ছবি: প্রতীকি। সৌজন্যে: সত্রাগ্নি
।।১৯৭০।।
“কম বয়সের আবেগ বেশি ছিল। তাই হয়তো প্রস্তুতির অভাবটা আন্দাজ করা যায়নি। অপেক্ষা ছিল না ধৈর্য ছিল না শুধু ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল। মূল তথ্য থেকে আন্দোলন যে দূরে সরে যাচ্ছে সেটা বোঝার ক্ষমতা যাঁদের ছিল তারা সচেতন করেননি বা বলা যায় কিছু লোক তাদের সচেতন করতে দেয়নি। কৃষকদের মধ্যে যৌথ চেতনার জাগরণ ঘটেনি। আর এই উপলব্ধিও হয়নি যে দল কোনও বিপ্লব করে না। বিপ্লব করে মানুষ বিপ্লব করে জনতা। দল সচেতনভাবে বৈপ্লবিক চেতনা মানুষের থেকে মানুষকে চারিয়ে দিতে পারে। ফলে অতি বিপ্লবের কল্পনাবিলাসে হৃদয়হীন হয়ে উঠল সমাজের সবথেকে উজ্জ্বল অংশ শিক্ষিত অতিশিক্ষিত ছাত্র যুব সম্প্রদায়। গ্রামে আন্দোলন ব্যর্থ হল। শহরে স্কুল পোড়ানো মূর্তি ভাঙ্গা শুরু হল। নিরীহ কিছু মানুষ দিনে দুপুরে খুন হলেন। কিন্তু সেই অর্থে কোন মন্ত্রী কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে ছুঁতে পারল না এই দিকভ্রান্ত যুবকেরা। মাঝখান থেকে আন্দোলনের মধ্যে সুকৌশলে ঢুকে পড়লো কিছু গুন্ডা বদমাইশ খুনে ওয়াগান ব্রেকার, যাদের আন্দোলন ভাঙার জন্য সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
বাবার এই উপন্যাস অনেকটা পরে ‘৭৭-এ লেখা, তখন অনেক ভূতপূর্ব আন্দোলনকারী রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ছাড়া পেলেও অনেকেরই জেলের পুলিশি অত্যাচারে দাঁড়াবার ক্ষমতা নেই। সময়টা বদলে না গেলে বাবাকেও হয়তো শ্রেণিশত্রু বুর্জোয়া হিসেবে গণ্য করা হতো।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-১১: রাত বাড়লে গুলি-বোমার শব্দ, দরজায় অচেনা লোক এলে সন্দেহ হতো
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯: নুনিয়া
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৪: কাওয়ার্ধা পরিভ্রমণ
সেদিন অমিতাভ আর মনীষা ভোরবেলা কলকাতা ফিরলেন। সকালে দু’ জনেই যে যার স্কুলে গেলেন। যোধপুর বয়েজ আর অ্যান্ড্রুজ হাইস্কুলের ক্লাসে ছাত্রদের সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হল। দুপুরে সহকর্মীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা গল্পগুজব হল। সমবয়সী অনেকে জানতে চাইলেন ওরা আচমকা কোনো হনিমুনে গিয়েছিলেন কিনা। সন্ধেবেলা যথারীতি স্কুলফেরত টিউশন ক্লাসে বসলেন অমিতাভ। ছাত্রদের জন্যে জলপাইগুড়ির বিখ্যাত বেলাকোবার চমচম নিয়ে এসেছে ওরা। মনীষাদের বাড়ি রানিনগর জংশন থেকে বেলাকোবা ট্রেনে একটুখানি।
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫: জনমেজয়ের সর্পমারণযজ্ঞ — একটি সাধারণ সমীক্ষা
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১০: কান্না-হাসির দোল দোলানো ‘সাড়ে চুয়াত্তর’
হেলদি ডায়েট: দ্রুত রোগা হতে চান? ভরসা রাখুন সুপারফুড ডালিয়াতে
বলুন—আর এ ভাবে জুতো পরেই ঘরে ঢুকে এলেন।
সরি—ভুল হয়ে গিয়েছে। আচ্ছা আপনি কি বাড়ি গিয়ে পড়ান?
আঁজ্ঞে না! আমি বাড়িতেই পড়াই। এখন ব্যস্ত আছি। এখন নতুন ছাত্র নেবার উপায় নেই।
না মানে পয়সাকড়িতে পুষিয়ে দেব।
মনীষা একটু বিরক্ত হয়ে জানাল।
উনি তো না বলছেন— আর নতুন ছাত্র নিলে তাকে বসাব কোথায়? এতটুকু তো ঘর? আর আজ বরং আসুন। এখন ছাত্র পড়ানোর সময়।
ঠিক! আপনারা তো মাঝে বাড়ি ছিলেন না।
অমিতাভ অবাক—
আপনারা মানে?
আগে দু’-দুবার এসে ফিরে গিয়েছি।
অমিতাভ এবার সচকিত। দ্বিতীয়জন আশ্বস্ত করেন।
ওই টিউশনির ব্যাপারে।
দ্বিতীয় লোকটি ততক্ষণে প্রায় ভিতরের দরজার কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। মনীষা চিৎকার করে ওঠে।
এ কি জুতো পরে আপনি ওদিকে কোথায় যাচ্ছেন?
দ্বিতীয় লোকটা অদ্ভুত ভাবে বলে উঠলো।
জলটা এগিয়ে দিচ্ছিলাম। বাচ্চাদের গলায় বিষম লেগে যাবে। বেলাকোবার স্পেশাল চমচম!
মনীষা ওঠার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে ভিতর-দরজা আড়াল করে দাঁড়ানো লোকটা নিমেষের মধ্যে রিভলবার বের করে মনীষার মাথায় ধরে। বাচ্চারা আঁতকে ওঠে। অন্য লোকটা ততক্ষণে লাফ দিয়ে এসে অমিতাভর গলাটা জাপটে ধরে মুখের ভেতরে রিভলবারের নল ঢুকিয়ে দিয়ে চিৎকার করে।
খাই খাই: টক-ঝাল-মিষ্টি আমের চাটনি খেতে ইচ্ছে করে? বানিয়ে ফেলুন এভাবে
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৩০: সত্যজিৎ ও সুচিত্রা জুটির সেই ছবি তৈরি হলে তা মাইলস্টোন হয়ে উঠতে পারতো
বশ মানছে না ভুঁড়ি? রইল পাঁচটি সহজ টোটকা
বাচ্ছারা যাবে মানে ওরা আমার ছাত্র, আমার কাছে পড়তে আসে।
ও সব নিয়ে আপনি মাথা ঘামাবেন না। ওসব আমরা বুঝে নেব। আপনাদের পিডি অ্যাক্টে অ্যারেস্ট করা হল। পিডি অ্যাক্ট জানেন তো প্রিভেন্টিভ ডিটেনশান অ্যাক্ট।
মনীষা একটু ভিতরে যেতে চাইছিল। মাথায় রিভলবারের খোঁচা দিয়ে পাশে দাঁড়ানো পুলিশের লোকটি বলল।
উঁহু! ওসব থানায় গিয়ে হবে। এখানে ওসব ভদ্রতা মানবতার রিস্ক নিতে পারবো না।
অন্যজন তাড়া দেয়।
অযথা দেরি করবেন না। আপনাদের থানায় জমা করিয়ে। কাগজপত্র সেরে আমাদের বাড়ি ফিরতে হবে তো, দু’জনে দু’জায়গায় থাকি। আগে আমাদের কক্ষনো দেখেননি। পুলিশ অনেক চালাক হয়ে গিয়েছে। আজকের এই অপারেশনের জন্য আমাদের তুলে আনা হয়েছে। আমি সোদপুর থানা থেকে আর ও বেহালা।—চলবে
ছবি: প্রতীকি। সংগৃহীত।
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-১৩
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com