ছবি প্রতীকী। সংগৃহীত।
।। সৌরভ ।।
ছোটবেলা থেকেই সু্বর্ণকান্তি খুব চুপচাপ। কথা শুনতো বেশি। ভাবতো বেশি, বলতো কম। সেটা হয়তো বাবা বা মাকে দেখে । এই ধীর-স্থির অভ্যেসটা ভাইবোনের মধ্যেও একটা স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিল। অবশ্যই লকডাউন এর আগে সুবর্ণ কখনও ভাবেনি সে বসুন্ধরার কথা লিখবে। সে বড়ঠাম্মি দাদু বা ঠাম্মির কথা বাড়ির আর সকলের কথা লিখবে। তাই সে এমন অনেক কথা জানে যেগুলো কারও সঙ্গে কখনও আলোচনা করেনি। অথচ এতগুলো মাস ধরে বসুন্ধরা ভিলা বা সেই মানুষগুলোর কথা লিখতে বসে সেসব যেন দৃশ্য হয়ে পরপর তার মাথার মধ্যে ভেসে আসছে। লেখকদের কি এমনই হয়? বাবাকে দেখেছে। বাবা হিসেবে দেখেছে। মানুষ চেনে এমন একজন হিসেবে জেনেছে। কিন্তু তিনি লেখেন কীভাবে? কীভাবে মাথায় লেখা আসে? কীভাবে চরিত্রগুলো তৈরি হয়? সেগুলো নিয়ে কখনও বাবার সঙ্গে কথা বলার কোন সুযোগই ঘটেনি।
বাবু দাদা সৌরভের দাদা গৌরব যখন যোধপুর পার্ক বয়েজে ক্লাস সেভেনে উঠলো তখন থেকে একজনের কাছে অংক করতে যেত। স্কুলের পর। বেশি বয়স নয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই শিক্ষক শিক্ষিকা। অমিতাভদা যোধপুর পার্ক বয়েজে সায়েন্স এবং অঙ্ক পড়াতো। অমিতাভ সেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে কেমিস্ট্রি অনার্স। একটু পাগলাটে। ডাক্তারিতে চান্স পেয়েও ভর্তি হয়নি। কেমিস্ট্রি ভালোবেসে টিচার হয়ে গেল। আর অমিতাভদার স্ত্রী মনীষাদি। মনীষাদি ইংরেজি পড়াতেন। অ্যান্ড্রুজ হাইস্কুলে। যোধপুর পার্ক থেকে বেরিয়ে সুবোধ মল্লিক রোড টপকালেই রাস্তার উল্টো ফুটপাথে। অ্যান্ড্রুজ হাইস্কুলের পাশে সেলিমপুর বাই লেন। ওই রাস্তা দিয়ে ঢুকে একটু এগোলে ওদের ভাড়াবাড়ি। স্কুলের পর অমিতাভদা টিউশনি করতেন। সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত ক্লাস সেভেন এইট। ছটা থেকে নটা নাইন টেন ইলেভেন। মনীষাদি বাড়িতে টিউশনি করত না। সমস্ত ছাত্রদের কাছে অমিতাভ বাবু বা স্যার নয়। অমিতাভদা। স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রী মনীষা, দিদি বা মণীষাদি হয়ে গেল। বাবুদা পড়াশোনায় ভালো ছিল। ৫ বছরেই ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিল। ‘৬৭তে ক্লাস সেভেন। মাঝবয়সী দম্পতি অমিতাভদা আর মণীষাদির ভীষণ প্রভাব ছিল বাবুদাদার ওপর। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর ব্যাপারটা ওর ওপর দারুণ ধাক্কা দিয়ে গিয়েছিল।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-৯: উড়িয়ে…বম্বের তাজ হোটেলে, তাজমহল টাওয়ার নয়, তাজমহল প্যালেসে
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭: ওখানে কে?
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-১২: প্রকৃত অর্থে পুজোর মধ্যমে ভগবান লাভের শর্তই হল চিত্তশুদ্ধি
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৩: আর্ষ মহাকাব্যদ্বয়ের আদি প্রচারমাধ্যম
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১২: বাইগা রিসর্ট ও বস্তি
পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৯: অমরগীতি ছবিতে রাজাবাবু চরিত্রে তরুণ মজুমদারের প্রথম পছন্দ ছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়
বাবুদা বলেছিল চে গুয়েভারার ছোটবেলার কথা। তাদের বাড়িতে প্রায় তিন হাজারের বেশি বই ছিল। ছোটবেলায় চে ভীষণ দাবা খেলতে ভালোবাসত। বাবুদাদা যেমন বাড়িতে নানান এক্সপেরিমেন্ট করে তেমনি চে গুয়েভারার একটা নিজস্ব ল্যাবরেটরি ছিল আর সেখানে সে ট্যালকম পাউডার আর গ্যামাক্সিন মিশিয়ে নতুন কীটনাশক তৈরির চেষ্টা করত। এই জন্য ছোটবেলা থেকেই চে হাঁপানির শিকার হয়ে পড়ে। কিন্তু তবুও সাঁতারে বা খেলাধুলোয় খুব ভালো ছিল চে। সাংঘাতিক গতিতে রাগবি খেলতে পারত। বড় হয়ে ডাক্তারিতে ভর্তি হল। ছাত্র থাকাকালীন নিজের বাই-সাইকেলে ছোট মোটর লাগিয়ে নিয়ে একা একা সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করে ফেলেছিল উত্তর আর্জেন্টিনার গ্রাম্য জীবনকে জানতে।এর বছর দুয়েক পর বন্ধু আলবার্তো গ্রানাদোকে সঙ্গে নিয়ে আট হাজার কিলোমিটারের অভিযান। তরুণ বয়সে গুয়েভারা যখন দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেছে, সে কিন্তু প্রকৃতির শোভা দেখতে পায়নি। গৌতম বুদ্ধের মতো গুয়েভারার চোখে পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ভয়ঙ্কর কষ্ট। একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকা, দুবেলা দুমুঠো খেতে পাওয়া, অসুস্থ হলে একটু চিকিৎসা পাওয়া।
ষাট পেরিয়ে, পর্ব-২৫: মা-বাবার বয়স বাড়ছে, এই সময় পড়ে গেলে বড় বিপদ ঘটতে পারে, সুরক্ষার প্রয়োজনে মানতে হবে কিছু নিয়ম/১
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৮: পূর্ণ অপূর্ণ-র মাঝে পথ দেখায় ‘দেবত্র’
স্বাদে-আহ্লাদে: শীতে পছন্দের তালিকায় রয়েছে লাড্ডু? মিষ্টিমুখ হয়ে যাক গাজরের লাড্ডু দিয়েই
ছবি প্রতীকী। সৌজন্যে: সত্রাগ্নি
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-১১
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com