বুধবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৪


চা-বাগানের মজুরি (ছবিঃ সংগৃহীত)

 

II চা-শ্রমিক গণহত্যা II

বুড়ি-ডিহিং-এর জলে ডিঙি নৌকোয় বসে বসুন্ধরা ছেলে বিনয়কান্তির কাছে শুনবে মানুষের দূর্দশার সে অজানা কাহিনি। কিন্তু আগে সুবর্ণকান্তিকে তো জানতে হবে সে প্রেক্ষাপট — জানতে হবে সঠিক নিরপেক্ষ ইতিহাস। ১৯০০ থেকে ১৯৩০-এ আসাম উপত্যকায় চা-শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে সুবর্ণকান্তি নানান বইপত্র জর্নাল ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের নানান আর্টিকল যোগাড় করে ফেলল। শোষণের ইতিহাসটা যন্ত্রণাদায়ক।

১৯ শতকের শুরু থেকেই চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অসমে চা বাগান বাড়তে থাকে। সিলেট এবং অসমের বন-জঙ্গল সাফ করে সেখানে চায়ের বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশরা। চা বাগানগুলোতে কাজের জন্য প্রয়োজন হতো প্রচুর শ্রমিক। স্থানীয় মানুষজন জানে চা-বাগানের খাটনি বেশি রোজগার কম। এতো ধকলের কাজ তাদের পোষাতো না। তারা চাষবাস করে সংসার চালাত। তাই দূরদূরান্ত থেকে অনেক টাকাপয়সা অনেক সুখের গল্প শুনিয়ে লোক ধরে এনে চা-শ্রমিক বানানো হতো। ছাগল গরুর ব্যবসার মতো শ্রমিক সংগ্রহের ব্যবসা তখন জমজমাট। চা-বাগান মালিকেরা বিহার উড়িষ্যা মধ্যপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে ধূর্ত লোকেদের শ্রমিক ধরার এজেন্ট বানাতো। একা নয় — ছেলে-মেয়ে বাবা-মা বউ-ভাইবোন নিয়ে গোটা পরিবারকে মিথ্যে বলে বোকা বানিয়ে নিয়ে আসা হতো জাহাজঘাটায়। এই দালালদের বলা হতো ‘আড়-কাঠি’। আড়কাঠিদের কাজ হচ্ছে গ্রাম থেকে দঙ্গল করে লোক নিয়ে এসে কুলিদের জাহাজ ডিপোয় এনে টিপছাপ করিয়ে নেওয়া।একবার সেটা করাতে পারলেই তারা শ্রমিক পিছু কমিশন পেয়ে যেত। আর সহজ -সরল মানুষগুলো চলে যেত অসমের চা-বাগান মালিকদের মুঠোর মধ্যে। তারপর শুরু হতো তাদের উপর অমানবিক আচরণ।

সেই সব ইতিহাসের প্রামান্য দলিল — তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেখতে দেখতে চমকে উঠছিল সুবর্ণ। মানুষ মানুষের যে ভয়ংকর ক্ষতি করেছে, করছে— বা ভবিষ্যতেও করবে — তেমন ক্ষতি পৃথিবীর কোনও প্রাণী অন্য প্রাণীর করেনি। ভাগ্যিস চারপেয়েরা দুপেয়ে মানুষের মত ধূর্ত নয়।

কুলিদের জন্যে জাহাজে বাড়তি জায়গা নেই। তাই গরু-ছাগলের মত গাদাগাদি করে তাদের জাহাজে ঠাসা হতো। আর ফেরার উপায় নেই — জাহাজ তখন জলে ভাসছে। নারী-পুরুষ ছোটছোট ছেলেমেয়ে কোলের বাচ্চা কোনও বাদ বিচার নেই — শোয়া বসা দুরের কথা গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে দিন কাটাতে হতো। খাবার দেওয়া হতো খুবই কম। জীবনে প্রথমবার এই অবস্থায় জাহাজ ভ্রমণ। জলের ধাক্কার ক্রমাগত দুলুনিতে – বাচ্চারা বুড়ো মানুষেরা অসুস্থ হয়ে পড়তো। যাকে বলে “সি-সিকনেস”। ওই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হামেশাই কলেরা বসন্ত দেখা দিত। তাদের জন্য জাহাজে কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকত না। কাতারে কাতারে লোক জাহাজে মারা যেত। জাহাজ এসে ভিড়ত বদরপুর বা কাঠিগড়া জাহাজ বন্দরে। জাহাজ যখন খালি করা হতো তখন প্রায়শই তাদের অর্ধেক জীবন্ত এবং অর্ধেক নামত লাশ হয়ে। লাশ জলে ফেলে দেওয়া হতো। যারা বেঁচে যেত তাদের আর কখনওই মুলুকে ফিরতে দেওয়া হতো না।
সেদিনের সেইসব মানুষের দূর্দশার কথা সুবর্ণ আর ভাবতে পারছে না। আজও খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই।

রাজা আসে যায় রাজা বদলায়
নীল জামা গায় লাল জামা গায়
এই রাজা আসে ওই রাজা যায়
জামা কাপড়ের রং বদলায়…
দিন বদলায় না!
গোটা পৃথিবীকে গিলে খেতে চায় সে-ই যে ন্যাংটো ছেলেটা
কুকুরের সাথে ভাত নিয়ে তার লড়াই চলছে, চলবে।
পেটের ভিতর কবে যে আগুন জ্বলেছে এখনো জ্বলবে!
রাজা আসে যায় আসে আর যায়
শুধু পোষাকের রং বদলায়
শুধু মুখোশের ঢং বদলায়
পাগলা মেহের আলি
দুই হাতে দিয়ে তালি
এই রাস্তায়, ওই রাস্তায়
এই নাচে ওই গান গায় :
“সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়!”
কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এ কবিতা তো সাধারণ মানুষের মনের কথা। তাঁর কবিজীবন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে স্মরণীয় কারণ তিনি বিশেষভাবে ছোট পত্রিকা’-র কবি ছিলেন। কোনও বড় পত্রিকায় তার কবিতা ছাপা হয়নি। বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা না পেয়েও তিনি অভাবনীয় জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার শব্দ আর শ্লেষে অশান্ত ভাবটা কমল। এবার দেখা যাক ওই গরীব পরিবারগুলো বাগানে পৌঁছে কী পেল?

লোভের বশে যখন বন-জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে এল, তখনই তারা বুঝতে পারল তারা ভয়ঙ্কর ঠকে গিয়েছে। বন-জঙ্গলের হিংস্র জানোয়ার এবং বিষাক্ত পোকামাকড়ের সাথে প্রতিদিন লড়াই করে বেঁচে থাকতে হতো তাদের। মালিকের দেওয়া ছোট্ট মাটির ঘরে গাদাগাদি করে একেকটা পরিবারের অতগুলো মানুষকে জন্তুর মতো থাকতে বাধ্য করা হতো। শীত-গ্রীষ্ম আর এখানকার ভীষণ বর্ষা। দিনের পর দিন বৃষ্টিতে ভিজে না-খেয়ে থাকত চা-শ্রমিকরা। হাতে কোনও মাইনে দেওয়া হতো না। তার বদলে টি-টোকেন বলে লোহা বা টিনের টুকরো দেওয়া হতো। যেটা দেখালে শুধু বাগানের মধ্যে একটা দোকান থেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল-ডাল-নুন-আলু পাওয়া যেত। বাগানের বাইরে এ টোকেন চলত না। ফলে চাইলেই শ্রমিকরা বাইরে যেতে বা কিছু কিনতেও পারত না। আসলে এভাবে একটা চা বাগানের মধ্যে তাদের বেঁধে ফেলা হয়েছিল। কেউ পালিয়ে যেতে চাইলে বাগানমালিকদের লেলিয়ে দেওয়া শ্রমিক সরদারের দল তাদের খুঁজে বের করে আনত। এরপর চলত নির্মম নির্যাতন। বুটের লাথি, চাবুক আরও সব ভয়ঙ্কর শাস্তি।

এত কিছু সহ্য করেও বছরের পর বছর চা-শ্রমিকরা মুখ বুজে সেখানে কাজ করেছেন। মা-মেয়ে-বউ-বাচ্ছা কেউই বাদ যেত না, হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হতো সবাইকেই। তাদের কার্যত বন্দি করে রাখা হতো। বেশি পরিশ্রম করিয়ে পারিশ্রমিক কম দেওয়া হতো — তারা যাতে অন্য কোথাও চলে যেতে না পারে তাই শ্রমিক-সরদারদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হতো — এবং বাগানের মালিকরা নিজস্ব আইন কানুন বলবত করে – তাদের জরিমানা করা শুরু করলো। দুর্বলের উপর অত্যাচার বাড়লে — প্রতিবাদের আগুন জমতে জমতে এক সময় বিস্ফোরণ ঘটে। অসমের চা বাগানের ক্ষেত্রেও তাই ঘটলো। ভারতবর্ষের শ্রমিক আন্দোলনের প্রভাব পড়ল চা শ্রমিকদের ওপর। অসম এবং সিলেট অঞ্চলের চা শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিল তীব্র অসন্তোষ। বাগান মালিকদের সবধরনের নির্যাতন অগ্রাহ্য করতে তারা তৈরি। গোলামির শৃঙ্খল ছেড়ে দেশে এবার তারা ফিরবেনই। অনিপুর চা বাগান থেকে ৭৫০ শ্রমিক পথ দেখাল। ব্রিটিশরা তাদের প্রলোভন দেখিয়ে বাগান বন্দিশালায় আটকে ফেলেছে, আর এ নির্যাতন সহ্য করবার নয়। জন্মভূমি বা ‘মুল্লুক’-এ এবার তারা ফিরবেই। শ্রমিকরা যখন দেশে ফিরবে বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন চা বাগান মালিকদের কারসাজিতে ধর্মঘট ডেকে বসল নৌ-পরিবহন এবং রেলওয়ে। শ্রমিকদের কোনো টিকিট দেওয়া হল না। যাতে করে শ্রমিকরা দেশে ফিরতে না পারে তাই বন্ধ করে দেওয়া হল সব ধরনের যাতায়াতের রাস্তা। বিদেশী হওয়ার সুবাদে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার।

কিন্তু হতাশ এবং ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বিভিন্ন বাগান থেকে দলে দলে স্লোগান দিয়ে একত্র হতে থাকল। যেটা মালিকপক্ষ ভাবেনি। বিশাল এ শ্রমিক সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা মালিকদের ছিল না। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিল, তারা পায়ে হেঁটেই ফিরবে। অসম থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক রেলপথ ধরে পায়ে হেঁটে চলতে শুরু করল। এক সপ্তাহ হাঁটার পর ক্ষুধার্ত এবং অসহায় শ্রমিকরা পৌঁছলেন চাঁদপুর, মেঘনা ঘাটে। ১৯ মে জাহাজে উঠতে থাকা শ্রমিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল সশস্ত্র সৈন্যরা। এ সময় জাহাজের পাটাতন সরিয়ে দেওয়া হল। শয়ে শয়ে বাচ্ছা বয়স্ক মানুষ মেয়ে-বউরা মেঘনার জলে ভেসে গেল। এই গণহত্যার কিছুই পৃথিবী জানতে পারল না।
২০ মে, ১৯২১ রাত্রে অন্য একদল শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের লোকজনদের চাঁদপুর স্টেশন থেকে যাবার কথা ছিল। অন্য কয়েকটি কোম্পানি স্টিমার চালানোর কথা বলেছিল। সন্ধে থেকেই আশেপাশের জেলা থেকে বিরাট পুলিশ ও গোর্খা সৈন্যবাহিনী স্টেশন ঘিরে ফেলল। রেলকর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হলো স্টেশন থেকে। তারপর রাতে হাজার হাজার ক্লান্ত শ্রমিকরা যখন প্লাটফর্মে ঘুমোচ্ছে, তখন সৈন্যরা উন্মুক্ত বেয়নেট নিয়ে শ্রমিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। পরে সরকারী তদন্ত রিপোর্টে আছে মা’র কোলের ঘুমন্ত বাচ্চাকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। শত শত লাশ সেদিনও মেঘনা নদীতে ভেসে গেল।

তারপরেও ক্রমাগত চা-বাগানের মালিকরা শ্রমিকদের ওপর জোরজুলুম করে চলেছে। শ্রমিক বস্তির মেয়ে-বৌদের জোর করে কুঠিতে তুলে নিয়ে গিয়ে চা-বাগানের ম্যানেজার বা কিছুক্ষেত্রে মালিকেরা আদিম অত্যাচার করেছে। শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কখনও অত্যাচারিতার প্রাণহানি ঘটে গেছে। বিচার হয়নি — কোন তদন্ত হয়নি। দোষীর শাস্তিও হয় নি।

সুবর্ণ আর পড়তে পারেনি। বইপত্র রেখে লাইব্রেরি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় বাবা যেমন বলতেন সেভাবেই খালি পা লনের সবুজ ঘাসে ডুবিয়ে কল্পনা করেছে সে। প্রকৃতি মায়ের মন্দিরের চাতালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে মনে বলেছে বিদ্যায় জ্ঞানে বুদ্ধিতে তোমার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ — আবার সেই মানুষই তোমার সৃষ্ট জগৎসংসারের সব কীটপতঙ্গ সাপখোপ জন্তু-জানোয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিংস্র সবার চেয়ে বেশি লোভী সবচেয়ে কুটিল সবথেকে বেশি স্বার্থপর আর প্রতিহিংসাপরায়ণ। কেন মানবচরিত্রেই এই ভয়ংকর বৈপরীত্য। আর দূর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারের যে পরম্পরা আদিমযুগে শুরু হয়েছিল – আজ অতি আধুনিক যুগে পৌঁছেও সে অত্যাচার একইরকম আদিম ও নৃশংস। যুগেযুগে কালেকালে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিত বিদ্রোহ করেছে – প্রতিশোধ নিয়েছে। প্রতিবার কিছু সংখ্যক সুযোগসন্ধানী মানুষ কূট-কৌশলে সে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ-বিদ্রোহের দিশাবদল ঘটিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ বিদ্রোহকে অরাজকতার চেহারা দিয়ে নিরীহ- নিরুপদ্রব সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে প্রকৃত আন্দোলনের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। একদল মানুষের সৎ প্রচেষ্টাকে হত্যা করেছে আর একদল অসৎ অমানুষ।

বিনয়ের যতটা বলা সম্ভব বসুন্ধরাকে বলতে বলতে বিকেল হয়ে এলো। কী পাওয়া যাবে জানত না তাই বাংলো থেকে আনা শুকনো খাবার-দাবার ফল সঙ্গে ছিল। ফেরার পথে বসুন্ধরা জানতে চেয়েছিল
তুই এখন কী করবি?
বাংলোতে ফিরে কথা বলবো।

বসুন্ধরা বোঝে বিনয় রাস্তাঘাটে এই স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলতে চাইছে না। অসমীয়া ভাষার সঙ্গে বাংলার অনেক মিল রয়েছে। বিনু যে ক্রমে এক অন্য মানুষ হয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরা তা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে। এই ছেলে কলকাতার ফড়েপুকুরে এসে ইস্কুলে যাবার আগে ভোরবেলা খবরের কাগজ বিলি করত।
 

II সাফল্য না ব্যর্থতা II

অন্যদিন রাতে খাবার টেবিলে বিনয় কোনও মোটা বই – ফাইল বা টাইপ করা কাগজের তাড়া নিয়ে বসে। খাওয়ার দিকে কোনও নজর থাকে না। কিন্তু বুড়িডিহিং থেকে ফিরে সেদিন রাতে – বিনয় চুপচাপ খেয়ে বসুন্ধরার খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলো – বসুন্ধরার খাওয়া শেষ হতে – অন্য রাতের মধ্যে চারুমতী খাবার-দাবার তুলে খাবার টেবিল মুছে – বাংলো থেকে সিঁড়ি দিয়ে একতলায় নিজেদের থাকার জায়গায় চলে গেল। বিনয় নিজের ঘরে না গিয়ে বসুন্ধরার ঘরে গিয়ে বসল। বসুন্ধরা ঘরে আসতে দরজা বন্ধ করে দিল বিনয়।-–চলবে

মন খারাপের জংলা বিকেল।

ছবি সৌজন্য: সত্রাগ্নি
 

পরের পর্ব আগামী রবিবার

“সমাধান” কি সবসময় সদর্থক? সু-পরামর্শ দেওয়া কি এগোনো? নাকি পিছিয়ে আসাটাও একরকম এগোনো? বিপদ আন্দাজ করেও কাউকে এগিয়ে যাবার পরামর্শ দেওয়াটা – তোমার প্রতি কারো ভরসা বা বিশ্বাসের অমর্যাদা করা। তাকে বিপদের আঁচটা বুঝিয়ে না দেওয়াটা – বিশ্বাসঘাতকতা।

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content