নতুন বাড়ি বসুন্ধরা ভিলার অন্দরমহল।
বসুন্ধরা ভিলার অলস দুপুরগুলোতে শান্তিলতার একা একা অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে তাদের দাম্পত্যের কথা। বিয়ের আগে প্রবোধ বসুন্ধরা ভিলায় আসেনি। অদ্ভুতভাবে প্রবোধের বাড়ির গুরুজনেরাও আসেননি। শান্তিলতার ছবি দেখেই ওঁরা পছন্দ করেছিলেন। বিয়ের ব্যাপারে যা কথাবার্তা বলার সবই বিনয়কান্তির অফিসে হয়েছে। সারাদিন বিনয়কান্তি নানান কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকতেন। তাই প্রবোধের মা-বাবাকে গাড়ি পাঠিয়ে অফিসের গেস্টরুমে নিয়ে এসে কথা বলতেন। তিনি যে প্রবোধকে একজন পরিশ্রমী যুবক হিসেবে পছন্দ করেন আর তাই তারই হাতে নিজের মেয়েকে তুলে দিতে চান একথা বিনয়কান্তি প্রবোধের মা-বাবাকে বারবার বলতেন। বিয়েটা হল। মধুচন্দ্রিমা হল দার্জিলিংয়ে। চেতলার মধ্যবিত্ত পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগল শান্তিলতা। এক বছরের মাথায় প্রথম সন্তান। সন্তান-সম্ভাবনা জানার পর থেকেই ঠাম্মি বসুন্ধরার ইচ্ছেয় শান্তিলতা বসুন্ধরা ভিলায় থাকতে শুরু করল।
শান্তিলতা চায়নি। তবু সৌরভের জন্মের আটবছর পর সে আবার সন্তানসম্ভবা হল। বাইরের লোকজন এটাকেই সুখে ঘর সংসার করা বলবে কারণ মনের অসুখ দেখা যায় না। সৌরভের জন্মের আগে মা বা ঠাম্মি জোর করলেও শান্তিলতা বসুন্ধরা ভিলায় যায়নি। পুজোআচ্চা বা বিয়েবাড়ি উপলক্ষে স্বামীর সঙ্গে গিয়েছে আবার স্বামীর সঙ্গে ফিরে এসেছে চেতলার শ্বশুরবাড়িতে।
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৪৬: বসুন্ধরা এবং…
নাভিতে নিয়মিত তেল মালিশ করেন? জানেন এতে কী লাভ হয়
ভিটামিন ডি তৈরির জন্য রোদে কত ক্ষণ থাকতে হবে? গায়ের রঙের উপর তা নির্ভর করে, জানতেন?
ছোটদের যত্নে: আপনার সন্তান কি প্রায়ই কাঁদে? শিশুর কান্না থামানোর সহজ উপায় বলে দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু
মনের আয়না: নেতিবাচক ভাবনা সরিয়ে সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন, ফিরবে হৃত যৌনজীবন
ষাট পেরিয়ে: পর্ব-১৫: এখন থেকেই যত্ন নিন কিডনির, গুরুত্ব দিন এ সব বিষয়ে
সাই পল্লবী ‘রামায়ণ’-এ সীতা হয়ে বলিউডে পা রাখছেন? পর্দা ভাগ করতে দেখা যাবে হৃতিক, রাম চরণ, প্রভাসকে?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১২: সে এক ‘বউঠাকুরাণীর হাট’ [১০/০৭/১৯৫৩]
সপ্তাহান্তে শরীরচর্চা? ভাবছেন এতে আদৌ লাভ হবে কি না?
বাইরে দূরে ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৫: এমন সুন্দরের মাঝে নির্ভয়ে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ জীবনে রোজ রোজ আসে না…
কিম্ভূতকাণ্ড, পর্ব-২: শেকড়বাকড়-লতাপাতা, গন্ডারের শিং, বাঘের নখ— যে ভাবেই হোক শরীরের বয়সটা কমিয়ে দাও
সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-৫: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র— বইয়ের জন্য ভালোবাসা
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩২: দীক্ষার আংটি হেমলতাকে দিয়েছিলেন মহর্ষিদেব
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২৬: ‘সত্যেরে লও সহজে’—রাজসুখ ছেড়ে কি তবে বনবাসী মন?
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-১১: মাছের রাজা গোল্ডেন মহাশির
সুবর্ণ লিখতে গিয়ে বুঝতে পারছে বসুন্ধরা ভিলার বৃত্তান্ত মহাভারতের মতই জটিল। এত তার চরিত্র, এত ধরনের চরিত্র—সময়লিপি ধরে তার বর্ণনা করা কঠিন ব্যাপার। তাই এগিয়ে গিয়েও আবার পিছিয়ে আসতে হচ্ছে। কাহিনীর ফেলে আসা সুতোগুলোকে আবার গুছিয়ে নিয়ে এগোতে হচ্ছে। লিখতে গিয়ে আনুষঙ্গিক ঐতিহাসিক চরিত্র বা নতুন অজানা বিষয় এসে যাচ্ছে। থমকে গিয়ে তাদের নিয়ে একটু পড়াশোনা করে নিতে হচ্ছে সুবর্ণকে। দিনে দিনে কলেবর বৃদ্ধি হচ্ছে আপন হাতে হাল ধরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপন স্রোতে বয়ে চলেছে বসুন্ধরা এবং তার আনুসাঙ্গিক কথকতা…
১৯৫৮-য় শান্তিলতার বিয়ের বছরের শেষদিকে গগনকান্তির বিয়ে হল বেলেঘাটার বর্ধিষ্ণু মিত্র পরিবারের আরতির সঙ্গে। মানে সম্পর্কে যিনি সুবর্ণর বড় জেঠিমা। সে বিয়ের প্রসঙ্গে বেলেঘাটার বলদেব ও রেবতীর বিগ্রহ ও রাসবাড়ীর বর্ণনা রয়েছে সুবর্ণর বাবা অমলকান্তির লেখায়। লাইব্রেরি ঘরেই রাধারমণ মিত্রের ‘কলিকাতা দর্পণ’, বা পূর্ণেন্দু পত্রী’র ‘কলকাতার রাজকাহিনী’তে পেয়ে গেল জানার মত আরও অনেক কিছু…—চলবে
লেখালেখি।
পরের পর্ব আগামী রবিবার
গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ‘জীবনস্মৃতি’-তে রাজেন্দ্রলাল বিষয়ে লিখেছেন—‘রাজেন্দ্রলাল সব্যসাচী ছিলেন। তিনি একাই একটি সভা। এই উপলক্ষে তাঁহার সহিত পরিচিত হইয়া আমি ধন্য হইয়াছিলাম। এ পর্যন্ত বাংলা দেশে অনেক বড় বড় সাহিত্যিকের সঙ্গে আমার আলাপ হইয়াছে, কিন্তু রাজেন্দ্রলালের স্মৃতি আমার মনে যেমন উজ্জ্বল হইয়া বিরাজ করিতেছে এমন আর কাহারও নহে।’