রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


নদীর মতোই জীবনের বাঁক

কাশীর পথে

রেলযাত্রায় হঠাৎ করে যে একটা পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেল এটা কি নিছকই একটা ঘটনা? নাকি জীবনের আঁকে-বাঁকে কোথাও এর কোনও সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়ে যাবে? এইসব আগডুম বাগডুম চিন্তার জন্য বিনয়ের নিজেরই হাসি পেল।

একটু চোখটা লেগে এসেছিল। কোনও একটা স্টেশনের আগে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ট্রেনটা বাঁশি বাজিয়ে যাচ্ছে। তন্দ্রা কেটে গেল। হাত ঘড়িতে দেখল রাত ২টো। তার মানে কোন স্টেশন?

পকেটে একটা কাগজে সময় ধরে স্টেশনের নাম লেখা ছিল। তারাপদবাবু দিয়েছিলেন। সেটা বের করতে গিয়ে পকেট থেকে আবার স্বর্ণময়ীর হাতে ঠিকানা লেখা কাগজটা বেরিয়ে পড়ে। সেটা হাতে ধরে আবার পকেটে খুঁজতেই স্টেশনের নামলেখা কাগজটা পাওয়া গেল। রাত ২টো ৮ মিনিটে মোকামা জংশন। এই সেই মোকামা জংশন যেখানে বীর প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু হয়। ১ মে ১৯০৮৷ একজন বাঙালি পুলিশ ইন্সপেক্টর তাঁকে ধরিয়ে দেন। কী যেন নামটা? ইতিহাসের এই একটা সমস্যা। যোগ্য মানুষের সঙ্গেই অযোগ্য কুচক্রী অমানুষের নামটাও একই পংক্তিতে উচ্চারিত হয়। সিরাজদ্দৌলা এলে তাঁর সঙ্গেই আসে মীরজাফর। প্রফুল্ল চাকীর মতো ভারতমায়ের বীর যোদ্ধার সঙ্গে বাঙালির লজ্জা নপুংসক সাব-ইন্সপেক্টর নন্দলাল ব্যানার্জির নামও এসে যায়। প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যুটা হত্যা না আত্মহত্যা সে নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। একজন নির্ভীক বিপ্লবী হাতে বন্দুক নিয়ে তো আগে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করবে। আত্মহত্যা করবে কেন? মুহূর্তের মধ্যে যখন জীবনমরণের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তখন একজন ডানহাতি কষ্ট করে তাঁর ডানহাতের কবজি মুচড়ে বাম রগে রিভলবারের বার সোজা রেখে গুলি করলেন কী করে? মাথায় প্রথম গুলি ঢোকার পর তো ব্রেনডেথ হয়ে গেল। আত্মহত্যা করতে দ্বিতীয়বার গুলি করার শক্তি, ভাবনা তাঁর এল কী করে?

নির্বাক ভাবলেশহীন দর্শকের নির্লিপ্ততায় স্থবিরের মতো থমকে থাকা মধ্যরাতের নিশ্চুপ সেই ঐতিহাসিক মোকামা জংশন ছেড়ে রেল চলল ভারতের উত্তর-পশ্চিম কোণে।

মা উলটো দিকে নীচের সিটে ওপাশ ফিরে ঘুমোচ্ছে। গায়ের চাদরটা ঝুলে মেঝে ছুঁয়ে আছে—বিনয় ঝুঁকে পড়ে চাদরটা তুলে মায়ের গায়ে দিয়ে দেয়৷ উপরে তাকিয়ে দেখে তার শোয়ার জায়গাটা খালি পড়ে আছে। স্বর্ণময়ীদের ছেড়ে যাওয়া সিটে সেই মধুপুরের পর এখনও কেউ আসেনি। হয়তো পাটনা থেকে উঠবে।

মায়ের দিকে তাকিয়ে ভাবে বিনয়—বাবা দেশান্তরি হবার পর আজ প্রায় ১৯ বছর ধরে কী অসম্ভব কষ্টই না সহ্য করেছে তার মা। কোনও পুরুষমানুষ কি এত কষ্ট সহ্য করতে পারে? বোধহয় না। এত বছর ধরে কত না অনিশ্চয়তা ভয় অপমান সহ্য করে একমাত্র ছেলেকে দু’হাতে আঁকড়ে রেখে মানুষ করেছেন। এবার কি ঈশ্বর তাঁর কপালে একটু সুখ একটু শান্তির কথা লিখেছেন? গুরুতর অসুস্থ কথাটার অনেক রকম মানে হয়। কত মানুষই তো গুরুতর অসুস্থতা থেকে আবার সুস্থ হয়ে ওঠে। আবার, বাঁচার আশা না থাকলেও লোকে বলে গুরুতর অসুস্থতা। বাবা কেমন আছেন? সেবা-শুশ্রূষা করলেও কি তাঁকে কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না!! এত বছরের দুশ্চিন্তা নিয়ে বেঁচে থাকা মা কি আবার বৈধব্যের যন্ত্রণা ভোগ করবে।

বিনয় অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে—জলের বোতল থেকে জল খায়। কেন এসব খারাপ ভাবনা মাথার মধ্যে আসছে। যা হবার তা হবেই। ভবিতব্যকে পালটানোর ক্ষমতা তো মানুষের নেই। তার চেয়ে এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করলে ক্ষতি কোথায়? এই মুহূর্তটা তো আর ফিরে আসবে না!! অতীত বা ভবিষ্যৎ দুটোকেই তো বদলানো যায় না। কিন্তু বর্তমানটা তো আমার হাতে—কেমন ভাবে এই মুহূর্তগুলো কাটাব সেটা তো আমি ঠিক করতে পারি।

হাওড়া থেকে মধুপুর রাস্তাটা যেন বোঝাই গেল না! কলকাতায় ম্যাট্রিকের ক্লাসে শুভঙ্কর পড়ত। শুভঙ্কর মিত্র। ক্লাসে বরাবর ফার্স্ট হত। পয়সাওয়ালা ঘরের ছেলে। স্কুল থেকেই তার ফিজিক্স নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা করার স্থির লক্ষ্য। অঙ্ক আর ফিজিক্স দুটো বিষয়েই শুভঙ্কর চৌখস! একদিন টিফিন বেলায় গল্পচ্ছলে আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি বুঝিয়েছিল। তখন এটা পাঠ্য ছিল না— ব্যাপারটা খুব শোনা যেত। স্পষ্ট ধারণা ছিল না। শুভঙ্কর বলেছিল—সময় ব্যাপারটা খুব রিলেটিভ। আপেক্ষিক। যেমন ধর তোর রহস্য গল্প পড়তে খুব নেশা
—তেমন একটা রহস্য গল্পের বই নিয়ে গোগ্রাসে পড়তে পড়তে তুই একটা গোটা দিন কাটিয়ে দিতে পারিস। একটা গোটা দিন চলে গেল কিন্তু তুই মালুমই পেলি না। অথচ সেই গোটা দিন তোকে যদি এক জায়গায় বসে থাকতে হত তাহলে আধ ঘণ্টা পরেই তুই অস্থির হয়ে উঠতিস। সেই একটা গোটা দিন—সেই তুই । কিন্তু দুটো ক্ষেত্রের আপেক্ষিকতা আলাদা।
তার মানে এই বগির মধ্যেই বিনয় থিওরি অব রিলেটিভিটির আরও একটা প্রমাণ পেল। স্বর্ণময়ীরা ট্রেনে ওঠা থেকে নেমে যাওয়া পর্যন্ত সময়টাকে কয়েক মুহূর্ত বলে বোধ হচ্ছে। বিনয়ের কি স্বর্ণময়ীকে ভালো লেগে গেল? না ভালো লাগার অবশ্য কোনও কারণ নেই। দেখতে সুশ্রী লাবণ্যময়ী। বড় বড় চোখে তাকায়। মজা করে কথা বলতে জানে। মুখ টিপে হাসে। জিজ্ঞেস করা হয়নি তবে ম্যাট্রিক পাশ তো নিশ্চয়ই। স্বর্ণময়ীর মনোরম ব্যক্তিত্বের বেশ একটা সুগন্ধ আছে। যেটা উপভোগ্য। ফুল সুন্দর। তাতে প্রজাপতি এসে বসলে—দুয়ে মিলে যেন আরও সুন্দর।

কিন্তু বিনয়কান্তি এসব ভাবছ কেন? মাকে নিয়ে বিনয় যাচ্ছে কাশীতে। খবর এসেছে সেখানে তার বাবা গুরুতর অসুস্থ। অথচ হাওড়া থেকে মধুপুর পর্যন্ত তার একবারও তো বাবার কথা… বিনয় কি দায়িত্বজ্ঞানহীন? স্বার্থপর? নাকি বাবাকে কখনও না দেখার কারণেই তাঁর প্রতি ভেতরে ভেতরে বিনয়কান্তির কোনও টান তৈরি হয়নি। সত্যিই তো একটা ছেলে যদি ১৮/১৯ বছর শুধু মাকেই আঁকড়ে বেড়ে ওঠে তাহলে সে বাবার অসুস্থতা নিয়ে মনের মধ্যে চাপ অনুভব করবে কী করে? হ্যাঁ মানুষটাকে সামনাসামনি দেখার অদম্য কৌতূহল আছে—আর কষ্টটা কিন্তু মা’র জন্যে৷ মা’র কষ্ট হচ্ছে তাই বিনয়ের কষ্ট।

তাছাড়া একটা কাকতালীয় ঘটনায় তারা মুখোমুখি হয়েছে। ভদ্রলোক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, বিনয় সাহায্য করেছে। এই একই বগিতে ওঁদের বসার জায়গা না হয়ে অন্যত্র হতে পারত। নেহাত ঘটনাক্রমে ওঁদের বসার জায়গা এখানে হয়েছে। আলাপ পরিচিতি হয়েছে। কথা হয়েছে। এটা বোঝা গেছে যে ওঁরা বড় দুই মেয়ের মতো ছোট মেয়েকে সুপাত্রস্থ করতে চান। আর ওদের মনোগত ইচ্ছে যে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি কলকাতায় হোক। তার মানে তো এই নয় যে তারা বিনয়ের মতো কারও হাতে তাদের মেয়েকে সঁপে দেবেন। হ্যাঁ ঠিকানা নিয়েছেন তবে সেটা ওই পর্যন্তই। এখন বিনয়রা যেখানে থাকে সেখানে ব্যারিস্টার আনন্দমোহন বসু কোনও সম্পর্ক করবেন বলে মনে হয় না—সৎ নির্ভীক ও পরিশ্রমী হলেও কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে তারা আশ্রিতের জীবন কাটিয়েছে। বিনয় এটা বিশ্বাস করে যে তুমি কোথায় শুরু করেছ সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় তুমি কোথায় জীবন শেষ করবে সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে কথাটা তার নয় কথাটা তার মৃত্যুপথযাত্রী দাদামশাই হেডমাস্টার মুকুন্দ সেনগুপ্ত-র। অনেক ছোটবেলায় শোনা সেই কথা বিনয়ের স্নায়ুর তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে গেঁথে আছে এবং দাদামশাইয়ের সেই কথা সে জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দেবে। তবে তার জন্য তো সময় চাই। স্বর্ণময়ীর মতো কেউ এতটা সময় ধরে অপেক্ষা করবে না।

এই শেষ অংশটা লিখে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সুবর্ণকান্তি দত্ত মনে মনে বেশ একটা আত্মপ্রসাদ অনুভব করল। একটু গর্ব হল কি? যাকে কপিবুক বাংলায় আত্মশ্লাঘা বলে। বাবা সাহিত্যিক অমলকান্তির ডিএনএর উপস্থিতি অনুভব করল সুবর্ণ।

বাবার লেখায় এটুকু ছিল যে বড় ঠাম্মিকে নিয়ে কাশী যাবার সময় দাদু বিনয়কান্তির সঙ্গে ঠাম্মি স্বর্ণময়ী ও তার পরিবারের ট্রেনে দেখা হয়েছিল। ঠাম্মিরা শেষ মুহূর্তে হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে ওঠেন। দাদু মালপত্র তুলতে সাহায্য করেছিলেন। ঠাম্মির বাবা আনন্দমোহন ট্রেনে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন—ঠাম্মিরা মধুপুরে নেমে যান। ব্যস!

কিন্তু সুবর্ণর কল্পনা শক্তিতে এই যে একটা প্রাক তিরিশ সনের প্রেমের আবহ তৈরি হয়েছে সেটা তো সুবর্ণর কৃতিত্ব। বাবা এখন বেঁচে থাকলে আশি টপকে যেতেন—হয়তো এখন ওপরের ঘরে বসে বা শুয়ে আছেন। এমনটা হলে সুবর্ণ ল্যাপটপটা নিয়ে ছুটে যেত। বাবার চোখে চশমা লাগিয়ে দিয়ে বলত পড়ে দেখুন স্যার! আপনার মতো নয় কিন্তু আমার হাতেও কুছ কুছ হোতা হ্যায়!

৬২ বছরের ছেলে তার নব্বইয়ের ঘরে পা দেওয়া প্রথিতযশা সাহিত্যিক বাবাকে আর এভাবে লেখা দেখিয়ে বাবার বাহবা নিতে পারবে না বলেই কল্পনা—কল্পনাতেই থেকে গেল।

বোধকরি সেকেন্ড ক্লাস। ভাড়া বেশি। সেজন্য পাটনা জংশন থেকেও যখন কেউ উঠল না তখন বিনয় নীচের সিটেতেই একটু গড়িয়ে নিল। ভোররাতের গাঢ় ঘুম ভাঙল মায়ের ডাকাডাকিতে। মা বোধহয় কারও থেকে শুনে থাকবে যে এর পর বারাণসী জংশন আসছে। জানলা দিয়ে চোখ কচলে বিনয় দেখতে পেল ট্রেন মোগলসরাই জংশন ছেড়ে যাচ্ছে৷

—ও মোগলসরাই। আরও একঘণ্টার রাস্তা। তুমি এখন স্থির হয়ে এসে বসো আমি হোল্ডলটা বেঁধে ফেলি।

বিছানা বালিশ সুন্দর করে হোল্ডল-এর মধ্যে গোছাতে গোছাতে বিনয় গড়গড় করে বেনারসের একটা ছোট্ট বর্ণনা দিয়ে দিল৷

—আধঘণ্টা পরে মা-গঙ্গার উপর রেলব্রিজ আসবে। তারপরেই কাশী স্টেশন। কিন্তু ওখানে আমরা নামব না—ওখানে ট্রেন মাত্র এক মিনিট দাঁড়ায়—তাছাড়া লাক্সা রোডের রামকৃষ্ণ মঠ ওখান থেকে প্রায় ডবল। ন’ কিলোমিটার। কিন্তু বারাণসী জংশন থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার মতো। ওখানে ট্রেন ১৫ মিনিট দাঁড়ায়। নামার কোনও তাড়াহুড়ো নেই, ধীরেসুস্থে নামলেই চলবে। স্টেশনের বাইরেই টাঙা পাব৷

বসুন্ধরা অবাক৷

—আচ্ছা বিনু!! তুইও তো এই প্রথমবার কাশী এলি। এতসব জানলি কোত্থেকে?

—কেউ তো আর সব জেনেবুঝেই পৃথিবীতে আসে না মা। কিন্তু জেনে নেয়। তুমি জানো না। অন্য কেউ জানে। তাদের জিজ্ঞেস করো। তাতে তো কোনও ক্ষতি নেই। জ্ঞান বাড়াতে পয়সাকড়ি লাগে না মা। ধৈর্য লাগে আর উৎসাহ লাগে৷

ট্রেন থেকে নেমে—ওভারব্রিজ টপকে মাকে নিয়ে বিনয় টাঙায় চাপল— —চলবে

প্রকৃতির বর্ণময় রূপ-রস-গন্ধ

ছবি: সত্রাগ্নি
পরের পর্ব আগামী রবিবার
বাচ্চা মহারাজের পাঠানো সেই চিঠিটা বিনয় সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল। লোকটি মাকে নিয়ে অফিস বেঞ্চে বসতে বলল। খানিক পরে এলেন সৌম্যদর্শন এক সন্ন্যাসী মহারাজ। সুঠাম চেহারা—বড় বড় চোখ—আর শিশুর মতো পবিত্র নির্মল তার হাসি৷ সার্থক নাম তাঁর।
* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল : samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content