বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


অসমে তখন ভয়ংকর বন্যা। বিধ্বস্ত মানুষগুলোর খবরাখবর নিতে কাছাড়ের ডেপুটি কমিশনার কীর্তি জাল্লি জলকাদা পেরিয়ে অসহায় মানুষগুলোর কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শুনে ছিলেন।

১৯৮৯ সালে হায়দরাবাদের বারেঙ্গ জল জেলার একটি গ্রামে জন্ম কীর্তির। ছোট থেকেই পড়াশোনায় দুর্দান্ত কীর্তির লক্ষ্য ছিল বড় হয়ে তিনি জনসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবেন। এরপর পড়াশোনা শেষ করে তিনি একজন আইএএস অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেন।

২০২০ সালের প্রথম দিকে হাইলা কান্দির জেলাশাসক কীর্তিকে কাছারে বদলি করে আনা হয়। কারণ কাছাড়ের ভয়ংকর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একমাত্র পারেন এই আইএএস অফিসার একথা প্রশাসন মনে করেছিলেন।

২০১২ ব্যাচের আইএএস অফিসার কীর্তি কাছাড়ের করোনা পরিস্থিতিতে অসাধারণ কাজ করেছিলেন। তাঁর কথায়, পরিস্থিতি কঠিন ছিল ঠিকই কিন্তু তাকে মোকাবিলা করতেই হবে। আর তাই সকলের উদ্যোগ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা একান্ত দরকার।

তিনি জেলাশাসক হিসাবে হাইলাকান্দিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর এলাকায় প্রভূত উন্নতি করেছিলেন ছিলেন। তিনি অসমের বরাকের ওই জেলার প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেন। ২০২০ সালে তিনি পেয়েছিলেন সেরা প্রশাসকের পুরস্কার।

কীর্তি কাছাড়ে কাজ করতে করতেই আদিত্য শশীকান্ত নামে কাছাড়ের এক বাসিন্দাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরদিনই অফিসে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল তাঁর সহকর্মীরা।

অসমের বরখোলা ব্লকে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা দেখতে কখনও জল ডিঙিয়ে কখনও বা কাদায় পা পিছলিয়ে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন প্রতিটি বাড়িতে। মন দিয়ে শুনে ছিলেন বন্যা বিধ্বস্ত মানুষদের সমস্যার কথা। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক করতে। ছবি: সংগৃহীত।


Skip to content