সৃষ্টিতে মগ্ন।
সুঠাম দেহের অধিকারী অমরুতরাও এবং ফ্রাঙ্কো ভাজকে নিয়ে একটি মজার গল্প শোনা যায়। একবার পঞ্চমের একটি মিউজিক সিটিংয়ে ফ্রাঙ্কো ভাজ-সহ সবাই উপস্থিত হয়েছেন। এমন সময় অমরুত প্রবেশ করলেন। পঞ্চম যেন তাঁরই অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি লাফিয়ে উঠে অমরুতকে তাঁর জামাটি খুলে ফেলতে বললেন। পঞ্চমের এই অদ্ভুত আবদারে তিনি তো হতবাক! ভাবতে থাকেন যে মিউজিক সিটিংয়ের সঙ্গে তাঁর জামা খুলে ফেলার সম্পর্কটি ঠিক কোথায়? বাকি যাঁরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরও চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কিন্তু পঞ্চম তো নাছোড়বান্দা। অগত্যা অমরুত বাধ্য হয়েই তাঁর জামাটি খুলে ফেলেন।
এবার পঞ্চম ফ্রাঙ্কোকে বলেন ড্রাম ছেড়ে অমরুতের পিঠের উপর কয়েকটি স্যাম্পল রিদম বাজাতে। যেটি পছন্দ হবে সেটিকে তিনি ফাইনাল রেকর্ডিংয়ে ব্যবহার করবেন। যথারীতি ফ্রাঙ্কো একটু ইতস্তত বোধ করতে থাকেন। বাকি যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরাও এবার আর হাসি চাপতে পারলেন না। এদিকে পঞ্চমের আবদার মেটাতে একটি টুলের ওপর অমরুত খালি গায়ে উবু হয়ে বসে পড়েন। আর পঞ্চমের হুকুম তালিম করতে ফ্রাঙ্কো তাঁর পিঠের উপর একের পর এক রিদম বাজাতে থাকেন। শেষমেশ একটি রিদম পছন্দ হয় পঞ্চমের। আশ্চর্যের বিষয় হল, পিঠের উপরে বাজনো সেই রিদমকেই ফাইনাল রেকর্ডিংয়ে ব্যবহার করা হয়।
কোন গানটির কথা বলছি মনে পড়ছে? গানটি হল ১৯৭৭ সালে দেবানন্দ এবং জিনাত আমন অভিনীত ‘ডার্লিং ডার্লিং’ ছবির ‘রাত গেই বাত গেই’। গানটির একটি অংশে জিনাত আমনকে হাত দিয়ে নিজের কোমরে ট্যাপ করতে দেখা যায়। আর ওই অংশটিতেই আমরুতের পিঠের উপরে বাজানো লাতিন আমেরিকান রিদমটি ব্যবহার করা হয়েছে। কাণ্ডটি একবার ভাবুন! এটি বোধহয় আরডি-র পক্ষেই সম্ভব।
এবার পঞ্চম ফ্রাঙ্কোকে বলেন ড্রাম ছেড়ে অমরুতের পিঠের উপর কয়েকটি স্যাম্পল রিদম বাজাতে। যেটি পছন্দ হবে সেটিকে তিনি ফাইনাল রেকর্ডিংয়ে ব্যবহার করবেন। যথারীতি ফ্রাঙ্কো একটু ইতস্তত বোধ করতে থাকেন। বাকি যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরাও এবার আর হাসি চাপতে পারলেন না। এদিকে পঞ্চমের আবদার মেটাতে একটি টুলের ওপর অমরুত খালি গায়ে উবু হয়ে বসে পড়েন। আর পঞ্চমের হুকুম তালিম করতে ফ্রাঙ্কো তাঁর পিঠের উপর একের পর এক রিদম বাজাতে থাকেন। শেষমেশ একটি রিদম পছন্দ হয় পঞ্চমের। আশ্চর্যের বিষয় হল, পিঠের উপরে বাজনো সেই রিদমকেই ফাইনাল রেকর্ডিংয়ে ব্যবহার করা হয়।
কোন গানটির কথা বলছি মনে পড়ছে? গানটি হল ১৯৭৭ সালে দেবানন্দ এবং জিনাত আমন অভিনীত ‘ডার্লিং ডার্লিং’ ছবির ‘রাত গেই বাত গেই’। গানটির একটি অংশে জিনাত আমনকে হাত দিয়ে নিজের কোমরে ট্যাপ করতে দেখা যায়। আর ওই অংশটিতেই আমরুতের পিঠের উপরে বাজানো লাতিন আমেরিকান রিদমটি ব্যবহার করা হয়েছে। কাণ্ডটি একবার ভাবুন! এটি বোধহয় আরডি-র পক্ষেই সম্ভব।
উলহাস বাপাত ছিলেন একজন স্বনামধন্য সন্তুরবাদক এবং পঞ্চমের এক পরম প্রিয়জন। পঞ্চমের অসংখ্য গানের মাধুর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে উলহাসের জাদুকাঠির ছোঁয়ায়। ‘ঘর’ ছবিটি থেকে উলহাসের পঞ্চমের সঙ্গে পথ চলা শুরু। পরবর্তীকালে পঞ্চমের বেশ কিছু গান তিনি তাঁর সন্তুরের মূর্ছনায় ভরিয়ে তুলেছেন।
এখানে কেরসি লর্ডের কথা বলতেই হয়। তিনি ছিলেন পঞ্চমের অত্যন্ত কাছের একজন মানুষ। তিনি তাঁর সংগীতজীবন শুরু করেন একজন পারকাশনিস্ট হিসেবে। যদিও পরবর্তীকালে বঙ্গ, কঙ্গ, জাইলোফন, ভাইব্রফোন, পিয়ানো এবং জ্যাজ ড্রামে সমান পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তবেই কিনা পঞ্চমের এতো ঘনিষ্ঠ হতে পেরেছিলেন! তিনি একাধিক বার বলেছেন, পঞ্চম তাঁকে বেশ কঠিন কিছু কম্পোজিশন বাজাতে বলতেন এবং তিনি সানন্দে সেই দায়িত্ত্ব পালন করতেন। ভয় বা সংকোচের কোনও জায়গাই ছিল না। কারণ পঞ্চম সব সময় বন্ধুর মতো পাশে থাকতেন এবং উৎসাহ দিতেন। শুধু তাঁকেই নয়, দলের সবাইকে। যদিও ‘দল’ বললে হয়তো কিছুটা ভুল বলা হবে। সেটি যেন ছিল একটি পরিবারের মতো। পঞ্চমের সংগীত-পরিবার। যে পরিবারে সুরসৃষ্টি করা হতো খেলার ছলে। আড্ডা, ঠাট্টা, গল্পের মধ্যে দিয়ে কখন যে নতুন কোনও সুরের জন্ম হতো, অনেক ক্ষেত্রে হয়তো নিজেরাও বুঝে উঠতে পারতেন না।
এই নিয়ে একটি প্রচলিত গল্প আছে। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবির ‘দম মারো দম’ গানটি অনেকটা গল্পের ছলেই তৈরি হয়েছিল। একদিন সন্ধেবেলায় আনন্দ বক্সি, পঞ্চম এবং তাঁর সঙ্গীত পরিবার সবাই একসঙ্গে বসেছেন। ছবিটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু কেউই যেন খুব একটা নিজের মধ্যে নেই। সবাই যেন দিনের শেষে একটু ক্লান্ত। ঠিক এই সময় সবাইকে উজ্জীবিত করতে তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ একজন আচমকা বলে ওঠেন, ‘আরে ভাই দম মারো দম’। নিছকই কথার কথা। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ বক্সি বলে ওঠেন ‘মিট যায় গম’। আর কে দেখে! লাফিয়ে ওঠেন পঞ্চম। তিনি আনন্দকে অনুরোধ করতে থাকেন গানটি তখনই পুরোটা লিখে ফেলার জন্য। যেমন কথা, তেমন কাজ। আনান্দ গানটি লিখে ফেলেন আর পঞ্চম তৎক্ষণাৎ সুরারোপ করে ফেলেন গানটিতে। ব্যাস! গান তৈরি!
এখানে কেরসি লর্ডের কথা বলতেই হয়। তিনি ছিলেন পঞ্চমের অত্যন্ত কাছের একজন মানুষ। তিনি তাঁর সংগীতজীবন শুরু করেন একজন পারকাশনিস্ট হিসেবে। যদিও পরবর্তীকালে বঙ্গ, কঙ্গ, জাইলোফন, ভাইব্রফোন, পিয়ানো এবং জ্যাজ ড্রামে সমান পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তবেই কিনা পঞ্চমের এতো ঘনিষ্ঠ হতে পেরেছিলেন! তিনি একাধিক বার বলেছেন, পঞ্চম তাঁকে বেশ কঠিন কিছু কম্পোজিশন বাজাতে বলতেন এবং তিনি সানন্দে সেই দায়িত্ত্ব পালন করতেন। ভয় বা সংকোচের কোনও জায়গাই ছিল না। কারণ পঞ্চম সব সময় বন্ধুর মতো পাশে থাকতেন এবং উৎসাহ দিতেন। শুধু তাঁকেই নয়, দলের সবাইকে। যদিও ‘দল’ বললে হয়তো কিছুটা ভুল বলা হবে। সেটি যেন ছিল একটি পরিবারের মতো। পঞ্চমের সংগীত-পরিবার। যে পরিবারে সুরসৃষ্টি করা হতো খেলার ছলে। আড্ডা, ঠাট্টা, গল্পের মধ্যে দিয়ে কখন যে নতুন কোনও সুরের জন্ম হতো, অনেক ক্ষেত্রে হয়তো নিজেরাও বুঝে উঠতে পারতেন না।
এই নিয়ে একটি প্রচলিত গল্প আছে। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবির ‘দম মারো দম’ গানটি অনেকটা গল্পের ছলেই তৈরি হয়েছিল। একদিন সন্ধেবেলায় আনন্দ বক্সি, পঞ্চম এবং তাঁর সঙ্গীত পরিবার সবাই একসঙ্গে বসেছেন। ছবিটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু কেউই যেন খুব একটা নিজের মধ্যে নেই। সবাই যেন দিনের শেষে একটু ক্লান্ত। ঠিক এই সময় সবাইকে উজ্জীবিত করতে তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ একজন আচমকা বলে ওঠেন, ‘আরে ভাই দম মারো দম’। নিছকই কথার কথা। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ বক্সি বলে ওঠেন ‘মিট যায় গম’। আর কে দেখে! লাফিয়ে ওঠেন পঞ্চম। তিনি আনন্দকে অনুরোধ করতে থাকেন গানটি তখনই পুরোটা লিখে ফেলার জন্য। যেমন কথা, তেমন কাজ। আনান্দ গানটি লিখে ফেলেন আর পঞ্চম তৎক্ষণাৎ সুরারোপ করে ফেলেন গানটিতে। ব্যাস! গান তৈরি!
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৬: পঞ্চম-সভার তিন রত্ন বাসু-মনোহারী-মারুতি
অজানার সন্ধানে: মুছে যাক গ্লানি মুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…
ভবিষ্যবাণী: আনন্দে-সুখে ভরিয়ে তুলতে চান নিজেকে? রইল কয়েকটি সহজ উপায়
লুই ব্যাংকস-এর মতো একজন প্রখ্যাত পিয়ানিস্ট ছিলেন পঞ্চমের রত্নসম্ভারের একটি মহামূল্যবান রত্ন। তাঁর জন্ম নেপালে। বাবা ছিলেন একজন জনপ্রিয় ট্রামপেট বাদক। শোনা যায়, এক সময় তাঁরা সপরিবারে নেপাল থেকে কলকাতায় চলে আসেন। লুইয়ের সঙ্গে পঞ্চমের প্রথম দেখা হয় কলকাতাতেই। সত্তরের দশকে। লুই তখন কলকাতার একটি বিখ্যাত রেস্তরাঁয় নিয়মিত পিয়ানো বাজাতেন। তিনি ছিলেন ব্যান্ড লিডার। বলা বাহুল্য, সেই সময় তিনি এতটা জনপ্রিয়তা পাননি। এক সন্ধেবেলায় যখন তিনি মগ্ন হয়ে বাজিয়ে চলেছেন, সেই সময় রেস্তরাঁরই একজন ওয়েটার তাঁকে এসে বলেন, এক অতিথি তাঁর সঙ্গে একটু কথা বলতে চান। এটি শোনার পর পিয়ানো ছেড়ে উঠে আসেন লুই। এসে দাঁড়ান অপেক্ষারত সেই অতিথির সামনে। অতিথি নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি একজন সঙ্গীত পরিচালক। বলিউডে সঙ্গীত পরিচলনা করেন। নাম রাহুল দেব বর্মণ। লুই এই নামটি এই প্রথম শুনলেন। রাহুল লুইকে জানান, তাঁর পিয়ানো বাজানো খুব পছন্দ হয়েছে। তিনি তাঁকে বম্বেতে তাঁর সঙ্গে একটি কাজের সুযোগ দিতে চান। একটি ছবির এক দৃশ্যে নায়ক পিয়ানো বাজাবেন এবং নেপথ্যে থাকবেন লুই। কিন্তু হঠাৎ করে এমন এক প্রস্তাব লুইকে খুবই বিস্মিত করে। তিনি উত্তরে বলেন, ফিল্ম মিউজিক সম্পর্কে তাঁর ধারণা খুবই ক্ষীণ। তিনি পেশাগতভাবে রেস্তরাঁয় পিয়ানো বাজানতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু পঞ্চম তাঁকে বলেন অন্তত একটিবার বম্বে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। এরপর আর অনুরোধ ফেলতে পারেননি লুই।
কিন্তু লুই একটি শর্তে যেতে রাজি হন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ওই একটি ছবির কাজ করেই কলকাতায় ফিরে আসবেন। পঞ্চম সেই শর্তে রাজি হয়ে যান। তার কিছুদিন পর লুই পৌঁছে যান বম্বেতে। দেখা করেন পঞ্চমের সঙ্গে। এবার পঞ্চম ছবিটির গান সম্পর্কে অবগত করেন লুইকে। ছবির নাম ‘মুক্তি’। নায়ক শশী কাপুর। সেই ছবিরই কয়েকটি অংশে তাঁকে পিয়ানো বাজাতে দেখা যাবে এবং নেপথ্যে লুই-ই পিয়ানোটি বাজাবেন। পরিকল্পনা মতো শুরু হয় সিটিং। রেকর্ডিং স্টুডিতে গিয়ে লুই তো হতবাক! এ যেন সম্পূর্ণ এক অন্য জগৎ! স্টুডিয়োতে অনেক মিউজিসিয়ান উপস্থিত। আর সেখানে মধ্যমণি হয়ে রয়েছেন পঞ্চম। লুই যেন কোনো এক সমুদ্রে এসে পড়লেন। বেশ বুঝতে পারছিলেন যে কলকাতায় একটি গণ্ডির মধ্যে থেকে ব্যান্ড লিডার হয়ে কাজ করা আর বম্বেতে এই পরিবেশে কাজ করা – এই দুই এর মধ্যে কতটা তফাত।
কিন্তু লুই একটি শর্তে যেতে রাজি হন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ওই একটি ছবির কাজ করেই কলকাতায় ফিরে আসবেন। পঞ্চম সেই শর্তে রাজি হয়ে যান। তার কিছুদিন পর লুই পৌঁছে যান বম্বেতে। দেখা করেন পঞ্চমের সঙ্গে। এবার পঞ্চম ছবিটির গান সম্পর্কে অবগত করেন লুইকে। ছবির নাম ‘মুক্তি’। নায়ক শশী কাপুর। সেই ছবিরই কয়েকটি অংশে তাঁকে পিয়ানো বাজাতে দেখা যাবে এবং নেপথ্যে লুই-ই পিয়ানোটি বাজাবেন। পরিকল্পনা মতো শুরু হয় সিটিং। রেকর্ডিং স্টুডিতে গিয়ে লুই তো হতবাক! এ যেন সম্পূর্ণ এক অন্য জগৎ! স্টুডিয়োতে অনেক মিউজিসিয়ান উপস্থিত। আর সেখানে মধ্যমণি হয়ে রয়েছেন পঞ্চম। লুই যেন কোনো এক সমুদ্রে এসে পড়লেন। বেশ বুঝতে পারছিলেন যে কলকাতায় একটি গণ্ডির মধ্যে থেকে ব্যান্ড লিডার হয়ে কাজ করা আর বম্বেতে এই পরিবেশে কাজ করা – এই দুই এর মধ্যে কতটা তফাত।
আরও পড়ুন:
বাঙালির মৎস্যপুরাণ: পর্ব-৫১: সর্বত্র নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার প্রয়োজন, তবেই বাড়বে মাছ নিয়ে সচেতনতা, উপকৃত হবে আমজনতা
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১২: স্ট্যানলি ম্যাথুজ— একজন কিংবদন্তি, লড়াই আবেগ আর মেহনতী জনতার বন্ধু
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩১: মরুভূমির উপল পারে বনতলের ‘হ্রদ’
এই ছবিতে মুকেশের গাওয়া ‘সুহানি চাঁদনী রাতে’ গানটিতে যে পিয়ানো আমরা শুনতে পাই সেটি লুইয়েরই বাজানো। আর এই ছবির যে যে অংশে পিয়ানোর পার্টগুলি শুনে আমরা মুগ্ধ হই সে সবই লুইয়ের দু’ হাত থেকে বেরিয়ে এসেছে। ছবির কাজ শেষ হওয়ার পর শর্তের কথা মাথায় রেখে পঞ্চম লুইকে বিদায় দেন ঠিকই। কিন্তু তাঁকে এও বলেন, যদি লুই পরবর্তীকালে বম্বে আসার কোনও সিদ্ধান্ত নেন, তবে তিনি যেন অবশ্যই পঞ্চমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর কলকাতায় ফিরে আসেন লুই। আবার আগের মতোই রেস্তরাঁয় বাজাতে শুরু করেন নিজের দলের সঙ্গে। কথায় বলে, ‘মারেজেস আর মেড ইন হেভেন’। সেই কথাটিকে একটু পরিবর্তন করে বলা যেতেই পারে, ‘পঞ্চমস টিম ওয়াস ফর্মড ইন হেভেন’। এই কথায় কোনও ভুল নেই।
কেন বলছি? শোনা যায়, কলকাতায় পরবর্তীকালে লুইকিছু সমস্যার মধ্যে পড়েন যার জেরে তাঁর পক্ষে পেশাগতভাবে দল চালানো ক্রমে কঠিন হয়ে পড়ে। এবার তিনি নিজেই যোগাযোগ করেন পঞ্চমের সঙ্গে। পঞ্চম তৎক্ষণাৎ লুইকে বম্বেতে পৌঁছে যেতে বলেন। পাততাড়ি গুটিয়ে লুই পৌঁছে যান বম্বেতে। দেখা করেন পঞ্চমের সঙ্গে। এবার ভগবান পাকাপাকিভাবে মিলিয়ে দেন দু’ জনকে।
কিশোর সোধার মতো একজন সুদক্ষ ট্রামপেট বাদক ছিলেন পঞ্চম এর আরও একজন সভাসদ। বহু গানে সোধার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আরও একজনের কথা বলতেই হয়। তিনি হলেন বস্কো মনসরেট। তাঁর ট্রামপেট যেন কথা বলত।
কেন বলছি? শোনা যায়, কলকাতায় পরবর্তীকালে লুইকিছু সমস্যার মধ্যে পড়েন যার জেরে তাঁর পক্ষে পেশাগতভাবে দল চালানো ক্রমে কঠিন হয়ে পড়ে। এবার তিনি নিজেই যোগাযোগ করেন পঞ্চমের সঙ্গে। পঞ্চম তৎক্ষণাৎ লুইকে বম্বেতে পৌঁছে যেতে বলেন। পাততাড়ি গুটিয়ে লুই পৌঁছে যান বম্বেতে। দেখা করেন পঞ্চমের সঙ্গে। এবার ভগবান পাকাপাকিভাবে মিলিয়ে দেন দু’ জনকে।
কিশোর সোধার মতো একজন সুদক্ষ ট্রামপেট বাদক ছিলেন পঞ্চম এর আরও একজন সভাসদ। বহু গানে সোধার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আরও একজনের কথা বলতেই হয়। তিনি হলেন বস্কো মনসরেট। তাঁর ট্রামপেট যেন কথা বলত।
আরও পড়ুন:
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প, হিট এক্সরশন এবং হিট সিঙ্কো-এর মতো সমস্যা এড়াতে জেনে নিন কী কী করণীয়
ছোটদের যত্নে: সুস্থ ও পরিপুষ্ট সন্তানের জন্য এগুলি মেনে চলছেন তো? সন্তানসম্ভবাদের জরুরি পরামর্শে শিশু বিশেষজ্ঞ
বশ মানছে না ভুঁড়ি? রইল পাঁচটি সহজ টোটকা
ভূপিন্দর সিং একজন স্বনামধন্য গজল গায়ক হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন পঞ্চমের খুব প্রিয় একজন গিটারিস্ট। শুধু গজল কেন, প্রচুর বাণিজ্যিক ছবিতে এবং ব্যক্তিগত অ্যালবামে তিনি কণ্ঠদান করেছেন। ভূপিন্দরের জন্ম পাতিয়ালায়। পরবর্তীতে বম্বেতে চলে আসেন সুর-সঙ্গীতের টানে। অদ্ভুত সুন্দর গায়কী ছিল ওঁর গলায়। সবার থেকে একটু যেন আলাদা। কোথাও যেন তিনি অনন্য। পঞ্চমের হয়ে তিনি যেমন গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন তেমন পঞ্চমের সুরারোপিত ছবিতে গানও গেয়েছেন। ‘এক হি খোয়াব কইবার দেখা হ্যায় ম্যায়নে’ গানটির কথা একবার স্মরণ করুন! এই গানটিকে পঞ্চমের অনেক অনবদ্য সৃষ্টির মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়।
ভূপি একটি প্রেমের আধুনিক কবিতাকে সুরের মাধ্যমে যেন আলগোছে পাঠ করে গিয়েছেন। আর সেটিকে সঙ্গত করে গিয়েছে পিছনে বেজে চলা অ্যাকোস্টিক স্প্যানিশ। একটি তবলা ব্যবহার করা হয়েছে ঠিকই, তবু যেন পঞ্চম এই গানটিতে সেই ভাবে ছন্দের কোনও জায়গাই রাখেননি। ভূপির কণ্ঠকে সারা গান জুড়ে আলোকিত করে রেখেছে গিটার। যেটি কিছু ক্ষেত্রে ফিলার হলেও বাকি ক্ষেত্রে অবলিগেটোর কাজ করে গিয়েছে। এই গানে ভুপির হাসিটি মনে পরে? রেকর্ডিংয়ের সময় একজন গায়ককে ওইরকম স্বাভাবিক হাসি হাসতে গেলে গানের বিষয়টির সঙ্গে নিজেকে কতটা জড়িয়ে নিতে হয় সেটি ভূপি করে দেখিয়েছেন। ‘অসাধারণ’ ছাড়া আর কোন শব্দ মাথায় আসে না।—চলবে
ভূপি একটি প্রেমের আধুনিক কবিতাকে সুরের মাধ্যমে যেন আলগোছে পাঠ করে গিয়েছেন। আর সেটিকে সঙ্গত করে গিয়েছে পিছনে বেজে চলা অ্যাকোস্টিক স্প্যানিশ। একটি তবলা ব্যবহার করা হয়েছে ঠিকই, তবু যেন পঞ্চম এই গানটিতে সেই ভাবে ছন্দের কোনও জায়গাই রাখেননি। ভূপির কণ্ঠকে সারা গান জুড়ে আলোকিত করে রেখেছে গিটার। যেটি কিছু ক্ষেত্রে ফিলার হলেও বাকি ক্ষেত্রে অবলিগেটোর কাজ করে গিয়েছে। এই গানে ভুপির হাসিটি মনে পরে? রেকর্ডিংয়ের সময় একজন গায়ককে ওইরকম স্বাভাবিক হাসি হাসতে গেলে গানের বিষয়টির সঙ্গে নিজেকে কতটা জড়িয়ে নিতে হয় সেটি ভূপি করে দেখিয়েছেন। ‘অসাধারণ’ ছাড়া আর কোন শব্দ মাথায় আসে না।—চলবে
* পঞ্চমে মেলোডি (R D Burman): সৌম্য ভৌমিক, (Shoummo Bhoumik) সঙ্গীত শিল্পী।