ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
।। সৌভাগ্য না সাহস ।।
চলচ্চিত্রে অভিনয় বা নৃত্যের দৃশ্যে অংশ নেওয়া সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড। অভিনয় বা নাচের ক্ষেত্রে চরিত্র বা কাহিনির দোহাই দিয়ে কে কতটা অশালীন বা বেআব্রু হবেন, সেটা যেমন একেবারেই ব্যক্তিগত রুচি বা সীমাজ্ঞান। তেমনই এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে খ্যাতির শিখরে উঠতে, কে কতটা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন বা অন্ধকারের পথকে বেছে নেবেন সেটাও তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তে ব্যক্তিগত সাফল্য বা ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায় তাঁর একার উপরে বর্তায়। তাঁর আর্থিক পারিবারিক বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বা তাঁর ব্যক্তিগত অসহায়তার সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে তাকে শোষণ বা নিপীড়নের অশ্রুসজল গাথা ধোপে টেকে না। কোন সিদ্ধান্তে কী পরিণতি হতে পারে মানুষ সেটা জেনে বুঝেই সাজানো ফাঁদে পা দেয়। সেই সিদ্ধান্তে লাভবান হলে তারিয়ে তারিয়ে সাফল্য উপভোগ করে আর ব্যর্থ হলে স্বাভাবিকভাবে পরিস্থিতি পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিজের নির্বুদ্ধিতা এসবের উপর দায় চাপায়। ভাগ্য বা যোগাযোগ যাই হোক ঘটনা ঘটল। বম্বের সেই নর্তকীর অ্যাপেনডিক্সের ব্যাথা জানান দিল অপারেশন না করলে বড় শারীরিক ক্ষতি। অপারেশন হলে প্রযোজকের আর্থিক ক্ষতি। ব্যস্ত হিরোর ডেট পাওয়া গড়া সেট ভাঙতে হবে। কিন্তু ইউনিটের অনেকেই দীপক চক্রবর্তী বা চিরঞ্জীতের মুখের সেই বিখ্যাত হওয়া সংলাপটা ফিসফিস করে বলল—“বৌ গেলে বৌ পাওয়া যায় রে পাগলা! মা গেলে মা পাওয়া যায় না।” ছবি গেলে আবার ছবি পাবে! শরীর গেলে শরীর ফিরে পাবে না। সুতরাং বম্বের নর্তকী রিপ্লেসমেন্ট খোঁজো। এই সেটেই শিডিউল ধরেই শুটিং হবে। পরের দিন হিরোর সঙ্গে শুটিং। সেদিনের ভেস্তে যাওয়া নর্তকীর কাজ হবে হিরোর সঙ্গে ড্যান্স সিকোয়েন্স শেষ হবার পর। কিন্তু প্রযোজক এক বায়না করে বসলেন। “বনধ মুঠঠি লাও!” বম্বে ফিলম ইন্ডাস্ট্রিতে এই শব্দবন্ধ খুব চালু।
হিরোইনদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। আনেক্সপ্লোর্ড বিউটি অ্যাণ্ড ট্যালেন্ট! বন্ধ হাতের মুঠিতে কী সম্পদ আছে ছবি রিলিজের আগে তার কথা ইন্ডাস্ট্রির কাকপক্ষী জানবে না। ছবির ডিরেক্টার ডান্স ডিরেক্টারকে নিয়ে টেনশনে মদের গেলাস নিয়ে পাঁচতারা হোটেলে গিয়ে বসলেন। পরের দিনের শুটিঙের ব্যবস্থা করার দ্বায়িত্ব দিয়ে, প্রযোজক গিয়েছেন নর্তকীর অপারেশনের ব্যবস্থা করতে। যেতে তো হবেই। বম্বে থেকে আসার পর নর্তকী-সুন্দরী তো সরাসরি এই প্রযোজকের আতিথেয়তা ও তত্ত্বাবধানেই ছিলেন।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-২১: বুল্টিরা ভাবে কমবয়েসী শিবানীরা আসল উদ্দেশ্যটা বুঝতেই পারছে না
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে
বডি টেম্পারেচার বাড়িয়ে দিয়ে ভাইরাসকে মারার চেষ্টা করছে। আর জ্বর না হওয়া মানে, শরীরকে লড়াইতে নামতেই হয়নি? আগেই শত্রুকে নিউট্রিলাইজ করে ফেলেছে? একেই বোধহয় বলে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী। সুবর্ণর এক চেনা ডাক্তারবাবু বলেন, গুগল সার্চ করে আগে চারআনার ডাক্তার হওয়া যেত। এখন হোয়াটসঅ্যাপ আর ইউটিউব ইউনিভার্সিটির কল্যাণে বাকি বারো আনা পূর্ণ হয়েছে। এখন ঘরে ঘরে ডাক্তার।
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩: গায়ে আমার পুলক লাগে
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৮: চলতে চলতে ‘সাহেব বিবি ও গোলাম’
বিনয়কান্তি জীবনে কাউকে ঠকাননি শিবানী নিজের স্বার্থে অন্যকে ক্রমাগত ব্যবহার করেছে। নিজের মা নিজের বাবা বোন বুল্টিদা দূরসম্পর্কের বিধবা পিসিমা তালিকায় এমন আরও অনেকে রয়েছেন যাদের কথা কাহিনির স্রোতে ক্রমশ প্রকাশ পাবে। বিনয়কান্তি বা শিবানীর মধ্যে তুলনা হয় না। আসলে অতীতের মানুষদের ইতিহাস শুনে জেনে পড়ে তাকে উপন্যাসের পাতায় বিশ্বাসযোগ্য রক্তমাংসের চরিত্র করে গড়ে তুলতে লেখক হিসেবে চরিত্র বা চরিত্রদের মনের মধ্যে ক্রমাগত ভাঙতে গড়তে হয়। সচেতনভাবে বা অচেতনভাবে তাদের সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
নিজের চেতনায় তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হয়। নিছক অখণ্ড অবসরের অলস সময় কাটানোর জন্যে কোরোনা-কালের বিরক্তিকর বন্দিজীবনে বৈচিত্র্য আনতেই “বসুন্ধরা ভিলা”র কথা লিখতে শুরু করেছিল ষাট পেরোনো সুবর্ণকান্তি দত্ত। কাদের কথা লিখবে কীভাবে লিখবে আগেভাগে কোনও ভাবনাই ছিল না। লিখতে লিখতেই লেখাটা গড়ে উঠেছে। বসুন্ধরা এবং…আপনগতিতে বয়ে গেছে আপনার গতিপথে। এক চরিত্র অন্য চরিত্রকে নিয়ে এসেছে। নানান সময় ছুঁয়ে কাহিনি এগিয়ে চলেছে।
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৪: মাথায় চোট মানেই কি ইন্টারনাল হেমারেজ?
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৫০: আমার সোনার হরিণ চাই—সীতার চাওয়া কি সত্যি হবে?
ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-২৩
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com