শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


ফ্লেমিংগো পাখিদের আপাত স্বর্গরাজ্য। ছবি: লেখক।

ফ্লেমিংগো পাখির নাম নিশ্চই আপনারা শুনেছেন। আমি যেহেতু পুণের বাসিন্দা তাই এই অনন্যসুন্দর পাখিটি দেখার সৌভাগ্য হয়েই থাকে। পুণে থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ভিগবান নামক জায়গায় অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অসংখ্য ফ্লেমিংগো দেখা যায়। ভিগবানে ভিমা নদীর ওপর উজানী বাঁধ রয়েছে। সেই বাঁধের ব্যাক ওয়াটারে এই পাখি থাকে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু পরিযায়ী পাখি শীতকালে এখানে আসে।
সারা বিশ্বে ৬ রকমের ফ্লেমিংগো পাখিকে দেখা যায়। তার মধ্যে দু’ রকমের পাখি ভারতেই রয়েছে। তার মধ্যে গ্রেটার ফ্লেমিংগো ভিগবানের ব্যাক ওয়াটারে শীতকালে আসে। এছাড়াও মুম্বইয়ের খাড়িতে আর গুজরাতের কিছু জায়গায় গ্রেটার ও লেসার ফ্লেমিংগো পাওয়া যায়। ফ্লেমিংগো শব্দটা স্প্যানিশ বা পর্তুগিজ শব্দ থেকে এসেছে। ভিগবানের গ্রেটার ফ্লেমিংগো নিয়ে এ বার কিছু লিখবো।
আরও পড়ুন:

পাখি সব করে রব, পর্ব-৫: জঙ্গল অভিযানের পরে অবশেষে দেখা মিলল মন ভুলিয়ে দেওয়া সেই রেইন কোয়েলের

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১১: কার মন ভোলাতে এলে তুমি আজ…

ছোট অবস্থায় ফ্লেমিংগোরা ধূসর রঙের হয়। কিন্তু বড় হতে হতে কীভাবে এরা গোলাপি হয়ে যায় সেটাই এখন বলবো। ভিগবানের জলা জমিতে এক ধরণের শ্যাওলা বা আলগাই থাকে যার রং গোলাপি আর থাকে কুচো চিংড়ি। ফ্লেমিংগোগুলি সেই আলগাই আর চিংড়ি খায়। সেই থেকেই এদের শরীরের রং পাল্টাতে থাকে, আর ধীরে ধীরে গাঢ় গোলাপি রং হয়ে যায়। আর ফ্লেমিংগোরা সেই জলাশয়েই যায় যেখানে এই আলগাই আর চিংড়ি থাকে। এটাই ওদের প্রধান খাদ্য।
আরও পড়ুন:

পরিযায়ী মন, পর্ব-১১: ঘরের কাছে জলমহল—চাঁদনি জলটুঙ্গি

ইতিহাস কথা কও, পর্ব-১৪: মধুপুর ধাম, বাণেশ্বর মন্দির ও ধলুয়াবাড়ি সিদ্ধ নাথ শিবমন্দির

আগেকার দিনে আফ্রিকায় ফ্লেমিংগো একটি উপাদেয় খাদ্য ছিল। কিন্তু এখন সেটা রোধ করা হয়েছে বলে ফ্লেমিংগোরা সংখ্যায় এখন অনেক। আমি এখানে কিছু ফ্লেমিংগোর ছবি শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

লেখকের ইনস্টাগ্রাম লিঙ্ক: https://www.instagram.com/shuva.wildlifephotographer/
* শুভদীপ সোম (Shuvadip Som), আইটি ডিরেক্টর, পুণের একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। নেশা ফটোগ্রাফি।

Skip to content