শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতার রেসকোর্স বা গলফ ক্লাব- অভিজাতদের পরিচিতি-স্থল।

।।স্বাধীন ভারত।।

মাকে বাড়িতে রেখে ক্লাইভ রো অফিসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুছিয়ে নিমতলাঘাট শ্মশানে গিরিজাশঙ্কর গুহ-র দাহকার্যে গিয়েছিল বিনয়কান্তি। চিতার আগুন আর সেই গঙ্গানদীকে দেখতে দেখতে বারবার মনে আসছিল বেনারসের মণিকর্নিকা ঘাটের কথা। বাবার কথা। দাদু মুকুন্দ সেনগুপ্তের পর এই কত্তাবাবু গিরিজাশঙ্কর গুহ না থাকলে মাকে নিয়ে বাবার কাছে হয়তো পৌঁছতেই পারত না বিনয়। দুপুরের পর শ্মশানের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে মায়ের কথামত প্রদীপ থেকে আগুনের তাপ নিয়ে দাঁতে নিমপাতা ও ডালের কণা চিবিয়ে ফেলে রীতি মেনে স্নান সেরে সামান্য কিছু মুখে দিয়ে বিনয় ছুটল অফিসে। সকালে তার স্টেনো আর অ্যাকাউন্টেন্টেকে অনুরোধ করে ছিল ছুটির পর কয়েক ঘণ্টা অফিসে থাকতে। ব্যবসাটা তার নিজের। কাজ শেষ না হলে ব্যবসার ক্ষতি। নিজের গাড়িতে তাদের বাড়িতে পৌঁছে তারপর নিজে বাড়ি ফিরেছিল বিনয়। উইলিয়াম পিটারসনও বাড়ি ফেরার সময় বিনয়কে অফিস দেখে অবাক হয়েছিলেন। সেদিন বিনয়কান্তিকে আবার নতুন করে চিনেছিলেন পিটারসন। বুঝেছিলেন নিষ্ঠা সততা এগুলো আত্মসংবরণেরই বিভিন্ন পর্যায়।

তবে বারংবার বিনয়কান্তিকে আবিষ্কার করেছেন পিটারসন সাহেব। অসম থেকে ফিরে আসার পর তিনি বলেছিলেন, —আছাবাম চা-বাগানের কাজে অনেক মানসিক চাপ গিয়েছে। চাইলে বিনয় বরং ক’দিন ছুটি নিয়ে একটু বিশ্রাম করুক। বিনয় জানিয়েছিল ছুটি হয়তো লাগবে, কিন্তু সেটা বিশ্রামের জন্য নয়। তাকে বিএ পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। রিপন কলেজ থেকে আইএ পরীক্ষায় পাশ করল, কিন্তু সময়াভাবে ইতিহাস নিয়ে বিএ পরীক্ষায় পাশ করল আরও কয়েকবছর পর। তখন সে গগনকান্তির বাবা।

সুবর্ণকান্তি এটা বাবার লেখা থেকে পড়েছে। কিন্তু মনে একটা খটকা ছিল, ইভনিং কলেজ বা প্রাইভেটে পরীক্ষা দেওয়ার উপায় কি তখন ছিল না? প্রথম ইভনিং কলেজ কোনটা? কত সাল? … খুঁজে পেতে দেখা গেল সুরেন্দ্রনাথ ও বিদ্যাসাগর কলেজের সান্ধ্যবিভাগ ১৯৬১ সালে আর বঙ্গবাসী কলেজের সান্ধ্যবিভাগ চালু হয় ১৯৬৫ সালে। প্রাইভেটে পরীক্ষা আরও পরে।

বিএ পাশ না করেও বিনয়কান্তি এরই মধ্যে জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সে যে কথা দিয়েছিল। বসুন্ধরা বা স্বর্ণময়ীকে নয়। সে নিজেকে কথা দিয়েছিল। বিনয়ের চারিত্রিক দৃঢ়তার সঙ্গে সঙ্গে ধৈর্য আর অধ্যবসায়ও অপরিসীম, যা সচরাচর দেখা যায় না। সাহেবরা তাই বোধহয় বলে, ‘a rare combination of patience, perseverance and determination’।

এসে গেলো ১৯৪৭। এসে গেল বহুপ্রতীক্ষিত স্বাধীনতা। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরের এই স্বাধীনতায় ভয়ঙ্কর মূল্য দিতে হল দেশবাসীকে। এতদিন ধরে জন্মভূমি বলে জেনে আসা ভিটে, মুহূর্তের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ‘বিদেশ’ হয়ে গেল। ভয়ে আতঙ্কে অনিশ্চয়তায় লক্ষ লক্ষ পরিবার তাদের শেষ সম্বল নিয়ে পথে নামল। ওপারের বিপুল জমিজায়গা ব্যবসা বেহাত হয়ে যাবার আশঙ্কা থেকেই ফড়েপুকুরের বাড়ি বিক্রি করে গুহবাড়ির বড় ছেলে মা ও পরিবার নিয়ে বাখুণ্ডা ফিরে গেলেন। বিনয় কলকাতায় থেকে যাবার কথা বারবার বলেছিল। গুহবাড়ির বড়ছেলে রাজি হননি হয়তো একসময়ের আশ্রিত বিনয়ের কাছে সাহায্যপ্রার্থী হবার ন্যূনতম সম্ভাবনাও তাঁকে অস্থির করেছিল। বিনয় জোর করেনি। বসুন্ধরার বাখুণ্ডা বা কোটালিপাড়ার স্মৃতিরা কাঁটাতারের ওপারে রয়ে গেল। ১৪ আগস্ট থেকেই কলকাতায় একটা থমথমে পরিবেশ। এক বছরের আগেকার দাঙ্গার স্মৃতি তখনও টাটকা। কিন্তু মানুষের চেষ্টাতেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্ভাবনা এড়ানো গেল।

এতদিন ধরে চলতে থাকা একটা সিস্টেমে অবশ্যম্ভাবী বদল শুরু হল। অনেক বিদেশী ব্যবসায়ী দেশে ফিরে যাবার কথা ভাবতে শুরু করলেন। উইলিয়াম পিটারসন তাদের একজন। পিটারসন একদিন অফিস ছুটির পর বিনয়কে বললেন— তিনি এই কোম্পানির দায়িত্ব বিনয়কে দিয়ে দেশে ফিরে যেতে চান। বিনয় চমকে ওঠে। সে বলে এতো বড় দায়িত্ব নেবার মতো যোগ্য সে এখনও হয়ে ওঠেনি। পিটারসন জানান বিনয়ের যোগ্যতা নিয়ে তার মনের মধ্যে কোনও সংশয় নেই। তবে পিটারসন বিনয়কে এমনি এমনি এই ব্যবসা লিখে দেবে না। নিজের সামর্থ্য দিয়ে বিনয়কে এই ব্যবসা পিটারসেনের থেকে কিনে নিতে হবে। বিনয় বলে গোটা কোম্পানি কিনে নেওয়ার মতো টাকা তার কাছে নেই। সময় পেলেও সে অত টাকা জোগাড় করতে পারবে না। মাথা নিচু করে বসে থাকা বিনয়ের পাশে এসে দাঁড়ায় পিটারসন। কাঁধে হাত রেখে সস্নেহে বলেন— তুমি যে টাকা জোগাড় করতে পারবে সেই টাকাতেই আমি তোমায় কোম্পানি লিখে দেবো। কিন্তু তোমার নিজের সহায়সম্বল জড়িয়ে থাকলে তবে তুমি সেই ব্যবসার মর্যাদা করবে। এই কোম্পানির ভ্যালুয়েশন তুমি জানো। তুমি চেষ্টা করো। যে টাকা জোগাড় করতে পারবে আমায় দেবে।

ডিসেম্বরের সে শীতের রাতে সারা কলকাতা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিল। সারারাত জেগে ছিল তিনজন। বিনয়কান্তি, বসুন্ধরা আর স্বর্ণময়ী।

চাকরিতে উন্নতি হওয়ার পর এক-দুমাস ছাড়া ছাড়া মা’র জন্য গয়না গড়িয়ে আনত বিনয়কান্তি। মাকে পরতে বলত। বসুন্ধরা আপত্তি করলে বলতো— না বলো না মা! ছোটবেলা থেকে তেলিপাড়া লেনের বাড়ি পর্যন্ত তোমার চোখের জল দেখে এসেছি। তোমার চোখে খুশি দেখতে আমার যে বড্ড ইচ্ছে করছে মা। তার কিছু গয়না বসুন্ধরা, পুত্রবধূ স্বর্ণময়ীকে দিয়েছেন নানা অনুষ্ঠানে। কিছু তাঁর কাছে আছে। বিয়ের পর বিনয় বসুন্ধরা আর স্বর্ণ দু’জনের জন্যই সোনার গয়না নিয়ে আসত। তখন প্রাইভেট ব্যাংকের ছড়াছড়ি। কখন কোন ব্যাংক বেহিসেবি লগ্নি করে ঝাঁপ বন্ধ করে দেবে তার ঠিক নেই। তাই বিনয়কান্তি উদ্বৃত্ত রোজগারে সোনা কিনে রাখতেন। শাশুড়ি-বউ নিজের জমানো সমস্ত সোনার গয়না একসঙ্গে করে হিসেব করতে শুরু করলেন। কিনে আনা সোনার রসিদও ছিল। রসিদ ধরে ধরে মোট গয়নার ওজন হিসেব করেও কূলকিনারা পাওয়া গেল না। বিনয়কান্তি ঠিক করল, গ্রে স্ট্রিটের বাড়ি বাঁধা রেখে বাজার থেকে টাকা ধার করবে। বসুন্ধরা আপত্তি করল। বসুন্ধরা বলল— এই সোনার গয়না-নিছক অলংকার, আবার বিপদেও কাজে লাগে। কিন্তু এ বাড়ি তোমার সন্তানদের আশ্রয়। স্বর্ণময়ী জানতে চাইল সে কি একবার তার বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারে? বাবার অনেক জানাশোনা মক্কেল আছেন যারা টাকা ধার দিতে পারেন। বাবাও নিজে চেষ্টা করলে কিছু টাকার ব্যবস্থা করতে পারবেন। বসুন্ধরা মানা করল —

কিছু মনে করিসনি মা। জানি এ সংসারের বিপদ স্বামীর বিপদ। পাশে দাঁড়ানো স্ত্রীর কর্তব্য। কিন্তু তোর আরও দুই দিদি আছে। জামাইবাবুরা আছেন। ধার যদি করতেই হয় তাহলে বিনু তুই পিটারসন সাহেবের থেকেই ধারনে।
আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৪১: বসুন্ধরা এবং…

মাইগ্রেনের মুক্তি সঠিক ডায়েটেই, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলি

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৯: ঠাকুরবাড়ির বিয়েতে এমন জাঁকজমক আর হয়নি

হিন্দি ‘মমতা’ ছবির শুটিংয়ে সুচিত্রা’র সংলাপ মুখস্ত করার ঘটনা ছিল অসাধারণ

বিনয় অবাক হয়ে বলে—
কী বলছো মা, কোম্পানি মূল্যবাবদ কিছুটা টাকা তো আমায় পিটারসেনের সাহেবকে দিতেই হবে। যাকে টাকা দিতে হবে তার কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়ার প্রশ্নটা আসছে কোথা থেকে?

বসুন্ধরা বুঝিয়ে বলল।
এই গয়না বিক্রি করে আমাদের পক্ষে যে টাকা যোগাড় করা সম্ভব হয়েছে সেটাই তুমি সাহেবকে দিয়ে জানাবে যে তুমি মানসিকভাবে কোম্পানির দ্বায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। কিন্তু এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি আর্থিক সঙ্গতি তোমার নেই। তবে কোম্পানির দাম বাবদ ধার্য টাকার পুরোটাই তুমি দেবে কিন্তু তার জন্যে একটু সময় চাই। বাইরে টাকা ধার নিলে যেভাবে কিস্তিতে টাকা শোধ করতে এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। তুমি বলবে গ্রে স্ট্রিটের বসত বাড়ি বন্ধক রেখে হয়তো আরও কিছু টাকা দেওয়া যেত। কিন্তু তোমার মায়ের বারণে তা তুমি করতে পারোনি। বসত বাড়ি তোমার একার নয় তোমার সন্তানদেরও আশ্রয়স্থল। বন্ধক দিলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ভুগবে।

পরদিন রবিবার। সোমবারে অফিসে কথা বলার থেকে। ছুটির দিনে পিটারসনের সঙ্গে কথা বলাটা উপযুক্ত মনে করলো বিনয়। সাহেব সকালে গলফ মাঠে যান। কখনও-সখনও দুপুরে রেসকোর্স। সকালেই দেখা করল বিনয়।

কলকাতার অভিজাতদের ঘোরাফেরার পরিচিত জায়গা গলফ ক্লাব বা রেসকোর্স। ১৮২০-তে কলকাতায় গড়ে ওঠা এটাই ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার প্রথম এবং সবচেয়ে বড় ঘোড়দৌড়ের মাঠ। আজও রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব, এর দেখভাল করে। হয়তো খানিকটা সংস্কার থেকেই রেসের মাঠের ভেতরে বিনয়ের যাওয়া হয়নি। কিন্তু বিনয় জানে পিটারসনের মতো অনেকেই গ্রান্ডস্ট্যান্ডে বসেন। নিছক ঘোড়ার রাজকীয় ভঙ্গিতে দৌড় দেখতে। উইন, প্লেস, সেকেন্ড হর্সপুল, থার্ড হর্সপুল, ট্রেবল বা জ্যাকপটে বাজি লাগাতে নয়।

গলফ খেলাটা বিনয় আগে ক্লাবেই দেখেছে। কোনওদিন মাথায় ক্যাপ পরে হাতে গলফ স্টিক বা গলফের ভাষায় যেটাকে ক্লাব বলে, সেটা নিয়ে গলফ খেলতে গলফ কোর্সে পা দেয়নি। কিন্তু সে নিয়মকানুনগুলো জানে। অনেকের মনে হতেই পারে বিনয় যে সাংঘাতিক একটা মানসিক চাপ নিয়ে উইলিয়াম পিটারসনের কাছে এসেছে। তারপরেও কি তার গলফ নিয়ে ভাবা উচিত না সে ভাবনাটা স্বাভাবিক?
আরও পড়ুন:

মা জয়া কিছুতেই তাঁর অভিনয় দেখতে চান না, কেন? জানালেন অভিষেক বচ্চন

আমার দুর্গা

একঘেয়েমি কাটাতে পোলাও-এর স্বাদ বদল চাই? বানিয়ে ফেলুন সনাতনী ঝাল পোলাও

বাইরে দূরে: দ্রোণস্থলীর দেবতা টপকেশ্বর মহাদেব

নিজের মনকে সংযত করার এই অভূতপূর্ব পদ্ধতি বিনয়কান্তিকে পথ থেকে প্রাসাদে নিয়ে গিয়েছিল। আজীবন যখনই তার মন ভয়ঙ্কর দোটানায়, চাপের মুখে হাঁসফাঁস করেছে, বিনয়কান্তি তখন একেবারে অন্য একটা বিষয়ে মন দিয়েছে সেই দম আটকানো জায়গাটা থেকে বেরোনোর জন্য। যেমন এখন সে জানে পিটারসনের কাছে এটা একেবারেই একটা অলীক প্রস্তাব। পিটারসন ভদ্রলোক নিশ্চয়ই কিন্তু সে ব্যবসায়ী। আর ব্যবসার স্বার্থ দেখাতো অন্যায় নয়। তাই সেসবে মন না দিয়ে বিনয়কান্তি বসে বসে গলফ নিয়ে ভাবছিল। স্কটল্যাণ্ড থেকে আমদানী এই খেলাটায় বেশ অংক রয়েছে। পিটারসন সাহেবের কাছেই শুনেছে আসলে ডাচ ভাষায় ‘kolf’ বা ‘kolve’ হল ক্লাব গলফের লাঠিটা। স্কটিশ উচ্চারণে যা দাঁড়িয়েছিল গলফ। গলফ ১৮ হোলের খেলা। মানে মাঠের আঠারোটি গর্তে গলফের বল ফেলতে হবে। গলফ কোর্স বা মাঠ ছোট হলে আঠারোর বদলে নটি গর্ত থাকবে। যাতে দুবার ঘুরে আঠারোটি গর্ত হিসেব করতে হবে। এই ১৮ বার গর্তে বল ফেলার জন্য একজন খেলোয়াড় যতখুশি স্ট্রোক নিতে পারবেন। কিন্তু মজা হল যিনি যত কম স্ট্রোকে এই কাজটি সারতে পারবেন, স্কোরে জিতবেন তিনি।

মাঠে শ্বেতাঙ্গরাই খেলছে। ক্লাবের রৌদ্রোজ্জ্বল বারান্দায় ধূমায়িত কফির কাপ নিয়ে আরামে বসে শীতের নরম রোদ উপভোগ করছে অনেক শ্বেতাঙ্গ এবং ভারতীয় নারী পুরুষ। বিনয়ের সামনের টেবিলে রাখা কফির কাপ থেকেও ধোঁয়া উঠছে। সেই ধোঁয়ার দিকে তাকিয়ে মনের ধোঁয়াশাকে ছাপিয়ে যেতে বিনয়কান্তি আবার দূরের মাঠে গলফে মন দিল।

১৮ হোলের জন্যে সর্বমোট বাহাত্তরটি স্ট্রোক বরাদ্দ যাকে ‘পার’ বলে, কিন্তু চার আঠারোং বাহাত্তরের মতো সহজ সরল হিসেব নয়। চারটি হোলে তিন স্ট্রোক বরাদ্দ। দশটি হোলে চার স্ট্রোক। আর বাকি চারটি হোলের জন্য পাঁচ স্ট্রোক বরাদ্দ। মানে বারো, চল্লিশ আর কুড়ি। যোগ করলে বাহাত্তর।

গলফ খেলাতে নাকি প্রবঞ্চনার জায়গা নেই। সততা সুবিচার এগুলোর ওপরই জোর দেওয়া হয়। তাই গলফের রুলবুকের পিছনেই সতর্কবাণী—Play the ball as it lies, play the course as you find it, and if you cannot do either, do what is fair. আরও কত সততার পরীক্ষা দেবে বিনয়কান্তি। আরও কত নিষ্ঠা। আরও কত পরিশ্রম!!—চলবে

সবুজ ঘাসে উজ্জ্বল সাদা গলফের বল (ছবি: সংগৃহীত )

চিত্র সৌজন্য: সত্রাগ্নি
 

পরের পর্ব আগামী রবিবার

গলফের ক্ষেত্রেও যেখান থেকে টী-তে বসিয়ে বল মারা হচ্ছে – সেখান অনেক গর্ত সরাসরি দেখা যায় –আন্দাজ করা যায় । আবার কোন কোন ‘হোল’ ডানদিকে বা বাঁদিকে বেঁকে আছে – তাকে ‘ডগলেগ’ বলে । জীবনের পথের আঁকে-বাঁকে লুকিয়ে থাকা চ্যালেঞ্জের মত।

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content