ছবি: প্রতীকী। সৌজন্য: সত্রাগ্নি।
শিবানী পড়ন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলল—
—আমার তো বাড়িতে ফোন নেই আমাকে এসটিডি বুথ থেকে ফোন করতে হবে।
—ও!
থিয়েটারের ফাস্ট বেল পড়ে গেল সেটা শুনে কেকে বললেন—
—যোগাযোগ হয়ে যাবে। যান যান আপনার ডাক এসে গিয়েছে।
পরদিন রোববার। খবরের কাগজে নিজের নাটকের বিজ্ঞাপনটা দেখছিল শিবানী। হঠাৎ বাড়ির সামনে এসে একটা গাড়ি দাঁড়ালো। গাড়িটা তার চেনা। গাড়িটা যার তিনি গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভারকে কিছু বললেন। গাড়িটা কেকে নামিয়ে চলে গেল। শিবানীদের বাড়ির সামনের রাস্তাটা সরু। একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে অন্য গাড়িটা পাস কাটিয়ে যেতে অসুবিধা হবে। তাই হয়তো গাড়িটা এগিয়ে একটু ফাঁকা জায়গায় রাখতে বললেন ড্রাইভারকে।
শিবানী এত অবাক কখনও হয়নি। কেকের হাতে মিষ্টির বাক্স হাতে ঝোলানো একটা সুন্দর কাগজের ক্যারিব্যাগ। হালে পার্ক স্ট্রিট নিউমার্কেটের কিছু নামিদামি দোকানেই এ ধরনের ব্যাগ দেওয়া হয়।
—গুড মর্নিং।
—গুড! গুড মর্নিং! আপনি? আমাদের বাড়িতে? এত সকালে?
—ভিতরে যাই?
—হ্যাঁ, মানে ভিতরে। আসলে আমাদের তো একটাই ঘর।
—কী মুশকিল? এতো কিন্তু কিন্তু করছেন কেন? সেদিন আমি ঈশানীকে হসপিটালাইজ করার সময় তো এসেছিলাম।
—হ্যাঁ। সেদিন এসেছিলেন। আসুন।
—আমার তো বাড়িতে ফোন নেই আমাকে এসটিডি বুথ থেকে ফোন করতে হবে।
—ও!
থিয়েটারের ফাস্ট বেল পড়ে গেল সেটা শুনে কেকে বললেন—
—যোগাযোগ হয়ে যাবে। যান যান আপনার ডাক এসে গিয়েছে।
পরদিন রোববার। খবরের কাগজে নিজের নাটকের বিজ্ঞাপনটা দেখছিল শিবানী। হঠাৎ বাড়ির সামনে এসে একটা গাড়ি দাঁড়ালো। গাড়িটা তার চেনা। গাড়িটা যার তিনি গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভারকে কিছু বললেন। গাড়িটা কেকে নামিয়ে চলে গেল। শিবানীদের বাড়ির সামনের রাস্তাটা সরু। একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে অন্য গাড়িটা পাস কাটিয়ে যেতে অসুবিধা হবে। তাই হয়তো গাড়িটা এগিয়ে একটু ফাঁকা জায়গায় রাখতে বললেন ড্রাইভারকে।
শিবানী এত অবাক কখনও হয়নি। কেকের হাতে মিষ্টির বাক্স হাতে ঝোলানো একটা সুন্দর কাগজের ক্যারিব্যাগ। হালে পার্ক স্ট্রিট নিউমার্কেটের কিছু নামিদামি দোকানেই এ ধরনের ব্যাগ দেওয়া হয়।
—গুড মর্নিং।
—গুড! গুড মর্নিং! আপনি? আমাদের বাড়িতে? এত সকালে?
—ভিতরে যাই?
—হ্যাঁ, মানে ভিতরে। আসলে আমাদের তো একটাই ঘর।
—কী মুশকিল? এতো কিন্তু কিন্তু করছেন কেন? সেদিন আমি ঈশানীকে হসপিটালাইজ করার সময় তো এসেছিলাম।
—হ্যাঁ। সেদিন এসেছিলেন। আসুন।
বেয়াব্রু ঘরটায় কোনো গতিকে বিছানার একটা চাদর টেনেটুনে দিতে দিতে শিবানী ভাবছিল যে কোথায় বসতে বলবে! খাটের তলা থেকে মোড়াটা টেনে নিজেই বসে পড়লো কমলকান্তি।
—এ বার একটু আমায় হেল্প করতে হবে। এই মিষ্টিটা আমাদের বাড়ির কাছের একটা দোকানের। এই প্যাকেটটায় ঈশানীর জন্য একটা খেলনা। এই ঠোঙার মধ্যে রয়েছে আপনাদের পাড়ার গরম সিঙ্গাড়া। এটা নেবার আগেই আপনি যেটা বলবেন, ছিছি এ সবের কী দরকার ছিল? আপনি কেন এসব আনতে গেলেন? আপনি এগুলো নিতে থাকুন আমি তার মধ্যে সেই প্রশ্ন উত্তরটা আগে দিয়ে দি।
শিবানী জিনিসগুলো নিতে থাকে।
—প্রথমত, সেদিন এসেছিলাম একটা বিপদের সময়। আজ বিপদ নেই। তাই মিষ্টি আনাটায় কোন বাধা নেই। দ্বিতীয়তঃ সেদিন ঈশানী জ্বরে বেহুঁশ ছিল তার সঙ্গে আমার আলাপ হয়নি। আজ হবে। তাই এই বার্বি ডলটা তার পাওনা । আর আমি এসেছি তাই জন্য আপনারা নিঃসন্দেহে চা-টা করবেন। চা বাড়িতে আছে টা’র জন্য দোকানে লোক পাঠাতে হবে। যখন যাবেন তখন আর এই সিঙ্গাড়াটা গরম পাবেন না।
—আপনি কি সাহিত্যিক?
—এ রাম? ছি ছি! সাহিত্যিক হবার যোগ্যতা কই আমার?
—যেভাবে গুছিয়ে কথা বলেন।
—সেটা শুনে শুনে। এক স্বনামধন্য সাহিত্যিকের ভাই আমি। অমলকান্তি দত্তের নাম শুনেছেন।
—সে কি? তার নাম শোনেননি এমন কে আছে বাংলাদেশে? আপনার দাদা!
—অবিশ্বাস করবেন না। মিথ্যে বলছি না।
—না না, আমি…। তার মানে সুরঙ্গমা সেনগুপ্ত আপনার?
—আমার সেজবৌদি। তবে তিনি সুরঙ্গমা দত্ত।
—নামের কার্ডটা দেখে একবার মনে হয়েছিল কিন্তু ঠিক বুঝতে পারিনি। আপনি কলকাতার শেরিফ বিখ্যাত ব্যবসায়ী বিনয়কান্তি দত্তের ছেলে?
—আঁজ্ঞে ছোট ছেলে।
—মানে বসুন্ধরা ভিলাতে থাকেন। মানে বসুন্ধরা দত্ত হচ্ছেন আপনার
—আমাদের ঠাকুমা। আপনি তো দেখছি আমাদের অনেক খবর রাখেন।
—শুধু আমি কেন এ শহর এ রাজ্যের অনেকেই আপনাদের জানেন চেনেন কাগজে পত্র-পত্রিকায় লেখা বেরোয়। আপনাদের ওখানে নামি দুর্গাপুজো হয়।
—আমাদের বাড়ির দুর্গাপুজো দেখেছেন কখনও?
—সুযোগ হয়নি।
—এ বার একটু আমায় হেল্প করতে হবে। এই মিষ্টিটা আমাদের বাড়ির কাছের একটা দোকানের। এই প্যাকেটটায় ঈশানীর জন্য একটা খেলনা। এই ঠোঙার মধ্যে রয়েছে আপনাদের পাড়ার গরম সিঙ্গাড়া। এটা নেবার আগেই আপনি যেটা বলবেন, ছিছি এ সবের কী দরকার ছিল? আপনি কেন এসব আনতে গেলেন? আপনি এগুলো নিতে থাকুন আমি তার মধ্যে সেই প্রশ্ন উত্তরটা আগে দিয়ে দি।
শিবানী জিনিসগুলো নিতে থাকে।
—প্রথমত, সেদিন এসেছিলাম একটা বিপদের সময়। আজ বিপদ নেই। তাই মিষ্টি আনাটায় কোন বাধা নেই। দ্বিতীয়তঃ সেদিন ঈশানী জ্বরে বেহুঁশ ছিল তার সঙ্গে আমার আলাপ হয়নি। আজ হবে। তাই এই বার্বি ডলটা তার পাওনা । আর আমি এসেছি তাই জন্য আপনারা নিঃসন্দেহে চা-টা করবেন। চা বাড়িতে আছে টা’র জন্য দোকানে লোক পাঠাতে হবে। যখন যাবেন তখন আর এই সিঙ্গাড়াটা গরম পাবেন না।
—আপনি কি সাহিত্যিক?
—এ রাম? ছি ছি! সাহিত্যিক হবার যোগ্যতা কই আমার?
—যেভাবে গুছিয়ে কথা বলেন।
—সেটা শুনে শুনে। এক স্বনামধন্য সাহিত্যিকের ভাই আমি। অমলকান্তি দত্তের নাম শুনেছেন।
—সে কি? তার নাম শোনেননি এমন কে আছে বাংলাদেশে? আপনার দাদা!
—অবিশ্বাস করবেন না। মিথ্যে বলছি না।
—না না, আমি…। তার মানে সুরঙ্গমা সেনগুপ্ত আপনার?
—আমার সেজবৌদি। তবে তিনি সুরঙ্গমা দত্ত।
—নামের কার্ডটা দেখে একবার মনে হয়েছিল কিন্তু ঠিক বুঝতে পারিনি। আপনি কলকাতার শেরিফ বিখ্যাত ব্যবসায়ী বিনয়কান্তি দত্তের ছেলে?
—আঁজ্ঞে ছোট ছেলে।
—মানে বসুন্ধরা ভিলাতে থাকেন। মানে বসুন্ধরা দত্ত হচ্ছেন আপনার
—আমাদের ঠাকুমা। আপনি তো দেখছি আমাদের অনেক খবর রাখেন।
—শুধু আমি কেন এ শহর এ রাজ্যের অনেকেই আপনাদের জানেন চেনেন কাগজে পত্র-পত্রিকায় লেখা বেরোয়। আপনাদের ওখানে নামি দুর্গাপুজো হয়।
—আমাদের বাড়ির দুর্গাপুজো দেখেছেন কখনও?
—সুযোগ হয়নি।
আরও পড়ুন:
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং...,২য় খণ্ড, পর্ব-৩৬: গাড়ির আলোয় মেয়েটির মুখ দেখেই সে চমকে উঠল
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৯: খাবারে একদম মশলা নয়?
এই কথাবার্তার মধ্যেই পাশের বাড়ির থেকে শুভ্রা নাতনি ঈশানীকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকেই কমলকান্তি-কে দেখে থতমত খেয়ে গেল। শিবানী পরিস্থিতি সামনে মাকে বুঝিয়ে বলল যে কমলকান্তিবাবু একটা বিশেষ কাজে এসেছেন। কথার সঙ্গে চোখের ইশারা মিশিয়ে বুঝিয়ে বলল চা-টা পাশের বাড়ির থেকে ভালো কাপে নিয়ে আসতে। শুভ্রা সেটা একবারেই বুঝে নাতনিকে নিয়ে আবার বেরিয়ে গেল।
—এছাড়াও গাড়ি থেকে নামার পরেই আপনি প্রশ্ন করেছিলেন এত সকালবেলায় আমি আপনাদের বাড়িতে কেন? তার উত্তর হল। দরকারটা খুব জরুরি না হলে আপনি বরুণ-এর কাছে হঠাৎ করে আমার ফোন নাম্বার চাইতেন না। কিন্তু রাতের দিকে ফোন করার অসুবিধা আছে। বাড়িতে ফোন নেই। আর থিয়েটার হলে নিশ্চিন্তে কথা বলা যায় না। সবসময় অনেক লোকজন। আজ রোববার সকাল সকাল চলে এলাম। আজ আপনার ডাবল শো।
শুভ্রা সুন্দর কাপে চা নিয়ে এলো।বুদ্ধি করে ঈশানীকে পাশের বাড়িতেই রেখে এসেছে। শিবানী কমলকান্তিকে সেই খলনায়ক প্রসঙ্গে সব কিছু জানাল। কেকে শান্ত হয়ে সবকিছু শুনে বলল—
—আমি শুনে নিয়েছি। এ নিয়ে আপনাকে আর ভাবতে হবে না। আজ দুপুরে শোয়ের পর হলে একটি ছেলে আসবে। আপনাকে দিয়ে একটা ফর্মে সই করিয়ে নেবে।
—কিসের ফর্ম?
—ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের এপ্লিকেশন ফর্ম। আপনার বাড়িতে একটা ফোন খুব জরুরি। আপনার মা এখানে থাকেন। কোন অসুবিধা হলে ওঁরা আপনাকে খবর তো দিতে পারবেন।
—প্রথমত টেলিফোন রাখার তো একটা খরচা আছে। আর অ্যাপ্লিকেশন করলেই আমাকে টেলিফোন দেবে কেন? আমি তো সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কেউ নই।টেলিফোন পেতে তো শুনেছে অনেক হ্যাপা।
—অ্যাপ্লিকেশনটা সই করে দেবেন। আজ উঠি
—ঈশানীকে ডাকবো?
—না থাক। ও হয়তো খেলাধুলো করছে পরে একদিন আলাপ করব। মেয়ের স্কুল কত দূর?
—কাছেই। এখন মা নিয়ে যায় নিয়ে আসে।
—এছাড়াও গাড়ি থেকে নামার পরেই আপনি প্রশ্ন করেছিলেন এত সকালবেলায় আমি আপনাদের বাড়িতে কেন? তার উত্তর হল। দরকারটা খুব জরুরি না হলে আপনি বরুণ-এর কাছে হঠাৎ করে আমার ফোন নাম্বার চাইতেন না। কিন্তু রাতের দিকে ফোন করার অসুবিধা আছে। বাড়িতে ফোন নেই। আর থিয়েটার হলে নিশ্চিন্তে কথা বলা যায় না। সবসময় অনেক লোকজন। আজ রোববার সকাল সকাল চলে এলাম। আজ আপনার ডাবল শো।
শুভ্রা সুন্দর কাপে চা নিয়ে এলো।বুদ্ধি করে ঈশানীকে পাশের বাড়িতেই রেখে এসেছে। শিবানী কমলকান্তিকে সেই খলনায়ক প্রসঙ্গে সব কিছু জানাল। কেকে শান্ত হয়ে সবকিছু শুনে বলল—
—আমি শুনে নিয়েছি। এ নিয়ে আপনাকে আর ভাবতে হবে না। আজ দুপুরে শোয়ের পর হলে একটি ছেলে আসবে। আপনাকে দিয়ে একটা ফর্মে সই করিয়ে নেবে।
—কিসের ফর্ম?
—ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের এপ্লিকেশন ফর্ম। আপনার বাড়িতে একটা ফোন খুব জরুরি। আপনার মা এখানে থাকেন। কোন অসুবিধা হলে ওঁরা আপনাকে খবর তো দিতে পারবেন।
—প্রথমত টেলিফোন রাখার তো একটা খরচা আছে। আর অ্যাপ্লিকেশন করলেই আমাকে টেলিফোন দেবে কেন? আমি তো সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কেউ নই।টেলিফোন পেতে তো শুনেছে অনেক হ্যাপা।
—অ্যাপ্লিকেশনটা সই করে দেবেন। আজ উঠি
—ঈশানীকে ডাকবো?
—না থাক। ও হয়তো খেলাধুলো করছে পরে একদিন আলাপ করব। মেয়ের স্কুল কত দূর?
—কাছেই। এখন মা নিয়ে যায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৬: সুন্দরবনের লৌকিক দেবতা পঞ্চানন্দ বা বাবাঠাকুর
পরিযায়ী মন, পর্ব-৮: চোখিধানির জগৎখানি
ডাবল শো সেরে রাতে বাড়ি ফিরতে ফিরতে ঈশানী ভাবছিল। মানসিকভাবে সে কি কমলকান্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে? তাকে জড়িয়ে কমলকান্তির বদনাম হবে না তো? শিবানী মোহের বশে লোভের বশে অনেক অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছে। ইন্দ্র তার জীবনে এসে সেই সব গ্লানি কালিমা মুছে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সুখে বোধহয় তার নিজেরই নজর পড়েছিল। সুখের ঘরের চাবিকাঠি হারিয়ে ফেললো শিবানী। কিন্তু ঈশ্বর কী চাইছেন? কেন তার জীবনে কমলকান্তির মতো একজন মানুষকে নিয়ে এলেন ঈশ্বর?
এক বছরের মধ্যে পরের ঘটনাগুলো এত আচমকা এবং দ্রুত ঘটে গেল শিবানী ইচ্ছে থাকলেও প্রতিবাদ করতে পারলো না। বাড়িতে ফোন লাগল, পাড়ার স্কুল থেকে ঈশানীকে যোধপুর পার্ক গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি করানো হল। শিবানীরা বাবুবাগানের একটা ছোট্ট বাড়িতে উঠে গেল। ভাড়াটা সামান্য বেশি পরিবেশটা খুবই ভালো। পুরনো বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে ফোন চলে এলো। নিজের জন্য নয় মেয়ে ঈশানীর একটা সুস্থ জীবন গড়ে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাকে সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য করছে। মা ঠিক কি ভাবছে শিবানী সেটা বুঝতে পারছে না। শিবানী বহুবার বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু কমলকান্তি শোনেনি। একদিন কমলকান্তিকে বাড়িতে ডেকে পাঠাল শিবানী।
এক বছরের মধ্যে পরের ঘটনাগুলো এত আচমকা এবং দ্রুত ঘটে গেল শিবানী ইচ্ছে থাকলেও প্রতিবাদ করতে পারলো না। বাড়িতে ফোন লাগল, পাড়ার স্কুল থেকে ঈশানীকে যোধপুর পার্ক গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি করানো হল। শিবানীরা বাবুবাগানের একটা ছোট্ট বাড়িতে উঠে গেল। ভাড়াটা সামান্য বেশি পরিবেশটা খুবই ভালো। পুরনো বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে ফোন চলে এলো। নিজের জন্য নয় মেয়ে ঈশানীর একটা সুস্থ জীবন গড়ে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাকে সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য করছে। মা ঠিক কি ভাবছে শিবানী সেটা বুঝতে পারছে না। শিবানী বহুবার বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু কমলকান্তি শোনেনি। একদিন কমলকান্তিকে বাড়িতে ডেকে পাঠাল শিবানী।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৩: নহবতবাড়ির ‘এতটুকু বাসা’
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১৮: ও দয়াল! বিচার করো!
ছোট বোন বনানী বাবুবাগানের নতুন বাড়িতে এসেছিল। ঈশানী নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে। বনানী খুব খুশি। তার নতুন স্কুলের বই ছবির খাতা রং পেনসিল কিনে দিয়ে গেছে। বহুদিন বাদে রোববার কাটিয়ে সোমবার ভোরে বনানীদের সঙ্গে মা চুঁচুড়ায় ফিরেছে। শুক্রবারে ফিরবে। বৃহস্পতিবারের সন্ধের শো’টা ঈশানী বাড়িতে একা থেকে যাবে। হল থেকে টেলিফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারবে শিবানী। খুব অসুবিধা হবে না। এখন ফিরতে তো অত রাত হয় না। রাস্তা অনেকটা কমে গিয়েছে।
সোমবার বেলায় কমলকান্তি এল। বাড়ি ফাঁকা। ঈশানী স্কুলে।
—কী ব্যাপার শিবানী? এত জরুরী তলব?অন্যায়টা বলার আগে শাস্তিটা বলো।
কমলকান্তি নিজের অজান্তেই আপনি থেকে তুমিতে পৌঁছে গিয়েছে কিন্তু শিবানী তখনও আপনি আটকে আছে।
—সব বলছি। তার আগে বলুন আমাকে নিয়ে আপনি ঠিক ভাবছেন?
—ভাবছি তো অনেক কিছু। কিন্তু তুমি কি ভাবছো সেটাও তো জানা দরকার।
—আপনি কী জানেন আমার সম্বন্ধে?—চলবে।
সোমবার বেলায় কমলকান্তি এল। বাড়ি ফাঁকা। ঈশানী স্কুলে।
—কী ব্যাপার শিবানী? এত জরুরী তলব?অন্যায়টা বলার আগে শাস্তিটা বলো।
কমলকান্তি নিজের অজান্তেই আপনি থেকে তুমিতে পৌঁছে গিয়েছে কিন্তু শিবানী তখনও আপনি আটকে আছে।
—সব বলছি। তার আগে বলুন আমাকে নিয়ে আপনি ঠিক ভাবছেন?
—ভাবছি তো অনেক কিছু। কিন্তু তুমি কি ভাবছো সেটাও তো জানা দরকার।
—আপনি কী জানেন আমার সম্বন্ধে?—চলবে।
কখন তোমরা আসবে টেলিফোন। ছবি: সংগৃহীত।
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-৩৮
* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com