আবার করা হত। মা বলেছেন যে, গ্রামের এতো লোক আসতো যে কুলতো না। বাবার থেকেই এই মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা পেয়েছিলেন সারদা। মা সকলের পাতের গরম খিচুড়ি নিজ হাতে পাখার বাতাস দিয়ে ঠান্ডা করে দিতেন।
একদিন খিদের জ্বালায় উদ্ভ্রান্ত হয়ে রুক্ষ চুলের এক বাগদির মেয়ে এসে গরুর জাবনার জন্য ভেজানো কুঁড়ো খেতে লাগল। খিচুড়ির জন্য তার ধৈর্য মানছে না। রামচন্দ্র সারা গ্রামের মানুষকে সেই দুর্ভিক্ষে খাইয়েছিলেন। শুধু আদরের সারুর জন্য দুটো ডাল-ভাত ফুটিয়ে দিতে বলতেন। তিনি তাঁর মেয়ের স্বরূপটি বুঝতেন। তাই পুত্রদের জন্য নয়, শুধু নিজ কন্যার জন্য ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করতে বলেছেন, কন্যাটি যে খাঁটি রত্ন। এই মা-ই যে বছর পঙ্গপালে সব ধান কেটেছিল, ক্ষেতে ক্ষেতে গিয়ে সেই কাটা ধান কুঁড়িয়েছেন।
একদিন খিদের জ্বালায় উদ্ভ্রান্ত হয়ে রুক্ষ চুলের এক বাগদির মেয়ে এসে গরুর জাবনার জন্য ভেজানো কুঁড়ো খেতে লাগল। খিচুড়ির জন্য তার ধৈর্য মানছে না। রামচন্দ্র সারা গ্রামের মানুষকে সেই দুর্ভিক্ষে খাইয়েছিলেন। শুধু আদরের সারুর জন্য দুটো ডাল-ভাত ফুটিয়ে দিতে বলতেন। তিনি তাঁর মেয়ের স্বরূপটি বুঝতেন। তাই পুত্রদের জন্য নয়, শুধু নিজ কন্যার জন্য ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করতে বলেছেন, কন্যাটি যে খাঁটি রত্ন। এই মা-ই যে বছর পঙ্গপালে সব ধান কেটেছিল, ক্ষেতে ক্ষেতে গিয়ে সেই কাটা ধান কুঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৭: মদ না খেলে ফ্যাটি লিভার হয় না?
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩: সুন্দরবনে মানুষের আদি বসতি
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৫: আমার পায়ে ঝিঁ ঝিঁ, আমি জ্ঞান হারিয়েছি
ছোট সারু তবে কি তার বয়সের আর পাঁচজন মেয়ের মতো খেলাধুলো করতেন না। সারদার বাল্য সখী অঘোরমণি বলেছেন যে সারদা খুব সরল ছিলেন, খেলাধুলোয় কখনও তাঁর সঙ্গে ঝগড়া হয়নি। এমনকি, অন্যরা ঝগড়া করলে তা মিটিয়ে দিতেন। খেলায় সারদা প্রায়ই কর্তা বা গিন্নি সাজতেন। পুতুল গড়েও খেলতেন। তবে কালী বা লক্ষ্মী প্রতিমা গড়ে ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো করতে বেশি ভালোবাসতেন। আর একজন সারদার ছোটবেলার সঙ্গী ছিলেন ভানুপিসি।
ক্ষেত্রমোহন বিশ্বাসের মেয়ে ভানু যার আসল নাম ছিল মানগরবিনী, মানু, সেটাই লোকমুখে ভানু হয়ে গিয়েছে। কুড়ি বছরের নিঃসন্তান বিধবা বাপের বাড়ি চলে আসেন। সারদাকে বড় ভালোবাসেন। যদিও বাপের ঘরে তাকে অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হত। বাড়ির বদ্ধ পরিবেশ থেকে মন হালকা করার জন্য শ্যামাসুন্দরী তাকে মাঝে-মধ্যে ডেকে পাঠাতেন। ভানু এলে নিজের কাজেরও সাহায্য হতো আর সবথেকে বড় কথা গল্প করার সঙ্গী পেয়ে সারদা ও সারদার ভানুপিসি দু’ জনেই খুশি হত। —চলবে।
ক্ষেত্রমোহন বিশ্বাসের মেয়ে ভানু যার আসল নাম ছিল মানগরবিনী, মানু, সেটাই লোকমুখে ভানু হয়ে গিয়েছে। কুড়ি বছরের নিঃসন্তান বিধবা বাপের বাড়ি চলে আসেন। সারদাকে বড় ভালোবাসেন। যদিও বাপের ঘরে তাকে অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হত। বাড়ির বদ্ধ পরিবেশ থেকে মন হালকা করার জন্য শ্যামাসুন্দরী তাকে মাঝে-মধ্যে ডেকে পাঠাতেন। ভানু এলে নিজের কাজেরও সাহায্য হতো আর সবথেকে বড় কথা গল্প করার সঙ্গী পেয়ে সারদা ও সারদার ভানুপিসি দু’ জনেই খুশি হত। —চলবে।
* আলোকের ঝর্ণাধারায় (sarada-devi): ড. মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Dr. Mousumi Chattopadhyay), অধ্যাপিকা, সংস্কৃত বিভাগ, বেথুন কলেজ।