ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ান পোষ্য বিড়ালকে
শীতকালে প্রতিদিন পোষ্য বিড়ালের খাবারে রাখুন অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার। যেমন, ক্যাটফুড, মাছ, মুরগির মাংস, ডিম। এই খাবারগুলোয় ক্যালোরি বেশি থাকে। তাই শীতের সময় আপনার বিড়ালকে এই ধরনের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে মনে রাখবেন, বিড়াল কিন্তু কাঁচা ডিম খায় না। তাই খাবারের তালিকায় ডিম রাখলে তা সেদ্ধ বা রান্না করে নিয়ে বিড়ালকে খেতে দেবেন।
ঠান্ডা পরিবেশে বিড়ালকে সামান্য উষ্ণ জল খেতে দিন
ঠান্ডা পরিবেশে থাকলে বিড়ালকে আরও যত্নে আরও সাবধানে রাখতে হবে। আর তাই বিড়ালকে ঘরের তাপমাত্রার জল না দিয়ে সামান্য উষ্ণ জল খেতে দিতে পারেন। শুধুমাত্র শীতের সময়ই এটা প্রযোজ্য হবে। অন্য সময় আপনি ঘরের তাপমাত্রার জল বিড়ালকে খাওয়াতেই পারেন। শীতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে, তাই এইসময় উষ্ণ গরম জলই খাওয়ান আপনার বিড়ালকে।
শীতকালে ঘরের জানলা-দরজা বন্ধ রাখুন
শীতকালে বিড়ালকে আরও যত্নে রাখতে হলে ঘরের জানলা ও দরজা বন্ধ রাখুন। খেয়াল রাখবেন বিড়ালের গায়ে যেন সরাসরি ঠান্ডা হাওয়া না লাগে। এতে আপনার বিড়াল সুস্থ ও ভালো থাকবে।
পোষ্য বিড়ালের পায়ের থাবায় নজর দিন
আপনার পোষ্য বিড়াল যদি পার্সিয়ান হয়, তাহলে আপনাকে তার একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। পার্সিয়ান বিড়ালগুলির লোম বেশ লম্বা হয়। অতিরিক্ত ঠান্ডায় এই ধরনের বিড়ালদের পায়ের তলায় থাকা প্যাডে যন্ত্রণা হয়। তাই শীতে এই বিড়ালগুলির পায়ের থাবার দিকে নজর রাখুন এবং তার যত্ন নিন।
শীতের মরশুমে ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য ভ্যাকসিন দিন
শীতের মরশুমে কোনওভাবেই বিড়ালের ইমিউনিটি বা সংক্রমণ রোধ করার ক্ষমতা নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। তাই আপনার পোষ্য বিড়ালের যদি ভ্যাকসিন না হয়ে থাকে, তাহলে আর দেরি না করে বিড়ালের ভ্যাকসিন দিন। এতে শীতের প্রকোপের হাত থেকে বিড়ালকে রক্ষা করা সম্ভব।
খাবার জায়গা এবং জলের পাত্র বিড়ালের কাছাকাছি রাখুন
শীতে ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ একটা বিষয়। তাই আপনার বিড়ালের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেইজন্য খাবার জায়গা, জলের পাত্র সবসময় বিড়ালের কাছাকাছি রাখুন। যাতে প্রয়োজন হলে সহজেই বিড়াল এগুলি পেয়ে যায়। এতে আপনার ঝক্কিও কমবে।
রাতে শোয়ার আগে হালকা মাসাজ করে দিন
শীতকালে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার পোষ্য বিড়ালের শরীর যেন একেবারে সুস্থ থাকে। শরীরে যেন রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। আর সেই কারণেই রাতে শোয়ার আগে বিড়ালকে হালকা মাসাজ করে দিন। তাহলে বিড়ালের শরীরে রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক থাকবে।
অতিরিক্ত ঠান্ডায় বিড়ালকে উইন্টার জ্যাকেট, গরম টি-শার্ট পরাতে পারেনঅতিরিক্ত ঠান্ডা পড়লে বিড়ালকে উইন্টার জ্যাকেট অথবা গরম টি-শার্টও পরাতে পারেন। এতে আপনার বিড়ালের শরীর গরম থাকবে। এছাড়াও, এই ধরনের পোশাকগুলি বিড়ালের জন্য বেশ আরামদায়কও হয়।
বোরিং না করে বিড়ালকে নতুন খেলনা দিয়ে ব্যস্ত রাখুন
শীতকালে সাধারণত বিড়ালরা ঘরে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে দীর্ঘক্ষণ ঘরে থাকার কারণে আপনার পোষ্য পুষি যেন বোর না হয়ে যায়। তার একঘেয়েমি কাটাতে নানারকম নতুন খেলনা দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখুন। তাহলে দেখবেন দীর্ঘক্ষণ ঘরে থেকেও চনমনে হয়ে উঠেছে আপনার প্রিয় বিড়ালটি।
গাড়ি চালানোর আগে অবশ্যই গাড়ির নীচের দিকটা দেখে নিন
শীতে উষ্ণতার খোঁজে অনেকসময় গাড়ির বনেটের তলায় চলে যায় বিড়ালরা। সেই কারণে আগেই সাবধান হন আপনি। গাড়ি চালানোর আগে অবশ্যই গাড়ির নীচের দিকটা একবার চেক করে নেবেন।