সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


তরমুজের আইস্ক্রিম

গরমের ছুটিতে ছোটবেলার ঘণ্টি বাজানো পেপসিকাকুদের খুব মনে পড়ে, তাই না! দু’ টাকা-তে কত আনন্দ ছিল৷ গলা ব্যথা, বকাঝকা সব অগ্রাহ্য করে লুকিয়ে হলেও খেতেই হবে। বিকেলের খেলার মাঠের কোণে ঠেলাগাড়ি থাকতই। আজকাল গরমের ছুটি আছে, খেলার জন্য আকর্ষণীয় পার্ক আছে, আইসক্রিম কাকুরাও আছেন, তবে সেই ঠেলাগাড়ির পেপসি আর নেই। আর থাকলেও করোনা জুজুর ভয়ে আমরা কাতর, বাচ্চাদের ওসব নট অ্যালাউড৷ তবে চলুন আজ আসল ফল দিয়েই মজাদার আকর্ষণীয় কাঠি আইসক্রিম তৈরি করি, আর সহযোগী হিসাবে বাচ্চাদের পাশে নিই৷ একটুও তর্ক না করে দেখবেন ওরা আপনাকে সাহায্যই করবে।

উপকরণ

তরমুজ, সোডা জল (না পেলে যেকোনও কোল্ড ড্রিঙ্কস), লেবু, চাটমশলা, বিট লবণ, কাঠি আইসক্রিম লিকুইড এসেন্স কিনতে পাওয়া যায়, না পেলে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।

কিউই দিয়ে তৈরি

প্রণালী

তরমুজ ফালি করার পর মশলার কৌটোর অর্ধবৃত্তাকার চামচের সাহায্যে গোল গোল ঘুরিয়ে অর্ধবৃত্তাকার ভাবেই কেটে নিতে হবে বেশ কয়েক টুকরো, বাকিটা রস করে নিতে হবে। সমস্ত তরমুজের রসটা গ্লাসে নিয়ে তাতে লেবুর রস, সোডাজল, চাটমশলা, দুই ড্রপ এসেন্স মিশিয়ে আইসক্রিম মোল্ড-এ অর্ধেক অংশ পূর্ণ করে ঢালুন। তারপর অর্ধবৃত্তাকার কেটে রাখা তরমুজগুলো দিয়ে পূর্ণ করে ফ্রিজে চার ঘণ্টা রাখলেই তৈরি সহজ আইসক্রিম।
ঠিক এভাবে কিউই ও আঙুর দিয়েও করতে পারেন বাজিমাত। তবে তাতে গোলাপজল দেবেন না। আর কখনওই এরকম আইসক্রিম বানালে শুধু ফলের রস দেবেন না, সঙ্গে ফলের কুচি অবশ্যই বেশি করে দেবেন। সেগুলো ফ্রোজেন হওয়ার পর স্বাদই আলাদা, নাহলে শেষে দেখবেন রসটা সব শেষ হয়ে গিয়ে কাঠিভরা বরফ। যদি আইসক্রিম মোল্ড না থাকে তাহলে ছোট কাচের গ্লাস বা কাগজের কফি কাপ ব্যবহার করুন।


Skip to content