অদ্রিজা মণ্ডল
মায়ের হাতের স্পেশাল গোকুল পিঠে
মা এমনি অনেক খাবারই তৈরি করেন। এই শীতকালেও মা অনেক রকম খাবার তৈরি করেছেন। তাদের মধ্যে মিষ্টিগুলিই বেশি ভালো লাগে আমার। আমার প্রিয় রেসিপি কেক, পাটিসাপটা, দুধপুলি, রাঙালু পিঠে, মুগের পুলি, মালপোয়া ইত্যাদি। দোকানের কেক, বাড়ির কেক দুই-ই খাই, তবে বাড়ির তৈরি কেকই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। বাড়িতে পাঁচরকম কেক হয়— আমের কেক, গুড়ের কেক, কলা ও চকোলেট মেশানো কেক আর এমনি চকোলেট কেক। আমি পিঠে খেতেও ভালোবাসি। তবে বেশি ভালো লাগে পাটিসাপটা। গোকুল পিঠেও বেশ ভালো লাগে। গোকুল পিঠে তৈরি করতে লাগে ময়দা, সুজি, খাবার সোডা, সাদা তেল, নারকেল, খোয়া ক্ষীর বা মাখা সন্দেশ, চিনি আর ছোটো এলাচ। গোকুল পিঠে কীভাবে তৈরি করতে হয়, আজ তোমাদের জানাচ্ছি।
১. প্রথমে নারকেল আর খোয়াক্ষীর বা মাখা সন্দেশ একসঙ্গে কড়ায় নেড়ে পুর তৈরি করে নিতে হবে।
২. তারপরে চিনির রস এমন করে তৈরি করতে হবে যাতে সেটা খুব পাতলা না হয় আবার ঘনও না হয়। রসে কয়েকটা ছোট এলাচ দিয়ে দিও।
৩. এবার একটা পাত্রে একবাটি ময়দা, চার পাঁচ চামচ সুজি, এক চিমটে খাবার সোডা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঘি দিয়ে ময়ান দিয়ে তৈরি করতে হবে। তারপর দুধ দিয়ে মেখে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নাও।
৪. মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে পুরটাকে চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা করে মিশ্রণে ডুবিয়ে কড়ায় ঘি বা সাদা তেল দিয়ে ভেজে গরম রসে ফেলতে হবে। ব্যস, গোকুল পিঠে হয়ে গেলো!
আমারও গোকুল পিঠে তৈরি করার ইচ্ছে আছে। আমি একদিন গোকুল পিঠে তৈরি করে সবাইকে খাওয়াব!
অদ্রিজা মণ্ডল, পঞ্চম শ্রেণি, সেন্ট মেরিজ কনভেন্ট স্কুল, সাঁতরাগাছি
লোকনাথ সাউ
মায়ের হাতের তৈরি দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, মেঘডুমুর…
সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা এই রূপসী বাংলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য বৈচিত্র্যময় ঋতু। ভিন্ন ভিন্ন রূপ রস গন্ধ নিয়ে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ঋতু ঘুরেফিরে আসে। তবে ছয়টা ঋতুর মধ্যে আমার সব থেকে প্রিয় শীতকাল। এমন দিনে মায়ের হাতের আমার পছন্দের বিভিন্ন ধরনের রান্না না খেলে শীতকালটা উপভোগ করতে পারি না।
ছুটির দিনের দুপুরে মায়ের তৈরি সরু চালের ভাতের সঙ্গে কষা মাংস, চিতল মাছের মুইঠা, ঝুড়ি ঝুড়ি আলু ভাজা, খেজুর ও আমসত্ত্ব চাটনি, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, সবজি খিচুড়ি বেগুনি আর তার সঙ্গে পাপড় ভাজা— অসাধারণ! জিভে যেন তার স্বাদ লেগেই থাকে। আর রাতে রুটির সঙ্গে মায়ের হাতে স্পেশাল ডিশ— মাংসের ঘুগনিও আমার ভীষণ প্রিয়। ঝোলা গুড় ও নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি পাটিসাপটা খেতে ভীষণ ভালোবাসি। তাছাড়া পৌষ পার্বণে মা বিভিন্ন রকমের পিঠেপুলি তৈরি করেন। এবার তৈরি করেছিলেন দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, মেঘডুমুর মইফুলি। খেয়ে দারুণ তৃপ্তি পেয়েছি। তবে মায়ের তৈরি ক্ষীরপুলি, মালপোয়া, কাজললতা, সাজনীবাহার পিঠেও বেশ ভালো।
লোকনাথ সাউ, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, এগরা রামকৃষ্ণ শিক্ষা মন্দির (হাই স্কুল)