
এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ওড়িশার আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু হচ্ছেন এনডিএ জোটের প্রার্থী। ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার এক আদিবাসী পরিবারে তাঁর জন্ম।

পেশায় শিক্ষিকা দ্রৌপদীরর রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৯৭ সালে। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন।

তাঁর রাজনৈতিক পথ ছিল মসৃণ। ২০০০ এবং ২০০৪ সালে নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের পরিবহণ, পশুপালন, মৎস্য দফতরের মন্ত্রীও হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। পরে তিনি ওড়িশার সেরা বিধায়ক হিসাবে ২০০৭ সালে নীলকণ্ঠ পুরস্কার পান।

২০০৯ সালে বিজেডি-র সঙ্গে বিজেপির জোট ছিন্ন হলেও বিধানসভা ভোটে দ্রৌপদী জিতে যান। ২০০৯ অবধি ওড়িশা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে ময়ূরভঞ্জ পশ্চিমের জেলা সভাপতিও হন দ্রৌপদী।

২০১৫-র মে থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের পদ সামলেছিলেন।

এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করে এনডিএ।

রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে তাঁর ঘোষণার পরদিনই সকালেই পৌঁছে যান ময়ূরভঞ্জের রায়রাংপুরের জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে। এরপর শিব মন্দিরে গিয়ে হাতে ঝাঁটা নিয়ে মন্দির চত্বর পরিষ্কার করেন। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।

রাজনৈতিক পথ মসৃণ হলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন খুব কষ্টের। তাঁর স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু মারা যাওয়ার পর তাঁর দুই ছেলেও মারা যান। তাঁর সম্বল একমাত্র মেয়ে ইতিশ্রী মুর্মু। এখন তিনি একটি ব্যাঙ্কে কর্মরত।

এবার ও তাঁর লড়াইটা কঠিন, কারণ তাঁর বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। তবে তাঁকে হারালেই দ্রৌপদী মুর্মুই হবেন দেশের সর্বপ্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপ্রতি। আগামী ২৫ জুন মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তিনি।
