শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


।। গৌরব ও সৌরভ ।।

পাত্র গৌরব জানালো সে বিয়েতে কোন অনুষ্ঠান চায় না। আভেরির বাড়ি থেকে যদি সেটা করতে চাওয়া হয় তাহলে সে আপত্তি করবে না। বাধ্য হয়ে মেনে নেবে। কিন্তু তাতে তার মনের কোনও সাড়া থাকবে না। সে চায় খুব ছোট্ট অনুষ্ঠান। রেজিস্ট্রি করার পর যেরকম নিরাভরণ সামাজিক বিয়ে করা উচিত, সেরকম ভাবেই তাদের বিয়ে হোক। সৌরভ জানিয়েছিল, তাদের নিজস্ব বাড়ি চেতলাতে। তাঁরা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর তারা আর কখনও সে বাড়িতে ফিরে যায়নি। দাদু বা ঠাকুমা মারা গিয়েছেন। কাকাদের সঙ্গে সে রকম যোগাযোগও নেই। গৌরবের দাদা সৌরভ এবং মা তার মামারবাড়ি বসুন্ধরা ভিলায় থাকেন। গৌরব কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের সময়টুকু আর বছর চারেকের বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি ছাড়া এতদিনের অনেকটা সময় কাটিয়েছে কালিম্পং বা দিল্লির হোস্টেলে। কিংবা লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস-এর অ্যাকোমোডেশনে। কলকাতা থেকে হয়তো মা আসবেন আর তার সেজোমামা আর মামি আসতে পারেন। ব্যাস আর কেউ না। কলকাতায় আলাদা করে কোনও অনুষ্ঠান হবে না। সে তাদের বিয়েটা একেবারে ব্যক্তিগত পর্যায়ের একটা ছোট অনুষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়। কোন জাঁকজমক হইচই তার অপছন্দ। আসলে গৌরব সমবয়সী ছেলে বা মেয়েদের থেকে অনেকটা এগিয়ে থেকে ভাবতে পারে। তার বাবা এবং বাবার বাড়ির আর্থিক অবস্থার সঙ্গে বসুন্ধরা ভিলার তফাতটা আন্দাজ করতে পেরেছিল। সেই সময়ে সে অনেক ছোট ছিল। কিন্তু পরে বড় হয়ে সে ভাবতে ভাবতে এটা বুঝতে পেরেছিল যে, সেই তফাতটাই তার মা-বাবার মধ্যে একটা বড় দেওয়াল হয়ে উঠেছিল। শান্তিলতা ও তার দুই সন্তান যে বসুন্ধরা ভিলার আশ্রিতজন এটা কখনও কোনওদিন দাদু-দিদা বা মামা-মামিদের ব্যবহারে বোঝা যায়নি। আর যাদের ব্যবহারে সেটা খানিকটা প্রকাশ পেত সেই ন’মামিমা সুজাতা বা মামাতোভাই প্রণয়কে গৌরব কোনওদিনই খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। সেই সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের দিনগুলোর থেকেই। কিন্তু তাঁর বাবা বেঁচে থাকলে তাকে বা দাদাকে হয়ত চেতলা বয়েজ স্কুলে ভর্ত্তি করা হতো। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক-জয়েন্ট-এর রাস্তায় যেতো। চেনাছকের ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বড়সড় চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ। জ্যাম থাকলে দাঁড়াতে হতো। এগোতে সময় লাগতো। কিন্তু মনের ভেতরে এই যে ভোটের কালির থেকেও গভীর কালো দাগ যা, সারাজীবনেও মিটবে না।

গৌরব তাই আর কোনও সুযোগ নিতে চায় না। কারও থেকে কোনও উপকার পাবার ন্যূনতম সু্যোগটুকুও রাখতে চায় না সে। আভেরিকে গৌরব খুব ভালো করে বিষয়টা বুঝিয়ে বলেছে। যাতে আভেরি তার বাড়ির গুরুজনদের বুঝিয়ে বলতে পারে। যাতে তাদের মধ্যে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি না থাকে। আভেরির বাবা-মা দু’ জনেই খুব বুদ্ধিমান। তারা গৌরবের মনের অবস্থাটা বুঝতে একমুহূর্ত দেরি করলেন না। বাড়ির আর সকলকে বুঝিয়ে বলার দায়িত্বটা আভেরির বাবা-মা নিল। তারা বললেন—

সৌরভ বা আভেরি দুজনেই যখন একটা লো-কি ম্যারেজ প্রোগ্রাম চাইছে, সেটা গার্জেন হিসেবে আমাদের মেনে নিয়ে ওদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আধুনিক যুগের ছেলেমেয়ে। বিরাট লোকলস্কর খানাপিনা নাচাগানা আলো-বাজি এসব যদি ওরা না চায়। বিয়েটাকে খুব বেশি পাবলিক না করে যদি একটা প্রাইভেট অ্যাফেয়ার রাখতে চায়। তাই হোক। বিয়েটা ওদের। ওদের মতামতের গুরুত্বটা দেওয়া উচিত। নাতনির জন্য বাবা যে টাকা রেখে গিয়েছেন সেটা আমরা ওদের দিয়ে দেব। ওরা সে টাকা ওদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন:

দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-৮: ‘ঈশ্বর… অদ্ভুত ম্যাজিক করেন, চাহিদা যত বেশি তিনি ততো কৃপণতা করেন’

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৬: দুয়ারে অপচ্ছায়া

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, অ্যাকোয়াপোনিক্স প্রযুক্তির প্রয়োগে উৎকৃষ্টমানের মাছ এবং গাছ বেড়ে উঠতে পারে

আর কোনও সমস্যা হয়নি। সৌরভ যেভাবে চেয়েছিল বিয়ের ব্যবস্থা সেভাবেই হয়েছে। মাকে আর সেজোমামা অমলকান্তি সেজমামিমা সুরঙ্গমাকে বিয়ের দু’দিন আগে কলকাতা থেকে বম্বে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তুলেছিল বম্বের তাজ হোটেলে। তাজমহল টাওয়ার নয়। তাজমহল প্যালেসে। তাজমহল প্যালেস হোটেলের পিছনের দিকটা মানে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার উল্টোদিকে নাকি অনেক আগে মেন এনট্রান্স ছিল। এখন সেখানে সুইমিং পুল। পুলের পাশে দুটো তলার ছাদে অনেকটা খালি চাতাল তারপর বে-সাইড রুমগুলো। মার কাছে পরে শুনেছি দুপুরে লাঞ্চের পর সেই চাতালে পায়চারী করতে করতে বাবা নাকি বলেছিলেন।

ভাগ্যিস বুবু বম্বেতে বিয়ে করার ডিসিশন নিল, না হলে আট-দশ ফর্মার বই লিখে কি আর তাজ প্যালেসে পা রাখতে পারতুম!

বুবু অর্থাৎ পিসিমণির ছোটছেলে গৌরব আর বাবু হল বড়জন সৌরভ।

দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর একটু গড়িয়ে নেওয়া আমার পিসিমণি শান্তিলতার বহুবছরের বদভ্যেস। তাই সে তখন হোটেল রুমে। সেদিনই সন্ধ্যেবেলা তাজ প্যালেস হোটেলেই ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার আসবেন। আভেরি আসবে বাবা-মা কাকা-জ্যাঠাদের নিয়ে তাদের জন্যে খাওয়াদাওয়া বিশ্রামের এলাহি ব্যবস্থা। সেখানেই রেজিস্ট্রি হবে। বাবা বলেছিল—

একেবারে টু দ্য পয়েন্ট, পিকচার পারফেক্ট অ্যারেঞ্জমেন্ট। হবু শ্বশুরবাড়িকে কোনও চাপ না দিয়েও একটা এলিগ্যান্ট রেজিষ্ট্রেশন, সত্যি বুবু তোর মতো ভাগ্নের জন্যে গর্ব হয় রে—

বুবু বলেছিল—

তোমাদের মতো মামা-মামি না থাকলে দাদান-দিদু না থাকলে কোথায় থাকতাম? বুবুকে তোমরা আগলে না রাখলে সে কি এসব করতে পারত সেজ মামা।

মা বাধা দিয়ে বলেছিল—

তোমরা এসব সিনেমার টিকিট-ভেজানো ডায়ালগ বন্ধ করবে!
হ্যাঁ বুবু ! এসবে একমাত্র তোমার সেজমামির কপিরাইট।
আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১১: বন থেকে বনান্তরে

স্বাদে-আহ্লাদে: কুলের আচারের নাম শুনলে জিভে জল আসে? রইল সহজ রেসিপি

দশভুজা: সেই ষোলো মিনিটের দূরত্ব কোনওদিন পূরণ হয়নি

না রে বুবু! ঈশ্বরের কৃপায় তোর সেজমামিকে এসব সংলাপ বলতে হয়নি। কোন কোন পুজো সংখ্যায় এ সব তোর সেজমামার গল্পের নায়িকারা বলে—

তবে সেটা লেখা নিয়ে ম্যাগাজিন এডিটর বেশি বেশি চাপ দিলে তখন। তারপর আর লেখা হয়ে ওঠে না। ছাপতে হয়। না হলে তারা সকলেই তোর মামির মতোই ঝকঝকে

গৌরব এতক্ষণ মামা-মামির খুনসুটি এঞ্জয় করছিল। একটু জায়গা পেয়ে জানতে চাইল।

সেজমামি এই সিনেমার টিকিট-ভেজানো ডায়ালগ ব্যাপারটা কী?

হাসতে হাসতে মা বলল—

আবেগরুদ্ধ ছবি। হাতের রুমাল তো ফার্স্ট হাফেই ভিজে সপসপ করছে। সেকেন্ড হাফে টিকিটটাই সম্বল।

আমার বাবা মা’র জীবনে এই স্পাইসটা বজায় ছিল। বাবা চলে যাবার পর মা যেন এক অন্য মানুষ।

সেদিন বিনয়কান্তিও ভাবছিল বসুন্ধরার চলে যাবার কথা। যে বিনুর জন্যে আজীবন এত কষ্ট সহ্য করলো মা, সেই বিনুকে একা ছেড়ে মা চলে যেতে পারলো? সংসার বড় হবার পর স্বর্ণ আসার পর ছেলেপুলের বিয়ে নাতি-নাতনি বা তাদের বিয়ে শুরু হবার পর মায়ের কি মনে হচ্ছিল যে বিনু-স্বর্ণ’র সংসারে বসুন্ধরার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে। এ ভাবে কি কারও প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়? এ বিরাট বিশ্বসংসারে মানুষ যে বড্ড একলা। সকলে মিলে সুখ-দুঃখ খুশি যন্ত্রণা আনন্দ বা হতাশা ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে বোধহয় জীবনকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যায়। সে খানিকটা দলবেঁধে বেড়াতে যাওয়ার মতো বাড়তি মজা। তবু তো মা চলে গেল। কোথাও কি আছো? এই বসুন্ধরা ভিলার আনাচে-কানাচে? তোমার ঘরে কোথায়? এক চিলতে ঠান্ডা বাতাসের মতো? তুমি কি বয়ে যাও মা লনে বা ছাতে? কোন নিশ্চুপ ঘুঘু ডাকা শান্ত দুপুরে? শহরের কোথাও? তুমি কি কাশীতে গিয়েছ? মণিকর্ণিকা ঘাটের পাথরের চাতালে? যেখানে আমরা বসে থাকতাম। সূর্যাস্তের লালগোলা জলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেত দিনান্তের সূর্য।

বিনয়ের মনে হয়, এ এক অদ্ভুত জীবনচক্র। চাকাটা ঠেলতে ঠেলতে তাতে গতি আনতে আনতেই জীবনের অর্ধেক সময় খরচ হয়ে যায়। তারপর সেই চলন্ত চাকায় টাল সামলে এগোতে হয় সাবধানে। যে মূহুর্তে মনে হয় যাক চাকাটা এবার চলছে আপনা-আপনি আপন গতিতে। নিজের অজান্তেই জীবনের বাকি সময়টা শেষ। হিসেব মেলানোর আর সময়ও থাকে না। ভুলগুলো ভুল থেকে যায়, শুধরে নেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২: ‘আও টুইস্ট করে’ গানের জন্য পঞ্চমের সঙ্গে শচীনকর্তার বাক্যালাপও বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন

হেলদি ডায়েট: বেশি কলা খাওয়ার অভ্যাস কি স্বাস্থ্যকর? মারাত্মক কোনও রোগের কারণ হয়ে উঠবে না তো?

ছোটদের যত্নে: শিশুদের মানসিক চাপমুক্ত করে পড়াশোনায় মনোযোগী করবেন কীভাবে? রইল শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

বিনয় জানে সে জীবনে কী কী ভুল করেছে। জেনে-বুঝে ভুলটা করেনি। আন্দাজ করতে বুঝতে ভুলটা হয়েছিল। ভুলটা হয়ে যাওয়া তো ছুঁড়ে দেওয়া তীর। ফেরাবার আর উপায় নেই। কপালক্রমে সে তীর লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বিপদ কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সে যাত্রায় হয়তো ভুলের মাশুল দিতে হয় না। কিন্তু বারবার কপাল বাঁচায় না। প্রবোধকে বুঝতে ভুল হয়েছিল। স্বর্ণ আপত্তি করেছিল মায়ের আপত্তি ছিল। বিনয় ওদের কথা শোনেনি। মেয়ের জীবনটা ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল। বিমলকান্তি যখন মেজশালীর যোগাযোগে পাওয়া দিল্লির পাত্রীকে নাকচ করে এফআরসিএস করতে লন্ডন চলে গেল, স্বর্ণময়ী তখন দিশেহারা। তরুণকান্তিকে বিয়ের কথা বলার আগে স্বর্ণ বিনয়কে জিজ্ঞেস করেছিল। সে কী করবে? কী করা উচিত? বিষয়টা যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত ছিল বিনয়কান্তি দেখেনি। সেই সময় দুটো জুটমিলে লেবার ট্রাবল চলছে। পারিবারিক সমস্যার থেকে ব্যবসায়িক সমস্যা তার কাছে বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। সেটা ভুল ছিল। মস্ত বড় ভুল। শ্রমিক সমস্যায় একবার ভুল হলে সেটা শুধরে নেওয়ার জায়গা থাকে। পারিবারিক ক্ষেত্রটা ক্রিকেট খেলার মতো ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল গেলে সেটা উইকেট ভেঙে দেবে। কোন নিস্তার নেই। স্বর্ণ মনে করে এটা তার একার ভুল। কিন্তু না। বিনয়কান্তিও সমানভাবে দোষী। সে গুরুত্ব দেয়নি। বিপদকে আমল দেয়নি। কিন্তু অন্য একটা সাঙ্ঘাতিক বিপদ থেকে বাবু মানে সৌরভকে বাঁচাতে পেরেছিল বিনয়কান্তি।—চলবে
ছবি সৌজন্যে: সত্রাগ্নি
 

বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-১০

“মাঝবয়সী দম্পতি অমিতাভদা আর মণীষাদির ভীষণ প্রভাব ছিল বাবুদাদার ওপর। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর ব্যাপারটা ওর উপর দারুণ ধাক্কা দিয়ে গিয়েছিল। অমিতাভদাকে মাস্টারমশাই হিসেবে নয়, একটা নির্ভরতার আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছিল বাবুদাদা।”

* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content