রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


গাছের ডালে পাতায় রোদের আদর।

 

II বুড়ি-ডিহিং-এর কিনারে II

জঙ্গলের গাছপালা সবেমাত্র রোদের আলোয় আড়মোড়া ভাঙছে। ভোরবেলা জঙ্গলে একটা অদ্ভুত নেশালাগানো গন্ধ পাওয়া যায়। গোটা রাত মানুষের উপদ্রব থাকে না। জঙ্গল যেন নিশ্চিন্ত বিশ্রাম নিতে পারে। তাই জঙ্গলের হাওয়ায় কাঠ-পাতা-বুনোফুল-ফল সব মেশানো একটা অন্যরকম মিষ্টি গন্ধের রেশ লেগে থাকে। বেলা বাড়ার পর রাস্তায় গাড়িঘোড়া চালু হলে পেট্রোল-ডিজেল পোড়া ধোঁয়া ক্রমে সেই মন-কেমন নির্মল প্রকৃতিকে একটু একটু করে দূষিত করে দেয়।

নাম্ফাকে গ্রামে তাইফাকে উপজাতিদের বাস। নাম্ফাকে বৌদ্ধ বিহার – অনেক পুরনো । আসামের ডিহিং নদীকে নাম্ফাকে গ্রামে আদর করে বুড়ি-ডিহিং বলে ডাকে। অনেকদিন আগে মানে প্রায় ১৮০০ শতকে তাইফাকে সম্প্রদায়ের মানুষ বর্মা থেকে আসামের এই অঞ্চলে বসবাস শুরু করে। এরা নির্বিরোধী বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। এরাই ১৮৫০ সালে এই বৌদ্ধ বিহার গড়ে তোলে।

বিনুর যা স্বভাব — ঘুরতে আসবে ভেবেই বাগানের পুরোনো লোকজনের কাছে নিশ্চয়ই জায়গাটা সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে এসেছে।
− এত খোঁজ কে দিল? এখানে তো তারাপদবাবু নেই!
− তারাপদবাবু নেই তবে অ্যাকাউন্টসের পুরকায়স্থবাবু তো আছেন। প্রচুর খবর রাখেন। অনেকদিন আছেন এ বাগানে।

অনেকটা জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে এই অনাড়ম্বর উপাসনা স্থল। কিছু কিছু জায়গায় ছড়ানো-ছিটোনো বহু পুরোনো স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ। থাম চাতাল ধর্মচক্র। সরু-সরু পোড়া ইঁটে চূণ-সুরকীর গাঁথনি। সন্ন্যাসীদের বসবাসের জন্যে কিছু বাঁশ ও বেতের বাড়ি। গৌতম-বুদ্ধের শান্ত সমাহিত সোনার পাত মোড়া ধ্যানমগ্ন মূর্তি রয়েছে একটি বড় চাতাল-ওলা মন্দিরে। মোমবাতি জ্বালিয়ে ফুল দিয়ে বুদ্ধের উদ্দেশ্যে পুজো দিলেন বসুন্ধরা। ওরা মন্দির থেকে যখন বেরিয়ে আসছে — গেরুয়া পোশাকে এক বয়স্ক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিনয়কান্তির মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি থমকে দাঁড়ালেন। বিনয় অবাক হয়ে মাকে দেখল। বসুন্ধরা হাতজোড় করে তাঁকে প্রণাম করলেন। বিনয়কে ইশারা করতে সে-ও প্রণাম করলো । বয়স্ক সন্ন্যাসী তাঁর ডান হাত অল্প তুলে আশীর্বাদ করলেন । তারপর স্মিত হেসে বসুন্ধরা ও বিনয়কে দাঁড়াতে বলে মন্দিরের গর্ভগৃহে চলে গেলেন। বসুন্ধরা তাকিয়ে থেকে বললেন
− বোধহয় প্রসাদ দেবেন। ওঁকে বলা হল না আমরা প্রসাদ নিয়েছি।

সন্ন্যাসী ফিরে এলেন। তাঁর হাতে একটা পাথরের ধর্মচক্র। আর একটা স্বর্ণচাঁপা ফুলের পাপড়ি। অবাক বিনয়কান্তির হাতে সেগুলো দিয়ে অসমীয়া ভাষায় বললেন
− ইমান চিন্তা নকৰিব – ভগৱানে ভালৈ কৰিব। (এতো চিন্তা কোর না – ভগবান ভালই করবেন)
এই বলে তিনি চোখ বুজে বিড়বিড় করে কিছু মন্ত্রোচ্চারণ করে আবার মন্দিরের গর্ভগৃহের দিকে চলে গেলেন।

একটু বইপত্র উলটে সুবর্ণকান্তি ধর্মচক্রটা একটু ব্যাখ্যা করে দেবার কথা ভাবল। ধর্মচক্র হল বৌদ্ধধর্মের এক পবিত্র চিহ্ন যার আটটি দিক — গৌতম-বুদ্ধের বোধিলাভের পর সারনাথে প্রথম প্রবচনে উল্লেখ্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এ সেই পরিচিত চক্র — যা আমরা অশোকস্তম্ভ-এ দেখেছি। দেখছি আমাদের জাতীয় পতাকায়। এই চক্রে কেন্দ্র থেকে কখনও আট বারো কখনও বা চব্বিশটা স্পোক দেখা যায়। ল্যাপটপে আঙুল থেমে গেল। আচ্ছা Spoke শুদ্ধ বাংলায় হল ব্যাসার্ধ। নাহ ! বড্ড কেশব চন্দ্র নাগের কোর গণিতমার্কা বাঙলা হোল। খুঁজতে খুঁজতে ‘অর’ বলে একটা শব্দ পাওয়া গেল। Spoke এর কথ্য বাঙলা ‘অর’? খটকা লাগছে। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাচের আলমারির মধ্যে থেকে সযত্নে নামিয়ে আনল। সাহিত্য অ্যাকাডেমি প্রকাশিত দুটি বৃহৎ খণ্ডে বঙ্গীয় শব্দকোষ। হ্যাঁ ঠিক। অ থেকে ন-য়ের প্রথম খণ্ডেই ‘অর’ শব্দের অর্থ ‘চক্রের নাভি থেকে নেমি-র মধ্যস্থ তির্যক কাষ্ঠখণ্ড’। চক্র-শলাকা। চাকার পাখি। কি আশ্চর্য্য Radius-কে পাখি’ও বলে? আর পরিধি বা periphery কথ্য বাংলায় হল — ‘নেমি’ । নেমি বললেই তো রাবণের অনুচর দানব কালনেমির কথা মনে পড়ে। বাল্মিকী উল্লেখ না করলেও কৃত্তিবাস তাঁকে রাবণের মামা বলেছেন। রাবণ তাকে অর্ধেক লঙ্কা দেবার লোভ দেখিয়ে গন্ধমাদন পর্বতে পাঠান। হনুমানকে মেরে ফেলার জন্যে। কার্যসিদ্ধি হবার আগেই কালনেমি ভেবে নিল অর্ধেক লঙ্কা তার হাতের মুঠোয়। কিন্তু কালনেমির হাতে হনুমানের মৃত্যু হল না। আর ‘আগে থেকেই জল্পনাকল্পনার’ বাঙলা প্রবাদ হয়ে উঠল — “কালনেমির লঙ্কাভাগ”। শব্দকোষের প্রথম খণ্ডে কালনেমি’র অর্থ কালের নেমিতূল্য। কাল মানে মৃত্যু।মানে মৃত্যুর নিকটবর্তী। সেই সঙ্গে আছে রামায়ণ উল্লেখ করে বাঙলা প্রবাদের ব্যাখ্যা।

গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদধন্য হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের শিক্ষাভবনের সংস্কৃতভাষার অধ্যাপক ছিলেন। কবিগুরুর উৎসাহে ১৯০৫ থেকে ১৯৩৩ আঠাশ বছর নিরবিচ্ছিন্ন পরিশ্রমের পর ৮ আশ্বিন ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে স্বয়ং গুরুদেব স্বাক্ষরিত পরিচয়পত্রসহ ১০৫ খণ্ডের প্রাথমিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। আরও আটবছর পরিশ্রম করে ১৩৪৮-র ৭ই ফাল্গুন দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পেল। গুরুদেব চলে গেছেন ১৩৪৮-র ২২শে শ্রাবণ। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যান ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ মানে ১৯৫৮। আর ১৯৫৭ সালে বুদ্ধদেব বসুর ‘একটি জীবন ও কয়েকটি মৃত্যু’ গ্রন্থে লিখেছিলেন ‘একটি জীবন’ গল্পটি। তিন দশক পরে ১৯৮৭তে এই নামে একটি চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়— চরিত্রটি এক হেড পণ্ডিতের যিনি তার গোটা জীবন ধরে ৫২ খণ্ডে বৃহৎ বঙ্গীয় শব্দকোষ রচনা করেছেন। এই অনমনীয় দৃঢ়তা আর স্বপ্নকে আঁকড়ে রাখার কাহিনি এমনই একটি জীবন থেকে নেওয়া… হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শব্দকোষ ঘাঁটতে গিয়ে — বাবার হাতে লেখা — নোটসের মত কী সব রেফারেন্স খুঁজে পেল সুবর্ণকান্তি। সঙ্গে স্টেপল করা একটি বহুল প্রচারিত বাঙলা সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকার প্রুফের পাতা। সাহিত্যিক অমলকান্তি পত্রিকা সম্পাদকের বিশেষ অনুরোধে বুদ্ধদেব বসুর ‘একটি জীবন’ গল্প ও সেই নিয়ে চিত্রপরিচালক রাজা মিত্রের নিটোল কাহিনিচিত্র নিয়ে এক তুলনামূলক প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর শব্দকোষ-এর কথা এনেছেন।

বাবা বলতেন জ্ঞানের চোরাস্রোত । একবার ডুবতে শুরু করলে কোন অতলে যে তলিয়ে যাবে… ধর্মচক্র থেকে শুরু করে কোথায় হারিয়ে গেল সুবর্ণকান্তি। লেখা মাথায় উঠলো। মহামতি নিউটন বলেছেন জ্ঞানসমুদ্দুর — আর সত্যজিতের হীরকদেশের পণ্ডিত ছড়া কেটেছেন “জানার কোনও শেষ নাই / জানার চেষ্টা বৃথা তাই।”

মাকে নিয়ে ডিহিং কিনার বা বুড়ি ডিহিং নদীর ধারে পৌঁছল বিনয় — শান্ত নদী। গরমের সময় তাই নদীর মাঝে মাঝে চর জেগে আছে — এই নদী গিয়ে ব্রহ্মপুত্রে মিশেছে। এতটা রাস্তা বিনয় যে কোনও কথা বলেনি — বসুন্ধরা সেটা খেয়াল করেছে।

গাড়িটাকে রেখে নদীর পাড় বরাবর অনেকটা হেঁটে এসেছে — বিনয় আর বসুন্ধরা। সামনেই বুড়িডিহিং-এর টলটলে জল — নদীপারে দূরে মানুষের ঘরবাড়ি গাছপালা বনজঙ্গলের আঁকিবুকি। তারপর আদিগন্ত ঘন নীল আকাশ। এই জন্যেই বোধহয় মানুষ প্রকৃতির স্বাদ-গন্ধ-বর্ণ ছেঁচে নিতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে অচেনার খোঁজে। নদী গাছ মাটি আকাশ দেখতে দেখতে বসুন্ধরার ফরিদপুরের কথা মনে পড়ল। কোটালিপাড়া বাখুণ্ডা… নদীর দিক থেকে জলের ভেজা-গন্ধ মাখা হাওয়া আসছে। বিনয় সে দিকে তাকিয়ে তখনও কী যে ভাবছে।
− ওই সন্ন্যাসী — কী বলছিলেন বিনু? কী নিয়ে এতো ভাবছিস তুই?

একটু দূরে পাড়ে একটা ডিঙি নৌকো বেঁধে রাখা। আশপাশে কেউ কোত্থাও নেই। বিনয় মাকে নিয়ে সেই নৌকোটায় উঠে বসল —
− কতদিন বাদে নৌকোয় বসলুম বল মা। ফরিদপুর ছাড়ার পর আর
− আজকাল বড় ভুলোমন হয়েছে তোর। এই সেদিন আমরা যে শোভাবাজার ঘাট থেকে স্বর্ণদের বাড়ি বরানগরের চৈতন্যঘাট — নৌকো চেপে গেলাম- ফিরলাম।

স্বর্ণ’র কথা ওঠায় বিনয় যেন একটু অন্যমনস্ক জবাব দিল
− ওসব এখন আমার মাথায় নেই মা। মাথায় অনেক চাপ । সব বলছি মন দিয়ে শোন

বিনয় জানাল, পিটারসন সাহেব এই আছাবাম চা-বাগান চালান যৌথ মালিকানায় – মানে তিনি বাগানের মালিকদের একজন। এই বাগানের চা-য়ের চাহিদা আছে কিন্তু বাগান থেকে চা-য়ের যোগান কমে যাচ্ছে। সমস্যাটা কোথায় আর তার সঠিক সমাধানই বা-কী সেটা খুঁজতেই তিনি বিনয়কে পাঠিয়েছেন। সঙ্গে মা-কে পাঠিয়েছেন। বাগানের মালিকরা এলে যে বাংলোতে থাকেন সেখানেই তাদের রাজার হালে রেখেছেন।

এখানে আসার পর থেকে বিনয় দিনরাত পরিশ্রম করে পুরো ব্যাপারটা শুধু বোঝার চেষ্টা করেনি — একটা পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট বানিয়ে ফেলেছে। এবার সবচেয়ে কঠিন কাজ। এই সমস্যার সমাধানে বিনয়ের মতামতটা রিপোর্টে ঠিকঠাক লিখতে হবে। যেখানে ‘হ্যাঁ’ বললেও বিপদ ‘না’ বললেও বিপদ।
− কেন বিপদ সেটা জানতে বুঝতে একটা ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা তোমায় বলবো মা। দেশের লোক জালিয়ানওয়ালাবাগের কথা জানে। সারা পৃথিবীর লোক ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করে। কারণ ১৮৮৬তে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে ১১জন শ্রমিক নিহত হয়। অথচ ‘চাঁদপুর চা শ্রমিক গণহত্যা’ নিয়ে কেবলমাত্র চা শ্রমিক সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোন মহলে তেমন কোন আলোচনা নেই।
− এসব তুই কি করে জানলি?
− এখানে কাজ করতে না এলে হয়ত অনেকদিন পরে জানতাম। আমার আরও আশ্চর্য লাগছে এটা ভেবে যে আমি খোঁজ নিয়ে এসব জানতে পারব – এটা বুঝেও পিটারসন সাহেব আমাকে এখানে পাঠালেন কেন।
− তোর কী মনে হয়?
− বিদেশী মানেই জালিয়ানওয়ালা বাগের অত্যাচারী জেনারেল ডায়ার নয় – ভারতে এমন অনেক বিদেশী আছেন যাঁরা পিটারসনের মত ভদ্রলোক। আসলে পিটারসন সাহেব জরুরি মিটিংয়ে কলকাতায় আটকে পড়লেন আর সেই সঙ্গে তিনি জানতেন আসামে একটা কঠিন বিজনেস ডিসিশন নিতে হবে— তাই আমার সিদ্ধান্তকে পরখ করার জন্যে আমায় এখানে পাঠালেন। তিনি জানতেন এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আমায় এখানে চা-ব্যবসার ঝুঁকি, ভালো-মন্দ লাভ-ক্ষতি সবটুকু জানতে হবে। অনেক পরিশ্রম করে সমস্যার মূলে পৌঁছতে হবে আর আজকের সমাধান নয় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি এতদিন ধরে সেই কাজটাই করছিলাম । এখান থেকে টেলিগ্রামে এসব বলা যাবে না । আলোচনা করতে পারছি না। তাই আমাকে মনস্থির করে আমার রিপোর্ট পাঠিয়ে — সাহেবের নির্দেশের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।

বিনয়ের রাতদিন চিন্তা করা — বইপত্তর ঘাঁটা — নোট করার কারণ বসুন্ধরা এবার যেন একটু একটু বুঝতে পারে। কিন্তু তার মাথায় ঘুরছে সেই চা-শ্রমিক গণহত্যার কথা।
− কিন্তু ওই গণহত্যাটা কেন হল।
− সেটা বলব। ঘটনা তো ক্লাইম্যাক্স মা। তাই ঘটনার আগে ঘটনাটা কেন সেটা জানাটা খুব জরুরি। মন দিয়ে শোন। এই অজানা ইতিহাসটা আমার মতামতের মূল ভিত্তি। পিটারসন সাহেবকে আর কোথায় পাব? তুমিই শোন — চলবে

পরাধীন ভারতে চা শ্রমিক (ছবি: সংগৃহীত)।

ছবি সৌজন্য: সত্রাগ্নি

পরের পর্ব আগামী রবিবার

সিলেট এবং আসামের বন-জঙ্গল সাফ করে সেখানে চায়ের বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশরা। চা বাগানগুলোতে কাজের জন্য প্রয়োজন হতো প্রচুর শ্রমিক। …দূরদূরান্ত থেকে অনেক টাকাপয়সা অনেক সুখের গল্প শুনিয়ে লোক ধরে এনে চা-শ্রমিক বানানো হ’ত। ছাগল গরুর ব্যবসার মতো শ্রমিক সংগ্রহের ব্যবসা তখন জমজমাট। চা-বাগান মালিকেরা বিহার ওড়িশা মধ্যপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে ধূর্ত লোকেদের শ্রমিক ধরার এজেন্ট বানাতো। একা নয় — ছেলে-মেয়ে বাবা-মা বউ-ভাইবোন নিয়ে গোটা পরিবারকে মিথ্যে বলে বোকা বানিয়ে নিয়ে আসা হ’ত জাহাজঘাটায়। এই দালালদের বলা হতো ‘আড়-কাঠি’।

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content