বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫


জঙ্গলের রাস্তায় রঙবেরঙের পাখি।

।। সমাধান কোথায় ।।

পথ চলার একেবারে শুরুতেই ঈশ্বর তাকে একটা কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি ফেলে দিয়েছেন। দাদুর কথা মনে পড়ে বিনয়কান্তি’র। ‘নিজের প্রতি কখনও বিশ্বাস হারিও না দাদু ভাই।’ দাদু মুকুন্দ সেনগুপ্ত বারবার বলতেন — যিনি বিপদ দেন তিনিই বিপদ থেকে রক্ষা করেন তাই তিনি বিপদতারণ। বলতেন — ‘মনে রাখবে তোমায় বিপদে ফেলতেই কিন্তু ঈশ্বর তোমাকে কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেলেন না। তিনি চান তোমার সব বুদ্ধি তোমার সব ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করে তুমি যাতে সসম্মানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারো।’
তার মানে বিনয়কে আরো ভাবতে হবে। সঠিক ভাবনার সঠিক প্রয়োগ হয়নি তাই সে পথ খুঁজে পাচ্ছে না। ডিব্রুগড় এগিয়ে আসছে। আর খানিক পরেই খামে টিকিট লাগিয়ে খামের মুখ জুড়ে চিঠিটা ডাকে ফেলে দিতে হবে, যা কিছু ভাবতে হবে সেটা এখনই। কিন্তু উপায়টা কি? বিনয়ের অস্বস্তি হচ্ছে। সময় যত কমে যাচ্ছে অস্বস্তি তত বাড়ছে।

এমনিতেই মায়ের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিন্ত হলেও উইলিয়াম পিটারসনের কাছে সে যে সমাধান পাঠাচ্ছে — সেটা সাহেব কীভাবে নেবে বিনয় সে ব্যাপারে খুব একটা নিশ্চিত নয়। বিনয় বাগানের মালিকানা অন্য মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিতে বলেছে। পিটারসন সাহেব অর্থপিশাচ নন। কিন্তু তিনি তো ব্যবসা করতেই স্বদেশ ছেড়ে এখানে পড়ে আছেন! আর জীবনের প্রথম ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তটা যে সদর্থক হল না সেটা বিনয়কান্তিকে ভিতরে ভিতরে একটা কষ্ট দিচ্ছে। এর মধ্যে মা এমন একটা দাবি করেছে — যেটা বিনয়ের পক্ষে মেটানো প্রায় অসম্ভব।

খালি রাস্তা পেলেই দেনপো’র পা এক্সিলেটরে চাপ দিচ্ছে। জিপ ছুটছে আরও জোরে। মাঝে মাঝে জঙ্গলের মধ্যে গাছের আড়ালে-আবডালে লুকিয়ে বসে থাকা রঙবেরঙের পাখি! কিন্তু বিনয়ের আজ কোনওদিকে নজর নেই। তার নজর নিজের মগজের মধ্যে। মায়ের কথাগুলো কী করে সত্যি করবে সে?

ভাবনার সময়টা আরও কমে আসছে। শ্রমিকদের মজুরি কম। তাদের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই। শীতে বর্ষায় থাকার অসুবিধে। কোন জাদুতে এতো সব সমস্যার সমাধান করে দেবে বিনয়? মা বলেছে এমন কিছু করতে হবে যাতে এরা বঞ্চিত না হয়। এদের বঞ্চনা মেটাতে তো অনেক টাকা লাগবে। কে দেবে সে টাকা? আর কিছু দূরেই ডিব্রুগড় টাউন। আর সময় নেই। হঠাৎ বিদ্যুৎ ঝলকের মতো একটা সম্ভাবনার কথা বিনয়কান্তির মাথায় এলো। চলন্ত গাড়িতে বসে ব্যাগের ওপরে কাগজ রেখে খসখস করে লিখে ফেলল ভাবনাটা। যাতে পোস্ট অফিসে চিঠি ডাকে ফেলার আগে আর একটা বাড়তি কাগজে সে তার এই কথাগুলো লিখে পিটারসন সাহেবকে জানাতে খামে ভরে দিতে পারে।

খামবন্দি চিঠি আর টেলিগ্রাম গেল। টেলিগ্রামে লম্বা উত্তর দেখে বিনয় অবাক।

Dear BKD
I know mangoes are sour there and I have no hope for good fruits in the future. Still, I want confirmation from someone dependable like you. Thank you so much for your detailed accounts report. I could not even prepare such an in-depth study. Please convey my gratitude to your mother and I want to assure her that we, together, shall achieve her wishes. You are hereby advised to report back to Clive Row office Calcutta and rest I will complete. Travel arrangement has been done. Tickets will reach you soon.

Regards
William Peterson

মাকে বুঝিয়ে বলতে গিয়ে বিনয়কে আমের গল্প বলতে হল। বলতে হল বিষয় থেকে নজর এড়াতে এই চাতুরিটুকু করতে হয়েছে। আর বিনয় জানালো পিটারসন সাহেবকে পাঠানো রিপোর্টের সঙ্গে একটা আলাদা চিঠিতে সে জানিয়েছিল বাগানের শ্রমিক-কর্মচারীরা খেটে-খাওয়া সৎ গরিব বা মধ্যবিত্ত মানুষ। পেটের দায়ে জীবনসংগ্রামে সামিল হতে হয়েছে তাদের। পিটারসন সাহেব বাগানের মালিকানা ছেড়ে দিলে যেকোনও ভাবে তাদের ক্ষতি যেন পুষিয়ে দেওয়া যায়। তারা যেন কোনওভাবে বঞ্চিত না হয়। এটা তার মায়ের বিশেষ আবেদন। সাহেব সে আবেদনের প্রতি তাঁর সম্মান জানিয়েছেন। তিনি এ নিয়ে নিশ্চয়ই কিছু করবেন।

আছাবাম চা বাগানের ওই মানুষগুলো বিনয়ের সঙ্গে বসুন্ধরাকে যে এত আপন করে নিয়েছিল সেটা বোঝা গেল ওরা কলকাতা ফিরে আসার আগের দিন। বাবুরাম-চারুমতি বা পুহর-থুয়া’রা জেনেছিল বাগানে সাহাবের কাম খতম হয়ে গিয়েছে। সাহাব আর মা-জি এবার ফিরে যাবে। কলকাতা থেকে আসার সময় বসুন্ধরা আর অফিস থেকে ফিরে বিনয় ব্যাগ গুছিয়ে ছিল। ফেরার সময় ওদের কিছুই করতে হল না। মানে বলা ভালো বাবুরাম-চারুমতি বা পুহর-থুয়া বা চক্রধজ কিছু করতে দিল না। যাবার দিন থুয়া চারুমতি তো রীতিমতো চোখ লাল করে ঘুরে বেড়াতে লাগল। বাবুরাম বা পুহর মুখ ভার করে কাজ করছে। এমনকি বয়স্ক চক্রধ্বজকে দেখে মনে হচ্ছে যে তার আপন কেউ, তার পরিবারের কেউ, তাদের ছেড়ে দূরদেশে চলে যাচ্ছে। বিনয় বলল ‘মা আজ সক্কলে একসঙ্গে বারান্দায় পংক্তি করে মাংস-ভাত খাবে। তুমি তো বললেও খাবে না। কিন্তু রান্নাটা তোমায় করতে হবে।’

একেই বলে ভাগ্য। বসুন্ধরা যখন সধবা ছিল তখন তাদের মাংস ভাত তো দূরের কথা সব সময় মাছ কেনার ক্ষমতাও ছিল না। আর ক্ষমতা যখন হলো তখন আর বসুন্ধরার আমিষ খাওয়ার উপায় রইল না। বিনয় জোর করত। কিন্তু বসুন্ধরার মতো দৃঢ় মহিলাও তৎকালীন লোকাচারকে অস্বীকার করতে পারেনি।

বাংলোর কাজের মানুষেরা — বাবুরাম-চারুমতি বা পুহর-থুয়া চক্রধজ বা বাগানের জিপ গাড়ির ড্রাইভার দেনপোকে বসুন্ধরা নিজে বলেছেন। কিন্তু তারা বিশ্বাস করতে পারছে না। বাগানের অনেক কাজে পুহর বা দেনপো ব্যস্ত থাকে তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রাতেই করা হল। তবে বাবুরাম আর চারুমতি বসুন্ধরাকে খুন্তি ধরতে দিল না কিন্তু রান্নাটা হল বসুন্ধরার নির্দেশমতো। বাগানে নতুন দামী চটের বস্তার অভাব নেই বসুন্ধরার কথামতো আসবাবপত্র সব একধারে সরিয়ে টানা বারান্দায় সেগুলো পেতেই তার ওপর ভাঁজ করে চাদর পেতে দেওয়া হল। সুন্দর বসার ব্যবস্থা। পুহর কলাপাতা জোগাড় করে এনেছিল। পুরকায়স্থবাবু তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন। বাগানের অফিস-কর্মচারী যারা, তাদের বিনয় নিজে আসতে বলেছিল। বসুন্ধরা তাদের জনে জনে না চিনলেও বিনয় পরিচয় করে দিয়ে বলল, ‘এরা সবাই আমার সহকর্মী মা।’
আরও পড়ুন:

মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৩৪: অবশেষে দময়ন্তী ফিরে গেলেন পিতৃগৃহে…

পুজোয় শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য কলকাতায় চালু হল বিশেষ বাস পরিষেবা, কোন কোন রুটে চলবে?

ষাট পেরিয়ে, পর্ব-১৪: বয়স্কদের ইউরোলজিক্যাল সমস্যা, অনেক ক্ষেত্রেই আড়ালে থাকে যায়

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ১৫: হৃদয়ে হৃদয় মিলল মিথিলা অযোধ্যার

বিনয়কান্তি দত্ত যে একেবারেই এক অন্য গ্রহের মানুষ এটা বাগানের কর্মচারীরা বুঝতেন, জানতেন। সেদিন রাতে তারা বিনয়কান্তির মা বসুন্ধরাকে দেখার বোঝার সুযোগ পেল। বাবুরাম-চারুমতি পুহর বা থুয়া’র সঙ্গে বসুন্ধরা নিজেই কোমর বেঁধে পরিবেশন করতে শুরু করলেন। চারুমতিরা বাধা দিতে এলে বললেন
− এরা সব আমার বিনুর সহকর্মী। তারমানে তো এরাও আমার সন্তান। তোমরা চাইলে সঙ্গে থাকো কিন্তু আমাকে পরিবেশন করতে বাধা দিও না।
বাগানের কর্মচারীদের অবাক হবার তখন কিছু বাকি ছিল। বাগানের মালিক উইলিয়াম পিটারসনের প্রতিনিধি হিসেবে বিনয়কান্তি দত্ত মালিকপক্ষের কর্তাব্যক্তি — তিনি দত্তসাহেব বা দত্তাসাব। যদিও তাঁর ব্যবহারে সেটা তিনি কাউকে কখনও বুঝতে দেন না। তাই অতীতে যেটা কখনও ঘটেনি বিনয়কান্তি দত্তের জন্যেই আজ সেটা ঘটলো। চা বাগানের সাধারণ কর্মচারীরা “সাহেব বাংলোয়” প্রবেশাধিকার পেলেন। এবং তাতে সকলেই কৃতজ্ঞ। কিন্তু তারা চমকিত হয়ে শুনলেন সাহেবের মা তাঁকে বলছেন,
− এদের সঙ্গে তুমিও বসে পড় – কতক্ষণ আর মুখ শুকনো করে মাংস ভাতের লোভ সংবরণ করবে।

বিনয়কান্তি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল
− সত্যি মা মাংসের যা ভুরভুরে গন্ধ বেরিয়েছে, তাতে কষ্ট যে হচ্ছিল না, সে কথা বললে পাপ হবে। কিন্তু পাছে তুমি ধমক দাও সেই ভয়ে বসতে পারিনি। তুমি কখন খেতে বসবে মা! তুমি এখানেই বসবে তো?
− হ্যাঁ আমার দলবল নিয়ে সকলের সঙ্গে এই পংক্তিতে বসেই খাব। খেতে ইচ্ছে করে না বলে আমিষ আর আমি খাই না। চারুমতি আমার জন্যে কাঁচকলার কোপ্তা আর এঁচোড়ের একটা তরকারি রান্না করেছে। আজ তুমি আমাদের পরিবেশন করে খাওয়াবে। তুই তো জানিস বিনু ওসব ছোঁয়াছুঁয়ির ঠুনকো আচার-বিচার আমার কোনওকালেই নেই।

এই মূহুর্তে আকাশ ভেঙ্গে একটা বাজ পড়লেও উপস্থিত সকলে এত অবাক হতো না। অতীতে কখনও ঘটেনি ভবিষ্যতেও কোনওদিন ঘটবে কিনা এরা জানে না। কিন্তু এটা জানে যে অনেক দিশি সাহেবরা খাঁটি বিলিতি সাহেবের থেকেও হাঁক-ডাক হাবে-ভাবে অনেক বেশি সাহেবি। ঠিক যেমন করে যুদ্ধের বাজারে লোহা বেচে দুম করে পয়সা করে ফেলা “হঠাৎ নবাবেরা” অনেক খানদানী- পুরুষানুক্রমে ধনী মানুষের থেকেও বড় ফুর্তিবাজ কাপ্তেন হয়ে ওঠে। কিন্তু বিনয়কান্তি দত্ত মাটিতে পা দিয়ে মেরুদণ্ড সোজা রেখে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা একজন আপাদমস্তক ভদ্র আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ। তিনি আজ পংক্তি-ভোজন করবেন সাধারণ কর্মচারীদের সঙ্গে। আরও বিস্ময়কর হল সাহেবের মা, তিনিও আজ এই একই পংক্তিতে বসে খাবেন বাংলোর রাঁধুনি আর্দালি কাজের লোকেদের সঙ্গে? যেমন অসাধারণ মা তেমনি তাঁর তুলনাহীন ছেলে। বাড়ির কাজের লোকেরা হতবাক। বসুন্ধরা তাগাদা দেয়।
− বাবুরাম হাত চালাও অতিথিরা বসে আছেন যে। পরিবেশন শুরু করো। চারু – থুয়া জলদি জলদি ।
আরও পড়ুন:

গাউন, গ্লিটজ, গ্ল্যামার…রকমারি কাট, রঙের বাহার, কিন্তু আপনার জন্য কেমন গাউন ‘পারফেক্ট’ বুঝবেন কী করে?

শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন? কী কী ওষুধ সঙ্গে রাখবেন? রইল পরামর্শ

আজকের আলোচনা মাধ্যমিক ইংরেজি পরীক্ষার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে — PHRASAL VERB

মুড়ি মাখা বা চপমুড়ি খেতে পছন্দ করেন? জেনে নিন মুড়ির উপকারিতা

ঢালাও মাংস-ভাত আর শেষপাতে আসামের বিখ্যাত নারকেল নাড়ু।

খাওয়াদাওয়ার শেষে পুরকায়স্থবাবু সহকর্মীদের তরফ থেকে আসামের সনাতনী পোষাক মুগা সিল্কের “মেখলা-চাদর” তুলে দিলেন বসুন্ধরার হাতে। অসমীয়া উচ্চারণে যা হল ‘মেখেলা সাদর’। শাড়ি যেমন একটাই কাপড় সারা শরীরকে ঢেকে দেয় – ‘মেখলা- চাদর’ দুটো আলাদা পোশাকের সেট। নিচের অংশে মেখলা – কোমরকে বেড় দিয়ে শাড়ির মতোই কুঁচি দিয়ে পরা হয়। তবে মূল তফাত তিনটে। কুঁচির সংখ্যা শাড়ির চেয়ে কম। শাড়ির কুঁচি ডানদিকে মেখলার কুঁচি বাঁদিকে। আর তিন নম্বর হল শাড়ির যেটা আঁচল। এখানে সেটা একটা আলাদা কাপড়। চাদর। যা শাড়ির আঁচলের মতই ভাঁজে ভাঁজে শরীরের ওপর ফেলা থাকে। এই পোশাকের ডিজাইন ছাপা হয় না। ফুল পাখি লতাপাতার নকশা কাপড়ে বোনা হয়। কখনও ট্র্যাডিশন্যাল নকশা বোনা কাপড়ের অংশ চাদরের পাশে বা মেখলার নিচে পাড়ের মত জুড়ে দেওয়া হয়। একে ‘পাড়ি’ বলে। এসব ঠিক ঠিক জানতে লকডাউন মিটতে শ্রীতমাকে একসেট মেখলা-চাদর কিনে দিতে হয়েছে দক্ষিণাপণ মার্কেটে। প্রাগজ্যোতিকা – আসাম এম্পোরিয়াম থেকে।

কিন্তু পুরকায়স্থবাবুরা সেদিন রাতে একসেট নয়- দু-সেট মেখলা -চাদর এনেছিল। একটা হালকা রঙের জমিতে সোনালি আর কালো পাখির নকশা- বোঝা যায় সেটা বসুন্ধরার জন্যে। কিন্তু অন্যটা বেশ ঝকঝকে। উজ্জ্বল লাল জমির ওপর রূপোলি ও কালো রঙের হীরেফুলের নকশা। সেটা হাতে নিয়ে বসুন্ধরা তাকাল পুরকায়স্থবাবুর দিকে। পরের ব্যাচের পরিবেশন করতে বিনয় তখন জনাকয়েক কমবয়েসিকে নিয়ে ভাঁড়ার দেখতে গিয়েছে।
– মাসীমা এটা আপনার জন্যে আমাদের উপহার। অন্যটা আপনাদের সংসারে যে ম্যাডাম আসবেন তাঁর জন্যে। কলকাতা থেকে নেমতন্ন এলেও তখন তো আমরা বাগান ছেড়ে যেতে পারবো না, উপহারটাও দেওয়া হবে না। —চলবে

আছাবাম চা বাগানের শুভেচ্ছা - দু-সেট মেখলা চাদর। (ছবিঃ সংগৃহীত)

চিত্র সৌজন্য: সত্রাগ্নি
 

পরের পর্ব আগামী রবিবার

আসাম থেকে ফেরার পর পরই এক রোববার বাড়িওয়ালা কেদারবাবু ওপরের ঘরে ডাকলেন। বিনয় ভেবেছিল ওরা মাসখানেক বাড়িতে ছিল না – ভাড়া বাকি পড়েছে সেই বিষয়ে কথা বলতে বাড়িওলা ডেকেছেন। বিনয় বাড়িভাড়ার টাকা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। তাই চেয়ারে বসার আগেই বুকপকেটে হাত দিয়ে টাকাটা বার করে টেবিলে রাখল।

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content