লতা, পঞ্চম, কিশোর, গুলজার ও আশা।
অস্ত যায় ১৯৭৪ সালের সূর্য। আসে ১৯৭৫। নতুন বছর। তাই নতুন উদ্যম নিয়ে সুরে করেন পঞ্চম। পরের দিকে এই বছরটিও পঞ্চমকে এনে দেয় অভাবনীয় কিছু সুযোগ এবং সাফল্য।
মুক্তি পায় ‘আন্ধি’। অর্থাৎ পঞ্চম-কিশোর-গুলজারের সেই ‘ডেডলি কম্বো’। জানা যায়, ‘ইস মোড় সে যাতে হ্যায়’ লেখাটি যখন গুলজার সাহেব পঞ্চমকে প্রথমবারের জন্য পড়তে বলেন। তখন প্রথমে পুরো গানটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নেন পঞ্চম। তারপর কোনও কথা না বলে দু’ চোখ বন্ধ করে নিজের মনেই কি যেন গুনগুন করতে থাকেন। তারপর, গুলজার কিছু বুঝে ওঠার আগেই পঞ্চম হারমোনিয়াম নিয়ে বসে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তিনি গুলজারকে গানটি শোনান। গুলজারের তো চক্ষুচড়কগাছ! এ কি করেছেন পঞ্চম! তিনি আক্ষরিক অর্থেই প্রসংশার কোনও ভাষা খুজে পান না।
এও শোনা যায়, এই ছবির আরেকটি গান ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে কই শিকওয়া নেহি’ লেখার পর গুলজার পঞ্চমকে একটি অনুরোধ করেছিলেন। পঞ্চমের নিজের গাওয়া একটি জনপ্রিয় বাংলা গান ‘যেতে যেতে পথে হল দেরি’ গুলজার আগেই শুনেছিলেন। তিনি পঞ্চমকে ওই সুরটিই এই হিন্দি গানটির জন্য ব্যবহার করতে বলেন। এই প্রস্তাবে সানন্দে রাজি হয়ে যান আরডি। মনে মনে পঞ্চম হয়তো এই ভেবে খুশি হয়েছিলেন যে, ‘যাক, কিছুটা খাটুনি তো কমল!’ মজা করে এটা বলাই যায় যে, গুলজারের লেখায় সুরারোপ করার সময় পঞ্চম নিজেও হয়তো কিছুটা বাড়তি চাপ অনুভব করতেন। লেখা তো নয়, যেন গুরুপাক!
মুক্তি পায় ‘আন্ধি’। অর্থাৎ পঞ্চম-কিশোর-গুলজারের সেই ‘ডেডলি কম্বো’। জানা যায়, ‘ইস মোড় সে যাতে হ্যায়’ লেখাটি যখন গুলজার সাহেব পঞ্চমকে প্রথমবারের জন্য পড়তে বলেন। তখন প্রথমে পুরো গানটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নেন পঞ্চম। তারপর কোনও কথা না বলে দু’ চোখ বন্ধ করে নিজের মনেই কি যেন গুনগুন করতে থাকেন। তারপর, গুলজার কিছু বুঝে ওঠার আগেই পঞ্চম হারমোনিয়াম নিয়ে বসে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তিনি গুলজারকে গানটি শোনান। গুলজারের তো চক্ষুচড়কগাছ! এ কি করেছেন পঞ্চম! তিনি আক্ষরিক অর্থেই প্রসংশার কোনও ভাষা খুজে পান না।
এও শোনা যায়, এই ছবির আরেকটি গান ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে কই শিকওয়া নেহি’ লেখার পর গুলজার পঞ্চমকে একটি অনুরোধ করেছিলেন। পঞ্চমের নিজের গাওয়া একটি জনপ্রিয় বাংলা গান ‘যেতে যেতে পথে হল দেরি’ গুলজার আগেই শুনেছিলেন। তিনি পঞ্চমকে ওই সুরটিই এই হিন্দি গানটির জন্য ব্যবহার করতে বলেন। এই প্রস্তাবে সানন্দে রাজি হয়ে যান আরডি। মনে মনে পঞ্চম হয়তো এই ভেবে খুশি হয়েছিলেন যে, ‘যাক, কিছুটা খাটুনি তো কমল!’ মজা করে এটা বলাই যায় যে, গুলজারের লেখায় সুরারোপ করার সময় পঞ্চম নিজেও হয়তো কিছুটা বাড়তি চাপ অনুভব করতেন। লেখা তো নয়, যেন গুরুপাক!
এই ছবিতে গুলজারের লেখা ‘তুম আ গেয়ে হো নুর আ গায়া হ্যায়’ গানটির সুর তাল, ছন্দ এবং মাত্রা যেভাবে পঞ্চম সাজিয়েছেন সেটি রীতিমতো গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারে। গানটি পঞ্চম-গুলজারের একটি অনবদ্য সৃষ্টি। প্রেলুড নেই বললেই চলে। কথার মাধ্যমে আলাপের ঢং-এ কিশোর গানটি শুরু করেছেন এবং তারপর ছন্দের উদয় হয়েছে। পুরো গানটি জুড়ে কিশোর আর লতার মিলিত আবেগ নাড়া দিয়ে গিয়েছে সমগ্র শ্রোতাকুলকে।
‘খুশবু’ ছবির ‘ও মাঝি রে আপনা কিনারা’ গানটির কথা আগেই আলোচিত হয়েছে। বিয়ারের বোতলে ফুঁ দিয়ে জন্ম দেওয়া এক অভিনব শব্দ ব্যবহার করে ছন্দের বিস্তার করা হয়েছে গানটিতে। কিশোর তাঁর কণ্ঠকে যথারীতি উজাড় করে দিয়েছেন পঞ্চমকে। এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, অথচ এক নিদারুণ প্যোথোসে মোরা। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে কতটা আত্মবিশ্বাসী হলে তবে একজন গায়ক নিজেকে এই ভাবে উপস্থাপিত করতে পারেন সেটি সত্যিই ভেবে দেখার বিষয়।
‘ধরম করম’ ছবিতে কাজের সুযোগ আসে। রাজ কাপুর প্রযোজিত এবং রণধীর কাপুর নির্দেশিত এই ছবিতে কাজের ডাক পেয়ে অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েন পঞ্চম। সেই যুগে ‘আরকে ফিল্মস’-এর ব্যানারের ছত্রছায়ায় কাজ করা ছিল ফিল্ম অথবা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির যেকোনও মানুষেরই সপ্ন। সেই সপ্ন সত্যি হয় পঞ্চমের। কিন্তু এও জানা যায় যে, রাজ সাহেবকে পঞ্চম যখন গানগুলি শোনাতে বসেন, বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। রাজ কাপুরের মতো একজন ব্যাক্তিত্ব, তাঁকে খুশি করার কাজটি পঞ্চমের যথেষ্টই কঠিন হতে পারে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু সেই ভয়কে বিন্দুমাত্র প্রকাশ না করে বন্ধু রণধীর কাপুরকে পাশে নিয়ে বসে পড়েন রাজ কাপুরকে গানগুলি শোনাতে। শেষমেশ রাজ সাহেবের মন জয় করে নেন পঞ্চম।
কিশোরকে দিয়ে গাওয়ানো হয় ‘বাত থি ইয়ার এক বের কি’ গানটি। কিন্তু লক্ষ্যনীয় ঘটনাটি হল, এই গানটি শুনলে আপনারা কিন্তু সেই চেনা আরডি বর্মনকে খুজে পাবেন না। কোথাও যেনো তিনি একটু ভিন্ন।
‘খুশবু’ ছবির ‘ও মাঝি রে আপনা কিনারা’ গানটির কথা আগেই আলোচিত হয়েছে। বিয়ারের বোতলে ফুঁ দিয়ে জন্ম দেওয়া এক অভিনব শব্দ ব্যবহার করে ছন্দের বিস্তার করা হয়েছে গানটিতে। কিশোর তাঁর কণ্ঠকে যথারীতি উজাড় করে দিয়েছেন পঞ্চমকে। এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, অথচ এক নিদারুণ প্যোথোসে মোরা। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে কতটা আত্মবিশ্বাসী হলে তবে একজন গায়ক নিজেকে এই ভাবে উপস্থাপিত করতে পারেন সেটি সত্যিই ভেবে দেখার বিষয়।
‘ধরম করম’ ছবিতে কাজের সুযোগ আসে। রাজ কাপুর প্রযোজিত এবং রণধীর কাপুর নির্দেশিত এই ছবিতে কাজের ডাক পেয়ে অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েন পঞ্চম। সেই যুগে ‘আরকে ফিল্মস’-এর ব্যানারের ছত্রছায়ায় কাজ করা ছিল ফিল্ম অথবা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির যেকোনও মানুষেরই সপ্ন। সেই সপ্ন সত্যি হয় পঞ্চমের। কিন্তু এও জানা যায় যে, রাজ সাহেবকে পঞ্চম যখন গানগুলি শোনাতে বসেন, বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। রাজ কাপুরের মতো একজন ব্যাক্তিত্ব, তাঁকে খুশি করার কাজটি পঞ্চমের যথেষ্টই কঠিন হতে পারে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু সেই ভয়কে বিন্দুমাত্র প্রকাশ না করে বন্ধু রণধীর কাপুরকে পাশে নিয়ে বসে পড়েন রাজ কাপুরকে গানগুলি শোনাতে। শেষমেশ রাজ সাহেবের মন জয় করে নেন পঞ্চম।
কিশোরকে দিয়ে গাওয়ানো হয় ‘বাত থি ইয়ার এক বের কি’ গানটি। কিন্তু লক্ষ্যনীয় ঘটনাটি হল, এই গানটি শুনলে আপনারা কিন্তু সেই চেনা আরডি বর্মনকে খুজে পাবেন না। কোথাও যেনো তিনি একটু ভিন্ন।
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৬: ‘ও হানসিনি, মেরি হানসিনি কাঁহা উড় চলি’—কিশোর-পঞ্চম ম্যাজিক চলছেই
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৯: পথের প্রান্তে রয়ে গিয়েছে সে হাজার তারার ‘লক্ষহীরা’
রিভিউ: মধ্যমানের ভিএফএক্স আর সবাইকে সন্তুষ্ট করতে যাওয়াই কাল হল আদিপুরুষের
এই ছবির ‘একদিন বিত জায়গা মাটিকে মোল’ গানটি মুকেশ সাহেবের কণ্ঠে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান। কি অসাধারণ গেয়েছেন বলুনতো! কিন্তু জনেনকি, কিশোর কুমারকে দিয়েও ছবির একটি অংশে গাওয়ানো হয়েছে এই গানটি? কিশোর যখন গেয়েছেন, আমরা আবার খুজে পেয়েছি সেই চেনা গায়কী, বলিষ্ঠ কণ্ঠ এবং সর্বোপরি তাঁর মনমাতানো উপস্থাপনা। এখনও না শুনে থাকলে অন্তত এক বার শুনে দেখতে পারেন।
‘ওয়ারেন্ট’ ছবির ‘রুক জানা ও জানা হামসে দো বাতে কার কে চলি জানা’ গানটির কথা আগেই বলেছি। গানটিতে বিয়ারের বোতলে ফুঁ দিয়ে একটি শব্দ সৃষ্টি করেছিলেন পঞ্চম। এ ছাড়াও, কিশোরের গাওয়ার স্টাইলটি একবার লক্ষ্য করুন। নায়ক দেবানন্দ। তাই নিজের কণ্ঠকে পুরোপুরি মিশিয়ে দিয়েছেন তাঁর ব্যাক্তিত্বের সঙ্গে। অর্থাৎ আবার সেই কিশোর ম্যাজিক। পঞ্চম যথারীতি এই ক্ষেত্রেও সফল। দৃশ্যে দেবানন্দের দুষ্টুমির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিশোর গেয়ে গিয়েছেন গানটি। সেটি আজও একইরকম জনপ্রিয়।
একই ছবির ‘শুনো ভাই বারাতি’ গানটির অভিনবত্ব লুকিয়ে আছে গানটির ছন্দের বৈচিত্রে। মুখরা, ইন্টার লুড এবং অন্তরা— তিনটিতে তিনটি ভিন্ন ছন্দকে কাজে লাগিয়েছেন পঞ্চম। সেই যুগে একই গানে এই ধরনের বৈচিত্র্য — ভাবা যায় বলুন তো?
‘ওয়ারেন্ট’ ছবির ‘রুক জানা ও জানা হামসে দো বাতে কার কে চলি জানা’ গানটির কথা আগেই বলেছি। গানটিতে বিয়ারের বোতলে ফুঁ দিয়ে একটি শব্দ সৃষ্টি করেছিলেন পঞ্চম। এ ছাড়াও, কিশোরের গাওয়ার স্টাইলটি একবার লক্ষ্য করুন। নায়ক দেবানন্দ। তাই নিজের কণ্ঠকে পুরোপুরি মিশিয়ে দিয়েছেন তাঁর ব্যাক্তিত্বের সঙ্গে। অর্থাৎ আবার সেই কিশোর ম্যাজিক। পঞ্চম যথারীতি এই ক্ষেত্রেও সফল। দৃশ্যে দেবানন্দের দুষ্টুমির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিশোর গেয়ে গিয়েছেন গানটি। সেটি আজও একইরকম জনপ্রিয়।
একই ছবির ‘শুনো ভাই বারাতি’ গানটির অভিনবত্ব লুকিয়ে আছে গানটির ছন্দের বৈচিত্রে। মুখরা, ইন্টার লুড এবং অন্তরা— তিনটিতে তিনটি ভিন্ন ছন্দকে কাজে লাগিয়েছেন পঞ্চম। সেই যুগে একই গানে এই ধরনের বৈচিত্র্য — ভাবা যায় বলুন তো?
আরও পড়ুন:
অজানার সন্ধানে, ‘বঙ্গীয় বিশ্বকোষ’ প্রণেতা হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৩৫: বাঘের কাছ থেকে চাবি আনতে গিয়ে বাঘা রুপী রবি ঘোষের অবস্থা কী হয়েছিল সহজেই অনুমেয়
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৪: এ শুধু অলস মায়া?
আসে যুগান্তকারী ছবি ‘দিওয়ার’। যশ চোপড়া নির্দেশিত এবং শশী কাপুর-অমিতাভ বচ্চন অভিনীত এই ছবিটি পঞ্চমের জীবনের একটি মাইল স্টোন বললে হয়তো ভুল বলা হবে না। ছবির গল্পটি পুরোটা শোনার পর পঞ্চম নেমে পড়েন সুর রচনায়। কিশোর কুমারও আছেন গায়কদের তালিকায়। ব্যাস। দিনরাত এক করে শুরু হয় সুরসৃষ্টির কাজ। বসে পড়েন তাঁর সঙ্গীত পরিবারের সবাইকে নিয়ে। কিশোর-আশার জন্য তৈরি হয় ‘কহে দু তুমহে ইয়া চুপ রহু’ গানটি। শশী কাপুর এবং নিতু সিংয়ের লিপে কিশোর এবং আশা যেন অনবদ্য।
‘দিওয়ার’ ছবির আর একটি গান ‘ম্যায়নে তুঝে মাঙ্গা তুঝে পায়া হ্যায়’ যেনো এক যুগান্তকারী সৃষ্টি। মেলোডি, রিদম, ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবহার এবং কিশোর-আশার যৌথ উপস্থাপনা– সবে মিলে আমাদের পৌঁছে দেয় কোনও এক অজানা দেশে। বিশেষ করে সুরের মিষ্টত্ব যেন এক অন্য মাত্রার। মন চায় বার বার শুনতে।
‘খেল খেল মে’ ছবির ‘এক ম্যায় আউর এক তু’ গানটির বিন্যাসটি এক কোথায় অভিনব। প্রেলুডটি সাজানো হয়েছে মূলত বাঁশি, একোস্টিক স্প্যানিশ এবং তবলা ব্যবহার করে। তারপর কিশোর যখন গানটি শুরু করছেন, ছন্দ ধরে রাখছে স্প্যানিশ। তারপর মূল অংশে ঢুকে পড়ছে গানটি। প্রতিটি ইন্টারলুডের শেষে একটি ‘হিসিং ইফেক্ট’ ব্যবহার করা হয়েছে যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি নতুনত্বের ছোঁয়া। এক কথায় বলতে গেলে, গানটি অদ্বিতীয়। ঋষি কাপুর এবং নিতু সিংয়ের প্রাণোচ্ছল অভিনয়কে আরও বেশি করে তুলে ধরতে সক্ষম কিশোর-আশার গায়কী। নির্ভুল উপস্থাপনা। নেপথ্যে সেই আরডি বর্মন।
‘দিওয়ার’ ছবির আর একটি গান ‘ম্যায়নে তুঝে মাঙ্গা তুঝে পায়া হ্যায়’ যেনো এক যুগান্তকারী সৃষ্টি। মেলোডি, রিদম, ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবহার এবং কিশোর-আশার যৌথ উপস্থাপনা– সবে মিলে আমাদের পৌঁছে দেয় কোনও এক অজানা দেশে। বিশেষ করে সুরের মিষ্টত্ব যেন এক অন্য মাত্রার। মন চায় বার বার শুনতে।
‘খেল খেল মে’ ছবির ‘এক ম্যায় আউর এক তু’ গানটির বিন্যাসটি এক কোথায় অভিনব। প্রেলুডটি সাজানো হয়েছে মূলত বাঁশি, একোস্টিক স্প্যানিশ এবং তবলা ব্যবহার করে। তারপর কিশোর যখন গানটি শুরু করছেন, ছন্দ ধরে রাখছে স্প্যানিশ। তারপর মূল অংশে ঢুকে পড়ছে গানটি। প্রতিটি ইন্টারলুডের শেষে একটি ‘হিসিং ইফেক্ট’ ব্যবহার করা হয়েছে যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি নতুনত্বের ছোঁয়া। এক কথায় বলতে গেলে, গানটি অদ্বিতীয়। ঋষি কাপুর এবং নিতু সিংয়ের প্রাণোচ্ছল অভিনয়কে আরও বেশি করে তুলে ধরতে সক্ষম কিশোর-আশার গায়কী। নির্ভুল উপস্থাপনা। নেপথ্যে সেই আরডি বর্মন।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-১০: রাজার আশপাশে থাকা দুষ্ট লোকেদের অতিক্রম করে তাঁর কাছ পর্যন্ত পৌঁছনোর পথ খুবই দুর্গম
বাস্তুবিজ্ঞান, পর্ব-২১: বাস্তু মতে, বাড়ির সবার শোয়ার ঘর কোন দিকে হলে ভালো? কোন দিকেই বা থাকে ঠাকুর ঘর?
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২: চলমান সুন্দরবন
‘খুল্লাম খুল্লা পেয়ার করেঙ্গে হাম দোনো’ গানটি একই কারণে উল্লেখযোগ্য। গানটির প্রবাহ, ছন্দ, সুর এবং তাল সবই যেন অদ্বিতীয়। আর কিশোর এবং আশার পুরো গানটি জুড়ে নিজেদের কণ্ঠের মাধ্যমে করে যাওয়া অভিনয় আমাদের আজও নির্বাক করে রাখে। এই ছবির আরও একটি গান ‘আয়ে লো পেয়ারকে দিন আয়ে’ গানটির মধ্যে আমরা আবার পাই সেই চেনা পঞ্চমকে। বঙ্গের দ্বারা ছন্দের বিস্তার, মাদলের ব্যবহার, ইন্টারলুডে সুমধুর স্যাক্সোফোনের মাধুর্য্য এবং বলাই বাহুল্য সেই কিশোর এবং আশার যাদু। হয়তো আজ থেকে সহস্র বছর পরেও এই গানটির জনপ্রিয়তা একই মাত্রায় থেকে যাবে।
কিশোর কণ্ঠের অভিনয় — আরও কিছু প্রমাণ দরকার? শুনে নিন ‘কাহেতে হ্যায় মুঝকো রাজা’ ছবির ‘ইয়ে লো ম্যায় আ গয়া’, ‘আইও রে গয়া কাম সে’, এবং ‘বাম চিকে চিকে চাম চিকে চিকে’ প্রভৃতি গান। অথবা ‘কালা সোনা’ ছবির ‘তাক ঝুম নাচো নাচে মে’ গানটি। পঞ্চম যেন নিংড়ে নিয়েছেন কিশোরকে। প্রতিটি ক্ষেত্রে কিশোর উজাড় করে দিয়েছেন নিজেকে।
‘রাজা’ ছবির ‘কন হুঁ ম্যায় কন হো তুম’, ‘জি চাহে জি চাহে’, ‘কাল ইয়াহ আইথি ও’ প্রভৃতি গানগুলি ও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয় সেই সময়।—চলবে।
কিশোর কণ্ঠের অভিনয় — আরও কিছু প্রমাণ দরকার? শুনে নিন ‘কাহেতে হ্যায় মুঝকো রাজা’ ছবির ‘ইয়ে লো ম্যায় আ গয়া’, ‘আইও রে গয়া কাম সে’, এবং ‘বাম চিকে চিকে চাম চিকে চিকে’ প্রভৃতি গান। অথবা ‘কালা সোনা’ ছবির ‘তাক ঝুম নাচো নাচে মে’ গানটি। পঞ্চম যেন নিংড়ে নিয়েছেন কিশোরকে। প্রতিটি ক্ষেত্রে কিশোর উজাড় করে দিয়েছেন নিজেকে।
‘রাজা’ ছবির ‘কন হুঁ ম্যায় কন হো তুম’, ‘জি চাহে জি চাহে’, ‘কাল ইয়াহ আইথি ও’ প্রভৃতি গানগুলি ও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয় সেই সময়।—চলবে।
* পঞ্চমে মেলোডি (R D Burman): সৌম্য ভৌমিক, (Shoummo Bhoumik) সঙ্গীত শিল্পী।