রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


পোলাও বলতে আমরা মিষ্টি বুঝি। কিন্তু আগেকার দিনে পোলাও হতো ঝাল। তখন কথায় কথায় বিরিয়ানির চল ছিল না। কিন্তু ঝাল পোলাও ছিল জনপ্রিয়, যা বেশির ভাগই পরিবেশন হতো ইলিশ মাছ ভাজা বা চালকুমড়ো পাতায় মালাই ইলিশ দিয়ে। চলুন আজ শিখেনি এই ঝাল পোলাও, ইলিশ অন্য দিনের জন্য তোলা রইল। নতুন রূপে এই পদটি কিন্তু মাংস দিয়ে জমে যাবে।
 

উপকরণ

বাঁশকাঠি চাল পাঁচশো গ্রাম, হলুদ বড় চামচের এক চামচ, কাঁচা লঙ্কা গোটা দশেক, আদা চার ইঞ্চি এক টুকরো, লবণ, চিনি দু’ চামচ, কারিপাতা বেশ খানিকটা, সরষে ফোঁড়নের জন্য, শুকনো লঙ্কা একটা, জিরেগুড়ো এক চামচ, ধনেগুড়ো এক চামচ, সরষের তেল পাঁচ চামচ বড় চামচের, ঘি দুই চামচ, গরম মশলাগুঁড়ো দুই চুটকি, একটা এলাচ, একটুকরো দারুচিনি, গোটা গোলমরিচ পাঁচ টুকরো, আধ চামচ শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো, পরিমাণ মতো জল।

 

প্রণালী

চাল ধুয়ে ভালো করে ঝরিয়ে নিতে হবে। শুকনো হলে চাল ম্যারিনেট করতে হবে। ম্যারিনেট করতে দুই চামচ লবণ, এক চামচ হলুদ, পাঁচটা কাঁচা লঙ্কা, আদা, জিরে, ধনে, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো পেষ্ট করে নিয়ে দুই চামচ সরষে তেল মিশিয়ে পুরো চাল মেখে নিতে হবে। দশ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন। কড়াতে বাকি তেল দিন, ভালো করে গরম হলে কারিপাতা, সরষে, শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন, সঙ্গে গোটা গরম মশলা ও গোলমরিচ (আগেকার দিনে কারিপাতা ও সরষে ফোঁড়ন দেওয়া হতো না তেজপাতা দেওয়া হতো গরম মশলার সঙ্গে)। এবার ম্যারিনেট করা চাল ভালো করে ভেজে নিন দু’ মিনিট তাহলে পোলাও ঝড়ঝড়ে হবে। চাল যতটা জল তার আড়াইগুন এই হিসাবে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন মিনিট পনেরো। সেদ্ধ হয়ে এলে চিনি, গরম মশলা গুড়ো, ঘি, কাঁচা লঙ্কা মেশান। এই পর্যায়ে ইচ্ছা হলে পনির বা কিসমিস দিতে পারেন। ঢাকা দিয়ে আঁচ বন্ধ করে কুড়ি মিনিট রেখে দিন। চাল জড়িয়ে গেলে ভয় পাবেন না। পাখার হাওয়ায় রাখলে ঝড় ঝড়ে হয়ে যাবে। গরম গরম ইলিশ মাছ ভাজা, কষা মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করুন, জমে যাবে।
 

রেসিপি বিভাগ

‘খাই খাই’ বিভাগে আপনিও সুস্বাদু রেসিপি পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। রান্নার পদ্ধতি ও উপকরণ সমেত লেখা ইউনিকোড ফরম্যাটে টাইপ করে পাঠাতে হবে ৩০০ শব্দের মধ্যে। লেখার সঙ্গে একটি পাসপোর্ট ছবি ও যোগাযোগের ফোন নম্বর দেবেন। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content